অপারেশন মরুপ্রান্তর – মাহমুদ হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ মাহমুদ হোসেন
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৩৩৪
অপারেশন মরুপ্রান্তর – বইটির এক ঝলকঃ
সময় এখানে আজদাহা সাপের মত ফনা তুলে আছে। পার হয়ে যাচ্ছে ব্যস্ত তৎপরতার মাঝে । এরই ফাঁকে ফাঁকে মাঝে মধ্যে জোটে কিছু কৌতুকের খোরাক । এইত সেদিন মেজর জাফর খাবার ঘরে নিজের পেটের চামড়া ধরে বলল- দেখতো কেমন ভুল তুলে হয়েছে, সমস্ত সৌদি খাবার জমছে এখানে চর্বির আকারে।
আজকে আবার কমলা খাচ্ছিল মেজর জাফর। বলল- সৌদি ফল খেয়ে সব শেষ করে ফেলব। ছোট ছোট কমলা কিন্তু মিষ্টি। কিছুক্ষণের মধ্যেই সাবড়ে দিল এক ডজন । তারপর সামান্য দমধরে বলল- আর বোধ হয় খাওয়া ঠিক হবে না, এক ডজন শেষ করে ফেলেছি। ক্যাপ্টেন মাসুদ বলল – কুই বাদ নেহি, দোসরী ডজনছে ফের এক কমলা পাকড়লো, আরামছে খাও ইয়ার। ইতোমধ্যেই মাসুদের হাসি দুই কান পর্যন্ত ঠেকেছে বাঙালি মারের কথা শুনেছেও। একাত্তরের যুদ্ধের সময় ও চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। কিন্তু বাঙালি খানেওয়ালা দেখছে এই প্রথম। মেজর জাফরও হেরে যাবার পাত্র নয়। বীর বিক্রমে হাত বাড়াল দ্বিতীয় ডজনের এক নম্বরের দিকে । লুফে নিল একটা, আয়েশের সাথে খেল। তবে থামল এখানেই । হম্বিতম্বি ছাড়ল কিছুক্ষণ। সম্ভবতঃ ভাবল সব সৌদি খাবার তার একার পক্ষে শেষ করা সম্ভব নয় ।
প্রসঙ্গে ফিরে আসি । দু’দিন পূর্বেই ইরাক তার নতুন প্রত্যয় এবং অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে – যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ লাগে তাহলে ইরাক ইসরাইল আক্রমণ করবে। জবাবে আজ ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- ইরাকের ধমকে আমরা আর ভয় পাই না। ইরাকের যে অস্ত্রশস্ত্র আছে তা নিয়ে ইসরাইলের ভূমিতে পৌঁছা সহজ হবে না । মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রদের সাথে এক সাক্ষাৎকারে ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী বললেন ইরাক মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান সমস্যাকে আরব ইসরাইল সমস্যা হিসাবে দেখতে চায়। এবং দেখাতে চায় ।
আমি যেখানে বসে আছি একজন সাধারণ মুসলমান হিসাবে ছোট দুর্বল কুয়েত হতে শক্তিশালী ইরাকের নিঃশর্ত প্রত্যাহারই দেখতে চাই। আর কুয়েত-ইরাক সমস্যাকে আরব ইসরাইল সমস্যায় রূপান্তরের চেষ্টায় ইরাক সঙ্গী হিসাবে প্রতিবেশি কোন মুসলিম দেশকে এই মুহূর্তে পাবে বলে আমার মনে হচ্ছে না। বড়দিনের শুভেচ্ছা বাণী পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বুশ, পাঠিয়েছেন বড়দিনে (২৫ ডিসেম্বর) সৌদি আরবে অবস্থানরত লক্ষ লক্ষ মার্কিন তরুণদের কাছে। বড়দিনের উৎসবের মাঝেও ওরা আছে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় । কি জানি হঠাৎ যদি ইরাক আক্রমণ করে বসে। বুশ তাঁর বাণীতে বলেছেন- যে সমস্ত মার্কিনী এখন মধ্যপ্রাচ্যে আছে জাতি তাদের কথা ভুলবে না। বুশ আরও বললেন – একজন লোকের গোয়ার্তুমির জন্য বিশ্ব আজ বিরাট সমস্যার মুখোমুখি। বললেন Saddam Hossain is an international out law, অর্থাৎ সাদ্দাম হোসেন একজন আন্তর্জাতিক অপরাধী।
আজ জি সি সি সামিটের শেষ দিন। কাতারে অনুষ্ঠিত এ শীর্ষ সম্মেলনে কোন পথ খুলে যাবে কিনা আমরা জানিনা। সেখানে আছেন সৌদি বাদশাহ ফাহাদ ইবনে আবদুল আজিজ ও কাতারের খলিফা শেখ আহমেদ বিন খলিফা আলতানি, বাহরাইনের খলিফা বিন সালমান আল খলিফা, কুয়েতের আমির শেখ জাবের আল আহমেদ আল সাবাহ, ওমানের সুলতান ইবনে কাবুস । আছেন অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । এই ১১তম সম্মেলন উপসাগরীয় এলাকার বর্তমান পরিস্থিতিতে যদিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু ছিল দুঃখ ভরা । বাদশাহ ফাহাদ বললেন- একজন ছিলেন আমাদের ভাই আর এখন সে আমাদের শত্রু । তবে তিনি বিশ্বের অন্যান্য দেশের সহমর্মিতার কথা উল্লেখ করলেন । বললেন – এখানে আমরা যুদ্ধ কিংবা শান্তির জন্য আসিনি। আমরা চাই কুয়েত মুক্ত হোক । এখানে তিনি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে উপসাগরীয় এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুন করে সাজাবার উপরও গুরুত্ব আরোপ করলেন।
রাত একটা, সরাসরি টেলিভিশনে আমরা বাদশাহ ফাহাদের আরবী বক্তব্য এবং তার ইংরেজি অনুবাদ শুনতে পাচ্ছি। বাদশাহের কন্ঠ ছিল আবেগাপ্লুত । আবেগের সাথে বাস্তব মিশে ইরাকের জন্য দিশারি এ বক্তব্য, যদি ইরাক নিজের ইজ্জত রক্ষা করতে চায় এবং চায় মুসলিম উম্মার ঐক্য।
বাদশাহ ইরাকের প্রতি তাঁর আহবানে বললেন – আমরা অতীতে ভ্রাতৃত্ববন্ধনে আবদ্ধ ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব। যদি শান্তি চাও তবে কুয়েত হতে সরে যেতে হবে। সব সময় যুদ্ধ করাটাই বীরত্ব নয়, অনেক সময় শান্তির অন্বেষায় সাহায্য করাটাও বীরত্ব। তবে এর আগে বাদশাহ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বললেন- যদি যুদ্ধ করতে চাও তবে আমরাও যুদ্ধ করতে প্রস্তুত, আর যদি শান্তি চাও তাহলে কুয়েত হতে সরে দাঁড়াও।
বাদশাহ ফাহাদের এই বক্তব্য বিদেশের প্রচার মাধ্যম গুলো লুফে নিয়েছে। বিবিসি’র আজ হেড লাইন ছিল বাদশাহের বক্তব্য। অনেক দুর্যোগের মাঝে হঠাৎ দেখা সুর্যের মুখের মত যেন শান্তির দূত।
ইরাক অবশ্য বাদশাহ ফাহাদের বক্তব্যের জবাবে সাড়া দেয়নি তবে তারা নিরাপত্তা পরিষদ সহ বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত তার দূতদের ডেকে পাঠিয়েছে। আমি যখন ডাইরি লিখছি ততক্ষণে ১০ জন দূত ইরাকের মাটিতে পৌঁছে গেছে।
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!