ঈমানদীপ্ত দাস্তান ৫ম খণ্ড – এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২৫৭
ঈমানদীপ্ত দাস্তান ৫ম খণ্ড – বইটির এক ঝলকঃ
ইসহাকের পিতার নিকট দু’টি ঘোড়া ছিলো। তিনি ঘোড়াগুলোকে প্রস্তুত করে দেন। ইসহাকের কন্যা ও স্ত্রী ঝটপট প্রস্তুত হয়ে ঘোড়ায় চড়ে বসে। এলাকার আরো কতিপয় লোক এসে জড়ো হয়। তারাও সুদানী কমান্ডারের বক্তব্যে বিশ্বাস স্থাপন করে ইসহাকের কন্যা ও স্ত্রীকে কমান্ডারের সঙ্গে বিদায় করে দেয় ।
রাতের সফর। পথে কোথাও যাত্রাবিরতি দেয়া যাবে না। ইসহাকের ভাবনায় দু’মহিলার চোখের নিদ্রা উড়ে গেছে। তাদের পক্ষে ঘোড়সওয়ারী নতুন কিংবা কঠিন বিষয় নয়। এখানকার মুসলমানরা তাদের সন্তানদের অশ্বারোহন ও তীরচালনা শৈশবেই শিক্ষা দিয়ে থাকে ।
তিনটি ঘোড়া পাহাড়ী এলাকা থেকে বেরিয়ে গেছে। কমান্ডার এই ভেবে আনন্দিত যে, সে সাফল্যের সাথে ইসহাকের স্ত্রী-কন্যাকে জালে আটকাতে সক্ষম হয়েছে।
ইসহাক সেই প্রকোষ্ঠে বসে আছেন, যেখানে মিশরী সৈনিকের গলিত লাশ পড়ে ছিলো। এই লাশ সেখানে তাকে অস্থির করে তোলার জন্য রাখা হয়েছিলো। কিন্তু ইসহাক তো এখন দৈহিক অনুভূতি থেকে সম্পূর্ণ উদাসীন। তিনি লাশটির সঙ্গে এমনভাবে কথা বলছেন, যেনো লাশটি জীবিত। দুর্গন্ধের এক তিল অনুভূতিও তার নেই। তিনি যেনো এখন আর দেহ নন- একটি আত্মা। সারাটা দিন তাকে কক্ষ থেকে বের করা হয়নি। সন্ধ্যার পরও কেউ তাকে বিরক্ত করেনি। তিনি এই ভেবে বিস্মিত যে, তাকে কেনো শান্তিতে থাকতে দেয়া হচ্ছে। সম্ভবত সুদানী সালার তার ব্যাপারে নিরাশ হয়ে গেছে।
পাহাড়ী এলাকা থেকে বের হয়ে দুই মহিলাকে নিয়ে কমান্ডার মরু এলাকার দিকে যাচ্ছে । মহিলাদেরকে সে ইসহাক সম্পর্কে ভালো ভালো কথা শোনাচ্ছে। তারা মনোযোগ সহকারে তার বক্তব্য শুনছে। _ সুদানী সালার তার সঙ্গীকে বলছে- ‘কেউ কি আপন স্ত্রী ও কন্যার অপমান সহ্য করতে পারে? আমি আশাবাদী, কমান্ডার ইসহাকের স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে আসবে। । আমি ইসহাককে বলবো, যতোক্ষণ না তুমি মুসলিম গোত্রগুলোকে সুদানী ফৌজে শামিল করে সুদানের অফাদার না বানাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমার স্ত্রী ও কন্যা আমাদের হাতে বন্দী থাকবে।’
‘আমাদের কমান্ডারকে ভোর নাগাদ এসে পৌছা উচিত।’ সালারের সঙ্গী বললো। ‘তার আগেও এসে পড়তে পারে- সালার বললো- ‘লোকটা বড় চতুর। কমান্ডারের পেছনে পেছনে রওনা হওয়া সিপাহী পার্বত্য এলাকার মধ্যদিয়ে অতিক্রম করছে। অর্ধেকেরও বেশী পথ অতিক্রম করে ফেলেছে সে। আকাশে চাঁদ নেই। তবু মরু এলাকা বলে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। তারকার আলোয় চলার মতো পথ দেখা যায়।
রাতের নীরবতার মধ্যে সিপাহী কারো কথা বলার শব্দ শুনতে পায়। বক্তা তারই দিকে এগিয়ে আসছে। সিপাহী একটি টিলার আড়ালে গিয়ে থেমে যায় । কথা বলার শব্দ ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে থাকে। এবার একাধিক ঘোড়ার পায়ের আওয়াজও শোনা যাচ্ছে। পরক্ষণেই সিপাহী টিলার আড়াল থেকে তিনটি ঘোড়া অতিক্রম করতে দেখে। সে তরবারী হাতে নেয়। কমান্ডার এখনো ইসহাকের কথা বলে যাচ্ছে। সিপাহী নিশ্চিত হয়, লোকটি তাদের সেই কমান্ডার এবং তার সঙ্গে ইসহাকের স্ত্রী ও কন্যা ।
সিপাহী ঘোড়া নিয়ে বেরিয়ে পড়ে এবং কমান্ডারের পিছু নেয়। তার ঘোড়ার পদশব্দে কমান্ডার চমকে ওঠে। সে তরবারী উঁচু করে পেছন দিকে ঘুরে যায়। কিন্তু সিপাহী ধাবমান ঘোড়ার পিঠ থেকে কমান্ডারের উপর এমন এক আঘাত হানে যে, কমান্ডারের একটি বাহু কেটে যায়। পাল্টা আঘাত হানার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে কমান্ডার। সিপাহী তার ঘাড়ে আঘাত হেনে তাকে ঘোড়ার পিঠ
থেকে ফেলে দেয়।
ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ভ হয়ে যায় মহিলাদ্বয়। ইসহাকের স্ত্রী তার মেয়েকে বললো— ‘পালাও, ডাকাত মনে হচ্ছে।’ তারা ঘোড়ার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। সিপাহী তাদের সম্মুখে গিয়ে দাঁড়িয়ে বললো- ‘এখানে কোনো ডাকাত নেই। আমাকে ভয় করো না। আমি তোমাদেরকে একজন দস্যুর হাত থেকে রক্ষা করেছি। আমার সঙ্গে নিজ বাড়িতে চলো। আমি তোমাদের সঙ্গে যাবো। আমার সঙ্গে আর কোনো মানুষ নেই। ‘
ইসহাকের স্ত্রী ও কন্যা অস্থির-পেরেশান যে, এসব কী ঘটছে। সিপাহী কমান্ডারের ঘোড়ার লাগাম তার ঘোড়ার জিনের সঙ্গে বেঁধে রওনা হয়। পথে সে ইসহাকের স্ত্রী ও কন্যাকে জানায়, ইসহাক কয়েদখানায় বন্দী। মুসলমান গোত্রগুলোকে সুদানী ফৌজে শামিল করে দেয়ার জন্য তার উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। কিন্তু তিনি তা মেনে নিতে নারাজ। ইসহাকের সঙ্গে কিরূপ আচরণ চলছে, সিপাহী তাদের তা জানতে দেয়নি। সে বললো, তোমাদেরকে নিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে পরিকল্পনা হলো, তোমাদেরকে ইসহাকের সামনে উলঙ্গ দাঁড় করিয়ে লাঞ্ছিত করে ইসহাককে বাধ্য করা। এই যে লোকটিকে আমি খুন করেছি, সে এ লক্ষ্যেই তোমাদেরকে নিতে এসেছিলো। আমি তোমাদেরকে এই ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তার পেছনে পেছনে আসি। আমি আমার কর্তব্য পালন করেছি।’
“তুমি কে?”— ইসহাকের স্ত্রী জিজ্ঞেস করে- ‘তুমি কি মুসলমান?’
‘আমি কয়েদখানার সিপাহী সিপাহী জবাব দেয়- ‘আমি মুসলমান নই । “তাহলে আমাদের জন্য তোমার হৃদয়ে দয়া জাগলো কেনো?
‘আমি শুনেছি, মুসলমানদের একজন পয়গম্বর আছেন’- সিপাহী বললো- ‘তোমার স্বামীকে পয়গম্বর বলে মনে হচ্ছে।
ইসহাকের স্ত্রী জানতে চায়, তুমি কেন আমার স্বামীকে পয়গম্বর মনে করছো। সিপাহী আসল ঘটনা এড়িয়ে গিয়ে বললো- আমি তাকে সত্য পয়গম্বর মনে করি। তিনি মুসলমান এবং কয়েদখানায় বন্দী। আমি মুসলমান নই। তার স্ত্রী ও কন্যাকে লাঞ্ছিত করার যে আয়োজন চলছে, তা তিনি জানেন না। আমার অন্তরে ইচ্ছা জাগলো, তোমাদের দু’জনের ইজ্জত রক্ষা করবো । আবেগের বশবর্তী হয়ে আমি এমন কাজ করে ফেলেছি, যা আমার সামর্থের বাইরে ছিলো। এ তারই অদৃশ্য শক্তি। আমি তাকে পয়গম্বর মনে করি।’
রাতের শেষ প্রহরে চারটি ঘোড়া ইসহাকের ঘরের সম্মুখে গিয়ে থেমে যায় । ঘরের দরজায় করাঘাত পড়ে। পুত্রবধূ ও নাতনীর সঙ্গে ভিন্ন এক পুরুষকে দেখে ইসহাকের পিতা বিঘ্নিত হন। ভেতরে প্রবেশ করে সিপাহী তাকে পুরো ঘটনা ও পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করে। কিন্তু কয়েদখানায় ইসহাকের সঙ্গে কিরূপ আচরণ চলছে, তা গোপন রাখে। ইসহাকের পিতা তৎক্ষণাৎ গোত্রের লোকদেরকে বিষয়টি অবহিত করে। মানুষ এসে ইসহাকের বাড়িতে ভিড় জমায়। সিপাহী তাদেরকে জানায়, ইসহাককে এই শর্তে মুক্তি দেয়ার কথা বলা হচ্ছে যে, তিনি আমাদের সব মুসলমানকে সুদানী ফৌজে শামিল করে দেবেন এবং আপনারা সবাই সুদানের অনুগত হয়ে যাবেন। কিন্তু ইসহাকের বক্তব্য- আমাকে জীবনে মেরে ফেলো, তবু আমি আমার স্বজাতির সঙ্গে গাদ্দারী করতে পারবো না ।
শুনে সবাই আৎকে ওঠে এবং সুদানকে গালমন্দ করতে শুরু করে। একজন বললো- ‘এখানে সালাহুদ্দীন আইউবীর আগমন ঘটবে। এটা আল্লাহর জমিন। ‘আমরা কয়েদখানা আক্রমণ করে ইসহাককে উদ্ধার করবো।’ এক ব্যক্তি বললো। ‘তোমাদের পক্ষে এ কাজ সহজ নয়’- সিপাহী বললো- ‘পাতাল কক্ষ থেকে কাউকে বের করে আনার সাধ্য তোমাদের নেই।’
“তুমি তো কয়েদখানার সিপাহী’- ইসহাকের পিতা বললেন- ‘তুমি সহযোগিতা করতে পারো।’
‘আমি গরীব এবং সাধারণ একজন সৈনিক’- সিপাহী বললো- ‘আমি আপনার পুত্রকে পয়গম্বর মনে করি। আমি তাকে বলেছি, তুমি আমার ভাগ্য বদলে দাও। তিনি বলেছেন, এখান থেকে বের হয়ে আমি তোমার ভাগ্য বদলে দেবো। সময় যতো অতিক্রম করছে, তার প্রতি আমার ভক্তি-শ্রদ্ধা ততোই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনারা সবাই তার জন্য জীবন ত্যাগ করতে প্রস্তুত আছেন। আমার জীবনও কি তেমন হতে পারে না, যেমনটা আপনাদের?’
‘তুমি মুসলমান হয়ে যাও এবং এখানেই থাকো’- ইসহাকের পিতা বললেন— ‘আমরা সবাই জান্নাতে বাস করি। এখানকার জমি এতো অধিক ফসল উৎপন্ন করে যে, যারা কৃষি কাজ করে না, তাদেরও না খেয়ে থাকতে হয় না। এটা আমাদের আল্লাহর অনুগ্রহ। তুমি আমাদের নিকট এসে পড়ো এবং ভাগ্য পরিবর্তন করো। আমরা স্বাধীন। এখানকার পর্বতমালা আমাদের দুর্গ। এই দুর্গ আল্লাহ আমাদের জন্য বানিয়ে দিয়েছেন।’
সিপাহী ইসহাকের এলাকায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ইসহাকের পিতার হাতে কালেমা পাঠ করে মুসলমান হয়ে সেখানেই বসবাস করতে শুরু করে।
এখন ভোর বেলা। সুদানী সালার অস্থিরচিত্তে কমান্ডারের আগমনের অপেক্ষা করছে। কিন্তু তার কোনো খোঁজ নেই। সূর্য মাথার উপর ওঠে আসছে আর সালারের অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার ধারণা, কমান্ডার পথ ভুলে গেছে। সে অপর এক কমান্ডারকে ডেকে দায়িত্ব বুঝিয়ে পথের নির্দেশনা দিয়ে রওনা করিয়ে দেয়। ৩. ইসহাক কক্ষে আবদ্ধ। সারাটা দিন তার এই অবরুদ্ধ অবস্থায় কেটেছে । তার কক্ষে পড়ে থাকা লাশটি গলতে শুরু করেছে। কয়েদখানার যে সাস্ত্রী মানুষের হাড় ভাঙ্গা এবং পাতাল প্রকোষ্ঠের দুর্গন্ধ সহ্য করতে অভ্যস্ত, সেও ইসহাকের কক্ষের নিকটে যেতে আপত্তি করছে। এক সান্ত্রী নাকে হাত রেখে ইসহাককে জিজ্ঞেস করলো- ‘হতভাগা! এতো দুর্গন্ধ তুমি কিভাবে সহ্য করছো? এরা তোমার নিকট যা যা দাবি করছে, তুমি মেনে নাও এবং এখান থেকে মুক্তি গ্রহণ করো। তুমি তো এই মুর্দারের গন্ধে পাগল হয়ে যাবে। *আমার কোনো দুর্গন্ধ অনুভব হচ্ছে না’- ইসহাক বললেন- “এটা মুর্দার নয়, ইনি শহীদ। আমি রাতে তার গা ঘেঁষে ঘুমাই।’
‘তুমি পাগল হয়ে গেছো সান্ত্রী বললো- ‘লাশের দুর্গন্ধের ক্রিয়া এমনই হয়ে থাকে।
ইসহাকের মুখে মুচকি হাসি ফুটে ওঠে। তিনি লাশটির সন্নিকটে বসে কুরআন তিলাওয়াত করতে শুরু করেন।
কেটে গেছে এ রাতটিও। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতে সালার পরবর্তী যে কমান্ডারকে প্রেরণ করেছিলেন, সে ফিরে আসে। লাগাতার দীর্ঘ সফরে ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত কমান্ডার যা কিছু দেখে এসেছে, তা বিবৃত করতে তার ঠোঁট কাঁপছে। সে সালারকে জানায়, পথে কিছু এলাকা বালির টিলা ও পর্বতময়। দেখলাম, এক স্থানে অনেকগুলো শকুন একটি মুর্দা খাচ্ছে। পার্শ্বেই এক স্থানে পড়ে আছে একটি তরবারী, এক জোড়া জুতা ও কিছু কাপড়-চোপড়। শকুনগুলোকে তাড়িয়ে দেয়ার পর বুঝতে পারলাম, ওরা যা খাচ্ছিলো ওটি একটি মানুষের লাশ। লাশের মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে গেছে। পার্শ্বে পরিত্যক্ত খঞ্জর ও চামড়ার বেল্ট ইত্যাদি দেখে আমি নিশ্চিত হই যে, এটি আমাদের সুদানী কমান্ডারের লাশ। আমি কিছুদূর সম্মুখে এগিয়ে মাটি পরখ করে ঘোড়ার পদচিহ্ন দেখতে পাই। তাতে বুঝা গেলো, এই কমান্ডার পাহাড়ী এলাকায় প্রবেশ করছিলো। তবে সে মহিলা দু’জনকে নিয়ে এসেছিলো কিনা এবং তাকে কে খুন করলো, বুঝা গেলো না।
শুনে সালার বললেন- ‘সব জানা যাবে।’
মুসলমানদের উক্ত অঞ্চলে সুদানীরা তাদের গুপ্তচর ছড়িয়ে রেখেছিলো, যারা ওখানকার মুসলমানদেরই একজন। ওখানে তাদের একমাত্র কাজ চরবৃত্তি। তারাই ইসহাক সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিলো, ঐ অঞ্চলে তিনি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব।
সালারের ধারণা সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। সন্ধ্যার পর দু’জন গুপ্তচর সেখান থেকে এসে পৌঁছে। তারা সালারকে জানায়, কমান্ডার ইসহাকের স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে এসেছিলো। কিন্তু আমাদের কয়েদখানার এক সিপাহী পথে কমান্ডারকে হত্যা করে মহিলা দু’জনকে ফেরত নিয়ে গেছে। গোয়েন্দারা
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!