স্বপ্নে দেখা সেই মেয়েটি – কাসেম বিন আবুবাকার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ কাসেম বিন আবুবাকার
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৮৭
স্বপ্নে দেখা সেই মেয়েটি – বইটির এক ঝলকঃ
ইনসান চৌধুরী পৈত্রিক সূত্রে বিশাল সম্পত্তি পেয়েছেন। কয়েকটা জলমহল ছাড়াও কয়েকশ বিঘে ফসলী জমি, কয়েকটা বাগান ও প্রায় পনের বিশটা বড় বড় পুকুর ওনার দাদা জয়নুদ্দিন খরিদ করেছিলেন। কিংবদন্তী আছে, জয়নুদ্দিনের বাড়ি ছিল ডোমার। তিনি একজন দরিদ্র কৃষক ছিলেন। সব দিন ঘরে অন্ন জুটত না। অভাবের তাড়নায় এক গভীর রাতে একটা দীঘিতে জাল ফেলে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। সারা রাত জাল ফেলে একটা মাছও জালে পড়ে নি। ফজরের আযানের সময় হতাশ হয়ে শেষবারের মতো জাল ফেলে যখন টানতে শুরু করেন তখন এত ভারি মনে হতে লাগল, যেন জাল ছিঁড়ে যাবে। অনেক কষ্টে জাল তুলতে সক্ষম হন। দেখলেন, একটা পিতলের কলসি জালে উঠেছে। কলসিতে কি আছে দেখার সময় পেলেন না, আযান শুনে সকাল হয়ে গেছে জেনে কলসিটা জালে জড়িয়ে ঘরে নিয়ে এসে ঢাকনা খুলে সোনার মোহর দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফিরে পেয়ে দেখলেন তার বৌ মাথায় পানি দিচ্ছে। ধড়ফড় করে উঠে বসে কলসি দেখতে না পেয়ে বৌকে জিজ্ঞেস করলেন, পিতলের কলসি কোথায় ?
সায়রা বানু বললেন, আস্তে কথা বল, বাতাসেরও কান আছে। কলসিতে সোনার মোহর দেখে ঘরের মেঝেয় পুঁতে রেখেছি। তখন তাদের একমাত্র সন্তান আবসার উদ্দিন তিন বছরের। গ্রামের লোকজন জেনে যাওয়ার ভয়ে স্ত্রী, ছেলে ও সব সোনার মোহর নিয়ে খোকসাবাড়িতে এসে বসবাস শুরু করেন এবং কয়েক বছরের মধ্যে এই সব সম্পত্তি করে চৌধুরী উপাধি গ্রহণ করেন। আবসার উদ্দিন যখন কলেজে পড়েন তখন একদিন জয়নুদ্দিনের খোঁজ পাওয়া গেল না। তিন চার দিন পর লোকজন ওনার লাশ একটা জলমহলে ভাসতে দেখে তাদের বাড়িতে খবর দেয়।
ধনী হিসাবে জয়নুদ্দিনের নাম আশপাশের গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছিল। থানার পুলিশদের সঙ্গে ওনার দহরম-মহরম ছিল। তারা লাশ ময়না তদন্ত করার জন্য নীলফামারী হাসপাতালে নিয়ে গেল। ময়নাতদন্তে জানা গেল, গলাটিপে হত্যা – করা হয়েছে।
এরকম একজন ধনী ও গণ্যমান্য লোককে কেউ গলাটিপে মারবে, গ্রামের • লোক বিশ্বাস করতে পারল না। তাদের ধারণা জিনেদের সোনার মোহরের কলসি নিয়ে জয়নুদ্দিন ডোমার থেকে পালিয়ে এসেছিলেন বলে তারা ওনাকে গলাটিপে মেরে জলমহলে ফেলে দিয়ে গেছে।
এই ঘটনার প্রায় বার বছর পর ওনার একমাত্র সন্তান আবসার উদ্দিনের লাশও ঐ একই জলমহলে পাওয়া যায়। বাবা ও ছেলে একইভাবে মারা যাওয়ার ঘটনায় লোকজন বলাবলি করতে লাগল, ঐ বংশের উপর জিনেদের আক্রোশ আছে। হয়তো ভবিষ্যতেও থাকবে ।
আবসার উদ্দিন চৌধুরীর একমাত্র সন্তান ইনসান চৌধুরীর বয়স যখন ত্রিশ বছর তখন একদিন ওনার লাশও ঐ একই জলমহলে পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তে ওই একই রিপোর্ট, “গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে।” তখন থেকে শুধু গ্রামের লোকজনই নয়। চৌধুরী বাড়ির সকলেরও ঐ ধারণা দৃঢ় হয়।
ইনসান চৌধুরীর স্ত্রী লুৎফা বেগম ঢাকার ধনী পরিবারের উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে। তিনি ভূত-পেত্নি বা জিন বিশ্বাস করেন না। এই বংশের উপর জিনদের আক্রোশ আছে, স্বামী, শ্বশুর ও দাদা শ্বশুরকে জিনেরা মেরে ফেলেছে তাও বিশ্বাস করেন না। ওনার বিশ্বাস, দাদা শ্বশুর অন্য জায়গা থেকে এসে এখানে এত সম্পত্তি করেছেন, চৌধুরী বংশের এত নাম ডাক, এখানকার অনেকে সহা করতে না পেরে একের পর এক এই ঘটনা ঘটিয়ে জিনেদের আক্রোশ বলে। রটিয়েছে।
ইনসান চৌধুরী মারা যাওয়ার সময় ওনার মা হাফেজা বেগম বেঁচে ছিলেন। তিনি শাশুড়ির কাছে সোনার মোহর পাওয়ার কথা শুনেছিলেন। তাই স্বামী, শ্বশুর ও ছেলেকে যে জিনেরা মেরে ফেলেছে, সে কথা বিশ্বাস করেন। বৌ লুৎফা বেগম ওসব বিশ্বাস করে না জেনে একদিন তাকে বললেন, ভূত-পেত্নী আছে কি না জানি না। তবে জিন জাতি আছে একথা বিশ্বাস করি। কারণ কুরআনে জিন জাতির কথা উল্লেখ আছে। এমন কি জিন নামে একটা সূরাও আছে। তা ছাড়া জিনেদের সম্পর্কে আমাদের নবী (দঃ)-এর হাদিসে বর্ণনাও আছে। তাই প্রত্যেক মুসলমানকে জিন পৃথিবীতে আছে বিশ্বাস করতেই হবে। তারপর ওনার শ্বশুরের সোনার মোহর পাওয়ার কথা ও নিজের গ্রাম ছেড়ে কেন এখানে চলে আসেন বললেন।
শাশুড়ির কথা শুনে লুৎফা বেগম কিছুটা বিশ্বাস করতে পারলেও সম্পূর্ণ বিশ্বাস করতে পারলেন না। তাই জিজ্ঞেস করলেন, জিনেদের আক্রোশ থেকে রেহাই পাওয়ার কি কোনো উপায় নেই?
হাফিজা বেগম বললেন, এই কথা আমিও আমার শাশুড়িকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, “কোনো পীর সাহেব বা বড় আলেমের কাছে ঘটনাটা বলে তদবির করলে হয়তো জিনেদের আক্রোশ থেকে রেহাই পাওয়া যেত। তিনি স্বামীকে কথাটা বলেও ছিলেন; কিন্তু সোনার মোহর পাওয়ার ঘটনা জানাজানি হয়ে যাবে বলে তদবির করতে রাজি হন নি। কথাটা ইনসানকেও ৰলেছিলাম, সেও একই কথা বলে তদবির করতে রাজি হয় নি।
লুৎফা বেগম বললেন, এই বংশের পুরুষের উপর জিনেদের আক্রোশ। এখনতো আর কোনো পুরুষ নেই, মনে হয় তারা এই বংশের মেয়েদের উপর কিছু করবে না।
হাফিজা খাতুন বললেন, কি করে সে কথা বলব? আমার তো খুব ভয় হয়, চৌধুরী বংশের একমাত্র প্রদীপ ফায়জুন্নেসাকে নিয়ে। ওর কিছু হলে চৌধুরী বংশের নাম নিশানা দুনিয়া থেকে মুছে যাবে। তাই বলি কি, তুমি তোমার ৰাবাকে সবকিছু জানিয়ে কোনো পীর সাহেব বা কোনো আলেমের দ্বারা তদবির করাও।
স্বামী ও তার ঊর্ধ্বতন পুরুষরা যে কারণে জিনেদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তদবির করেন নি, লুৎফা বেগমও সেই একই কারণে কিছু করেন म।
ইনসান চৌধুরী মারা যাওয়ার কয়েক বছর আগে হারেস নামে একটা ছেলের সঙ্গে একমাত্র মেয়ে ফায়জুন্নেসার বিয়ে দেন। হারেস ঢাকার শিক্ষিত ও গুদর্শন ছেলে। সে প্রথমে চৌধুরী স্টেটের ম্যানেজার ছিল। ইনসান চৌধুরী মেয়ের বিয়ের জন্য এমন পাত্রের খোঁজ করছিলেন, যে নাকি সব দিক থেকে চৌধুরী বংশের উপযুক্ত এবং ঘরজামাই থেকে চৌধুরী স্টেটের ভার নিতে পারবে। ম্যানেজার হারেসকে ওনার পছন্দ হলেও বংশের মর্যাদার কথা ভেবে মন থেকে সায় পান নি। তারপর যখন জানতে পারলেন, পাশের গ্রামের এক সাধারণ ঘরের ছেলের সঙ্গে মেয়ের মন দেয়া নেয়া হয়েছে তখন স্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে হারেসের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন। বিয়ের দু’বছরের মধ্যে ভাগের একটা মেয়ে হয়। ইনসান চৌধুরী নাতনির নাম রাখেন জেবুন্নেসা। ডাক
বিয়ের সময় ফায়জুন্নেসার কোনো প্রতিবাদ করার সাহস ছিল না। তবু ভাতের কাছে তার মন দেয়া নেয়ার কথা বলেছিল, কিন্তু কাজ হয় নি। কথাটা তখন জুফা বেগম মেয়ের সাথে রাগারাগি করেন। ফলে এক রকম বাধ্য হয়ে সে ONNO দিয়ে করে।
ভাবে ইনসান চৌধুরীর মেয়ের মন দেয়া-নেয়ার কথা না জানলেও তার মেজাজের কথা জানত। তাই ইনসান চৌধুরী যখন তাকে জামাই করার কথা মা তখন বলল, আমি আপনার মেয়ের অনুপযুক্ত। তা ছাড়া ঘরজামাই BD থাকা আমার পক্ষে একেবারেই সম্ভব নয় ।
ইনসান চৌধুরী ভাবতেই পারেন নি, হারেস অমত করবে। রাগে অনেকক্ষণ কথা বলতে পারলেন না। একসময় গম্ভীর কণ্ঠে বললেন, এর পরিণাম চিন্তা জি করেছি, আমার চাকরি থাকবে না।
একই কণ্ঠে ইনসান চৌধুরী বললেন, শুধু চাকরি নয়, প্রাণ নিয়ে এখান থেকে ফিরে যেতে পারবে না। তারপর নরম সুরে বললেন, তোমার মতো ছেলেই চৌধুরী বংশের জামাই হওয়ার উপযুক্ত। আমার পরে তুমিই হবে এই বংশের কর্ণধার। তারপর অনেক কিছু প্রলোভন দেখিয়ে হারেসকে রাজি করান।
ইনসান চৌধুরী কাছের জমিগুলো নিজের লোকজন দিয়ে চাষ করালেও দূরের জমিগুলো সেই গ্রামের লোকজনদের পত্তনি দিয়েছেন। যে বছর ফসল না হত, সে বছর ইনসান চৌধুরী নিজের লোকজন দিয়ে জোর-জুলুম করে তাদের কাছে ফসল আদায় করতেন। ফসল দিতে না পারলে গরু-বাছুর, ছাগল নিয়ে চলে আসতেন। এসব ব্যাপার ছাড়াও ইনসান চৌধুরীর মদ ও মেয়ের নেশা ছিল। তবে গ্রামের মেয়েদেরকে নিয়ে কিছু করতেন না। ঢাকা থেকে বাঈজী
আনাতেন ।
হারেস ম্যানেজার হয়ে আসার পর এইসব দেখে শুনে ইনসান চৌধুরীর উপর দিন দিন খুব অসন্তুষ্ট হয়ে উঠলেও সাহসের অভাবে প্রতিবাদ করতে পারে নি। জামাই হওয়ার পর একবার দূরের এক গ্রামের গরিব চাষি ফসলের ভাগ দেয় নি বলে তাকে লোকজন ধরে এনে এমন মার মেরেছিল যে, সেই গ্রামের লোকেরা তাকে পাটার করে নিয়ে গিয়েছিল। সেদিন হারেস বাধা দিয়েছিল বলে লোকটা বেঁচে গিয়েছিল, নচেৎ মারা যেত।
কথাটা ইনসান চৌধুরী জেনে হারেসকে ভবিষ্যতে এরকম না করার জন্য সাবধান করে দিয়ে বলেছিলেন, আমার অবর্তমানেও করবে না।
সেদিন হারেস শ্বশুরের সামনে মুখে কিছু না বললেও মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল চাষিদের উপরে নির্মম অত্যাচার আর করতে দেবে না।
দিন দিন স্ত্রীর উপরও হারেস অসন্তুষ্ট হয়ে উঠতে লাগল। সে যেন তাকে ঠিক স্বামীর আসনে গ্রহণ করতে পারে নি। তার কথামতো না চলে, নিজের ইচ্ছা মতো চলে। যখন হারেস স্ত্রীকে সংযত হয়ে চলার জন্য বোঝাত তখন ফায়েজুন্নেসা বলতেন; যারা ঘরজামাই থাকে, তাদের কথা স্ত্রীরা শোনোই না, বরং স্ত্রীদের কথা তাদেরকে মেনে চলতে হয়। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই
কলহ হত।
দিনের পর দিন স্ত্রীর দুর্ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে হারেস একদিন শ্বশুরের কাছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করল।
ইনসান চৌধুরী উল্টো জামাইকে দোষারোপ করে বললেন, যে নিজের স্ত্রীকে বশে রাখতে পারে না, সে কাপুরুষ।
শ্বশুরের কথা শুনে হারেস নির্বাক হয়ে ভাবল, চৌধুরী বংশের জামাই হয়ে যে ভুল করেছে, তা জীবনে শুধরাতে পারবে না। চিরকাল তাকে অশান্তির আগুনে জ্বলতে হবে। তবু হাল ছাড়ল না, স্ত্রী কখন কি করে, কোথায় যায়, একটা বিশ্বস্ত চাকর সামসুকে লক্ষ্য রাখতে বলল ।
সামসু অনেক দিন থেকে আছে। ফায়জুন্নেসার সবকিছু জানে। বলল, লক্ষ রাখার দরকার নেই। মালিকদের সবকিছু শুধু আমি নই, সব চাকর চাকরানিরাও জানে। কিন্তু আমাদের মুখ খোলা নিষেধ। যদি কেউ খোলে, তা হলে তাকে জ্যান্ত কবর দেয়া হয়। এরকম ঘটনা ঘটতে দেখে আমরা বোবা হয়ে থাকি। আপনাকে আমরা সবাই খুব ভক্তি শ্রদ্ধা করি, তাই আপনার জন্য আমরা দুঃখ পাই। তবু মুখ খুলতে পারব না। তবে এতটুকু বলতে পারি, তারপর মালিক কন্যার মন দেয়া নেয়ার কথা বলে বলল, এখনও তার সঙ্গে সম্পর্ক আছে। আমার কথা বিশ্বাস না হলে নিজে লক্ষ্য রাখলে সত্য মিথ্যা জানতে পারবেন । চাকরের কথা শুনে হারেস সিদ্ধান্ত নিল, সত্য মিথ্যা যাচাই করার দরকার নেই, যেমন করে হোক এখান থেকে পালিয়ে যাবে।
এর কয়েকদিন পর ইনসান চৌধুরীর লাশ জলমহলে পাওয়া গেল।
শ্বশুর মারা যাওয়ার পর হারেসের উপর চৌধুরী স্টেটের ও সংসারের দায়- দায়িত্ব পড়ে গেল। পালাবার চিন্তা স্থগিত রেখে সে সব সামলাতে লাগল ।
তারপর একদিন মেয়ে যাতে মায়ের মতো না হয় সে জন্যে হারেস হুয় বছরের স্বপ্নাকে ঢাকায় এক হোমে রেখে লেখাপড়া করার ব্যবস্থা করে এল। ফায়জুন্নেসা মনে মনে খুশি হলেও মুখে বলল, কাজটা তুমি ভালো কর নি হারেস বলল, তোমার কাছে ভালো না হলেও আমি স্বপ্নার ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই করেছি।
ফায়জুন্নেসা আর কিছু বলল না।
দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কিভাবে চার-পাঁচ বছর কেটে গেল হারেস বুঝতে পারল না।
বাবা মারা যাওয়ার পর ফায়জুন্নেসা বছর দুই একটু সংযত ছিল। তারপর যত দিন যেতে লাগল তত আগের মতো হয়ে উঠল।
চাকরের কাছে স্ত্রীর দুশ্চরিত্রের কথা জানার পর থেকে হারেস আলাদা রুমে ঘুমাত এবং তার সংশ্রব থেকে দূরে থাকত। এমন কি তার খোঁজ-খবরও রাখত না। ফলে ফায়জুন্নেসা আরো বেপরওয়া হয়ে উঠে।
চাকর সামসু বয়স্ক লোক। হারেসকে ভীষণ ভক্তি শ্রদ্ধা করে। ওনার মনের কষ্টও বোঝে। তাই মালেকিনকে আগের মতো হয়ে উঠতে দেখে একদিন হারেসকে বলল, আগে রাতের অন্ধকারে মালেকিনের প্রেমিক এলেও ইদানিং বেলা তিনটের দিকে আসে। মালেকিন গেস্টরুমে তার সঙ্গে দেখা করেন। হারেস জিজ্ঞেস করল, প্রতিদিন আসে?
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!