অবশেষে মিলন – কাসেম বিন আবুবাকার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ কাসেম বিন আবুবাকার
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৫৫
অবশেষে মিলন – বইটির এক ঝলকঃ
ফলে আর সন্তানের প্রতি মায়ের দোয়া বিফলে যায় না। হলও তাই। মাস খানেকের মধ্যে মনিরুলের চিঠি পেয়ে চাকরির ও ভার্সিটিতে এ্যাডমিশনের খবর জেনে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করলেন। তিনিও মাঝে মাঝে ছেলের পত্রের উত্তর দেন। এভাবে এক বছর পার হয়ে যেতে চিঠিতে একবার গোপনে দেখা দিয়ে যেতে বললেন ।
মনিরুল উত্তরে জানাল, তা সম্ভব নয়। তোমার কথা রাখতে পারলাম না বলে মাফ চাইছি। তুমি দোয়া কর, আমি যেন একেবারে পড়াশোনা শেষ করে তোমাদের পাক কদমে সালাম করতে পারি। এভাবে আড়াই বছর পার হবার পর মনিরুলের ফাইন্যাল পরীক্ষা এগিয়ে এল।
ভার্সিটি থেকে রুটিন আনার জন্য আজ মনিরুল ওয়ার্কশপ থেকে গাড়ি করে বাসায় ফিরল। সে অফিসের গাড়ি সব সময় ব্যবহার করে। করিম সাহেব, আনোয়ারা বেগম বাসায় নেই। দিন পরের হল দেশের বাড়িতে গেছেন। বাসায় দু’জন বয়স্ক কাজের লোক ও দু’জন কাজের মেয়ে আছে। মেয়ে দু’জন তাদেরই স্ত্রী তাদের থাকার জন্য করিম সাহেব আঙ্গিনার একপাশে সেমিপাকা ঘর করে দিয়েছেন। তাদের ছেলে মেয়েরা দেশের বাড়িতে থাকে। মেয়ে দুটোর একজন রান্নার কাজ করে। অপর জন সবাইয়ের খাওয়া-দাওয়া করায়। মনিরুল মেয়ে দু’জনকে ছোট খালা ও বড় খালা বলে। বাসায় ফিরে যে খাওয়া-দাওয়া করায় তাকে বলল, বড় খালা, আমার নাস্তা রেডি কর আমি আসছি বলে সে নিজের রমে চলে গেল।
বড় খালা জানে মনিরুল যেদিন বিকেলে বাসায় ফিরবে সেদিন নিশ্চয় কোথায়ও যাবে বলল, আপনে গোসল কইরা আহেন, আমি নাস্তা রেডী করতাছি।
ঐ দিন ভার্সিটিতে এসে শুনল, টি. এস. সি. ভবনে ছাত্র-শিক্ষকদের সম্মেলন চলছে। কয়েকদিন কাজের চাপে সে ভার্সিটিতে আসতে পারে নি। তাই এই খবর জানত না। রুটিন নিয়ে ফেরার পথে ভাবল, সম্মেলনে গিয়ে কাজ নেই। শুধু সময়ের অপচয়। তারচেয়ে বাসায় গিয়ে পড়াশোনা করলে কাজ হবে। টি. এস. সি’র মোড়ে এসে মত পাল্টাল। চিন্তা করল, এখান দিয়ে যাচ্ছি যখন তখন সম্মেলনে কি বক্তৃতা হচ্ছে কিছুক্ষণ শুনেই যাই । গাড়ি পার্ক করে যখন হলে ঢুকল তখন বর্তমান সমাজের অবক্ষয়ের উপর একজন লেকচার দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, ‘সমাজের অবক্ষয়ের জন্যে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রধান কারণ হল, অশিক্ষা ও কুশিক্ষা। সর্বস্তরের মানুষ যদি শিক্ষা পেত, তা হলে সমাজের এত অবক্ষয় হত না।’ এইটুকু শোনার পর মনিরুলের আর থাকতে ইচ্ছে করল না। কারণ তার মনে হল, যিনি লেকচার দিচ্ছেন এবং যারা শুনছেন, তারা শিক্ষা বলতে শুধু আধুনিক শিক্ষাকে বুঝেছেন। ধর্মীয় শিক্ষা ও তার অনুশীলন না হলে যে আসল শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রয়ে যাচ্ছে এবং সেই কারণেই যে সমাজে এত অবক্ষয়, সেদিকটা কেউ চিন্তা করে দেখছে না। হল থেকে বেরিয়ে সে নিজের গাড়ির দিকে যাওয়ার সময় একটা ছেলে ও মেয়েকে তার সোজাসুজি এগিয়ে আসতে দেখে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছিল। মেয়েটার কথা তার কানে পড়ল, আরে এ যে দেখছি সেই গ্যারেজের ছেলেটা সঙ্গের ছেলেটিকে বলল, তুমি এখানে একটু দাঁড়াও, আমি ওর সঙ্গে দু’একটা কথা বলে আসি। তারপর দ্রুত এগিয়ে এসে মনিরুলের সামনে দাঁড়িয়ে বলল, তোমাকে, মানে আপনাকে আজ দুপুরে গ্যারেজে দেখলাম না?
মনিরুল এক পলক তার দিকে দৃষ্টি বুলিয়ে চিনতে পারল। বলল, আপনি ভুল করছেন। তারপর সে পাশ কাটিয়ে গাড়ির দিকে এগোল।
মনিকা ইডিয়েট বলে তার দিকে তাকিয়ে রইল।
মনিরুল কথাটা শুনতে পেয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে হাসি মুখে ধন্যবাদ বলে চলে গেল। মনিকা রেগে গিয়ে তাকে ইডিয়েট বলেছিল, প্রতিউত্তরে ধন্যবাদ জানাতে নিজেকে খুব অপমানিত বোধ করে আরো রেগে গেল। সে কটমট করে তার দিকে তাকিয়ে রইল।
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!
