দ্য লাস্ট ক্যাসল অব দ্য কিং ৩য় খণ্ড – ড. করম হোসাইন শাহরাহি – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২৭৬
দ্য লাস্ট ক্যাসল অব দ্য কিং ৩য় খণ্ড – বইটির এক ঝলকঃ
মহারাজা হঠাৎ চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো- ‘মাতাজি! এ তো অজয় কুমারের খুনি মুসলিম কয়েদি হাশিম! তাকে বন্দীখানা থেকে কে বের করে আনলো?’
হাশিম ছোবল মারা নাগের মতো হুংকার দিয়ে বললো- ‘তুমি ঠিকই চিনতে পেরেছো। কিন্তু আমি অজয় কুমারকে খুন করিনি। বরং ভগবান এবং দেবতাদের মনোবাসনা পূরণ করেছি মাত্র। মূর্খ! ভগবান ও দেবতারা আসামের রাজসিংহাসন তোমার ওপর ন্যস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন! তোমার দৃষ্টিতে আমি যদি কোনো অন্যায় করে থাকি, তবে তুমিও নিজেকে অপরাধী ভাবতে শেখো! কারণ, তুমিই মহারাজা জয়ধ্বজকে খুন করেছো! বলো, কেন তুমি তোমার পরম শুভাকাঙ্ক্ষী মহারাজা জয়ধ্বজ সিংকে খুন করলে? বস্তুত এটাও ছিলো দেবতাদের ফয়সালা। দেবতারা তোমাকে মহারাজা বানাতে চেয়েছেন। অজয় কুমার যদি খুন না হতো, তাহলে তুমি সেনাপতি হতে পারতে না এবং পরে মহারাজাও খুন হতো না। দেবতাদের এমন কীর্তি-কাও তুমি কী করে বুঝবে?’
মহারাজা গা দুলিয়ে বললো- ‘কিন্তু তুমি তো একজন মুসলমান সরদারের ছেলে!’
‘হ্যাঁ, হ্যাঁ! আমি মুসলিম সরদার ফিরোজ খানের ঘরে চতুর্থবারের মতো জন্ম নিয়ে এসেছি। তুমি এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করার কে? আমি দেবতাদের মনোবাসনায় বন্দী। তাঁরা যেখানে যে ঘরে ইচ্ছে জন্ম দিয়ে থাকেন ।
এরপর কিছুক্ষণ নীরব থেকে পার্শ্ব পরিবর্তন করে নাগ দেবতা বললো- ‘আমার যা কিছু বলার বলে দিয়েছি। এরপর যদি তুমি কিছু বলতে চাও, তাহলে জ্বালিয়ে তোমাকে অঙ্গার করে ছাড়বো।
মহারাজা হাত জোড় করে বিনীত সুরে বললো- ‘না! ভগবানের জন্য দয়া করুন। দেবতারা তো বড়ই দয়ালু হয়ে থাকেন।
নাগ দেবতা শিব দেবতার দিকে আঙুলের ইশারা করে বললো- ‘আমি তাঁর মনোতুষ্টির নিমিত্তে নীরব থাকলাম। নইলে আজ এখানে ছাই উড়তো!’
সুলতান মৃদু হেসে বললেন- ‘নাগ দেবতাজি! সেবক, পূজারি ও তীর্থযাত্রীরা অন্যায় করে থাকে। তাদের ক্ষমা করে দেয়া দেবতাদের মহত্ত্বের পরিচয়।’
এরপর তিনি মহারানির দিকে তাকিয়ে বললেন- ‘মহারানি! রাতের প্রথম প্রহর শেষ হয়ে যাচ্ছে। তোমরা যেতে পারো। সকালে সাক্ষাৎ হবে ।
তুমি মহারাজার উত্তম মা। কিন্তু মনে হচ্ছে, এ তোমার ভালো সন্তান নয় ৷ সে সব বিষয় সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখে। তাকে বলো, সে যেন তার স্বভাবে মিষ্টতা সৃষ্টি করে। নইলে পরিণতি ভালো হবে না। সে যদি নাগ দেবতাকে অজয়ের খুনি না বলতো, তাহলে তাকে জয়ধ্বজের খুনি বলা হতো না । অথচ সে সাধারণ মানুষের মাঝে এ কথা প্রচার করে দিয়েছে যে, জয়ধ্বজ সিং আত্মহত্যা করেছে। এখন যদি প্রকৃত রহস্য জনসম্মুখে ফাঁস হয়ে যায় যে, কৃষ্ণকুমার খুনি; তাহলে দেশজুড়ে বিদ্রোহ, বিশৃঙ্খলা হেয়ে যাবে। এ কথা আমার জানা আছে যে, এই দেশে এখনো মহারাজা জয়ধ্বজ সিংয়ের পক্ষের লোক বেশি। সুতরাং, আমার পরামর্শ হচ্ছে- মহারাজা কৃষ্ণকুমার যেন এ ব্যাপারে ভবিষ্যতে কখনো কোনো কথা না বলে। আমার ধারণা- এই কক্ষে উপস্থিত লোকজন ছাড়া কেউ নাগ দেবতার কথা শুনতে পায়নি । এই লোকেরা তাদের মুখ বন্ধ রাখবে।’
মহারাজা মাথা ঝুঁকিয়ে একে এক উভয় দেবতার চরণ ছুঁয়ে কক্ষ থেকে বেরিয়ে গেলো। মন্দির থেকে বেরিয়ে মহারাজা ও মাতা মহারানি নিজ মহলের দিকে এগিয়ে চললো।
মাতা মহারানিকে তাঁর শয়নকক্ষে পৌঁছিয়ে দেয়ার পর মহারাজা কৃষ্ণকুমার বিদায় নেয়ার প্রাক্কালে জিজ্ঞেস করলো- ‘মাতাজি! চন্দ্রকান্ত কোথায়?’
মাতা মহারানি বললেন- ‘বেটা কৃষ্ণ! এখন তুমি গিয়ে বিশ্রাম নাও। ভোরে সব ঘটনা খুলে বলা যাবে।’
মহারাজা বললো- ‘এভাবে তো আমার নিদ্রা আসবে না!
মাতা মহারানি তাঁর সকল দাস-দাসী ও কর্মচারীকে চলে যেতে নির্দেশ দিলে সবাই মহারানির শয়নকক্ষ থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর মাতা মহারানি মহারাজাকে নিকটে বসিয়ে বলা আরম্ভ করলেন- ‘বেটা কৃষ্ণ! আমি তোমার নির্দেশমতে ওই ডাইনি প্রেতাত্মাকে শিব দেবতার মন্দিরে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। এর কিছুদিন পর তুমি বীরধনের মাধ্যমে তাকে ফেরত নিয়ে আসতে নির্দেশ পাঠিয়েছিলে। সেই মতে আমি বীরধনকে শিব দেবতার মন্দিরে পাঠিয়ে দিই। কিন্তু ওই নিমকহারাম গাদ্দারি করেছে। সে চন্দ্রকান্তকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’
মহারাজা চিৎকার করে বললো- ‘মাতাজি! এ তুমি কী বলছো?”
‘সত্যি বলছি, বেটা!’ মাতা মহারানি জবাবে বললেন- ‘তোমার মতো আমিও ওই নিচুজাতের বীরধনকে খুব বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু সে আমাদের বিশ্বাসের সাথে বেইমানি করেছে। বেটা কৃষ্ণ! এসব ছোট জাতের লোক কখনো কখনো সস্তা দরে নিজেদের বিকিয়ে দেয়। শোনা যাচ্ছে- সে নাকি চন্দ্ৰকান্তকে নিয়ে বাংলার হাকিমের কাছে পৌঁছে গেছে।’
মহারাজা হাত মুষ্টিবদ্ধ করে বললো- ‘মাতাজি! খুব খারাপ হয়েছে! চন্দ্রকান্তকে হারিয়ে আমি পরিকল্পনামাফিক বাংলার হাকিমের সাথে সওদাবাজির সমুদয় সম্ভাবনা হারিয়ে ফেললাম। ভগবান জানেন, এখন কী হবে!’
মাতা মহারানি বললেন— ‘কৃষ্ণ! আমি তোমাকে বারবার বলে আসছি যে, আমাদের কিছু হবে না। মুসলিম ফৌজ কিছুতেই এই দুর্ভেদ্য দুর্গ ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হবে না।’
‘কিন্তু মাতাজি!’ কৃষ্ণ হতাশা ব্যক্ত করে বলে উঠলো— ‘একসময় যদি চন্দ্রকান্ত দেশে বিদ্রোহের বীজ বুনে দেয়! বাংলার হাকিমের মোকাবেলা তো করা যাবে, কিন্তু দেশে অরাজকতা আর বিদ্রোহ দেখা দিলে সেটা কী করে দমানো সম্ভব?’
মহারাজা দরজার দিকে এগিয়ে বললো- ‘এর বিহিত একটা কিছু করতেই হবে।’
এরপর সে হাতে তালি বাজিয়ে প্রহরীকে ডেকে বললো- ‘এই মুহূর্তে সাধারণ দরবারের ব্যবস্থা নেয়া হোক!’
মাতা মহারানি দাঁড়িয়ে বললেন- ‘আমিও আসছি।’
মহারাজা বেরিয়ে গেলো ।
কিছুক্ষণের মধ্যে সকল মন্ত্রী, উজির ও অন্যান্য নেতৃবর্গ পৌঁছে গেলো দরবারে। মহারাজা সিংহাসনে উপবিষ্ট। দরবারজুড়ে পিনপতন নীরবতা। এক পলকে মহারাজা সবার চোখে চোখ ঘুরিয়ে পরে একে একে সবার কুশল বিনিময় করলো। এরপর সে ঘনশ্যাম ঠাকুরকে উদ্দেশ করে বললো- ঠাকুরজি! খণ্ডরায় কি এখনো পৌছায়নি?’
ঘনশ্যাম দাঁড়িয়ে কুর্নিশ করে জবাব দিলো- ‘ভোর নাগাদ পৌঁছে যাবে।’
মহারাজা আরেকবার নীরবতা ভেদ করে দরবারিদের উদ্দেশে বলতে শুরু করলো-
‘হে আসামের বীরেরা! তোমাদের সেই দুঃখভরা পরিস্থিতির কথা কিছুই বলা হয়নি- যে কঠিন পরিস্থিতেতে আমার ওপর শাসনভার এসেছে। মহারাজা জয়ধ্বজ সিংয়ের ভুল পরিকল্পনা এবং অপরিণামদর্শী পদক্ষেপ ছিল একেবারেই অজ্ঞতাপ্রসূত। আমাদের সেনাবাহিনীকে ধ্বংসস্তূপে দাঁড় করিয়ে নিজের ধূর্ততা ও পাপাচার থেকে মুক্তি পেতে জয়ধ্বজ এক রাতে আত্মাহুতি দেয়। এদিকে আমাদের শত্রুদের করুণার ওপর ছেড়ে দেয়া হয়। জয়ধ্বজ সিং মানসিকভাবে অপরাধের প্রায়শ্চিত্তে জ্বলছিলো। সে তার দুশ্চরিত্রা বেশ্যা মেয়ের কুকীর্তির কথা শুনে মানসিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিলো। শেষে নিজের জীবন বলিদান করে নিজেকে তো জগতের ঝুট-ঝামেলা থেকে মুক্ত করলো ঠিক, কিন্তু তার অতর্কিত এই আত্মাহুতি ধ্বংসের ঘূর্ণাবর্তে নিক্ষেপ করে ছেড়েছে গোটা দেশ। এভাবে যখন চারদিক নিকষ কালো অন্ধকারে ছেয়ে যায়, তখন সবাই হতবাক হয়ে পড়ে। আমি স্বেচ্ছায় আগ বাড়িয়ে শাসনভার হাতে নিলাম। অনেক সংগ্রাম-সাধনার মাধ্যমে পরিস্থিতি আমি নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হই। যুদ্ধে আমরা হারিনি; বরং আমরা কৌশলের আশ্রয় নিয়ে পেছনে হটে এসেছি। একটি বিষয় শুনে তোমরা অবশ্যই খুশি হবে যে, আমাদের স্বার্থসিদ্ধিতে আমরা বহুদূর এগিয়েছি। যাকে অর্জন করার জন্য আমরা ধর্ম ও দেবতাদের সম্মানের পতাকা উড্ডীন করে তুলেছি, জগন্নাথ মন্দিরের সেই দেবীকে আমরা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি- যাকে এতো দিন মুসলমানরা আটক করে রেখেছিলো। আমরা বাংলার হাকিম, এমনকি সমগ্র মুসলিম জাতির বুকে এমন ক্ষত তৈরি করে দিয়েছি— যা শত বছর ধরে তাদের আত্মাকে পুড়িয়ে যাবে। এটা আমাদের এক বিশাল বিজয়।’
এখনো মহারাজার বক্তব্য শেষ হয়নি। এমন সময়ে অতর্কিত অর্জুন দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে কেঁদে উঠলো! মহারাজা তার দিকে তাকিয়ে বললো- ‘যুবক! আমার নিকটে এসো!’
অর্জুন কেঁদে কেঁদে বলতে লাগলো- ‘মহারাজা! দোহাই লাগে, আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। আমাদের গোটা সম্প্রদায় সমূলে ধ্বংস হয়ে গেছে! আমাদের গল্প এখন মাটি আর রক্তের গল্প।’
মহারাজা উদ্বিগ্ন হয়ে আসন পরিবর্তন করে বললো- ‘তুমি কি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোক?
‘হ্যাঁ, মহারাজ!’ অর্জুন বললো- ‘আমি রাজকুমার নারায়ণের ওই বহরে উপস্থিত ছিলাম- যারা মুসলিম নেতা নাদের খানের বসতি আক্রমণ করে জগন্নাথের দেবী এবং তার দুই সখীকে উঠিয়ে এনেছিলো!’ মহারাজা বললো- ‘তোমার কাহিনি অল্প শব্দে বলে শেষ করো! কী বলতে চাচ্ছো তুমি?’
অর্জুন বললো- ‘মহারাজ! বাংলার হাকিমের বাহিনী ঘূর্ণিঝড়ের গতিতে আমাদের ধাওয়া করে। এরপর তারা কেবল তাদের মেয়েদের নারায়ণের কবজা থেকে মুক্ত করেই ক্ষান্ত হয়নি; বরং এগিয়ে এসে আমাদের সম্প্রদায়কে সমূলে উৎপাটন করে ছেড়েছে। সবকিছু মিটিয়ে দিয়েছে। বিষ্ণু সরদারের দুর্ভেদ্য পাহাড়ি দুর্গ ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। এখন গোটা আসামে স্বল্প কিছু মহিলা আর অল্পবয়সী শিশু ছাড়া বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের আর কোনো সদস্য জীবিত নেই!’
মহারাজা রাগে-ক্ষোভে চিৎকার দিয়ে বললো- ‘না! তুমি মিথ্যে বলছো! এমন হতেই পারে না!’
এরপর আসামের প্রখ্যাত গোয়েন্দা বিনোদ দাঁড়িয়ে বললো- ‘মহারাজ! অর্জুন সত্যিই বলছে। মুসলিম বাহিনী বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নাম-নিশানা মুছে ফেলেছে। তারা গুনে গুনে তাদের রক্তের বদলা নিয়ে নিয়েছে। এই মুহূর্তে তাদের বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে উত্তর আসাম।’
মহারাজা তার মায়ের দিকে তাকিয়ে ক্রোধভরা কণ্ঠে বললো- ‘মাতাজি! এ কী শুনছি আমি?’
মাতা মহারানি বললেন- উদ্বিগ্নের কোনো কারণ নেই, বাবা । লড়াইকালে এ জাতীয় গ্লানি ও সংকট উতরে যেতে হয়। আমি মঙ্গল সিংকে বিশাল একটি বাহিনীর সাথে উত্তরাঞ্চলের দিকে পাঠিয়েছি। আশা করি- আগামীকালই কোনো শুভ সমাচার আমরা শুনতে পাবো। মঙ্গল সিং বেশ অভিজ্ঞ নেতা!’
মহারাজা মৃদুস্বরে বললো- ‘মঙ্গল সিং বাস্তবিক অর্থেই একজন চৌকস ও বীর বাহাদুর। আচ্ছা, মুসলিম বাহিনীর সেনাসদস্য কতোজন আর মঙ্গল সিংয়ের সেনাসদস্য কতো?”
বিনোদ বললো- ‘মহারাজ! মুসলিম বাহিনীর সেনাসদস্যের সংখ্যা চল্লিশ হাজারের কাছাকাছি। ওই বাহিনীর একজন নেতা আছে, যে প্ৰতাপ এবং তার সেনাদের হত্যা করেছিলো।’
মাতা মহারানি বিনোদের কথা কেটে বললেন- ‘ওই সংবাদে উত্তেজিত হয়েই মঙ্গল সিং লড়াই করতে উদ্যত হয়।’
মহারাজা বললো- ‘ব্যাপারটি যদি এমনই হয়ে থাকে, তবে তো মঙ্গল সিং জীবন-মরণ বাজি রেখে মুসলমানদের দর্প চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ছাড়বে!’
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!