স্পেনের রূপশী কন্যা ১ম খণ্ড – এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

স্পেনের রূপশী কন্যা ১ম খণ্ড – এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ শহীদুল ইসলাম

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১৬৪

স্পেনের রূপশী কন্যা ১ম খণ্ড – বইটির এক ঝলকঃ

যারয়াব এমনিতেই আকর্ষণীয় চেহারার অধিকারী ছিল। তদুপরি সে নিজেকে আকর্ষণীয় করে রাখার কৌশল খুব ভাল জানতো। সুলতানাকে দেখলে তার মধ্যে মাদকতা এসে যেতো। মাঝে মধ্যেই সে সুলতানার সাথে মিলিত হওয়ার জন্যে তার জায়গীর মহলে যেতো। প্রথম দিকে যারয়াবকে লুকিয়ে চাপিয়ে নিয়ে যেতো সুলতানা। কিন্তু কিছুদিন পর নিজের একান্ত সাথী হিসেবে আব্দুর রহমানের অনুমতি নিয়েই সুলতানা যারয়াবকে সাথে নিয়ে যেতে শুরু করল। সুলতানা নিজেও আব্দুর রহমানকে এই বলে জায়গীর বাড়িতে যেতো যে, শাহী মহলের চারদেয়ালের ভিতরে থেকে আমার মন অস্বস্তি বোধ করে; বাড়িতে গিয়ে কিছু খোলা জায়গায় বেরিয়ে আসি, তাহলে শরীর ও মনটা একটু চাঙ্গা হবে। আব্দুর রহমানের মধ্যে সুলতানাকে বারণ করার ক্ষমতা ছিল না ।
আজো যারয়াবকে নিয়ে জায়গীর বাড়িতে এলো সুলতানা। চাঁদনী রাতের জ্যোৎস্নার আলোয় সদ্য ফোটা ফুলের মৌ মৌ গন্ধের মধ্যে নরম মখমলের মতো গালিচা সদৃশ ঘাসের উপরে পাশাপাশি বসল যারয়াব ও সুলতানা। ছিমছাম পরিবেশ। নীরব নিস্তব্ধ পরিবেশে যারয়াব তার বেহালায় সুর তুলল। বেহালার চারটি তারের সাথে আরো একটি যুক্ত করে যারয়াব তার শিল্প নৈপুণ্যের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করেছিল। যারয়াব এর এই বিশেষ বেহালার সুর এমনই আকর্ষণীয় ছিল যে, লোকেরা যারয়াব এর আবিষ্কৃত বেহালাকেই যারয়াব নাম দিয়েছিল।
তারের মূর্ছনায় নাগিনীদের মাতাল করার কৌশল দারুনভাবে রপ্ত করেছিল যারয়াব। তার আঙুল বেহালার তারে আঁচড় কাটছিল আর সুলতানা অনুভব করছিল সঙ্গীতের মূর্ছনা তার অস্তিত্বকে বিদ্ধ করে স্বপ্নলোকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সুলতানা নিজের মধ্যে এমন এক ধরনের উত্তেজনা অনুভব করছিল যে, বেহালার অক্টোপাস থেকে সে মুক্ত হয়ে গভীর সুখে হারিয়ে যেতে চায়।
“তুমি আমার পাশে থাকলে আমি নিজের অস্তিত্বের কথা ভুলে যাই সুলতানা! আমি তোমার অস্তিত্বে হারিয়ে যাই।” বলল যারয়াব। সে হাত বাড়িয়ে সুলতানার বাহু ধরে নিজের দিকে টানল। সুলতানা কাছে আসার পরিবর্তে আরো দূরে সরে গেল । যারয়াব অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল সুলতানার সরে যাওয়ায়। “তুমি জানো না, আমি কতো তৃষ্ণার্ত! দূরে সরে যেয়ো না, কাছে এসো।” বলল যারয়াব ।
“আল্লাহ্ তোমাকে জ্ঞান ও বুদ্ধি দিয়ে ভরে দিয়েছে যারয়াব। কিন্তু প্রেমের ভেদ তুমি পাওনি যারয়াব! এই বিরহের মধ্যে কি তুমি সুখ অনুভব করো না?” যারয়াব এর উদ্দেশে বলল সুলতানা ।
“তুমি কি বিরহের সুখ সম্পর্কে জ্ঞাত?” বলল যারয়াব।
“তা যাই হোক, তুমি হয়ত বিরহের সুখ সম্পর্কে জ্ঞাত নও।”
“বিরহ বেদনায় যে সুখ সেই সুখ মিলনের মধ্যে নেই।” বলল সুলতানা । তুমি জান যারয়াব! স্পেনের বাদশা এক পলকের জন্যেও আমার বিরহ সহ্য করতে পারে না। সে আমাকে নয়, ভালবাসে আমার শরীরকে। আমার দৈহিক সৌন্দর্য যতদিন অটুট থাকবে ততোদিন তার ভালোবাসাও অটুট থাকবে। যেদিন তার মন আমার প্রতি বিতৃষ্ণ হয়ে যাবে, সেদিন আমি হারেমের অন্য দশটি রক্ষিতার মতোই ফেলনা হয়ে যাবো। এজন্য আমি কখনও চাই না তুমি আমার শরীরের স্বাদ অনুভব কর। তাতে এক সময় তুমিও বিতৃষ্ণ হয়ে যাবে। আমি একটি রহস্য হয়ে থাকতে চাই যারয়াব! এই ভেদ যদি তোমার কাছে প্রকাশ পেয়ে যায় তবে প্রেমের মজা নিঃশেষ হয়ে যাবে। তুমি যদি আমাকে স্ফূর্তির উপাদানে পরিণত কর, তাহলে আমিও তোমাকে আমার দেহের একজন খদ্দের মনে করতে থাকব। আমাকে আমার তপস্যা করতে দাও।”
“সুলতানার কথায় যারয়াব হাত গুটিয়ে নিল। অবশ্য সুলতানা এ ধরনের কথাবার্তা এর আগেও যারয়াবের সাথে বলেছে। সে জেনে শুনেই যারয়াবের মধ্যে দৈহিক তৃষ্ণা উস্কে দিয়েছিল। এই তৃষ্ণা সে আব্দুর রহমানের মধ্যেও উস্কে দিয়েছিল। আব্দুর রহমান যে তিন বাদীর প্রেমে মগ্ন ছিল, কৌশলে সুলতানা তাদেরকেই ব্যবহারে উজ্জীবিত করে নিজেকে দূরত্বে রাখতো ।
অশ্বখুরের আওয়াজ শোনা গেল ।
“হয়ত ইলুগাইস এসেছে।” বলল যারয়াব।
“হ্যাঁ, সেই হবে, বলল সুলতানা। তুমি এখানে বস, আমি ওকে নিয়ে আসছি।”
সুলতানা চলে গেল। সুলতানা ইলুগাইসের ঘোড়া তার এক কর্মচারীর হাতে দিয়ে বেধে রাখতে বলল। ইলুগাইসকে সুলতানা একটু আড়ালে নিয়ে গিয়ে বলল, যারয়াব এসেছে। “আমি একটি মুশকিলে পড়ে গেলাম ইলুগাইস! তুমি তো জান যে, যারয়াব আমার প্রেমে পড়ে গেছে। আমি তাকে এই ধারণা দিয়ে রেখেছি যে, আমি তার চেয়েও বেশী তার প্রেমের পাগল। কিন্তু একটি ব্যাপার দেখো ইলুগাইস! আমি তোমার কথা মতো ওর মরিচীকা হয়ে রয়েছি, আর সে আমার প্রেমে দিনদিন উতলা হয়ে উঠছে। কিন্তু এই বাস্তবতাকেও আমি বেশী
দিন চেপে রাখতে পারব না যে, আমার হৃদয়েও ওর প্রতি অনুরাগ জন্ম নিচ্ছে। আমার মনে হয়, সে নয় আমিই ওর প্রতি বেশী টান অনুভব করছি। আসলে ওর মধ্যে দারুন এক সম্মোহনী ক্ষমতা রয়েছে, যার কারণে আব্দুর রহমানের মত মেধাবী জ্ঞানী ও বাহাদুরকেও সে অন্ধভক্ত বানিয়ে রেখেছে। শুধু তাই নয়, সে গোটা একটি জাতির কৃষ্টি কালচারকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে।”
আসলে ইলুগাইস কোন সাধারণ লোক ছিল না। সে ছিল খৃস্টীয় ও ইসলামী জ্ঞানের পরিপূর্ণ পণ্ডিত ব্যক্তি। সে সঙ্গীতজ্ঞ ছিল না বটে কিন্তু কথার যাদুকরী গুণ তার মধ্যেও ছিল। সে অতি সূক্ষ্মভাবে স্পেনের খৃস্টান অধিবাসীদের বিদ্রোহের জন্যে সংগঠিত করতে সফল হয়েছিল, যার কারণে স্পেনের খৃস্টান অধিবাসীরা সশস্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণার জন্যে তৈরী হয়ে গিয়েছিল।
“ভালবাসা কোন অপরাধ নয় সুলতানা! বলল ইলুগাইস। যেসব লোক তাদের অভীষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রাখে এবং তাদের আত্মমর্যাদা সম্পর্কে সচেতন থাকে তারা কখনও প্রেম ও ভালোবাসার জন্যে ভবিষ্যত বরবাদ করে না । আমরা তোমাকে সম্রাজ্ঞী বানিয়ে রাখতে চাই সুলতানা! তোমার মধ্যে সম্রাজ্ঞী হওয়ার মত যোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্যে তোমাকে অভিনয় করতে হবে। এই অভিনয়ের অংশ হিসেবে যারয়াবের সাথেও প্রেমের অভিনয় করে যেতে হবে। তাকে তোমার প্রেমের শিকলে বেঁধে রাখতে হবে। তাকে কখনও সজাগ হতে দিও না। প্রেমের মধ্যেই তাকে ডুবিয়ে রাখো। আমি জানতে পেরেছি ইতোমধ্যে যারয়াব আমাদের অনেক কাজ করেছে। আমি কয়েকজন আরবকে দেখেছি, তারা আরব মুসলমান হলেও চালচলন ও পোষাক পরিচ্ছদে আমাদের মতোই দৃশ্যমান হয় ।”
“এ ব্যাপারটি তুমি কমই দেখেছো। বলল সুলতানা। তোমার চেয়ে আমি যারয়াব এর কার্যক্রমের সফলতা আরো বেশী দেখেছি।”
“চল, যারয়াব আমাদের জন্যে অপেক্ষা করছে। তাকে কোন অবস্থাতেই সংশয়ে ফেলা উচিত নয়। আমি তোমাকে আবারো বলছি সুলতানা! তুমি নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখো। যারয়াবকে তোমার ভাললাগা উচিত, কারণ তার মধ্যে আকর্ষণ রয়েছে কিন্তু তাকে কখনও তৃপ্ত হতে দিও না, তৃষ্ণার্ত রাখবে।” কথা বলতে বলতে তারা যারয়াব যেখানে বসে ছিল সেখানে চলে এলো।
“আমার কাছে এতো সময় নেই যে, দীর্ঘ কথা বলব এবং অনেকক্ষণ ধরে তোমাদের কথা শুনব।” যারয়াবের উদ্দেশে বলল ইলুগাইস। আমি জানতে পেরেছি, যে দায়িত্ব আমরা তোমাদের দিয়েছি সফলতার সাথে তোমরা সেই কাজ করে যাচ্ছো । তোমরা আমাদের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরেছো। আসলে এ কাজ শুধু আমাদের নয় তোমাদেরও। মনে রেখো, আমি কখনও ক্ষমতার আশা করি না। আমি তোমাদের একথাও কখনও বলব না যে, তোমরা তোমাদের ধর্ম ত্যাগ করে খৃস্টান হয়ে যাও। আমার কাছে ধর্ম অর্থহীন। আমি মানবতার মুক্তি চাই। তোমরা উভয়েই তো একেকজন কৃতি ব্যক্তিত্ব। কিন্তু সুলতানা যদি সুন্দরী না হতো, আর তুমি যদি সঙ্গীতে অস্বাভাবিক পাণ্ডিত্যের অধিকারী না হতে তাহলে কি বাদশার দরবারে যে কদর তোমরা পাচ্ছো, এই কদর ও সম্মানের অধিকারী কি তোমরা হতে পারতে? তোমরা কি আব্দুর রহমানকে এমন বিশাল একটি দেশের শাসক হওয়ার মতো যোগ্য ব্যক্তি মনে কর? আসলে শাসন করার যোগ্যতা আছে তোমাদের, তোমাদের সেই পদ ও অধিকার অর্জন করতে হবে।”
“আব্দুর রহমান সম্পর্কে তুমি যে ধারণার কথা বলেছো, তা ভুল।” বলল যারয়াব। তার যোগ্যতাকে আশেপাশের সব খৃস্টান শাসকরা সম্মান করে। তোমার কি জানা নেই, তার পিতা আল হাকাম যখন স্পেনের অধিপতি ছিল তখন শাসনযন্ত্রের পুরো কাজকর্ম আব্দুর রহমানের হাতে ন্যস্ত ছিল। সে সময় যদি আব্দুর রহমান শাসন ব্যবস্থা নিজের হাতে তুলে না নিতো, তাহলে তো আল হাকাম স্পেনকে ডুবিয়েই দিয়েছিল প্রায়। আব্দুর রহমানকে নিষ্ক্রীয় রাখার ব্যাপারে আমার ও সুলতানার সফলতাকে তোমাদের গণ্য করতে হবে। কারণ তার যোগ্যতা ও সক্ষমতাকে আমরা চাপা দিয়ে রেখেছি। এই ব্যক্তির মধ্যে যদি নারী লোভ, নৃত্য সঙ্গীতের আসক্তি না থাকতো, তাহলে স্পেনের মাটিতে কোন খৃষ্টানের পক্ষে বিদ্রোহের কথা ভাবারও সাহস থাকতো না। এখনও যদি তাকে কেউ পূর্বের চেনতায় ফিরিয়ে নেয় তবে এই অঞ্চলের চেহারা সম্পূর্ণ বদলে যাবে। কিন্তু এ ব্যাপারে আমাকে সফল বলতে পারো যে, আমি এই অঞ্চলের কৃষ্টি কালচার বদলে দিয়েছি। আমি শাহী খান্দান ও আমীর শ্রেণীর মধ্যে ইউরোপীয় কালচার চালু করে দিয়েছি। তুমি ধর্মের কথা বলেছো, ধর্মের প্রতি তোমার যেমন কোন আগ্রহ নেই, তদ্রূপ আমারও ধর্মের প্রতি কোন আকর্ষণ নেই, ধর্মকে আমি অর্থহীন বিষয় মনে করি।” যারয়াব আসলেই ছিল ধর্মের প্রতি বিরূপ। কিন্তু ইলুগাইস আগাগোড়া একজন কট্টরপন্থি খৃস্টান । যারয়াব মেধাবী ও পণ্ডিত ব্যক্তি হলেও ধর্মের ব্যাপারে ইলুগাইসের লুকোচুরি সে অনুধাবন করতে পারেনি। আসলে কোন বিশেষ জিনিসের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি থাকলে মানুষের অনুভূতি দুর্বল হয়ে পড়ে। যারয়াব আব্দুর রহমানের অতি নারীলোভ ও দাসীদের প্রতি আসক্তির বদনাম করলেও নিজের অজান্তেই সে সুলতানার প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আসক্ত হয়ে পড়েছিল এবং এই আসক্তির কারণেই সে নিজ দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে চক্রান্তের ক্রিড়নক সেজে শত্রুদের ঘুটি হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করল।
সেই রাতের সিংহভাগ তাদের মধ্যে মত বিনিময়ে কেটে গেল। সেই একই চক্রান্ত ও পরিকল্পনার ছকে চলল কথাবার্তা। ইলুগাইস ছিল খুবই সতর্ক ও সচেতন লোক। সে অনেক কথা বললেও তার আসল উদ্দেশ্য ও গোপন রহস্য সুলতানা ও যারয়াবের কাছে ব্যক্ত করল না ।
সেনাপতি উবায়দুল্লাহ ফাম্পলোনায় ফরাসী সৈন্যদের পরাজিত করে স্পেনের সীমান্তবাসীদের উপর অত্যাচারের উপযুক্ত শাস্তি দিয়ে ফিরে আসার সময় আশেপাশের এলাকাগুলোরও খোঁজ খবর নিয়ে আসতে শুরু করলেন। এ কাজের জন্য তিনি একটি বিশেষ সেনা ইউনিট গঠন করেছিলেন; যারা দু’পাশের বসতিগুলোয় গিয়ে সেখানকার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট দিতো
একটি ময়দানে তাঁবু ফেললেন উবায়দুল্লাহ্। তাঁবুর দু’পাশে পাহাড়ী এলাকা এবং কিছুটা জঙ্গলাকীর্ণ জায়গাটি। সন্ধ্যায় আঁধার নেমে এসেছে চতুর্দিকে। ঠিক এমন সময় দু’জন অশ্বারোহী এল। তাদের দেখে সাধারণ পথিকের মতোই মনে হলো। চেহারায় দীর্ঘ সফরের ছাপ। কাপড় ও শরীরে ধুলোর আস্তরণ। তারা এসে বলল, “আমরা খৃস্টান ছিলাম, এখন ইসলাম গ্রহণ করেছি। তারা এও বলল, সেনাপ্রধানকে একান্তে কয়েকটি কথা বলার জন্য এসেছি। কথাগুলো এমন যে, তা শুধু সেনা প্রধানকেই বলা যাবে আর কাউকে নয়। তাদের দেহ তল্লাশী করে দেখা গেল সাথে কোন হাতিয়ার নেই। তখন উভয়কে সেনা প্রধানের তাঁবুতে নিয়ে গেল প্রহরীরা।
“সম্মানিত সেনাপতি! হতে পারে আমরা যা দেখেছি, তা সঠিক নয় কিন্তু আমরা দু’চেখে যা দেখেছি তাই আপনাকে বলা কর্তব্য মনে করেই এখানে এসেছি। আমরা ইসলাম গ্রহণ করেছি, ইসলামের বস্তুনিষ্ঠতা ও মহিমান্বিত মহত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে। খৃস্টবাদের চেয়ে ইসলামের মধ্যে আকৃষ্ট হওয়ার বিশেষ গুণ দেখেই তো আমরা ইসলামে দীক্ষা নিয়েছি। *

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top