দ্য এন্ড অব দ্য ডেভিল’স কিংডম ৪র্থ খণ্ড – ড. করম হোসাইন শাহরাহি – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

দ্য এন্ড অব দ্য ডেভিল’স কিংডম ৪র্থ খণ্ড – ড. করম হোসাইন শাহরাহি – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২৭৭

দ্য এন্ড অব দ্য ডেভিল’স কিংডম ৪র্থ খণ্ড – বইটির এক ঝলকঃ

পরের দিন বিষ্ণু সরদারের কাফেলা শিব মন্দির থেকে কুলসুম,
কামিনী, চন্দ্ররানী ও সকিনাকে নিয়ে রওনা হয়ে যায়। ইসমাইল, মোহন ও শেখরও তাদের সঙ্গে আছে। উভয় মন্দিরের পূজারি, তীর্থযাত্রী ও দেবদাসীরাও সাথে সাথে রয়েছে। কুলসুম বনের কাছে পৌঁছে সওয়ারির পর্দা তুলে বলে— ‘আমি সব ভাইবোন ও মুরব্বিদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞ। তোমাদের কাছ থেকে আমি চিরদিনের জন্য পৃথক হচ্ছি না। কিছুদিন পর আমি আবার আসবো। তোমাদের ভালোবাসা আমার স্মরণ থাকবে ।
মহাদেবের হাতে সাদারঙা বিশাল পতাকা। তিনি পদব্ৰজে চলছেন। ইসমাইল বললো- ‘মহাদেবজি! বনের সফর। আঁকাবাঁকা পথ কাঁটা আর পাথরে ভরে আছে। তুমি ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে যাও।’
মহাদেব নিজ ধ্যানে হাঁটতে হাঁটতে বলতে লাগলেন- ‘আমার ব্যাপারে কাউকে চিন্তা করতে হবে না। খুশিমনেই আমি পদব্ৰজে চলছি…।’
সকিনা যেই হাতির ওপর আরোহণ করেছে, তার সামনে রয়েছে কালো রঙের পতাকা। তবলা, সানাই বেজে চলেছে। বিষ্ণু বেশ চিত্তাকর্ষক ভঙ্গিতে ঘোড়ার পিঠে বসে আছেন। তাঁর এক হাতে ঘোড়ার দড়ি, অন্য হাতে সবুজ রঙের পতাকা। বাঁ বাহুতে লম্বা তরবারি। পিঠে রয়েছে তির-ধনুক । বাতাসের তালে তালে চলতে থাকা এই বহর দেখে পথচারীদের বিস্ময়ের অন্ত নেই। পঞ্চাশ-ষাট জন আরোহী হাতির ডানে-বাঁয়ে এবং পেছনে বর্শা সামলে হুঁশিয়ারে চলছে। ছোট্ট এই কাফেলা ঘন বন পেরিয়ে ওই নদীর তীরে এসে পৌঁছায় যা ক্যাম্পের কাছ দিয়ে বয়ে গেছে।
বিষ্ণু এখানে ঘোড়া থামিয়ে বললেন- ‘এই নদীর পানি খুব মিষ্টি এবং ঠান্ডা। আমাদের কোনো মেয়ে যদি পিপাসার্ত থাকে, তাহলে এখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করা যেতে পারে। আমরা আমাদের গন্তব্যের কাছাকাছি চলে এসেছি। তোমরা অবশ্যই তবলা আর সানাইয়ে সুরের ঝংকার শুনতে পাচ্ছো।’
সকিনা বললো- ‘ঠিক আছে, বাবা! আপনি চাইলে কিছুক্ষণ এখানে অবস্থান করতে পারি।’
বিষ্ণু ইসমাইলকে বললেন- ‘তুমি এখানে দাঁড়াও। আমি বাদশাকে অবহিত করতে যাচ্ছি। সকিনার কারণে পরিস্থিতি অনেক বেশি পরিবর্তন হয়ে গেছে। জানি না, বাদশা সকিনাকে কীভাবে অভ্যর্থনা জানান। আমি ভাবছি- হঠাৎ সকিনা ক্যাম্পে পৌঁছালে অনেকের মধ্যে পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব না-ও হতে পারে। কারো কারো তো প্রাণও চলে যেতে পারে!’
ইসমাইল উদ্বিগ্ন চোখে বিষ্ণুর দিকে তাকিয়ে বললো- ‘বিষ্ণু মহারাজ! আপনি কি কারবালার মজলুমদের মর্মবিদারী ইতিহাস সম্পর্কে অবগত আছেন?’
বিষ্ণু বললেন- ‘কারও মনে যখন মানবতার দুঃখ-দুর্দশার আলো উঁকি দেয়, তখন তার চিন্তা-চেতনায় সবার আগে কারবালার মজলুমদের মর্যাদা ও ত্যাগের অনুপম দীক্ষা আনমনেই সৃষ্টি হয়ে যায়। হোসাইন রা. তো দুঃখজগতের রাজকুমার!’
বিষ্ণুর ঘোড়ার জিনে পা ঠেকানো হয়। মুহূর্তেই সেটি ঘন বন আর উঁচু উঁচু গাছগাছালির মাঝে হারিয়ে যায়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। বৃক্ষ ও পাহাড়- পর্বতের ছায়া গভীর হতে থাকে। দ্রুত সান্ধ্য আঁধার নেমে আসে। মুসলিম সৈনিকেরা নদীর পানিতে অজু করে মাগরিবের নামাজ আদায় করে। সকিনা ও কুলসুমও নদীর তীরের সবুজ ঘাসে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন। সাধনা, চন্দ্ররানী ও কামিনী তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাদের দিকে চেয়ে আছে। হিন্দু সৈনিকেরা মশাল জ্বালাতে শুরু করে। ক’জন সিপাহি মোহন, শেখর ও মহাদেবের কাছে দাঁড়িয়ে আছে। দূর নদীর প্রান্ত থেকে কিছুক্ষণ পরপর বুনো পশুদের চিৎকারধ্বনি শোনা গেলে ঘোড়াগুলো বিকট শব্দে হেযা দিতে গলা দোলাতে থাকে। হাতিরাও নিজেদের অবস্থানের সংকেত জানায় মৃদু চিৎকার দিয়ে।
নামাজ পড়া শেষ হলে ইসমাইল নিকটে এসে বলে- ‘সকিনা বোন! এখানে বেশিক্ষণ অবস্থান করা সংগত হবে না। আশপাশে বড় ভয়ংকর ঘন বন। ওখানে অসংখ্য হিংস্র পশুর বসবাস।’
সবাই উঠে দাঁড়ালো। এরপর সিঁড়ির সাহায্যে হাতির ওপর সওয়ার হয়ে নিজ নিজ আসনে বসলো। সিপাহিরা নিজেদের ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরেছে। পরে হঠাৎ স্লোগান আর সানাইয়ের ঝংকার একত্রে শোনা যেতে
থাকে।
ইসমাইল ঘোড়ায় চড়ে বলতে থাকে- ‘মনে হচ্ছে বাদশার সওয়ারি আসছে।’
নদীর ধার ঘেঁষে ঘন বন-জঙ্গল অতিক্রম করে করে একটি মহাসড়ক তৈরি করা হয়েছে, যা একটি সাপের মতো এঁকেবেঁকে গিয়ে বাদশার ক্যাম্পে গিয়ে ঠেকেছে। কিছুক্ষণের মধ্যে অসংখ্য সওয়ারির অনেক বিশাল এক বহর পাহাড়ের চূড়ায় দেখা যেতে থাকে। অগণিত মশালের আলোয় অন্ধকার সুতীব্র আলোতে রূপান্তরিত হয়ে গেছে। সামনে সামনে চলছেন সাইয়েদ হায়দার ইমাম ও সাইয়েদ সাইফুদ্দিন। তাঁদের হাতে নিয়মমাফিক গোটা বাহিনীর পতাকা রয়েছে। তাঁদের পেছনে পেছনে বাদশা আলি কুলি খান এবং তাঁর পেছনে অন্য বড় বড় নেতারা আসছেন। সবিতা কুমারী, আজম খান, আদেল খান এবং উদ্যম খানও আসছেন তাঁদের সাথে। ভয়ংকর বন- বাদাড়ে অন্তরাত্মা কেঁপে কেঁপে উঠছিলো। ঘোড়ার হ্রেষায় গোটা ভূভাগে কম্পন সৃষ্টি হয়েছে। মহাদেব ধীরে ধীরে হাতিকে আগে বাড়াতে শুরু করেছেন। বিষ্ণু মহারাজের হাতে নিয়েছেন সবুজ রঙের পতাকা। তিনি বেশ জাঁকজমকের সাথে স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন। সকিনার হাতির পিঠে কালো রঙের পতাকা। সেটি বাতাসে উড়ছে। মহাদেব, ইসমাইল, শেখর, মোহন এবং অন্য সিপাহিরা ঘোড়া থেকে নেমে নিয়মমাফিক অভ্যর্থনা শ্লোগান উচ্চকিত করতে থাকে। বাদশার দৃষ্টি কালো রঙের শোক স্মৃতিবাহী পতাকায় স্থির ।
তিনি তাঁর মাথা থেকে পাগড়ি নামিয়ে বলেন- ‘আমি পরম সম্মানিত নিদর্শনের প্রতি মাথা নোয়াচ্ছি। এই শোকাবহ পতাকা কারবালার শহিদদের স্মৃতি বহন করে আছে। আমি শহিদদের বাদশার দরবারে শ্রদ্ধাবনত।’
সবাই বিবি সকিনার কান্নার ধ্বনি শুনতে পাচ্ছে। বাদশাসহ অন্য সকল নেতা সকিনার কাফেলাকে সাদরে বরণ করে নেন। এক বিচিত্র আবেগঘন পরিবেশ ছেয়ে যায় চারদিকে। এখানে এক অস্থায়ী ক্যাম্প নির্মাণ করা হয় । শিব দেবতার মন্দির থেকে বেরিয়ে হাকিম খাড়ির সীমান্তের দিকে তাকান । এরপর তিনি নাগ দেবতার মন্দির এবং তার আশপাশের পাহাড় ও বন- জঙ্গল পরিদর্শন করে ক্যাম্পের দিকে ফিরে আসেন। সময়টা তখন দুপুর। স্বামী দয়ানন্দ বেশভূষা পাল্টে ফেলেছে। বাদশা আলি কুলি খান তাঁর নেতাদের উদ্দেশ করে বলতে থাকেন- ‘শত্রুরা যদি মুখোমুখি লড়াই করতে না চায়, তাহলে আজ রাতে আমরা তাদের ওপর এক অতর্কিত আক্রমণ পরিচালনা করতে চাই। আমি আশা করি- আজ রাতের আক্রমণই হায়েনাদের জন্য যথেষ্ট।’
সুভাষ চন্দ্র হাত জোড় করে বললো- ‘এ লক্ষ্যে সব প্রস্তুত সম্পন্ন করা হয়েছে।’
হাতির আওয়াজ শোনা গেলে আলি কুলি খান বললেন- ‘মনে হয় খণ্ডরায়ের হাতি পৌঁছে গেছে। হাতিগুলো বনের ভেতরই রাখা গেলে ভালো হয়। এই প্রাণী বনেই খুশি থাকে।
খণ্ডরায় পঞ্চাশটি হাতি এবং পাঁচ হাজার সৈনিকের একটি বহর পাঠিয়েছে। পড়ন্ত বিকেলে পুব দিক হতে একজন আরোহীকে দেখা যায়। তার শরীরে চিতাবাঘের চামড়া। মাথায় লাল রঙের পট্টি। বাঁ হাতে লম্বা বর্ণা। বড়ই নির্ভীকচিত্তে সে ঘোড়া দৌড়িয়ে বাদশার বাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে প্রবেশ করে। প্রহরীরা তাকে দূর থেকেই চিনে নিয়েছিলো। সে সুন্দর। সুন্দর বাদশার অস্থায়ী তাঁবুর সামনে ঘোড়া থেকে নেমে প্রহরীর অনুমতি নিয়ে পর্দা উঠিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। তার শরীর ঘর্মাক্ত। চোখে উদ্বেগের ধোঁয়া ।
হাকিমের চরণ ছুঁয়ে সে হাত জোড় করে বলতে লাগলো- ‘আমি রিয়াসিংয়ের চেয়ে বড় রাক্ষস আর ভয়ংকর হায়েনা এই জগতে আর কাউকে দেখিনি। যে পথ সে অতিক্রম করে যায়, সেখানে বইতে থাকে রক্তনদী জায়গায় জায়গায় আগুন লাগিয়ে সে সবকিছু জ্বালিয়ে খাক করে দেয়। নির্মম ধ্বংসযজ্ঞে মেতে উঠেছে সে। অসংখ্য গোত্রের মেয়েদের বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
এ কথা শুনে বাদশা আলি কুলি খান বললেন- এ হায়েনাকে এসব নির্মম আচরণের হিসাব অবশ্যই দিতে হবে। আগে বলো- সে এখন কোথায়?’
সুন্দর বললো- ‘এখান থেকে প্রায় দশ মাইল দূরে পাহাড়ের মাঝখানে সুন্দর একটি গ্রাম আছে। সেই গ্রামে সে ক্যাম্প স্থাপন করেছে।’
বাদশা আলি কুলি খান তরবারির মুক্তিতে হাত মেরে বললেন- “রিয়াসিংকে বেশি সময় জুলুম-অত্যাচার ছড়াবার সুযোগ দেয়া যাবে না। আজ রাতেই আমি তার ওপর হামলার বিজলি চমকাবো। তোমরা সবাই রাতের বেলা অতর্কিত আক্রমণের জন্য পূর্ণোদ্যমে প্রস্তুতি নাও। আল্লাহর সাহায্য পেলে আমরা অসহায় বনি আদমকে বাঁচানোর সুযোগ পাবো।’
মুসলিম বাহিনীতে অংশগ্রহণকারী বিশাল হিন্দু সেনারা মনে করে— আসলে এটা এক স্বতঃসিদ্ধ বিষয় যে, ধর্ম মানুষের আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে। মানুষকে জিঘাংসার হাত থেকে রক্ষা করে। একমাত্র ধর্মই পারে মানুষকে অমানুষ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে। পৃথিবীকে আজো বাসযোগ্য করে রাখার ক্ষেত্রে ধর্ম প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে। কোনো ধর্মই গায়ের জোরে বা দাঙ্গা-হাঙ্গামার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করেনি এবং কোনো ধর্মপ্রচারকই একে সমর্থন করেননি, বরং তাঁরাই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বারবার। বিশ্বে নানা সময়ে ঘটে যাওয়া হিন্দুদের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পূর্বাপর পর্যালোচনা করলে দেখা যায়; যদিও এই দাঙ্গাগুলি ধর্মের দোহাই দিয়ে ঘটানো হয়েছে এবং একে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার রূপদান করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আসল কলকাঠি যাঁরা নাড়ছেন, তাঁরা এমন কোনো ধর্মভীরু নন। এমনকি অনেকেরই নিজ ধর্মাচারের প্রতি রয়েছে চরম উদাসীনতা । অথচ এই সব দাঙ্গায় তাঁরাই থাকেন নেতৃত্বে। রিয়াসিং তাঁদেরই একজন। এই দাঙ্গাসমূহ যে কোনো ধর্মীয় আনুগত্যের কারণে নয়, তা রিয়াসিংয়ের হিংস্রতা দেখে নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। এটাকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা না বলে বলা যেতে পারে আধিপত্যবাদের দাঙ্গা। ধর্মকে আশ্রয় করে আধিপত্য কায়েম করাই এসব দাঙ্গার মূল লক্ষ্য। সমাধান মিলবে তখনই, যখন আমরা প্রকৃতপক্ষেই চাইবো সাম্প্রদায়িকতার আড়ালে আধিপত্যবাদী, লুণ্ঠনকারীদের দমন করতে। আর যদি একে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে সযত্নে রেখে দিই, তা হয়তো একদিন এ দেশটিকেই নরককুণ্ড বানিয়ে ছাড়বে। যার হাত থেকে কারোই রেহাই মিলবে না।
যা-ই হোক, রাতের আক্রমণের প্রস্তুতি চলছে। সন্ধ্যার অন্ধকার ছড়িয়ে যাবার পূর্বেই বাদশা প্রায় বিশ হাজার লড়াকু জানবাজ অশ্বারোহী সঙ্গে নিয়ে নতুন গন্তব্যের দিকে যাত্রা শুরু করেন। এই গাজি এই রহস্যময় সৈনিক অত্যন্ত সন্তর্পণে পূর্ব দিকের বন-জঙ্গলের মাঝে হারিয়ে যান।

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top