ঈমানদীপ্ত দাস্তান ৬ষ্ঠ খণ্ড – এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২০৯
ঈমানদীপ্ত দাস্তান ৬ষ্ঠ খণ্ড – বইটির এক ঝলকঃ
কায়রো থেকে সামান্য দূরে নীল নদের তীরে একটি পাহাড়ি এলাকা । এই অঞ্চলেরই কোন এক স্থানে ফেরাউনী আমলের একটি প্রাসাদের ভগ্নাবশেষ পড়ে আছে। ইতিপূর্বে একাধিক ঘটনায় খৃস্টান ও সুদানী সন্ত্রাসীরা এই পতিত প্রাসাদগুলোকে তাদের গোপন আস্তানারূপে ব্যবহার করেছিলো। মিসরে এরূপ পরিত্যক্ত পুরনো জীর্ণ প্রাসাদের সংখ্যা অনেক। পাহাড়ি এলাকাটাকে নজরে রাখার জন্য আলী বিন সুফিয়ান তাঁর গোয়েন্দাদেরকে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করে নিয়োজিত করেছিলেন। এখানকার খৃস্টান সন্ত্রাসীরা দু-তিন মাসে আলী বিন সুফিয়ানের ছয়-সাতজন দক্ষ গোয়েন্দাকে বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় গুম করে ফেলেছে।
এরা মিসরের সেইসব গুপ্তচর, যারা খৃস্টান গুপ্তপরদের পাকড়াও করার যোগ্যতা রাখতো। কিন্তু এখন তাঁরা নিজেরাই ধরা কিংবা মারা পড়ছে। আশংকার ব্যাপার হলো, যদি তারা ধরাই পড়ে থাকে, তাহলে খৃস্টানরা তাদেরকে ফেদায়ীদের হাতে তুলে দিয়ে তাদেরকে মিসরেরই সরকার ও সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে। তার চেয়েও বড় শংকা হলো, দুশমনের গোয়েন্দারা কায়রোর গোয়েন্দাদেরকে চিনে ফেলেছে । গুপ্তচরবৃত্তির এই যুদ্ধে দুশমন জয়লাভ করছে। আলী বিন সুফিয়ান এখন উচ্চ পর্যায়ের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। তাদের একজন হলেন মাহদী আল-হাসান, যিনি ফিলিস্তীন ও ত্রিপোলীতে গুপ্তচরবৃত্তি করে এসেছেন। ইনি দুর্দান্ত সাহসী ও বিচক্ষণ গোয়েন্দা । উপকূলীয় এই পাহাড়ি এলাকাটার দেখা-শোনার দায়িত্ব তাঁরই উপর ন্যস্ত করেন আলী বিন সুফিয়ান ।
এলাকাটার ভেতরে একটি মাত্র পথ আছে। পেছনে নদী। অন্য তিনদিকে পাহাড় আর টিলা। অভ্যন্তরটা সবুজ গাছপালায় পরিপূর্ণ । কোথাও কোথাও পানির ঝিলও আছে।
রিপোর্ট আছে, পাহাড়ের ভেতরে সন্দেহভাজন কিছু মানুষ যাওয়া-আসা করছে। কেউ ফেরাউনদের কোনো ভবন বা তার ধ্বংসাবশেষ দেখেনি । কিন্তু মানুষের দৃঢ় বিশ্বাস, ভেতরে কোথাও না কোথাও এমন কিছু অবশ্যই আছে। ফেরাউনরা এখানে কিছু না কিছু অবশ্যই নির্মাণ করে থাকবে, যা আজো বর্তমান আছে। মোটকথা, এলাকাটা সন্ত্রাসী আস্তানার জন্য একটি উপযুক্ত স্থান বটে।
মাহদী আল-হাসান এক-দু’টি উট আর কয়েকটি ভেড়া-বকরী নিয়ে মরু যাযাবর কিংবা রাখালের বেশে সেখানে যাওয়া-আসা করতেন। পশুগুলো এদিক-ওদিক চরে বেড়াতো আর তিনি ঘোরাফেরা করতেন। তিনি কিছুদূর পর্যন্ত ভেতরকার এলাকা দেখেছেন। সে পর্যন্ত তিনি কিছুই দেখতে পাননি। অনেকখানি ভেতরে একটি পর্বত এমন আছে, যার পাদদেশে বিশ-পঁচিশ ফুট উপরে একটি কুদরতি সুড়ঙ্গ পথের মুখ আছে। মাহদী আল-হাসান এই সুড়ঙ্গের ভেতরে প্রবেশ করেছিলেন। সুড়ঙ্গটি এতো উঁচু ও প্রশস্ত যে, তার মধ্য দিয়ে উট চলাচল করতে পারে। সুড়ঙ্গটি সোজা পাহাড়ের দিকে চলে গেছে। মাহদী আল-হাসান সুড়ঙ্গটির অপর প্রান্ত পর্যন্ত গিয়েছিলেন। সেখানে সংকীর্ণমত একটি উপত্যকা, যেখানে কোনো আস্তানা তৈরি হতে পারে না। সুড়ঙ্গটি অনেক লম্বা। ভেতরে ডানে-বাঁয়ে দেয়ালের গায়ে গুহার মতো তৈরি হয়ে আছে। এমন বড় বড় পাথরও আছে, যেগুলোর আড়ালে মানুষ দিব্যি লুকাতে পারে।
মিসরী গোয়েন্দা মাহদী আল-হাসান, আলী বিন সুফিয়ানকে রিপোর্ট করেছেন, আমি যতোদূর পর্যন্ত গিয়েছি, কোনো সন্দেহজনক স্থান চোখে পড়েনি এবং যতোবার গিয়েছি, একজন মানুষও ভেতরে যেতে কিংবা ভেতর থেকে বের হতে দেখিনি। আলী বিন সুফিয়ান তাকে বলে দেন, যেনো তিনি সারাদিন সেখানে অতিবাহিত করেন এবং বেশি ভেতরে না যান। কারণ, তাতে ক্ষতির আশঙ্কা বিদ্যমান। আলী বিন সুফিয়ান তাকে এও বলে দেন, মাঝে-মধ্যে উটে সওয়ার হয়ে রাতেও চলে যাবেন। যদি কোনো মানুষের মুখোমুখি হয়ে পড়েন, তাহেল বলবেন, আমি কায়রো যাচ্ছি। নিজেকে কৃষাণ বলে দাবি করবেন।
আলী বিন সুফিয়ানের নির্দেশনা মোতাবেক মাহদী আল-হাসান রাতেও সেখানে গিয়েছেন। এক রাতে তিনি কারো পলায়নপর পায়ের শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন। কোনো বন্য পশুও হতে পারে কিংবা মানুষও হতে পারে। মাহদী আল-হাসান আর সম্মুখে অগ্রসর হননি। কিছু সময় সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে ফিরে আসেন।
পরদিন সূর্যোদয়ের আগেই মাহদী আল-হাসান দু’-তিনটি উট ও গোটা কতক ভেড়া-বকরী নিয়ে সেখানে চলে যান। পশুগুলোকে উক্ত ছেড়ে দিয়ে এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করতে থাকেন। জায়গাটা সবুজ-শ্যামল । ঝোপ-ঝাড়, ঘাস ও বন্য ফল- বীচি সবই আছে। খানিক সম্মুখে অগ্রসর হওয়ার পর তার একজন মানুষ চোখে পড়ে। লোকটি এক স্থানে মাথানত করে বসে আছে। পরনে মূল্যবান চোগা। মুখে লম্বা দাড়ি। মাথায় দামি পাগড়ি। মাহদী আল-হাসান ধীরে ধীরে লোকটির দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করেন। কারো আগমন আঁচ করে লোকটি মাথা তুলে তাকায় । বেশ-ভুষা ও চলন-বলনে মাহদী আল-হাসান একজন অশিক্ষিত গেঁয়ো লোক । তিনি ধীর পায়ে লোকটির নিকটে গিয়ে দাঁড়ান ।
লোকটির হাতে একটি থলে। থলেটি কাঁচা সবুজ পাতায় ভর্তি। অপর হাতে একটি গাছের তাজা ডাল ।
‘কী তালাশ করছেন চাচা?’- মাহদী আল-হাসান বোকার মতো হেসে গেঁয়ো মানুষের ঢংয়ে জিজ্ঞাসা করেন- “কিছু হারিয়েছেন কি? বলুন, আমি তালাশ করি।’
‘আমি হাকীম’- লোকটি বললো- ‘গাছ-গাছড়া, লতা-পাতা, গোটা- দানা এসব খুঁজে ফিরছি। এসব ঔষধ তৈরিতে লাগে।
চেহারা দেখে মাহদী আল-হাসান লোকটাকে চিনে ফেলেন। কায়রোর বিখ্যাত হাকীম। তিনি সঠিক উত্তরই দিয়েছেন যে, লতা-পাতা তালাশ করছেন। এসব দিয়েই হাকীমরা ঔষধ বানায় ।
“তা তুমি এখানে কী করছো?’- হাকীম জিজ্ঞাসা করেন- ‘থাকো কোথায়?” ‘ঐতো সামান্য দূরে’- মাহদী আল-হাসান জবাব দেন- ‘পরিবারের সঙ্গে থাকি। এখানে পশু চরাতে এসেছি।’
‘দানাগুলো দিয়ে কী রোগের ঔষধ বানাবেন?’ মাহদী আল-হাসান জিজ্ঞাসা করেন।
“কোন কোন রোগ এমন হয়ে থাকে যে, রোগী নিজেও জানেনা, তার কী হয়েছে।
ইনি দেশের বিখ্যাত হাকীম। দূর-দূরান্ত থেকে রোগী আসে তার কাছে। এখানে তার দেখা পাওয়া মাহদী আল-হাসানের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়।
মানুষের একটি দুর্বলতা হলো, অনেক সময় মানুষ রোগাক্রান্ত না হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে রোগী মনে করে। সব মানুষই দীর্ঘ আয়ু, সুস্বাস্থ্য এবং শারীরিক শক্তির প্রত্যাশা রাখে। কোনো মানুষই নিজেকে শক্তিহীন ভাবতে চায় না। মাহদী আল-হাসানও তেমনি একজন মানুষ। শরীরে হয়তো সাধারণ কোন সমস্যা ছিলো, যা থাকে সব মানুষেরই। এতো বড় একজন হাকীমের সঙ্গে দেখা। সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক হবে না।
মাহদী আল-হাসান রোগের কথা হাকীমকে জানান। হাকীম তাঁর শিরায় হাত রাখেন। তারপর নিরিক্ষার সাথে চোখ দু’টো দেখেন। এমনভাবে তাকান, যেনো তার চোখে বিস্ময়কর কিছু দেখেছেন। তারপর লোকটার মাথা থেকে পা পর্যন্ত দেখেন। হাকীমের চেহারায় বিস্ময়ের লক্ষণ । ‘তুমি কি আমার দাওয়াখানায় আসতে পারো?’- হাকীম জিজ্ঞাসা করেন- “শহরে আসো।’
‘আমি নিতান্ত গরীর মানুষ’- মাহদী আল-হাসান বললেন- ‘আপনাকে পয়সা দেবো কোত্থেকে?’
‘তুমি এখনই আমার সঙ্গে চলো’- হাকীম বললেন- ‘আমার উট ওদিকে চরে বেড়াচ্ছে। তোমারও উট আছে। আমাকে তোমার পয়সা দিতে হবে না। ধনীদের নিকট থেকে অনেক টাকা নিয়ে থাকি। গরীবের চিকিৎসা বিনা মূল্যে করি। তোমার রোগ এখনো সাধারণ। কিন্তু বেড়ে যেতে পারে । আমার অন্য একটি সন্দেহও হচ্ছে।’
মাহদী আল-হাসান এখন ডিউটিতে আছেন। বৃদ্ধের কাছে আসা এবং তার সঙ্গে কথা বলাও তার কর্তব্যেরই অংশ। সাধারণ একটা রোগের চিকিৎসার জন্য তিনি ডিউটি ত্যাগ করতে পারেন না। তিনি হাকীমকে বললেন- ‘আমি সন্ধ্যায় আপনার দাওয়াখানায় আসবো। হাকীম মাহদী আল-হাসানকে নিজের দাওয়াখানার ঠিকানা বলে দেন। মাহদী আল- হাসান পূর্ব থেকেই দাওয়াখানাটা চেনেন। তবু না জানার ভানই দেখান ।
সন্ধ্যার পর মাহদী আল-হাসান এই বেশেই হাকীমের দাওয়াখানায় চলে যান। উটটা সঙ্গে রাখেন, যাতে হাকীম চিনতে পারেন। হাকীমের প্রতি তার কোন সংশয় নেই। হাকীমরা গাছ-গাছড়া, লতা-পাতা তালাশ করে ফেরেন তা তার জানা আছে। সেই সুবাধে এই হাকীমেরও উক্ত পার্বত্য এলাকায় যাওয়া বিচিত্র নয়। তাছাড়া বাস্তবিকই তার বিশ্বাস জন্মে গেছে, তার এই সাধারণ রোগটা এক সময় গুরুতর কোন ব্যাধিতে পরিণত হতে পারে। হাকীম তাকে আবারো দেখলেন এবং খুব ভালো করে দেখলেন এবং বললেন- ‘আমি তোমাকে ঔষধ দিচ্ছি। যদি এতে ভালো না হও, তাহলে অন্য ব্যবস্থা আছে। তোমার ব্যাপারে আমার অন্য একটি সন্দেহ আছে।’
মাহদী আল-হাসান জিজ্ঞাসা করেন- ‘কী সন্দেহ?’
‘কামনা করি, আমার সন্দেহ সঠিক না হোক’- হাকীম বললেন- ‘তুমি সুদর্শন যুবক। পাহাড়-উপত্যকায় ঘুরে বেড়াও। যেখানে আমার সঙ্গে তোমার সাক্ষাৎ হয়েছিলো, জায়গাটা ভালো নয়। ওখানে প্রেতাত্মারা বসবাস করে। তাদের কতিপয় ফেরাউনী আমলের রূপসী মেয়েদের প্রেতাত্মা। ফেরাউনরা তাদেরকে জোরপূর্বক নিজেদের কাছে রেখেছিলো এবং ভোগ-বিলাসিতার উপকরণ বানিয়েছিলো। পরে তাদের স্থলে অন্য মেয়েদের পেয়ে তাদেরকে মেরে ফেলেছিলো। আত্মা বৃদ্ধ হয় না- সব সময় যুবকই থাকে। তাদেরই আত্মারা এই সবুজ ভূ-খণ্ডে ঘুরে বেড়ায়। আমার সন্দেহটা হচ্ছে, তোমার আকার-গঠন ফেরাউনদের আমলের এক যুবকের সঙ্গে মিল খায়, যাকে সে কালের এক সুন্দরী যুবতী ভালোবাসতো, কামনা করতো। কিন্তু মেয়েটি কোন এক ফেরাউনের হাতে পড়ে যায়। তুমি ওখানে যাওয়া-আসা করছো। ঐ মেয়েটির প্রেত্মাত্মা তোমাকে দেখে ফেলেছে। সে তোমাকে কামনা করছে।
‘ও আমার কোন ক্ষতি করবে না তো?’- মাহদী আল-হাসান হাকীমের বক্তব্যে প্রভাবিত হয়ে খানিকটা ভীত কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করেন- ‘প্রেতাত্মাদের বন্ধুত্ব তো ভালো হয় না। তা আপনি কি আমাকে সেই প্রেতাত্মা থেকে বাঁচাতে পারেন?’
“আমার সন্দেহ ভুলও হতে পারে’- হাকীম বললেন- ‘আগে ঔষধ দেবো। তাতে সুস্থ্য না হলে তার সঙ্গে তোমার সাক্ষাৎ করিয়ে দিবো। প্রেতাত্মা থেকে মুক্তি লাভের এ-ও একটা পন্থা। তখন আর সে তোমার কোন ক্ষতি করবে না।’
মাহদী আল-হাসান যোগ্য ও বিচক্ষণ গুপ্তচর বটে; কিন্তু আলেম নন । সাধারণ মানুষের ন্যায় তারও ভূত-প্রেতে বিশ্বাস আছে। এ জাতীয় শোনা ঘটনাবলীতে তার বিশ্বাস আছে। হাকীমের এক একটি শব্দ তার মনের মাঝে গেঁথে গেছে। প্রেতাত্মার ভয় তাকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে।
মাহদী আল-হাসান হাকীমের নিকট গুপ্তচরবৃত্তির জন্য নয়- চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। হাকীম তাকে সান্ত্বনা প্রদান করেন, যেনো তিনি চিন্তা না করেন । কিন্তু চিন্তা তাকে পেয়ে বসেছে। হাকীম তাকে এক ডোজ ঔষধ দিয়ে বলে দেন, এই ঔষধটুকু রাতে শোয়ার আগে খাবে।
মাহদী আল-হাসান ঔষধ সেবন করে শুয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তার ঘুম এসে যায়। তিনি গভীর নিদ্রায় তলিয়ে যান। এর আগে কখনো এতো তাড়াতাড়ি তার ঘুম আসেনি। সকালে চোখ খোলার পর অনুভব করেন, মনটা তাঁর অস্বাভাবিক উৎফুল্ল। সর্বপ্রথম আলী বিন সুফিয়ানের নিকট যান। কিন্তু হাকীমের ঘটনা কিছুই বললেন না। এটা বলার মতো কোন বিষয় নয় । কেননা, হাকীম সন্দেহভাজন কেউ নন। তিনি কায়রোর বিখ্যাত
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!