রাজার ছেলে কবিরাজ – শফিউদ্দিন সরদার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ শফিউদ্দিন সরদার
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২৬
রাজার ছেলে কবিরাজ – বইটির এক ঝলকঃ
মাথা কেটে ফেললো। মাটিতে পড়ে অজগরটা মরে গেল । শাহজাদাও ধীরে ধীরে গাছ থেকে নেমে এলো।
মাটিতে পা দিয়েই গাছের উপর মানুষের কথা শুনে শাহজাদা আবার চমকে উঠে উপরে তাকালো। দেখলো, মানুষ নয়। দুটো পাখী কথা বলছে মানুষের মতো। এ পাখী দুটোই ঐ বাচ্চা দুটোর বাপ মা । তারা বাসায় ফিরে এসেছে এর মধ্যে।
পাখী দুটো বলছে, তোমাকে শত শত ধন্যবাদ শাহজাদা। আমাদের বাচ্চা দুটোকে তুমি বাঁচিয়েছো। আমাদের বড়ই উপকার করেছো তুমি।
শাহজাদা বললো – সেকি! তোমরা তো পাখী। মানুষের মতো কথা বলছো, মানে?
পাখী দুটো বললো—আমরা সাধারণ পাখী নই। আমরা শুক-শারী। আমি শুক আর এ শারী । আমরা বর-বউ । আমরা সবকিছু জানি।
শাহজাদ বললো—সবকিছু জানো ?
এবার শুক পাখীটা বললো –হ্যাঁ, জানি। অনেক কিছু করতেও পারি আমরা। তুমি যে কেন এমন মন মরা হয়ে আছো তাও আমরা জানি। দুনিয়ার সবচেয়ে বড় কবিরাজ হতে চাও তুমি । তোমাকে আমরা তাও বানাতে পারি ।
শাহজাদা বললো— পারো ?
শুক বললো—হ্যাঁ পারি আর তোমাকে তাই আমরা বানাবো। তুমি আমাদের মস্তবড় উপকার করেছো । আমরাও তোমার উপকার করবো। একটু দাঁড়াও-
” বলেই শুক পাখীটা উড়ে গিয়ে চোখের পলকেই রংগিন একটা পাতা নিয়ে এলো আর সে পাতাটা শাহজাদার সামনে ফেলে দিয়ে বললো – এ পাতাটা চিবিয়ে খেয়ে ফেলো। তাহলেই তুমি এ দুনিয়ার সবচেয়ে বড় কবিরাজ হয়ে যাবে। কোন্ লতাপাতা আর কোন্ শিকড়-বাকলা দিয়ে কোন্ রোগ ভাল হবে সবই তা শিখে ফেলবে। শিকড় বাকলা ছাড়াও, আর কোন্ রোগের কি চিকিৎসা এই দেশে আছে, তাও শিখে ফেলবে।
শাহজাদাকে আর পায় কে? সংগে সংগে পাতাটা সে চিবিয়ে খেয়ে ফেললো। খেয়ে ফেলেই সে বুঝতে পারলো, হ্যা ঠিক। সে সবচেয়ে বড় কবিরাজ হয়ে গেছে। সব রোগের পাশাপাশি সেই রোগের লতাপাতা শিকড় ছাল তার মনের মধ্যে ভেসে বেড়াচ্ছে। কবিরাজীর সব ওষুধ সে চিনতে পারছে এখন।
শাহজাদার আনন্দ আর দেখে কে ? শুক-শারীদের অনেক অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে আবার সে বেরিয়ে পড়লো গরীবদের চিকিৎসায়।
এবার সে চলে এলো এক পাহাড়ী এলাকায়। মাটির পাহাড়, পাহাড়ের গায়ে অনেক গাছ-
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!