রাজবিহঙ্গ – শফিউদ্দিন সরদার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

রাজবিহঙ্গ – শফিউদ্দিন সরদার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ শফিউদ্দিন সরদার

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৩১৭

রাজবিহঙ্গ – বইটির এক ঝলকঃ

ঃ জরুর। এই সিধা কথাটাই বোঝো না? কি আমার নসীব! এই রকম একটা না-লায়েক আর জাহেল আউরাতই আমার আলী বেগম হওয়ার জন্যে ওঁৎ পেতে আছে ।
বলেই ফের শাহান শাহ ঈষৎ হাসি হাসলেন। সঙ্গে সঙ্গে শাহজাদী কপট রোষে বললেন—আমার দায় পড়েছে কোন অদৃনা আদমীর বেগম হতে। আমার যিনি খসম হবেন তিনি হবেন জ্ঞানবান আর বুদ্ধিমান। কোন অপ্‌না আদমী নয় ।
: তাই? তা অদৃনা আদমী হলেম আমি কি করে। অদ্‌না আদমী হলে কি আর বাদশাহ হতে পারতাম ?
ঃ বাদশাহ হওয়ার আগের কথা তো বলছিনে আমি। আমি বলছি বাদশাহ হওয়ার পরের কথা। বাদশাহ হওয়ার পরই তো মানুষ অদ্‌না বা বেয়াকুফ বনে যায়। তখন একটা ফকিরের যে স্বাভাবিক জ্ঞানবুদ্ধি থাকে, বাদশাহর তা থাকে না।
থাকে না ?
ঃ না । অন্ততঃ আমার তাই মনে হয়।
শাহান শাহর চোখের নজর স্থির হলো। এবার সত্যিই তিনি কিঞ্চিৎ বিস্মিত হলেন। রসিকতা খাটো করে সবিস্ময়ে বললেন – তোমার এমনটি মনে হওয়ার কারণ?
: কারণটা তো স্পষ্ট। বাদশাহ হওয়ার পরইতো মানুষ একটা কৌটার মধ্যে ঢুকে যান। তিনি তখন নিজে কিছু দেখতেও পান না, শুনতেও পান না। অন্যেরা যা দেখান আর শুনান, তাই তখন দেখেন আর শুনেন। ফকির-মিস্কীন আর সাধারণ মানুষ স্বাধীনভাবে যে রকম দেখেন শোনেন বোঝেন, বাদশাহ হলে আর সে মওকা থাকে না।
শাহান শাহর ললাটে এবার কুঞ্চন দেখা দিলো। তিনি গভীর কণ্ঠে বললেন —তার অর্থ ?
: বাঃ ! অমনি রাগ হলো ? কথাটা আমার সত্যি কিনা, তাই আগে বলো ?
একই রকম কণ্ঠে শাহান শাহ বললেন—এ প্রশ্ন হঠাৎ কেন তুলছো তুমি, সেইটেই আগে শুনতে চাই।
শাহজাদীও গোস্বা হলেন। গাল ফুলিয়ে বললেন— যাও, তোমার সাথে আর আমার কোন কথা নেই। একটা কথা বললাম আর অমনি বাদশাহগিরি শুরু হলো । আমি কি তোমার প্রজা না কর্মচারী ?
শাহজাদী গোমড়া মুখে ঘুরে বসলেন। তা দেখে শাহান শাহ কণ্ঠস্বর হাল্‌কা করে বললেন—কি হলো।
শাহজাদী সখেদে বললেন বাপরে বাপরে বাপ্ । হঠাৎ একটু খাহেশ হলো বলেই একটা কথা জানতে চাইলাম, অমনি শুরু হলো প্রশ্ন—কেন, কি বিষয়, কি কারণ—ইত্যাদি ! যেন তিন মুলুকের কোন এক দুখমন এসে দাঁড়িয়ে গেছে সামনে । অদৃনা বলি সাথে ?
শাহজাদী উঠে যাওয়ার উদ্যোগ করলেন। শাহজাদীর কথার ধরনে শাহান শাহর দীলে স্বাভাবিকভাবেই একটা সংশয়ের উদয় হয়েছিল । কিন্তু অতি আদরের এই নাতনীটিকে নাখোশ হয়ে উঠে যেতে দেখে সে সংশয় তার উবে গেল । সঙ্গে সঙ্গে তিনি পূর্বাবস্থায় ফিরে এসে হাসি মুখে বললেন——এইরে। বেগম আমার বিগড়ে গেছে। আচ্ছা বাবা, ঘাটি হয়েছে, কসুর হয়েছে, মস্তবড় গতি হয়েছে গোলামের এবারের মতো মাফ করে দিয়ে কি বলছো, বলো । শাহজাদী গোস্বাভরে বললেন –কি বলবো? বাদশাহ হলে তো মানুষ আর সত্যি কথা সহ্য করতে পারে না ।
: না-না, আমি আর মোটেই বাদশাহ নই। আমি এখন গোলাম। আলী বেগমের একদম হাটে কেনা গোলাম। গোস্তাকী মাফ হোক, আর কদুর হবে না । শাহজাদীর রাগটা এবার পড়ে গেল। ফিক্ করে হেসে তিনি বললেন—বটে । জি-জি, বিলকুল। এবার বলো —-
ও সহ্য করতে পারবে তো ?
: সত্যি কথা ?
: আলবত-আলবত । আরে আমি হলেম এ মুলুকের ধর্মের রক্ষক, প্রধান বিচারক । সত্যি কথাইতো সবার কাছে শুনতে চাই আমি।
: সত্যি জবাব পাৰো তো ?
: তওবা ! খোদ শাহান শাহকে মিথ্যা বললে চলবে কেন? জরুর পাবে । তাহলে আগে বলো, আমি যা বললাম, তা সত্যি কিনা।
: কি বললে তুমি ?
: ঐ যে, বাদশাহ হলেই মানুষকে একটা কুঠরীর মধ্যে উঠতে হয়, সব কথা—সব খবর অন্যের মুখে শুনতে হয়, অন্যেরা যা দেখায় তাই দেখতে হয় – মানে যাকে বলে অন্যের তোলা খাবার তাঁকে খেতে হয়। হয় না ।
ঃ এ্যা । হ্যাঁ, তা হয়ই তো। সুলতান তো আর সাধারণ লোকের মতো হরহামেশাই গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-বাজারে ঘুরে বেড়াতে পারে না। তাকে একটা সীমিত গণ্ডির মধ্যে থাকতে হয়। অন্যের দ্বারাই তো সবকিছু জানতে শুনতে হয় তাকে। : হর হামেশাই সকলের প্রশংসা শুনতে হয়, না কি বলো ?
প্রশংসা !
ঃ হ্যাঁ প্রশংসা মানে তারিফ। দরবারেই হোক আর বাইরেই হোক, বাদশাহকে দেখলেই তো সবাই প্রশংসায় মুখর হয়ে উঠে। বলো, উঠে কিনা।
ঃ হ্যাঁ, উঠে।
ঃ তোয়াজ করে কথা বলে। বলে না । বলেই তো।
: শুনতে শুনতে তোয়াজটা ক্রমেই গা-সহা হয়ে যায়। হয় না।
ঃ হ্যাঁ হয়।
ঃ শেষ অবধি তোয়াজটাকেই সত্যি বলে মনে হয়। সত্যিটাকে আর কিছুতেই সত্যি বলে মনে হয় না।
তার মানে?
ঃ মানে, সত্যিটা বেমালুম মিথ্যা হয়ে যায়, আর মিথ্যাটাই সত্যির জায়গা দখল করে.)
: কি রকম?
ঃ রকমটা ঠিক পেঁচার মতো। পেঁচারাতো সবসময় কোটরে অর্থাৎ গর্তে লুকিয়ে থাকে। গর্তের মধ্যে আলো থাকে না। সেখানে থাকে অন্ধকার। ঘোর অন্ধকার। অন্ধকারে থেকে থেকে অন্ধকার তাদের গা-সহা হয়ে যায়। অন্ধকারই তখন তাদের কাছে আলো বলে মনে হয়। তাই তারা আলো দেখলেই আঁধার ভেবে কোটরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। আঁধার হলেই আলো ভেবে বেরিয়ে আসে। ঠিক নয় দাদু ?
সুলতানের দুই ভ্রূ আবার কুঞ্চিত হলো। এই নাতনীর প্রতি সুলতানের চরম দুর্বলতা বা স্নেহের কারণ মূলতঃ দুইটি। একটি, সে এতিম ও সুলতানের প্রতি তার প্রীতি আকর্ষণ অপরিসীম। অপরটি তার অসাধারণ মেধা। এতটা তীক্ষ্ণ মেধার আউরাত হেরেমে তাঁর বড় একটা আছে বলে জানা নেই সুলতানের। ফলে, তিনি শুরু থেকেই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন, তাঁর এই অতিশয় বুদ্ধিমতী নাতনীটা তাঁকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে। শেষাবধি তাঁকে যে সে এখানেই এনে দাঁড় করাবে, তাও তিনি বুঝেছিলেন। তিনি শুধু বুঝলেন না, এর পেছনে অন্তর্নিহিত কারণটা কি?
নাতনীর এই প্রশ্নের জবাবে শাহান শাহ পুনরায় কিছুটা গভীর কন্ঠে বললেন —তুমি কি মনে করো, বুড়ো হয়েছি বলে আমি বুরবক বনে গেছি? কিছুই বুঝি না ? ঃ কেন, তা বুঝবে না কেন ?
ঃ তাহলে এবার বলো তো দেখি, তোমার এই ভমিতার পেছনে আসল কথাটা তোমার কি ?
: উঁহুঁ । তার আগে তুমি বলো, আমি যা বললাম তা সত্যি কিনা । : অ্যা
ঃ ভুলে যেও না, তুমি সত্যিটা বলবে বলে কথা দিয়েছো আমাকে ! ঃ ও—হ্যাঁ। তা বক্তব্য তোমার কিছুটা সত্যি, বিলকুল সত্যি নয় । ঃ কিছুটা সত্যি তো ?
: হ্যাঁ, কিছুটা সত্যি। কিন্তু কেন, উদ্দেশ্য কি তোমার
শাহজাদী হেসে বললেন- উদ্দেশ্য এই যে, পুরোটা নহলেও, আমার এই দাদুটা যে কিছুটা বুরবক না অদৃনা, তা প্রমাণ করা।
: –
: তাই বৈকি । বাদশাহ হলে জ্ঞানী মানুষকেও যেখানে অদ্‌মা হয়ে যেতে হয়, সেখানে ঐ বাদশাহগিরি নাইবা করলে ওটা ছেড়ে দাওগে ।
: ছেড়ে দেবো ?
: আমার মনে হয় সেই ভাল। তোয়াজটাকে তোয়াজ বলে ভাবতেই যখন পারো না, ওর মধ্যে যে সত্যের বড়ই খেলাপ আছে, এটা যখন মগজে আদৌ খেলে না, তখন আস্ত একটা ভাল মানুষ খামাখা এইভাবে পঙ্গু হয়ে না থেকে ওটা ছেড়ে দেয়াই ভাল।
শাহান শাহ এবার ভারিক্কীচালে বললেন বেগম সাহেবা, অনা পেরে তো অনেক খেলাই খেললে । এবার মেহেরবানী করে বলবে কি, তোমার শেষ কথাটা কি ? : শেষ কথা !
: যা তোমার আসল বক্তব্য, সেইটে ! অনা-বুরবক যা-ই ভাবো, ভুলে যাচ্ছো কেন, আমি এ মুলুকের সুলতান তামাম লোকের মনোভাব আমাকে সঠিকভাবে আঁচ করে চলতে হয়। সেখানে আমি আমার এই পুঁচকে বেগমের মনোভাবটা আঁচ করতে পারবো না ?
: বটে ।
ঃ কেউ হা করলেই তার আধেক কথা বুঝতে পারি। তা না পারলে সুলতানী আমার থাকতো না। ওসব টালবাহানা রাখো। কি বলতে চাও তা ঝটপট বলোতো শুনি ।
সুলতান এবার যথার্থই গভীর হলেন। তা লক্ষ্য করে শাহজাদী ঢোক চিপে বললেন—ওরে বাপরে । ফের সুলতানগিরি শুরু হলো ? তা—মানে—কথাটা হচ্ছে—মানে, না, আজ থাক
: থাক মানে ?
ঃ আঁচ করতেই যখন পেরেছো, তখন এত তাড়া কিসের ? ছোটি বেগম
ঃ ভয় নেই-ভয় নেই। তোমার রাজ্য ঐশর্য নিয়ে কোন কথা নয়। কোন গুরুতর কথাও নয় । কথা আমার একেবারেই মামুলী।
মামুলী
: হ্যাঁ, বিলকুল মামুলী। আমি যা বলতে চাই তা ইতিমধ্যে বলেও ফেলেছি। আর তুমিও তা ঠিকই বুঝতে পেরেছো। বিস্মৃতির অতল তলে, কেউ জনমনে জেগে রইলেন অনেক দিন। এঁদের আবার কেউ কেউ নানাবিধ কারণে জেগেই শুধু রইলেন না, বাঙ্গালার ইতিহাসে অমর হয়ে রইলেন। শাহান শাহ আলাউদ্দীন হোসেন শাহ এমনই এক বিরল ব্যক্তিত্ব, যিনি শৌর্যে-বীর্যে, গুণে ও মহত্বে শুধু বাঙ্গালার ইতিহাসেই নয়, বিশ্বের ইতিহাসে এক অবিনশ্বর আসন দখল করে নিলেন।
রাজা গণেশ পুত্র জালাল উদ্দীন মুহম্মদ শাহ (যদু)র বংশের অবলুপ্তির পর এবং মসনদ নিয়ে সা’দী খান ও নাসির খান নামক দুই নওকরের প্রতিদ্বন্দ্বিতার কালে ইলিয়াস শাহী বংশের পুনরুত্থান ঘটে নাসির উদ্দীন মাহমুদ শাহর মাধ্যমে। সুলতান নাসির উদ্দীন মাহমুদ শাহ ও তৎপুত্র রুকনউদ্দীন বারবক শাহ দেদীপ্যমান দীপসম বাঙ্গালার তখতে আসীন থাকেন। এঁদের পরেই এ বংশের আলো স্তিমিত হয়ে আসে। এঁদের পরে আর তিনজন সুলতান যথাক্রমে শামসউদ্দীন ইউসুফ শাহ্, সিকান্দর শাহ ও জালাল উদ্দীন ফতেহ শাহ তের-চৌদ্দ বছর কাল বাঙ্গালা মুলুক শাসন করেন। তাঁদের আমলে হাবসী সেনাসৈন্য ও ক্রীতদাসদের প্রতিপত্তি আগাছাবৎ শত পল্লবে বৃদ্ধি পেতে থাকে । শেষ অবধি এই বংশের শেষ সুলতান জালাল উদ্দীন ফতেহ শাহ হাবসীদের উদ্ধত্যে ক্রুব্ধ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কিন্তু তখন অসময় । হাবসীদের ক্ষমতা তখন তুঙ্গে। ফলশ্রুতিতে, হাবসীরা দল পাকিয়ে ফতেহ শাহকে হত্যা করে এবং জনৈক বরবক শাহ সুলতান শাহজাদা’ নাম ধারণ করে বাঙ্গালার ততে উঠে বসেন। নিহত ফতেহ শাহর পত্নী ও শিশু পুত্র প্রাণ ভরে প্রাসাদ থেকে পালিয়ে যান এবং প্রত্যন্ত এলাকার সাধারণ প্রজার মতো দুঃখে কষ্টে কালাতিপাত করতে থাকেন।
হাবসীদের শাসনকাল মাত্র ছয় থেকে সাত বছর স্থায়ী হয়। এই সয় সময়ের মধ্যে এই গোত্রের চার চারজন সুলতান একে অন্যকে সরিয়ে মসনদ দখল করেন। অবশেষে যে মূল্যে খরিদ সেই মূল্যে বিক্রয়বৎ ক্ষুব্ধ আমীর-উমরাহর হাতে এই গোত্রের শেষ সুলতান শামস্ উদ্দীন মোজাফফর শাহ নিহত হন এবং সেই সাথে হাবসী কুশাসনের অবলুপ্তি ঘটে। হাবসীদের সরিয়ে গৌড়ের আমীর-উমরাহ সৈয়দ হোসেন নামের এই শাহান শাহ আলাউদ্দীন হোসেন শাহকে বাঙ্গালার তখতে অধিষ্ঠিত করেন। মসনদে অধিষ্ঠিত হওয়ার অল্পকাল পরেই সুলতান আলাউদ্দীন হোসেন শাহ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার খাতিরে বাঙ্গালার রাজধানী গৌড় থেকে অল্প কিছু দূরে একডালায় স্থানান্তরিত করেন।
অতপর এই আলাউদ্দীন হোসেন শাহর অধীনে বাঙ্গালা মুলুক ধীরে ধীরে নয়া সুরুজের আলোকে উদ্ভাসিত হয়ে উঠে। পদযাত্রা শুরু হয় নতুন অধ্যায় ও নতুন ইতিহাসের। নিশ্চিত হয় প্রজাকুলের সুখ-সমৃদ্ধি, প্রসার ঘটে অনুপম স্থাপত্য শিল্পের, বিকাশ ঘটে অনবদ্য কাব্য-সাহিত্যের। বাঙ্গালা মুলুক উজ্জ্বল হয় দুর্লভ এক স্বর্ণযুগের আৱিৰ্ভাবে।
কিন্তু শাহান শাহ আলাউদ্দীন হোসেন শাহ কুসুমাস্তূর্ণ পথে বাঙ্গালার এই সুখ- শান্তি বিধান করতে পারেন না। নিদারুণ কণ্টকের নির্মম আঘাতে পদে পদে তাঁকে ক্ষত-বিক্ষত হতে হয়। বিপর্যন্ত হতে হয় কুচক্রীদের চক্রান্তে। সুবিশাল হৃদয়ের বিপুল ঐপর্যের বলেই তিনি সকল বাধা জয় করে বাঙ্গালার এই সমৃদ্ধি হাসিল করেন । তিনি তাঁর পথপরিক্রমায় ভুল করেন অনেক, বিশ্বাস করেন অধিক, মাসুল দেন

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top