রাজ্য ও রাজকন্যারা – শফিউদ্দিন সরদার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

রাজ্য ও রাজকন্যারা – শফিউদ্দিন সরদার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ শফিউদ্দিন সরদার

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৮৭

রাজ্য ও রাজকন্যারা – বইটির এক ঝলকঃ

মিস্ বিউটির বন্ধুত্রয় বসে বসে গোস্বায় ফুঁসছিল। সাদিকুল হক বেরিয়ে গেলে সখেদে বললো- চিড়িয়াটা এভাবে অপমান করলো আমাদের, আপনি তবু একটা কথাও বললেন না?
বিলকিস্ আরা বিউটি আমতা আমতা করে বললো- কি বলবো, বলুন? ওর তো স্বভাবটাই ঐ রকম। কথা বলতে লাগলে কোনদিকে তাকিয়ে বলে না ।
ঃ এতবড় বেয়াদব?
ঃ বেয়াদব তো বটেই। আমাকেও কি কথা শুনাতে কম করে কিছু? কিন্তু করার কিছু নেই।
ঃ কিছু নেই মানে? ঘাড় ধরে এখনই ওকে এ বাড়ি থেকে বের করে দিন। পথের জঞ্জাল পথে নেমে যাক ।
আবু হাফিজ বললো- তাহলে কি আর রক্ষে আছে আঙ্কেল? ওর ঘাড়ে যে হাত দেবে, নানাজানের হাত তখনই এসে তার ঘাড়ে পড়বে। সে তখন বুঝতে পারবে, কত ধানে কত চাল।
আবু হাফিজ মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো। বিদ্যুৎ মিয়া বললো- অর্থাৎ?
বিকিস আরা বললো- অবস্থাটা ঐ রকমই। ওর ব্যাপারে আমরা বড়ই অসহায়।
ঃ তাজ্জব ব্যাপার !
এরই মধ্যে নাস্তা চলে এলো। বিউটি বিবির হুকুম তাই তিন জনের জায়গায় নাশতা এলো পাঁচজনের আর ঝি- চাকরেরাই পরিবেশন করে খাওয়ালো। বিলকিস্ আরা বসে রইলো চুপচাপ। নিজে সে কিছুই মুখে দিলো না। তা দেখে বিদ্যুৎ মিয়া বললো- ওহো, আপনাকে তো দিলো না! ঠিক আছে, আমিই আপনাকে পরিবেশন করে খাওয়াচ্ছি।
বলেই সে ট্রে থেকে একটা রেকাবী এনে বিলকিস আরার সামনে ধরলো। বিকিস্ আরা তা প্রত্যাখ্যান করে হাসিমুখে বললো- থাক থাক্, নাশতার পাট আগেই আমি চুকিয়েছি। আর কিছু খাওয়ার উপায় নেই ।
হতাশ হয়ে ফিরে এলো বিদ্যুৎ মিয়া। থপ্ করে বসে ক্ষুব্ধকণ্ঠে বললো- নাঃ আনন্দটা বিলকুলই মাটি করে দিলেন। কোথায় আপনি পরিবেশন করে আমাদের খাওয়াবেন, আমাদের পাশে বসে নিজে আপনি খাবেন, তা নয় একদম ফাঁকে সরে রইলেন। ঝি-চাকরেরা খাওয়ালে মনে হয় ঠিক যেন হোটেলে বা রেস্টুরেন্টে খাচ্ছি।
আবু হাফিজ বললো- এ বাড়িতে এইটেই নিয়ম আঙ্কেল। আগেও তো দেখেছেন, এ বাড়িতে মেহমানদের ঝি- চাকরেরাই খাওয়ায়। মালিকেরা বড়জোড় পাশে বসে থাকেন । আন্টিতো সাথেই আছেন আপনাদের। আর আফসোস কি?
বিপ্লব মিয়া নারাজ কণ্ঠে বললো- তোমার কথাগুলো ঐ লোকটার মতোই খানিকটা সূচালো ভাগ্নে। গায়ে যেন কেমন ফুটে।
আবু হাফিজ হেসে বললো- সঙ্গদোষ আঙ্কেল । ঐ লোকটা এ বাড়িতে আরো কিছুদিন থাকলে কি যে দশা হবে আমার। হয়তো আপনাদের সমাজ থেকে খারিজ হয়েই যাবো ।
ঃ সাবধান, সাবধান। ওর ধারে কাছেও যেও না। গেলে কিন্তু পিছিয়ে পড়বে
বিস্তর ।
নাশতার পর আরো কিছুক্ষণ গুলতানি মেরে বিদায় হলো মিস্ বিউটির বন্ধুরা । এরপর আবু হাফিজের সাথে দু’চারটে কথা বলতেই ফিরে এল সাদিকুল হক। তা দেখে বিলকিস্ আরা বিস্মিতকণ্ঠে বললো- সে কি! এত শিগগির ফিরে এলে যে? সবকিছু ঠিকঠাক এনেছো তো?
না?
সাদিকুল হক বললো- জী জী। দৌড়ের উপর গিয়ে দৌড়ের উপর এলাম কি
বলেই ফর্দ মিলিয়ে মিলিয়ে ওষুধগুলো টেবিলের উপর রাখলো। এরপর টাকা পয়সা বের করে বললো- ওষুধের দাম সাড়ে তিরানব্বই টাকা আর যাতায়াত তিন টাকা, মোট সাড়ে ছিয়ানব্বই টাকা। বাঁচে এই দু’শো সাড়ে তিন টাকা ।
এক শো টাকার দুইখানা নোট ও খুচরা সাড়ে তিন টাকা বাড়িয়ে ধরলো সাদিকুল হক । বিলকিস্ আরা সবিস্ময়ে বললো- কি বললে? যাতায়াত তিনটাকা মানে? চার টাকার কমে তো কোন রিকশাই রানী বাজার যাবে না। যেতে চার, আসতে চার। এই আট টাকা তো ফেলে ছেড়ে লাগবে। দাও বুঝে পাঁচটাকা ভাড়াও হাঁকতে পারে রিকশাওয়ালা। তিন টাকা বলছো কেন?
ঃ জী মানে একটি রেডি রিকশা হাতের কাছে পেলাম। একজন আছে, আর একজন চাই । উঠে পড়লাম সে রিকশায় আর দু’ টাকাতেই হয়ে গেল। ফেরার সময় একটা বাস পেলাম এদিকের। এদিক হয়েই বাসস্ট্যাণ্ডে যায়। ভাড়া লাগলো এক টাকা। এই মোট তিন টাকা। বাস থেকে নেমে এটুকু পথ দৌড়ের উপর এসেছি। তাড়াতাড়ির ব্যাপার তো?
ঃ তাজ্জব! এত পেরেশানীতে যাওয়ার কি দরকার ছিল!
একশো টাকার নোট দুটো হাত থেকে নিয়ে বিলকিস্ আরা ফের বললো- খুচরা ঐ সাড়ে তিন টাকা আর দিতে হবে না। ওটা তুমি রেখে দাও ।
বিস্মিতনেত্রে চেয়ে সাদিকুল হক বললো কেন, আমি রাখবো কেন? এ পয়সা
তো আমার নয় ।
ঃ অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছো, তার দাম হিসাবেই রাখো।
: জী না আমি আমার কর্তব্য পালন করেছি। দাম নিয়ে কেউ কর্তব্য পালন করে না আর দাম নিলে তো আর তা কর্তব্য থাকে না।
ঃ বটে। তাহলে বকশিস হিসেবেই রাখো ওগুলো। ঃ মাফ করবেন, আমি কোন বকশিস নেইনে ।
ঃ নাও, নিলে আমি খুশি হবো। অন্ততঃ আমাকে খুশি করার জন্যেই ওটা রাখো।
ঃ কিন্তু আমি তো তাতে খুশি হতে পারবো না মেম সাহেব। বকশিস নেয় কুলি মজুর, চাকরেরা । আমি কি তাই যে বকশিস নেবো?
খুচরা ঐ সাড়ে তিন টাকা টেবিলের উপর রেখে দিলো সাদিকুল হক। তা দেখে বিলকিস আরা রুষ্টকণ্ঠে বললো- বটে? কিন্তু সামান্য পয়সা না হয়ে ওটা যদি বেশি পয়সা হতো? সাড়ে তিন টাকার জায়গায় যদি সাড়ে তিনশো টাকা বকশিস দিতে চাইতো কেউ, তখন কি করতে? এসব নীতির বুলি আসতো কি মুখে?
সাদিকুল হকের মুখমণ্ডল কঠিন হলো। বললো- সাড়ে তিন লাখ হলেও আমি হাত দিয়ে ছুঁইতাম না। কোন কৃতিত্বের পুরস্কার বা নকরীর বেতন ছাড়া কারো কোন দয়ার দান গ্রহণ করিনে আমি। দাতা এতে নাখোশ হলেও আমি নিরুপায়। ঃ তার মানে? আমাকে অপমান করছো তুমি?
ঃ কসুর মাফ করবেন মেম সাহেব। একজনের নীতি-আদর্শ আর রুচির উপর এইভাবে কি জোর খাটানো ঠিক? কলেজে পড়েন আপনি, একজন বিবেকসম্পন্ন মহিলা, অনেক আপনার জ্ঞান। এটুকু বিবেচনা কি আপনার কাছে আশা করতে পারিনে। আমি
সাদিকুল হকের মুখের দিকে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে রইলো বিলকিস আরা বিউটি। সাদিকুল হক ফের সবিনয়ে বললো- এখনই মাগরিবের আযান শুরু হবে। অপরাধ নেবেন না মেম সাহেব, আমি যাই-
সাদিকুল হক কক্ষ থেকে বেরিয়ে গেল। নির্বাক হয়ে চেয়ে রইলো বিলকিস আরা। সেদিকে কটাক্ষ করে আবু হাফিজ হাসিমুখে বললো- সত্যিই আন্টি, লোকটাতো আসলেই এক আজব চিড়িয়া! জজ সাহেবের কন্যাকে খুশি করার জন্য কেঁচো গিলতেও রাজী থাকে সবাই, আর এ বুদ্দু এই পয়সা কয়টা নিলো না? মিয়াসাহেব তো ভাবিয়ে তুললো বড্ড !
মিস বিউটি তখনও নির্বাক।
সেদিন ফটকের কাছে দাঁড়িয়েছিল সাদিকুল হক। বই পুস্তকের ব্যাগ হাতে আবু হাফিজকে বাড়ি ফিরতে দেখে প্রশ্ন করলো- কি ব্যাপার হাফিজ সাহেব? এত সকাল সকাল কোথা থেকে? স্কুলে যাননি আজ?
থমকে দাঁড়িয়ে গেল আবু হাফিজ। ম্লান কণ্ঠে বললো- দেখুন আঙ্কেল, আপনি আমার চেয়ে বয়সে অনেক বড়। আমার স্যারদের বয়সী। আপনি আমাকে “আপনি আপনি” করলে কেমন লাগে, বলুন? “তুমি” বলবেন আমাকে ।
সাদিকুল হক খুশি হয়ে বললো- তুমি বলবো?
আবু হাফিজ বললো—তাই কি ঠিক নয় আঙ্কেল? সেইটেই তো স্বাভাবিক। তাতে সম্পর্কটা আমাদের সহজ সরল হয়। আমাকে শরমে পড়তে হয় না।
ঃ বহুত আচ্ছা । হ্যাঁ, আমি তোমাকে “তুমি” বলতে পারি, তবে শর্ত আছে একটা। ঃ শর্ত!
ঃ আমার বেলায় তোমাকে ঐ আঙ্কেল ডাক ছাড়তে হবে। আমাকে চাচা বলবে, চাচা ।
: চাচা বলবো? খুব ভালো, খুব ভালো। ডাকটা প্রায় ভুলেই যেতে বসেছি। ঃ ভুলেই যেতে বসেছো?
: জী-জী। আমাদের পরিবেশে আঙ্কেল ছাড়া চাচা বললে সবাই নাখোশ হন । ব্যাকডেটেড বলে টিপ্পনী কাটেন। আর আমাদের কথাই বা বলি কেন? বাজারের মুসলমান কুলি-মজুর আর দোকানদারেরাও কম তো যায় না। তাদেরও অনেককে দেখি, মুরুব্বীদের হয় আঙ্কেল, নয় কাকা বলছে। চাচা বলতে শুনিইনে বড় একটা ।
: অথচ ঐ আঙ্কেল বা কাকা- কোনটাই আমাদের পরিভাষা নয়। বিজাতীয় পরিভাষা। অন্য জাতির সম্বোধন ।
: জী চাচা, তা তো বুঝি। কিন্তু কেন যে এমন হলো-
ঃ ঐ যে সবাই প্রগতি-প্ৰগতি করে, ঐ প্রগতিই প্রসব করেছে এটা। প্রগতির পাল্লায় পড়ে আমাদের স্বকীয়তাই আমরা হারিয়ে ফেলতে বসেছি। তা যাক, বই পুস্তক নিয়ে কোথা থেকে ফিরছো?
: স্কুল থেকে চাচা । স্কুলটা আজ সকাল সকাল বন্ধ হয়ে গেল কি না?
: সকাল সকাল বন্ধ হলো?
: জী । আমাদের এ্যাসিস্ট্যান্ট হেড মাস্টার সাহেব ট্রান্সফার হয়ে গেলেন ৷ ফাস্ট পিরিয়ডের পরেই তাঁর ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠান হলো। তারপরে আর ক্লাস হলো না । স্যারেরা মিটিং-এ বসে গেলেন ।
ঃ আচ্ছা। তা তুমি কোন স্কুলে পড়ো?
: এখানকার সরকারী স্কুলে চাচা ।
: ক্লাস টেনে পড়ো, না?
: জী – জী।
: তোমার আন্টি কোন কলেজে পড়েন?
: আন্টিও এখানকার সরকারী কলেজে পড়েন ।
ঃ কোন ইয়ারে পড়েন তিনি?
: অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে ।
: অনার্স নিয়েছেন? বাহ্! কোন সাবজেক্টে?
ঃ ইসলামের ইতিহাসে।
অলক্ষ্যে চমকে উঠলো সাদিকুল হক। তার নিজের সাবজেক্টও এই ইসলামের ইতিহাস । হাই মাদ্রাসা পাস করে সে জেনারেল লাইনে আসে আর ইসলামের ইতিহাসেই অনার্স ও এম.এ করে। দুটোতেই সে ফাস্ট ক্লাস পায়। প্রথম স্থান অধিকার করে দুটোতেই। কিছুক্ষণ সবিস্ময়ে চেয়ে থাকার পর সাদিকুল হক বললো- কি বললে? ইসলামের ইতিহাসে?
8 জী চাচা। এবার তাঁর সেকেন্ড ইয়ার যাচ্ছে।
: কি বিচিত্র ব্যাপার। ইসলামের আদর্শ- অতীত, এসবের প্রতি তাঁর কোন আগ্রহ আছে বলে তো মনে হয় না? তিনি হঠাৎ এ সাবজেক্টে অনার্স নিলেন মানে?
আর কোন সাবজেক্টে যে চান্স পাননি। ইন্টারমেডিয়েটে এই সাবজেরেই একটু বেশি নম্বর ছিল বলে এখানে চান্স পেয়েছেন। আন্টির উদ্দেশ্য অনার্স পড়া । ইসলামের প্রতি কোন আকর্ষণের জন্যে নয়।
ঃ তাই বলো। তা, ইসলামী চালচলন কিছুই বুঝি এ বাড়িতে নেই?
ঃ মানে?
ঃ মানে, নামাজ, রোজা কেউ বুঝি করেন না?
ঃ জী না- জী না। এ বাড়িতে ওসব কিছু নেই বললেই চলে। আগে তো ছিলই না। নানীজানই একটু আধটু করতেন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনিও আর পারেন না । ঃ আর তোমার নানাজান?
ঃ অবসর নেয়ার আগে কি করেছেন জানিনে। শুনেছি, নানা জাতির হাই হাই সোসাইটিতে ঘুরে বেড়াতেন সে সময়। অবসর কাটাতেন ক্লাব, টেনিস এসব নিয়ে। কাজেই
: বলো কি! মদ-টদও খেতেন নাকি?
ঃ জী না- জী না। ঐ দোষটা তার কোন দিনই ছিল না। এ নিয়ে শুনেছি তাঁর বন্ধু- বান্ধবেরা ঠাট্টা করতেন প্রায়ই।
ঃ তা করুক। এও একটা মস্ত বড় ভালো দিক তাঁর।
ঃ অবসর নেয়ার পর থেকে জুমআর নামাজটাও ধরেছেন তিনি।
ঃ আলহামদুলিল্লাহ । আর ওয়াক্তিয়া নামাজ?
: জী না, এতদিন সেসব দেখিনি। এই অল্পদিন হলো আবার দেখছি, সকাল- সন্ধ্যার নামাজটাও পড়তে শুরু করেছেন। হয়তো বা আপনারই দেখাদেখি ।
আবু হাফিজ মৃদু মৃদু হাসতে লাগলো। সাদিকুল হক অনুচ্চ কণ্ঠে বললো- আল্লাহতায়ালা তাঁকে সুমতি দান করুন।
ঃ জী?

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top