ঈমানদীপ্ত দাস্তান ৪র্থ খণ্ড – এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

ঈমানদীপ্ত দাস্তান ৪র্থ খণ্ড – এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২৫৭

ঈমানদীপ্ত দাস্তান ৪র্থ খণ্ড – বইটির এক ঝলকঃ

মিশরের সে এলাকায় বর্তমানে আসওয়ান ডেম অবস্থিত, আটশত বছর আগে সেখানে একটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ সংঘটিত হয়েছিল। ঐতিহাসিকগণ আইউবী আমলের সেই যুদ্ধের কথা উল্লেখই করেননি। ইতিহাসে শুধু এতটুকু উল্লেখ পাওয়া যায় যে, সুলতান আইউবীর একজন সেনাপতি বিদ্রোহী হয়ে গিয়েছিল। কাজী বাহাউদ্দীন শাদ্দাদ তার ডায়েরীতে সেই সেনাপতির নামও লিখে রেখেছেন। নামটা হল, আল-কানাজ বা আল-কিন্দ। লোকটা ছিল মিশরী মুসলমান। তার মা ছিলেন সুদানী। সম্ভবত সুদানী রক্ত-ই তাকে সুলতান আইউবীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে উস্কে দিয়েছিল। সে যুগের ঐতিহাসিকদের প্রকাশিত পাণ্ডুলিপিতে যেসব তথ্য পাওয়া যায়, তাতে তার বিদ্রোহের পটভূমি অনেকটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
১১৭৪ সালের শেষ এবং ১১৭৫ সালের শুরুর সময়। সুলতান সালাহুদ্দীন আইউবী মিশরে অনুপস্থিত। নুরুদ্দীন জঙ্গীর ওফাতের পর উদ্ভুত পরিস্থিতির মোকাবেলায় তিনি এখন দামেস্ক অবস্থান করছেন। ষড়যন্ত্র-শিকার অপ্রাপ্ত বয়স্ক আনাড়ী খলীফার হাত থেকে দামেস্ক দখল করার পর হেম্স ও হামাত দুর্গও জয় করেছেন। হাল্‌ব দুর্গ অবরোধ করতে গিয়ে তিনি অপ্রত্যাশিত প্রতিরোধের সম্মুখীন হন। সেই সঙ্গে ত্রিপোলীর খৃস্টান সম্রাট রেমন্ডের আক্রমণের শিকার হন তিনি। সুলতান আইউবী হালবের অবরোধ প্রত্যাহার করে পিছনে সরে গিয়ে খৃস্টান বাহিনীকে পথেই প্রতিহত করার কৌশল অবলম্বন করেন । সুলতান আইউবী তাঁর কৌশলে সফল হন এবং রেমন্ড লড়াই ত্যাগ করে পিছনে সরে যায়। কিন্তু সেখানে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেনি; বরং সেখান থেকেই মূল যুদ্ধের সূচনা হয় ।
সুলতান আইউবী আলরিস্তান পর্বতমালায় তার বাহিনীকে ছড়িয়ে রেখেছেন। একই সময়ে তাঁকে তিনটি শত্রুর মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এক. আস-সালিহ ও তার সহচরগণ। দুই. খৃস্টান বাহিনী। তিন. ঋতু। পরিস্থিতিটা ১১৭৫ সালের জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী মাসের, যখন পাহাড়ের চূড়াগুলো সাদা বরফে ঢাকা এবং জনবসতিগুলো শীতে কাঁপছে থর থর করে। সুলতান আইউবী সেখানে এমনভাবে জড়িয়ে পড়েছেন, যেন তিনি লোহার শিকলে বাঁধা পড়েছেন।
মিশরের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত নন সুলতান। তিনি সেখানকার সেনাকমান্ড আপন ভাই আল-আদেলের হাতে অর্পণ করে এসেছেন। সেখান থেকে কিছু ফৌজ তিনি পরে তলব করে নিয়েও এসেছেন। মিশরের উপর সমুদ্রের দিক থেকে খৃস্টানদের এবং দক্ষিণ দিক থেকে সুদানীদের হামলার আশংকা বিদ্যমান। তার চেয়েও বেশী শংকা খৃস্টান ও সুদানীদের গোপন নাশকতামূলক তৎপরতা। মিশরে দুশমনের গুপ্তচরবৃত্তি ও নাশকতা অনেকটাই দমন করা হয়েছে বটে, কিন্তু তা সম্পূর্ণ নির্মূল হয়ে গেছে বলা যায় না। এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করার জন্য সুলতান আইউবী আলী বিন সুফিয়ানকে কায়রো রেখে এসেছেন। ভাই আল-আদেলকেও তিনি এ ব্যাপারে সতর্ক করে এসেেছন । কিন্তু আল-আদেল ও আলী বিন সুফিয়ান দু’জনে মিলেও সুলতান আইউবীর শূন্যস্থান পূরণ করতে সক্ষম হননি।
মিশর ত্যাগ করার সময় মিশরের সীমান্তে ও উপকূলীয় রক্ষীবাহিনীর ব্যাপারে সুলতান তাঁর ভাই আল-আদেলকে নির্দেশ প্রদান করে যান, সুদানী সীমান্তে যদি সামান্যতম গন্ডগোলও দেখা দেয়, তাহলে যেন কঠোর হাতে তার মোকাবেলা করা হয় এবং প্রয়োজন হলে যেন সুদানের অভ্যন্তরে ঢুকে গিয়ে যুদ্ধ করা হয় । কিন্তু অতি জরুরী একটি বিষয়ের প্রতি মনোনিবেশ করতে ভুলে যান সুলতান। তাহল, সীমান্ত বাহিনীর বদলি। সে সময়ে সীমান্ত বাহিনীর অধিকাংশ সৈন্য ও কমান্ডার এমন ছিল যে, তারা দু’বছরের বেশি সময় ধরে সীমান্তে নিয়োজিত রয়েছে। এরা সেই বাহিনী, যারা দুশমনের সঙ্গে জানবাজি লড়াই লড়ে এসেছে। কাজেই তাদের হৃদয় দুশমনের ঘৃণায় পরিপূর্ণ। তারা সুদানীদের কিছু-ই মনে করে না। তাদের আগে সীমান্ত প্রহরায় যে বাহিনী ছিল, তারা ভাল ছিল না। তাদের উপস্থিতিতেই মিসরের বাজার থেকে খাদ্যদ্রব্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী চোরাচালান হয়ে সুদান চলে যেত । সুলতান আইউবী ময়দান থেকে ফিরে এসে সেই বাহিনীকে বদলী করে ময়দান থেকে আনা বাহিনীকে সীমান্তে নিয়োজিত করেন। তারা সীমান্তে পৌঁছেই ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে দেয়। অল্প সময়ের মধ্যে সত্যিকার অর্থেই তারা মিশরের সীমান্তকে সুরক্ষিত করে ফেলে।
এটি দু’-আড়াই বছর আগের ঘটনা। শুরুতে তাদের মনে জোশ ও জযবা ছিল এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসার পর তারা ধীরে ধীরে নিষ্ক্রীয় হয়ে পড়ে। এই বেকারত্ব তাদের চেতনাকে উই পোকার ন্যায় খেয়ে ফেলতে শুরু করে। সুলতান আইউবী ছিলেন একজন দূরদর্শী মানুষ। তিনি প্রতিটি দিক, প্রতিটি কোণ ও প্রতিটি ক্ষেত্রের উপর সমানভাবে দৃষ্টি রাখতেন। কিন্তু সীমান্ত বাহিনীর বদলির ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টির প্রতি ব্যক্তিগতভাবে তিনি দৃষ্টি দিতে ভুলে গিয়েছিলেন। সীমান্ত বাহিনীর বিভাগটাই ছিল আলাদা, যার কমান্ডার ছিল সেনাপতি পদমর্যাদার এক ব্যক্তি, যার নাম আল-কিন্দ । বছরে তিনবার না হোক অন্তত দু’বার সেনাবদলি ছিল তার দায়িত্ব। কিন্তু লোকটা অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ এ কাজটা করল না। ফলে এই অবহেলার পরিণতি ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে শুরু করে।
একই পরিবেশ, একই আবহাওয়া এবং একই ভূখন্ডে অবস্থান করে ও দীর্ঘদিন পর্যন্ত প্রহরার দায়িত্ব পালন করতে করতে এই সৈন্যরা বিরক্তি অনুভব করতে শুরু করেছে। সুদান নিশ্চুপ। চোরাচালানী বন্ধ। বেকারত্ব ও অলসতা সৈন্যদের মন-মানসিকতার উপর ধ্বংসাত্মক ক্রিয়া ফেলতে শুরু করেছে। তাদের হাতে এখন না আছে কোন কাজ, না আছে বিনোদনের কোন উপায়- উপকরণ। ঋতুতেও কোন পরিবর্তন নেই। বালির সমুদ্র, বালির টিলা ছয়মাস আগে যেমন, এখনো তেমন। আকাশের বর্ণেও কোন পরিবর্তন নেই। এই পরিস্থিতি ও সৈন্যদের বিরক্তির প্রথম ক্রিয়া এই দেখা দেয় যে, টহলরত অবস্থায় কোন পথিককে পেলে তুমি কে, কোথায় যাচ্ছ, তোমার সঙ্গে কী? এসব প্রশ্ন করার পরিবর্তে থামিয়ে তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দিচ্ছে এবং এটা- ওটা বলে চিত্তরঞ্জন করছে। যেসব চৌকির সন্নিকটে জনবসতি আছে, তারা গ্রামে ঢুকে পড়ে লোকদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে, গল্প-গুজব করছে।
একটি দেশের সীমান্ত প্রহরীদের এই আচরণ দেশের জন্য ছিল বিপজ্জনক। কিন্তু তারা দায়িত্ব পালনে অতিষ্ঠ সৈনিক। কোন না কোন উপায়ে কোন না কোন স্থানে গিয়ে মনোরঞ্জন করা এখন তাদের মানবিকতার দাবি। তাদের কমান্ডারও তাদের-ই ন্যায় মানুষ। তিনিও সময় কাটানোর এবং বিনোদনের উপায় অন্বেষণে ব্যস্ত ।
সুলতান আইউবী যখন দামেস্ক রওনা হন, তখন তিনি এতই ব্যস্ত ছিলেন যে, সীমান্ত বিষয়ে সকল প্রকার নিদের্শনা প্রদান করা সত্ত্বেও তাঁর মাথায় আসেনি যে, . সীমান্তের পুরাতন বাহিনীর বদলির নির্দেশ প্রদান করে যেতে হবে। সম্ভবত তিনি নিশ্চিন্ত ছিলেন, তাঁর কমান্ডার আল-কিন্দ সব দায়িত্ব-ই পালন করে থাকবে । সুলতান আইউবীর চলে যাওয়ার পর যখন আল-আদেল সিপাহসালারের দায়িত্ব বুঝে নেন, তখন তিনি আল-কিন্দকে জিজ্ঞেস করেন, সীমান্তে যে বাহিনী রয়েছে, তারা কতদিন যাবত দায়িত্ব পালন করছে? আল- কিন্দ জবাব দেন, বহুদিন যাবত ।
‘সীমান্তে আরো সৈন্য প্রেরণের প্রয়োজন আছে কি?’- আল-আদেল জিজ্ঞেস করেন— ‘আর পুরাতন বাহিনীকে প্রত্যাহার করে কায়রো নিয়ে এসে সেখানে নতুন বাহিনী প্রেরণ করার আবশ্যক রয়েছে কিনা?”
‘না’- আল-কিন্দ জবাব দেন- ‘এরা সেই বাহিনী, যারা দেশ থেকে তরি- তরকারী, খাদ্যদ্রব্য, পশু এবং অস্ত্রশস্ত্র ইত্যাদি বিদেশে চোরাচালান হওয়াকে প্রতিহত করেছে। তারা এখন সীমান্ত এবং আশ-পাশের এলাকায় থাকতে অভ্যস্ত। তারা দূর থেকে সন্দেহভাজন লোকের ঘ্রাণ শুকে-ই তাকে গ্রেফতার করে ফেলতে সক্ষম। তাদের স্থলে নতুন সৈন্য প্রেরণ করলে নতুনদের অভিজ্ঞতা অর্জন করতেই অন্তত এক বছর সময় লেগে যাবে। এমন ঝুঁকি মাথায় তুলে নেয়া আমাদের পক্ষে ঠিক হবে না ।
আল-কিন্দ-এর জবাবে আল-আদেল নিশ্চিন্ত হন। তাকে একথাও বলার মত কেউ ছিল না যে, এই আল-কিন্দ রাতে নিজ ঘরে বসে বলছিলেন, ‘আমার এই সীমান্ত বাহিনীটা অকর্ম হয়ে পড়েছে। আমার প্রচেষ্টা সফল হয়েছে যে, আমি তাদের বদলি হতে দেইনি। তারা সীমান্ত এলাকার লোকদের সঙ্গে গভীর বন্ধুত্ব স্থাপন করে নিয়েছে। তাদের বর্তমান অবস্থা হল, তাদের পেট সবসময় ভরা থাকে খাওয়ার ব্যাপারে তাদের কোন অভিযোগ নেই। আমি তাদের জন্য প্রয়োজনের চেয়েও বেশী খাদ্য সরবরাহ করি। কিন্তু তারা প্রবৃত্তির যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে আছে। কোন কাফেলা পথ অতিক্রম করতে দেখলে তারা কাফেলার মহিলাদের মুখ উদোম করে তাকিয়ে থাকে। এবার আমি আমার কাজ করতে পারি।
আল-কিন্দ যার সঙ্গে কথা বলছিলেন, সে একজন সুদানী। মেহমানের বেশে আল-কিন্দ-এর ঘরে সে এসেছে। সুদান থেকে তার জন্য উপটোকন নিয়ে এসেছে। সঙ্গে ছিল একটি বার্তা। লোকটি আল-কিন্দকে জানায়, সুদানীরা প্রস্তুত । কিন্তু সেনাসংখ্যা এখনো ততবেশী সংগৃহীত হয়নি। লোকটি জানতে চায়, সুদানী সৈন্যরা কিভাবে মিসরে প্রবেশ করবে? সীমান্ত অতিক্রম করা তার দৃষ্টিতে একটি কঠিন ব্যাপার। তারই জবাবে আল-কিন্দ উপরোক্ত তথ্য পেশ করে। আল-কিন্দ সেই সালারদের একজন, যাদের উপর সুলতান আইউবীর পূর্ণ আস্থা আছে। তিনিও কারো মনে এই সন্দেহ জাগতে দেননি যে, তিনি মিশরের অনুগত নন। আলী বিন সুফিয়ানকে পর্যন্ত তিনি ধোঁকায় ফেলে রেখেছেন। দু’-আড়াই বছর আগে তিনি যে সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানী রোধ করেছিলেন এবং সীমান্তকে সম্পূর্ণরূপে সীল করে দিয়েছিলেন, সেই ইমেজই তাকে বেশ কাজ দিচ্ছে। তিনি যে দেশের একজন গাদ্দারে পরিণত হয়েছেন, তা কেউ টের-ই পেলনা ।
সুলতান আইউবীর চলে যাওয়ার পর আল-কিন্দ আদেলকে নিশ্চয়তা প্রদান করেন, আপনি সুদানের ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত থাকুন। সুদানের একটি পাখিও মিশরে প্রবেশ করতে পারবে না। আলী বিন সুফিয়ানকেও তিনি একই নিশ্চয়তা প্রদান করতে থাকেন। অথচ সুদানে হাবশীদের একদল সৈন্য মিশর আক্রমণ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকে। তাদের পরিকল্পনা হল, তারা ছোট ছোট দলে মিশরে ঢুকে চুপিচুপি কায়রোর নিকটে পৌঁছে যাবে এবং রাতের বেলা হামলা করে রাতেই মিশরের ক্ষমতা দখল করে নিবে।
সুদানের গা ঘেঁষে মিসরের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে নীল দরিয়া। কিছুটা অগ্রসর হয়ে মিশরীয় এলাকায় প্রশস্ত একটি ঝিলের রূপ ধারণ করেছে নদীটি। আরো সামনে গিয়ে ঢুকে পড়েছে পার্বত্য এলাকার ভেতর। তারপর সম্মুখের দিকে এগিয়ে গেছে নালার রূপ ধারণ করে। তারই নিকটে অবস্থিত আসওয়ান ডেম ।
সুলতান আইউবীর আমলে আসওয়ান ডেমের চারপাশের ভৌগলিক অবস্থা ছিল ভিন্ন রকম। দূর-দূরান্ত পর্যন্ত টিলা আর পাহাড়। ফেরাউনদের বিশেষ সুদৃষ্টির প্রমাণ বহন করছে টিলা ও পাহাড়গুলো। তারা পাহাড় কেটে কেটে তৈরী করেছিল বিশাল বিশাল মূর্তি। সবচে’ বড় মূর্তিটির নাম আবু সম্বল । কোন কোন পর্বতের চূড়া কেটে কেটে উপাসনালয়ের গম্বুজ কিংবা কোন এক ফেরাউনের মুখের আকৃতি তৈরী করা হয়েছে। পর্বতমালার পাদদেশে তৈরী করা হয়েছে গুহা । অভ্যন্তর অতিশয় প্রশস্ত ও বিস্তৃত । কোন গুহা এমনও তৈরী করা হয়েছে, যার ভিতরে অসংখ্য কক্ষ ও রাস্তা-ঘাট বিদ্যমান ।
ফেরাউনরা এই রহস্যময় জগতটা কেন আবাদ করেছিল, তা বলা মুশকিল। পাহাড় কেটে কেটে এই মূর্তি নির্মাণ ও গুহা ইত্যাদি তৈরী করতে অতীত হয়েছে তিনটি বংশধারা। ফেরাউনরা ছিল সে যুগের খোদা।

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top