শেষ আঘাত ৪র্থ খণ্ড – এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ মুজাহিদ হুসাইন ইয়াসীন
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২০৯
শেষ আঘাত ৪র্থ খণ্ড – বইটির এক ঝলকঃ
‘এটা দোষনীয় কিছু নয়। আমরা এ প্রসঙ্গে কথা উঠিয়েছি এজন্য যে, তুমি একজন খ্রিস্টান এবং এপর্যন্ত অনেক খ্রিস্টান মেয়ে মুসলমানদের কব্জায় চলে গেছে। ….
‘তুমি কোন সালারের কাছে কোন খ্রিস্টান মেয়েকে এজন্য দেখোনি যে, ওরা ক্রিস্টির মতো মেয়েদেরকে ধরে মদীনায় পাঠিয়ে দেয়। তোমরা যারা মিসরী বেদুইন আছো তারা তো অনেক দিন ধরে নিজেদের ঘরে যাও না। যখন ঘরে যাবে তখন জানতে পারবে তোমাদের কতগুলো মেয়ে মদীনায় পৌঁছে গেছে।
ইস্তিফাত কি বলবে বুঝে পেলো না। মুসলমানদের ব্যাপারে কখনো এ ধরনের কথা শোনেনি। কল্পনাও করেনি।
মেযবান বৃদ্ধ বললো,
“হ্যাঁ, আমি এটা অবশ্যই স্বীকার করি, মুসলমানরা অন্যান্য বিজয় জাতির মতো নয়। অন্যরা তো কোন শহর জয় করলেই সেখানকার মেয়েদের ওপর হামলে পড়ে। তাদের ইজ্জত আবরু লুটে নেয়।….
“কিন্তু মুসলমানরা কখনো এমন করেনি। ওরা বিজিতদের ইজ্জত আবরু জান মালের হেফাজত করে। নিজেদের প্রাণ দিয়ে হলেও তাদেরকে রক্ষা করে। কিন্তু পর্দার আড়ালে সুন্দরী যুবতী মেয়েদেরকে লুকিয়ে ছাপিয়ে মদীনায় পাঠিয়ে দেয় । পাদ্রী গলা খাকারি দিয়ে বললো,
“মুসলমানরা প্রথমে নিজেদের ভালো আচরণ ও উত্তম চরিত্র দিয়ে মানুষকে প্রভাবান্বিত করে। এভাবে তাদের হৃদয় মন তারা দখল করে নেয়। দখল-কৰ্ম শেষ হলে বিজিত এলাকার লোকদেরকে গোলাম বানিয়ে নেয়।’…
‘আমি শাম দেশে দেখেছি, সেখানকার সেসব খ্রিস্টানরা এখন হেরাকলের কথা স্মরণ করে চোখের জল ফেলে যারা মুসলমানদেরকে সাহায্য করেছিলো। ওখানে গিয়ে দেখো, মুসলমানরা ওদের অবস্থা কি করেছে?’
ইস্তিফাত হতভম্ভ চোখে পাদ্রী ও তার মেযবান বৃদ্ধের দিকে ঘোরলাগা মানুষের মতো তাকিয়ে রইলো।
তার কাছে মনে হলো, সে এতো দিন মুসলমানদের একটা রূপ দেখেছে মাত্র। আর এ রূপটাকে সে তাদের আসল রূপ বলে বিশ্বাস করেছে। তাদের অন্যকোন রূপ থাকতে পারে এটা কখনো কল্পনা করেনি।
সে চিন্তা করে দেখলো, মুসলমানরা এখনো তার সামনে আপত্তিজনক কোন আচরণ করেনি। ওদেরকে দু’রকম চরিত্রের মনে হয়নি কখনো। তার চোখে মুখে দ্বিধা-দ্বন্দ আর হতভ ভাবের এক অদ্ভুত অভিব্যক্তি খেলা করতে লাগলো। মুসলমানদের চরিত্রের বিরুদ্ধে কোন কথা মানতে মন সায় দিচ্ছে না। কিন্তু তার ধর্মের পাদ্রী ও মেযবান বৃদ্ধকেও সে মিথ্যাবাদী বলতে পারছে না।
তাদের দু’জনের কথা বলার ধরণ এরকম যাকে সহসাই মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেয়া যায় না। তার মনের বিমূঢ় অবস্থার কথা দু’জনে ভালোই টের পেলো । এই সুযোগে তারা মুজাহিদীনে ইসলামের বিরুদ্ধে বিষ ঢালতে শুরু করলো।
ইস্তিফাত অবশেষে এমনভাবে কথা বললো যেন সে কথা বলতে চাচ্ছে না। কিন্তু সৌজন্যের খাতিরে বললো,
‘আচ্ছা আমাকে বলুন আমি এখন কি করতে পারি? আমি কি মুসলমানদের সঙ্গ ছেড়ে দেবো?”
পাদ্রী বিজ্ঞের মতো করে উস্কে দেয়া কণ্ঠে বললো,
“তুমি ওদের সঙ্গ ছেড়ে দিলেই তেমন কিছু বদলে যাবে না। তোমার মনে যদি খ্রিস্টবাদ থাকে এবং এর প্রতি তোমার সত্যিকার ভালোবাসা থাকে তাহলে তুমি অনেক কিছু করতে পারো। এমন কিছু করতে পারো যে, তোমার কীর্তি তোমাকে চির স্মরণীয় করে রাখবে।….
‘মুসলমানরা যদি ইস্কান্দারিয়া জয় করে ফেলে এবং পুরো মিসর তাদের হাতে চলে আসে তাহলে এদেশ শামের পরিণতি ভোগ করবে। কেউ তার ঘরে দু’দণ্ড থাকতে পারবে না। সব পাদ্রীকে হত্যা করা হবে ।…..
‘তোমার পুরো গোত্রকে মুসলমানদের সেনাদল থেকে বেরিয়ে যেতে বলো। তবে শুধু এটাই যথেষ্ঠ নয়। তোমর সঙ্গে তো অন্যান্য গোত্র সরদাররাও আছে। ওদেরকে এসব কথা শোনাও ।’…
‘ওরা যাতে নিজেদের গোত্রের লোকদেরকে নিজেদের এলাকায় ফিরিয়ে নিয়ে যায়। ওদেরকে শুধু বলো তোমাদের জন্য একমাত্র রোমীয়রাই সবচেয়ে ভালো বন্ধু। রোমীয়রা কখনো তোমাদের ক্ষতি করবে না ।
এবার বৃদ্ধ মেযাবন তার অস্ত্র ব্যবহার করলো,
“আমি শুধু এতোটুকই যথেষ্ঠ মনে করি না। এরা মুসলমানদের সঙ্গেই থাকবে। ওদের পক্ষ হয়ে লড়বে। কিন্তু আসল লড়াইয়ের সময় তাদেরকে ধোঁকা দিয়ে তাদের চরম ক্ষতির বন্দোবস্ত করে সটকে পড়বে।’
ইস্তিফাত নিরাবেগ কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
‘এটা কিভাবে সম্ভব?’ মেঘবান বৃদ্ধ বললো,
‘তোমাদের গোত্র কি করবে সেটা আমি বলে দিচ্ছি। মুসলমানরা কোন শহর অবরোধ করলে বা রোমীয়দের সাথে খোলা ময়দানে যুদ্ধে নামলে তোমরা বেদুইনরা মুসলমানদের পিঠে ছুরি মারবে। তাদের কাউকে জীবিত ছাড়বে না । ….
“আমার এই কৌশল ভালো লাগলে কাল থেকেই গোত্র সরদারদেরকে তৈরি করতে শুরু করো। এভাবে কাজ করলে দেখবে, মুসলমানরা কারয়ুন শহর জয় না করে শহর প্রাচীরের বাইরে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।…..
‘অথবা এরা এদের মেয়েদেরকে তাদের শিবিরে ফেলে পালিয়ে যাবে। শুধু তো তোমাদের বেদুইনরাই নও অসংখ্য কিবতী খ্রিস্টানও তো মুসলমানদেরকে সাহায্য করছে। এরা অনেক বড় পাপ করছে। খোদা ওদেরকে ক্ষমা করবেন না। কিবতীদের ভয়ংকর শাস্তি অপেক্ষা করছে।’
ইস্তিফাত বললো,
‘জনাব, আপনি সম্ভবত ভুলে গেছেন এখানে কিবতীরা কেনো মুসলমানদেরকে সাহায্য করতে এসেছে। আপনারা কি ওদের সেই নির্বিচারে হত্যার কথা ভুলে গেছেন যেটা হেরাকল ও আসকাফে আযম কীরাস নিজ হাতে চালিয়েছিলেন?’ …
‘আসল আসকাফে আযম তো মহামান্য বিনয়ামীন। আজ পর্যন্ত তিনি দেশান্ত রিনের জীবন যাপন করছেন। আর আমাদের বেদুইনদেরকে রোমীয়রা নিজেদের কেনা গোলামের মতো মনে করে। আমাদেরকেও রোমীয়রা কম যন্ত্রণা দেয়নি।’ পাদ্রী ইস্তিফাতের কাঁধে আলতো করে হাত রেখে বললো,
‘মিসরে এখন বিশাল বিপ্লব ঘটে গেছে। শাহে হেরাকল মারা গেছেন। মারা গেছেন তার ছেলেও। খোদ কীরাস সেনাসাহায্য নিয়ে এসেছেন। কীরাস বিশাল এক জনমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি তাতে কিবর্তী খ্রিস্টানদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।’…
‘সেখানে তিনি আরো ঘোষণা দিয়েছেন, এখন মিসরে একমাত্র খ্রিস্টবাদের রাজত্ব চলবে। ব্যনতিয়ার শাহী খান্দানের কোন হুকুম চলবে না। আমাদের পাদ্রীদের একটা দল বযনতিয়া থেকে এসেছেন।’
“তারা এখানকার খ্রিস্টানদেরকে এ কথাই বলছে যে, এখন হেরাকলের ফেরাউনি যুগ খতম হয়ে গেছে। খতম হয়ে গেছে তার বানানো খ্রিস্টবাদ।’
ইস্তিফাতের চোখে মুখে এখন দ্বিধার ভাব আরো প্রকট হয়ে উঠেছে। ওর মনে যেন আর কোন প্রশ্ন বা সন্দেহ অবশিষ্ট নেই। কথা বলার মাঝখানে সে কয়েকবারই জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়েছে। একবারও ক্রিস্টিকে দেখতে পেলো না ।
হঠাৎ একবার ক্রিস্টিকে দেখতে পেলো ইস্তিফাত। এবার তার ঠোঁটের কোনে হাসির বিস্তৃতি আরো বেশি দেখতে পেলো। এই হাসি যেন ইস্তিফাতকে কোন বার্তা দিচ্ছে । সে তো একজন বেদুইন সরদার মাত্র। তার তো কোন ধরনের বাহ্যিক বিদ্যা বুদ্ধি নেই। পরের বার যখন ক্রিষ্টিকে দেখতে পেলো তখন তার সব মনোযোগ আগ্রহ সেদিকেই চলে গেলো।
খাবার পর্ব শেষ। কাজের লোকেরা টেবিল পরিষ্কার করে চলে গেলো। বাইরে রাতের অন্ধকার আরো গাঢ় হয়ে গেছে।
মেযবান বৃদ্ধ বললো,
তুমি যদি রাতটা এখানে থেকে যাও তাহলে আমার মনের আরেকটা খাহেশ পূর্ণ হয়। আমার পরিবারের সবাই খুব খুশি হবে।
ইস্তিফাতের তো এখন মুসলিম সেনাদলে কোন কাজ নেই। সে তো রসদ সংগ্রহ করে পাঠিয়ে দিয়েছে। রাতে এখানে সে থাকতেই পারে। ক্রিষ্টিকে যদি আর একটিবার দেখতে পায় এটাও কম পাওয়া হবে না।
ইস্তিফাত হালকা গলায় বললো,
‘ঠিক আছে।’
দুই বৃদ্ধ ইস্তিফাতকে এমন খাতির যত্ন শুরু করলো যেন সে শাহী খান্দানের বড় কোন সদস্য। তাকে সেই বাড়ির কোন কামরায় রাখলো না। ভিন্ন আরেকটি বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করলো ।
সে বাড়িটি ছোট হলেও দারুন সাজানো গোছানো। চার দিক ঝক ঝক তক তক করছে। এটা গ্রীষ্মকাল। গরম খুব বেশি। বাইরের খোলা উঠোন অনেকটা বাগানের মতো গাছ গাছালির সারি দিয়ে সাজানো। ওখানে একটি খাট বিছানো হলো। তবে যেখানে খাট বিছানো হলো সে জায়গাটাও ত্রিপল দিয়ে কামরার আদল দেয়া হয়েছে।
দুই বৃদ্ধ তাকে সে বাড়িতে রেখে শুভ রাত্রি বলে বিদায় নিলো। একটু পর মধ্য বয়স্কা এক পরিচারিকা এলো ইস্তিফাতের কাছে। পরিচারিকা খুব কোমল গলায় বললো,
‘হুজুর আপনার যদি কোন কিছুর প্রয়োজন হয় আমাকে বলবেন।’
ইস্তিফাতও পরিচারিকার সাথে অমায়িক ভাষায় কথা বললো। পরিচারিকা এমনভাব করলো যেন সে ইস্তিফাতের দুটো কাজ করে দিতে পারলে বর্তে যাবে। মহিলা বেশ চালাকির পরিচয় দিলো।
পরিচারিকা হাত কচলিয়ে বললো,
‘হুজুর, কিছু মনে না করলে একটা কথা বলবো?’ ইস্তিফাত তার উদার মনের পরিচয় দিয়ে বললো,
‘তোমার মনে যা আসে তাই বলো। খারাপ কথা হলেও কিছু মনে করবো না । পরিচারিকা অনেকটা নিচু গলায় বললো,
‘আপনি হয়তো আমাদের কর্তার সুন্দরি মেয়েটাকে এক ঝলক দেখেছেন। আপনাদেরকে শরাব পরিবেশন করতে গিয়েছিলো। ও কিন্তু সেই তখন থেকে অস্থির হয়ে আছে। এক দও আপনার কাছে বসে দুটো কথা বলার জন্য অধীর হয়ে আছে। ওকে কি আপনি সে অনুমতি দেবেন?’
ইস্তিফাত ব্যস্তসমস্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলো, ‘ও কি এখানেই আসতে চায়?’
পরিচারিকা মাথা নেড়ে বললো,
‘না হুজুর। সে একান্তে আপনার সঙ্গে কথা বলতে চায়। যখন সবাই শুয়ে পড়বে তখন সে আপনার কাছে আসবে । … আপনাকে আমি একটা কথা বলি। ক্রিস্টি আপনার জন্য দিওয়ানা হয়ে গেছে। ওকে আসার অনুমতি দিয়ে দিন। না হয় নিস্পাপ মেয়েটা খুব দুঃখ পাবে।’
ইস্তিফাত কিছুক্ষণ কি যেন চিন্তা করলো।
ইস্তিফাত তারপর বিজ্ঞের মতো করে বললো,
‘আমিও জানি ওর নাম ক্রিস্টি। তোমাদের কর্তার কি আরো কোন মেয়ে আছে?’ পরিচারিকা মাথা নেড়ে বললো,
‘আরে আপনি তো ভুল করছেন। ক্রিস্টি আসলে আমাদের কর্তার মেয়েই নয়। ও ছিলো শাম দেশের মেয়ে। ওখানে যখন যুদ্ধ শুরু হয় ক্রিস্টির বাবা ও ভাই মুসলমানদের হাতে মারা যায়। ক্রিস্টি পালিয়ে গির্জায় গিয়ে আশ্রয় নেয় । …
‘ও যদি গির্জায় আশ্রয় না নিতো তাহলে ওকে মুসলমানরা ধরে নিয়ে যেতো। যেমন ওর মা গির্জায় যেতে দেরি করে ফেলে। এর মধ্যে মুসলমানরা তাকে দেখে ফেলে। ওর মা ছিলো ওর চেয়ে সুন্দরী। মুসলমানরা ওকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।….
‘গির্জার পাদ্রী ক্রিস্টিকে লুকিয়ে ফেলে। রোমীয় সেনারা যখন ওখান থেকে চলে আসে তখন পাত্রীও ক্রিস্টিকে নিয়ে সেনাদলের সঙ্গী হয়ে যায়। সেনাদল কিছু দিন পর মিসরে পৌঁছে। পাদ্রী তখন ভালো কোন পরিবার খুঁজতে থাকে ক্রিস্টিক দত্তক দেয়ার জন্য।’…
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!