সূর্যাস্ত – শফিউদ্দিন সরদার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

সূর্যাস্ত – শফিউদ্দিন সরদার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ শফিউদ্দিন সরদার

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২৯০

সূর্যাস্ত – বইটির এক ঝলকঃ

সম্মোহিত রানুবালা আবেগে বললো- ভাইজান।
হস্তদন্ত হয়ে বিহারী লাল বাবু এস হাজির হলেন। এসেই তিনি রানুবালাকে উদ্দেশ্য করে বললেন- এই যে, যা ভেবেছি ঠিক তাই। তুমি এখনও এখানেই বসে আছো? যাও যাও, শিগগির তৈয়ার হয়ে নাওগে। পয়লাই তো নাচ দেয়া যাবেনা? তন্দ্রার এই অবস্থা। উদ্বোধনী সঙ্গীতটা তোমাকেই গাইতে হতে পারে। যাও, শিগগির তৈরী হয়ে নাও ।
রানুবালার পাশে আর দুইজন মহিলা শিল্পী বসে থেকে তন্ময় হয়ে সোহেল বেনের কথাগুলো শুনছিলেন। বিহারীলাল বাবু এবার এদের উদ্দেশ্যে বললেন- তোমরাও এখনো বসে আছো কেন? তৈরী হবে কখন? প্রয়োজনের সময় তাড়াহুড়া করতে গিয়ে অনুষ্ঠানটা কি পণ্ড করে দেবে তোমরা? এসো- এসো, শিগগির এসো-
সবাইকে নিয়ে বেরিয়ে যেতে গিয়েই বিহারীলাল আবার ঘুরে দাঁড়িয়ে সোহেল বেনেকে লক্ষ্য করে বললেন- আপনি আর কিছুক্ষণ এখানেই অপেক্ষা করুণ বেনে সাহেব। তন্দ্রার সাথে কিছু কথাবার্তা বলুন। আজগুবী এক অঘটন ঘটিয়ে নিয়ে ও কেমন মনমরা হয়ে গেছে। ওকে একটু বুঝসুঝ দিন। আসর শুরুতে আর একটু বিলম্ব আছে। শুরু হলেই আপনাকে নিয়ে গিয়ে সুন্দর একটা জায়গা দেখে বসিয়ে দেবো
মহিলাদের পুনরায় তাকিদ দিয়ে নিয়ে বিহারীলাল বাবু বেরিয়ে গেলেন। রইলেন এখন দীর্ঘমেঝের এ প্রান্তে সোহেল বেনে ও তন্দ্রাবাঈ আর ও প্রান্তে ফরাশের উপর শায়িত দুই তিনজন পুরুষ শিল্পী। তাঁদের একজনের ইতিমধ্যেই নাকের ডাক শুরু হয়েছে। মাঝে মাঝে চাকর-বাকর ও যোগানদাররা দৌড় ঝাঁপের উপর আসছে আর এটা ওটা নিয়ে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকায় আর দর্শক-শ্রোতাদের হুল্লোড়ে রাতের অস্তি তুটা বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
তন্দ্রাবাঈ আগাগোড়াই চুপচাপ বসে ছিলেন। এখনও তিনি নতমস্তকে চুপ হয়েই বসে রইলেন। কথা বলার কোন মওকাই সোহেল বেনে পেলেন না । মুহূর্ত কয়েক নীরবে বসে থাকার পর তিনি উঠে দাঁড়াতে গেলেন। তা দেখে তন্দ্রাবাঈ মৃদুকণ্ঠে বললেন- উঠছেন যে? আমাকে একা রেখেই যাবেন! সোহেল বেনে ইতস্ততঃ করে বললেন-না মানে, আপনি চুপ করে বসে আছেন তো! তাই ভাবছি, আপনাকে বিরক্ত না করাই ভাল ।
তন্দ্রাবাঈ বললেন- আমি চুপ করে বসে নেই। আপনার কথাগুলোই ভাবছি।
: আমার কথা ।
ঃ জ্বি। কোনদিনই আমি এতটা বেপরোয়া হয়ে চলিনে। সব সময়ই সাবধান হয়ে থাকি। অন্যদের মতো এত দৌড়ঝাঁপও করিনে। কিন্তু আজ যে আমার কি হলো ।
তন্দ্রাবাঈ উদাস হয়ে উঠলেন। সোহেল বেনে প্রশ্ন করলেন- কি হলো মানে?
ঃ মানে, রানুবালা আর লহরী দিদিদের পাল্লায় পড়ে কেমন যেন হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম। ওদের সাথে দৌড়ঝাঁপ করতে গিয়ে স্থান কালের জ্ঞানটা লোপ পেয়ে গেল আমার। নইলে কি আর এতক্ষণ ঐভাবে বসে থাকি ওখানে?
ঃ দৌড়ঝাঁপ করলেন ভাল কথা। ওখানে বসতে গেলেন কেন? চলে আসবেন।
ঃ বসে পড়লাম সূর্যাস্তটা দেখার জন্যে। সবাই বললেন, ওখান থেকে সূর্যাস্ত টা দেখতে খুব সুন্দর লাগে ।
ঃ এতই সুন্দর লাগলে যে, সূর্যটা অস্ত যাওয়ার পরও বসেই রইলেন ঐভাবে?
ঃ জ্বিনা। ঠিক সূর্যাস্তটা ভাল লাগার জন্যে নয়, বসলাম সূর্যাস্ত দেখার জন্যেই। কিন্তু সূর্যটা কখন অন্তগেল, সেটা খেয়ালই করিনি।
: সে কি!
ঃ দেখতে দেখতে আমি চিন্তার মধ্যে বিভোর হয়ে গিয়েছিলাম। কোথায় আছি, কেন আছি, সে বোধটাই আর ছিলনা।
ঃ বলেন কি! কি নিয়ে এত চিন্তা?
ঃ আমার এই ভাসমান জিন্দেগী নিয়ে। সূর্যের অস্ত যাওয়াটা দেখতে দেখতে হঠাৎ খেয়াল হলো, একদিন আমারও এই জিন্দেগীর সূর্যটা ঐ ভাবেই অন্ত চিলে চলে যাবে। পার্থক্যটা শুধু, সূর্যের একটা নির্দিষ্ট গতিপথ আছে, তার একটা ধরাবাঁধা কক্ষপথ আছে, কিন্তু আমার কিছুই নেই। কোথায় আর কোন পথে হালহীন নোঙরহীন আমার এই একান্তই ভাসমান জিন্দেগীটা ভাসতে ভাসতে যাবে, কোথায় আর কিভাবে অন্তযাবে এ জিন্দেগী, কোন কিছুরই ইশারা-ইংগিত সামনে আমার নেই।
ঃ আচ্ছা?
£ বাপ নেই, মা নেই, বিষয়আশয়, চালচুলা, কিছুই CHR একটি নির্জলা মেয়েছেলে আমি । সাময়িকভাবে উত্তাদজী ছাড়া, আমার ভালমন্দ অন্তর দিয়ে দেখার ফোন স্থায়ী আয় সুনির্দিষ্ট অতিষ্তাষকও মেই। অভিভাবকের নামে কিনতু মালিকের হাতে আমি বন্দী, আর তাঁদের হাতের আমি একটা খেলার ৩ুঁটি মাত্র। ফরমায়েশ খাটা লোক। খন যেদিকে হাঁকাচেছল, সেইদিকেই দৌড়াচ্ছি। কখন আর কোন ভাগাড়ে যে শেষ পর্যন্ত ছুড়ে দেবে আমাকে, তা একসাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন। সোহেল বেনে বিপুল বিস্ময়ে বললেন- কি আশ্চর্য। এতবড় গভীর ভাবনাই ভাবতে গেলেন আপনি? তাও আবায় ওখানে বসে?
॥ ব্যাপারটা তাই হয়ে গেল । রানুবালা দিদিয়া৷ এসে ডাক দেবে কি, গল্পের মধ্যে তারাও বেশ হয়ে রইলো । সবই অনৃষ্টের লিখন ।
॥ তম্থাবাঈ।
$ কোথা থেকে আর কিভাবে যে এই চরম দুঃসময়ে আপনি আমার উদ্ধারে
ছুটে এলেম, এট। যতই ভাবছি ততই তাজ্জব হয়ে যাচ্ছি। আপনার এ খণ
আমি কেমন করে শোধ করবো, তেবে কোন কুল কিনারা পাচ্ছিমে। 8 খণ বলছেন ফেলা এটা কি আমার নিষ্ের ইচ্ছেয় জার নিজের Swen কয়েছি? সই আল্লাহর তায়ালার মেহেয়ষানী | ভিদি আমাকে এতটুকু কয়ায়তৌফিক দিয়েছিলেন হলেই তো ফড়তে আছি পারলাম । খণ বলেন তারিক বলেন, সব কিছুরই যালিক এককভাবে এ সৃষ্টিকর্তাই । আমি নই। তবু তো উপলক্ষাটা আপনিই? হ্যাঁ, এটুকু বলতে পারেন। অথচ এই আপমার সাথেই আহি কতই না দুবার্বহার করেছি। সেটা ভাবতেও এখন মাটির মধ্যে সেঁধিয়ে hows RE হচ্ছে আমার। আহ্হা। এর মধ্যে আবার ওসব কথা STATLER CAP ভাবার যে এইটেই দিন। জাজও যদি সেসব রা আযার চিন্তা-ভাবনায় না আসে, তাহলে আসবে আর কবে, আর বিবেক বলে আমার থাকে কি? সে হা-ই থাক, ওসব কথা রাখুনতো | এভাবে বার বার বলে আমাকে শরমিদ্দা করবেন না। বলবোই না বা কেন, বলুন? আহার আচরণের জন্যে আমার উপর কষগোস্থা হমনি আপনি? জামার সাথে কথা বলেন নি! কত্তটাই বে খরাস জাষাকে মনে করেছেন, কে জানে! আজ সে জন্যে মাফ না চাইলে, মাফ চাওয়ার মওকা আর কবে আমি পাবো?
ঃ আপনি খামাখাই ভেবে পেরেশান হচ্ছেন। আপনাকে আমি ওসব কিছু ভাবিনি।
ঃ ভাবেন নি?
ঃ না। কিছুটা জেদী আর মেজাজী আপনাকে ভেবেছি ঠিক কিন্তু এতটা খানি কখনো ভাবিনি আপনাকে ।
ঃ তাই কি? তাহলেও তো বলতে হয়, এত আপনার অনন্য একগুণ। আপনার তুলনা আর মেলেনা।
সোহেল বেনে হেসে বললেন- হয়েছে-হয়েছে। ওসব রেখে এবার আমার কিছু প্রশ্নের জবাব দিন তো দেখি? আমার কিছু কৌতূহল নিবারণ করুন। ঃ জ্বি বলুন?
ঃ আপনি শুনেছি, এসব জলসা-অনুষ্ঠান করতে আর তেমন আগ্রহী নন। উমিচাঁদ বাবুর জলসাতে আপনি যাননি। প্রথম প্রশ্ন হলো, আপনার এই ভাবান্তরের কারণ কি?
তন্দ্রাবাঈ এবার ঈর্ষৎ হেসে বললেন- কারণ তো মূলতঃ আপনিই । সোহেল বেনে বিস্মিতকণ্ঠে বললেন- আমি।
ঃ আপনাদের মতো লোকেরা এটা না-পছন্দ করলে, আমি আর পছন্দ করতে পারি কি করে বলুন? আমার কি শরম নেই ?
মাথা নীচু করে তন্দ্রাবাঈ মুখ টিপে হাসতে লাগলেন। সোহেল বেনে বললেন- আমি আবার না-পছন্দ করলাম কখন?
তল চোখে চেয়ে তন্দ্রাবাঈ বললেন-বটে। ও নিয়ে আমাকে অপমানটা কে করলে, শুনি?
ঃ সেরেফ আমার কথাতেই জলসার উপর আগ্রহ আপনার কমে গেল?
: যাবে না? গুণীলোকের কথা কি ফেলতে আছে কখনো? তার উপর আমার অভিভাবকের মতো সে কি রাগ। তাই বাধ্য হয়েই আগ্রহটা আমার কমিয়ে দিতে হলো।
আলতোভাবে দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ে ধরে তন্দ্রাবাঈ নত মস্তকে মৃদুমৃদু হাসতে লাগলেন। সোহেল বেনে প্রীত হলেন এবং পুনরায় প্রশ্ন করলেন- তাহলে এখন আবার হঠাৎ এখানে আর এতদূরে এসেছেন যে?
তন্দ্রাবাঈয়ের মুখের হাসি ফুৎকারে নিভে গেল। তিনি স্নানকণ্ঠে বললেন- কমিয়ে দিয়েছি ছেড়ে তো আর দিইনী। তা দেওয়াও সম্ভব নয় ।
ঃ না, আমি তা বলছিনে। আমি বলছি, নিজের খুশীতে আর স্ব-ইচ্ছায় এসেছেন কি?
তন্দ্রাবাঈ গম্ভীর হলেন। গম্ভীর কণ্ঠে বললেন- জ্বিনা। আমি আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে এসেছি। এজন্যে আমি মোটেই খুশী নই ।

কেমন?
ঃ কর্তার ইচ্ছেয় কর্ম বলতে যা বুঝায়, এটা ঠিক তাই ।
ঃ বলেন কি?
ঃ কর্তা ব্যক্তির হুকুম হলো, যাও ওখানে। তাই আমাকে আসতে হলো। আমার ইচ্ছা অনিচ্ছার তোয়াক্কা কি?
ঃ তাই? তা কে সে কর্তা ব্যক্তি?
ঃ রাজবল্লভ বাবু। আমার রাজবল্লব কাকা ।
সোহেল বেনে সচকিত হয়ে উঠলেন। তিনি প্রশ্ন করলেন-কেন? এখানে জলসা করতে আসার জন্যে তিনি আপনাকে হুকুম দিতে গেলেন কেন? তাঁর গরজটা কি?
ঃ বিনা গরজে কি এক পাও হাঁটেন তাঁরা? কান্ড বেধেছে, তাই পাঠিয়েছেন। ঃ কান্ড। কি কান্ড?
একটু থেমে তন্দ্রাবাঈ বললেন- তা বলতে অবশ্য নিষেধ আছে। একাজটা উনি আমাকে গোপনে করতে বলেছেন। কেউ না দেখে, না শুনে এইভাবে। সোহেল বেনে, নির্জীব কণ্ঠে বললেন-ও।
তন্দ্রাবাঈ স্মিতহাস্যে বললেন-নিষেধ যতই থাক, আপনাকে আমি বলবোনা, তা হবে কেন?
: মানে?
ঃ আপনি আামর জান মান সবই বাঁচিয়েছেন। এ দুনিয়ায় আপনার মতো হিতৈষী আর কে আছে আমার? আপনার কাছে গোপন করার আর কিছুই আমার নেই ।
ঃ নেই ।
ঃ না। অন্ততঃ একজনের কাছেও যদি আমি আমার মনের ভার লাঘব করতে না পারি, নির্দ্বিধায় মনের কথা প্রকাশ করতে না পারি, একা একা আর গুমরে মরি কতদিন?

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top