তুঙ্গভদ্রার তীরে – শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় – Tungabhadrar Tire – Sharadindu Bandyopadhyay – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

তুঙ্গভদ্রার তীরে – শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় – Tungabhadrar Tire – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

Tungabhadrar Tire
Tungabhadrar Tire

বই রিভিউ: “তুঙ্গভদ্রার তীরে” – শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়

বই পরিচিতি

  • বইয়ের নাম: তুঙ্গভদ্রার তীরে
  • লেখক: শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
  • প্রকাশকাল: ১৯৫৯
  • বইয়ের ধরন: ঐতিহাসিক উপন্যাস, প্রেম, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব
  • মূল চরিত্র: অচ্যুত, বিমলা, মহাদেবী, রাজা দেবরায়

সারসংক্ষেপ

শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যে তার ঐতিহাসিক রচনার জন্য বিখ্যাত, এবং “তুঙ্গভদ্রার তীরে” তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক উপন্যাস।

উপন্যাসের পটভূমি দক্ষিণ ভারতের বিজয়নগর সাম্রাজ্য (১৫শ শতাব্দী), যখন সেই সময়ের ভারত ছিল নানা রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, ক্ষমতার লড়াই ও রাজনীতির মোড়কে আবৃত।

গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র অচ্যুত, যিনি এক যুবক ব্রাহ্মণ এবং দুর্গত ভাগ্য তাকে বিজয়নগরের রাজসভায় টেনে আনে। রাজ্যের ক্ষমতার লড়াই, কূটনীতি, প্রেম এবং ব্যক্তিগত লড়াই তার জীবনে গভীর ছাপ ফেলে। গল্পের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র বিমলা—যার প্রেম, আত্মত্যাগ, এবং বুদ্ধিমত্তা গল্পের মোড়কে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

রাজনীতি ও মানবিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে তুঙ্গভদ্রা নদী এক নীরব সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। এই নদীর তীরে ইতিহাসের পাতায় লেখা হয় এক রোমহর্ষক কাহিনি, যেখানে ভালোবাসা, লালসা, রাজনীতি ও প্রতিশোধের অনন্য সমন্বয় দেখা যায়।


প্রধান বিষয়বস্তু

ঐতিহাসিক পটভূমি: ১৫শ শতকের বিজয়নগর সাম্রাজ্যের বাস্তবধর্মী চিত্রায়ণ।
প্রেম ও রাজনীতি: প্রেম কেবল ব্যক্তিগত নয়, বরং রাজনৈতিক শক্তির হাতিয়ার হয়ে ওঠে।
চরিত্রের গভীরতা: প্রতিটি চরিত্রই স্বকীয়তায় উজ্জ্বল, বিশেষত বিমলা ও মহাদেবী।
প্রাকৃতিক দৃশ্য ও উপমার অসাধারণ ব্যবহার: তুঙ্গভদ্রা নদীর প্রতীকী ব্যবহার গল্পের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।


বইটির বিশেষত্ব

📌 ঐতিহাসিক নির্ভুলতা ও ভাষার কারুকার্য: শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐতিহাসিক গবেষণা ও সাহিত্যিক দক্ষতা গল্পটিকে জীবন্ত করে তোলে।
📌 সাহিত্যিক সৌন্দর্য: প্রতিটি বাক্য যেন কবিতার মতো গাঁথা, সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা।
📌 গভীর মানবিক অনুভূতি: প্রেম, লোভ, ঈর্ষা, প্রতিশোধ এবং আত্মত্যাগের এক অনন্য মিশ্রণ।
📌 রাজনীতি ও কূটনীতি: ক্ষমতার লড়াই এবং শাসনব্যবস্থার নানা জটিলতা দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।


উদ্ধৃতি

“রাজনীতি যেমন নির্মম, প্রেমও তেমনই নির্মম। কিন্তু প্রেমের নির্মমতা অন্ধ, আর রাজনীতির নির্মমতা সচেতন।”

“তুঙ্গভদ্রার জলে যেমন প্রতিফলিত হয় সূর্যের রঙিন আলো, তেমনি মানুষের মনে প্রতিফলিত হয় তার আকাঙ্ক্ষার আলোছায়া।”


ব্যক্তিগত মূল্যায়ন ও রেটিং

📖 কাহিনি: ★★★★★ (৫/৫)
🎭 ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ: ★★★★★ (৫/৫)
🖊 লেখার গুণমান: ★★★★★ (৫/৫)
🔍 রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উপস্থাপনা: ★★★★☆ (৪.৫/৫)
💖 প্রেমের গভীরতা: ★★★★★ (৫/৫)

সর্বমোট: ৪.৮/৫


কাদের জন্য উপযুক্ত?

✔ ঐতিহাসিক কাহিনি ভালোবাসেন যারা
✔ রাজনৈতিক ও কূটনীতির চমৎকার গল্প পড়তে চান যারা
✔ প্রেম, আত্মত্যাগ ও মানবিক সম্পর্কের গভীরতা খুঁজছেন যারা
✔ শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যিক গুণাবলির অনুরাগী পাঠকরা


শেষ কথা

“তুঙ্গভদ্রার তীরে” বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা ঐতিহাসিক উপন্যাস। ভাষার সৌন্দর্য, কাহিনির টানটান উত্তেজনা এবং চরিত্রগুলোর জীবন্ত রূপায়ণ একে পাঠকের মনে স্থায়ী ছাপ ফেলবে। ঐতিহাসিক এবং কাব্যিকতা মিলিয়ে এক চমৎকার উপন্যাস যা সময়ের সীমানা পেরিয়ে পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে নেয়। 📚

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top