মুসাফির – শফিউদ্দিন সরদার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ শফিউদ্দিন সরদার
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১৩০
মুসাফির – বইটির এক ঝলকঃ
মুসাফির সাহেব স্মিত কণ্ঠে কললেন- সে আমারই কাছে দীনি এলেম শিক্ষা
করতে আসে তো, তাই। শোনামাত্রই মুসাফির সাহেবের দিকে বিদ্যুৎ বেগে ঘুরে দাঁড়ালেন জেরিনা ম্যাডাম। শশব্যস্তে হাত তুলে বললেন- আস্সালামু আলাইকুম ।
মুসাফির সাহেব সালামের জবাব দিতেই জেরিনা ম্যাডাম ফের প্রফুল্ল কণ্ঠে বললেন- সে কি! আপনিই সেই মুসাফির সাহেব! কসুর নেবেন না, আমি চিনতে পারিনি; তাই কিছুটা বেয়াদবি হয়ে গেল।
ঃ না-না, কসুর কোথায়?
: আমার কি খোশনসিব, আজকেই আমি দেখা পেলাম আপনার। মানে, আপনার সাথে এই প্রথম সাক্ষাৎ হলো আমার । কত সুনাম আপনার ইউসুফের মুখে শুনি ।
ঃ ইউসুফ আলী বড়ই ভাল ছেলে। খুবই সৎ ছেলে। পড়াশুনাতেও খুবই মনোযোগী ।
ঃ দোআ করবেন ও যেন মানুষের মতো মানুষ হতে পারে। আপনার মতোই ওর যেন খ্যাতি ছড়ায় চারদিকে।
এর বেশি কথা এদের এগুতে পারলো না। ইতোমধ্যেই বোম ফাটা শুরু হলো গেদু মিয়ার চায়ের দোকানের দুয়ারে। সেখান থেকে একাব্বর আলী হুংকার ছেড়ে বলতে লাগলো, আরে এই এই এই ব্যাটা মুসাফির, এই ব্যাটা আজিজুল হকগিরি ছুটায়ে দেবো তোমার। একদম বেহক বানিয়ে ছাড়বো তোমাকে বেয়াদপ বেআক্কেল, কি হচ্ছে ওসব?
হক,
জেরিনা ও মুসাফির সাহেব সবিস্ময়ে সে দিকে তাকাতেই একাব্বর আলী ফের বিকৃত কণ্ঠে বললো- ইহ! গাঁয়ের যোগী ভিখ্ পায়না, বাইরের যোগীর আবদার। কি হচ্ছে ওসব? কি আরম্ভ করেছো তুমি ওখানে? দূর হও, দূর হও ওখান থেকে।
তার চিৎকারে স্টলের ভেতরের লোকজন বিরক্ত হয়ে উঠলেন। একজন রুষ্ট কণ্ঠে প্রশ্ন করলেন- চেঁচাচ্ছো কেন? কি হচ্ছে? কোথায় কি হচ্ছে?
এর জবাবে একাব্বর আলী ক্ষিপ্ত কণ্ঠে বললো- কোথায় কি হচ্ছে, দেখতে পাচ্ছো না? রাস্তায় আটকিয়ে গাঁয়ের এক সম্মানী মহিলার মানসম্মান হানী করছে বাইরের এক বদমায়েশ, তা চোখে পড়ছে না কারো?
ভেতর থেকে যিনি কথা বলছিলেন- তিনি একজন প্রভাবশালী লোক। উপস্থিত লোকদের অনেকেই তাঁর খুবই অনুগত। তিনি এবার ধমক দিয়ে বললেন- থামো। কাকে যাতা বলছো? উনি কে, তাকি জানো? চেনো উনাকে?
একাব্বর আলী তাচ্ছিল্যের সাথে বললো- চিনি-চিনি, খুব চিনি । সুন্দরী দেখলেই পথে-ঘাটে যে মেয়েছেলের ওপর হামলা করে, সে বদমায়েশই নয় শুধু, সে চরিত্রহীন লম্পট ।
গর্জে উঠলেন ভেতরের ঐ ভদ্রলোক। বিপুল রোষে বললেন-খামুশ ! এতবড় স্পর্ধা ! নিজে একজন জঘন্য আর মার্কামারা লম্পট হয়ে সজ্জনকে লম্পট বলো
তুমি ।
কিছুমাত্র ভ্রুক্ষেপ না করে একাব্বর আলী ঐ একইভাবে বললো-লম্পট- লম্পট, একশোবার লম্পট ।
আর যায় কোথায়। ক্ষেপে গেল ভেতরের তামাম লোকজন। সমস্বরে বলে উঠলো- মার মার শালাকে। সর্বজন শ্রদ্ধেয় হুজুরকে বলে বদমায়েশ আর লম্পট। দে শালার মুখ ভেঙ্গে।
সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন ঘুষি বাগিয়ে নিয়ে ছুটে এলো একাব্বরের দিকে। এবার ভ্রুক্ষেপ করতেই হলো একাব্বরকে। বেগতিক দেখে সে তৎক্ষণাৎ স্টলের দুয়ার থেকে লাফ দিয়ে নেমে দৌড়ের উপর পালিয়ে যেতে লাগলো আর চিৎকার করে বলতে লাগলো শুধু লম্পটই নয়, ও ব্যাটা নির্ঘাৎ একজন ফেরারি আসামি। নির্ঘাৎ ডাকাতি বা খুন করে এখানে এসে গা-ঢাকা দিয়ে আছে। থানায় খবর দিলেই বেরিয়ে পড়বে সব-
“তবেরে” বলে কয়েকজন তাড়া করে এলে, “ওরে বাপরে” বলে একাব্বর আলী পড়িমরি পালিয়ে গেল তাড়া-খাওয়া শেয়ালের মতো। এদিকের এই কাণ্ড দেখে যারপর নেই তাজ্জব হলেন মুসাফির সাহেব ও জেরিনা ম্যাডাম। আর কোনদিকে না চেয়ে জেরিনা ম্যাডাম তৎক্ষণাৎ সদর রাস্তায় নেমে এলেন এবং গৃহের পথ ধরলেন। কিছুক্ষণ ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থেকে মুসাফির সাহেবও আর চা খেতে এলেন না। ওখান থেকেই ঘুরে তিনিও পথ ধরলেন কাজী বাড়ির।
পরের দিন ইউসুফ আলী পড়তে এসে মুসাফির সাহেবকে বললো- হুজুর আমার আম্মা আপনাকে একটা অনুরোধ করেছেন। যদি কসুর না নেন তো বলি । সবিস্ময়ে চেয়ে থেকে মুসাফির সাহেব বললেন- তোমার আম্মা? তোমার আম্মা অনুরোধ করেছেন আমাকে? কি অনুরোধ বলো?
ইউসুফ আলী বললো- আম্মাজান আপনাকে দাওয়াত দিয়েছেন আমাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্যে। আমাকে তাঁর সে দাওয়াত পৌঁছে দিতে বলেছেন। ঃ তোমাদের বাড়িতে? মানে, মীর বাড়িতে?
: জি হুজুর। যদি দয়া করে একবার যান, তাহলে আমার আম্মা বড়ই খুশি হবেন।
ঃ তাই? কিন্তু আমাকে হঠাৎ দাওয়াত করার উনার কারণ কি ঘটলো?
ঃ সেটা আমি বলতে পারবো না হুজুর। সেটা আমার আম্মাজান জানেন । তবে আপনাকে যাওয়ার জন্যে উনি বিশেষ করে বলেছেন হুজুর, খুবই জোর দিয়ে বলেছেন। যাবেন একবার আমাদের বাড়িতে?
মুসাফির সাহেব ইতস্তত করে বললেন- যাবো তো, কিন্তু যাই কি করে? তোমার আম্মার নানাজান তোমাদের বাড়ির মালিক । তাঁর তরফ থেকে কোন ডাক না এলে, সেরেফ তোমার আম্মার ডাকে যাওয়াটা কি ঠিক হবে আমার?
ঃ কেন হুজুর, ঠিক হবে না কেন? আমার আম্মার নানাজান তো এসব কিছুই করেন না। কাউকে দাওয়াত করা, কোন অনুষ্ঠান করা- এসব তো সবই আমার আম্মাজানই করেন । যাওয়া আপনার ঠিক হবে না কেন?
: তাই নাকি?
ঃ আম্মাজান আপনাকে যেতে বলেছেন শুনলে আমার আম্মার নানাজান
দেখবেন খুবই খুশি হবেন। তিনি কত নাম করেন আপনার ।
ঃ আচ্ছা ।
ঃ আসুন হুজুর আজকেই বা আগামীকাল বিকেলে?
একটু চিন্তা করে মুসাফির সাহেব বললেন- ঠিক আছে, আগামীকাল বিকেলেই যাবো। তোমার আম্মাজানকে জানাবে, আগামীকাল আসরের নামাযের ঠিক পরেই গিয়ে হাজির হবো তোমাদের বাড়িতে।
ইউসুফ আলী খুশি হয়ে বললো- জি আচ্ছা হুজুর । জি আচ্ছা।
কথামতো পরের দিন আসরের নামাযের পরেই মীর সাহেবের বাড়িতে চলে এলেন মুসাফির সাহেব। আগে থেকেই বৈঠকখানার দুয়ার খুলে নিয়ে বসেছিলেন বাড়ির মালিক মীর মোতাহার হোসেন সাহেব। মুসাফির সাহেব বৈঠকখানার নিকটবর্তী হলে মীর সাহেব ডাক দিয়ে বললেন- কে? আপনি কি মুসাফির সাহেব? কাজী বাড়ির ইমাম সাহেব আপনি?
মুসাফির সাহেব বাইরে থেকে বললেন- জি-জি, আমিই। ইউসুফ আলীর আম্মা আমাকে-
মীর সাহেব খোশ কণ্ঠে বললেন- জানি-জানি, আর সেইজন্যেই তো আপনার অপেক্ষায় আমি এখানে বসে আছি। চোখে ভাল দেখতে পাইনে বলেই আপনি কিনা সেটা যাচাই করে নিলাম । আসুন-আসুন, সোজা ভেতরে চলে আসুন ।
বৈঠকখানার ভেতরে এসে মুসাফির সাহেব মীর সাহেবকে সালাম দিয়ে বললেন- সেকি! আপনি আমার অপেক্ষায় বসে আছেন?
সালামের জবাব দিয়ে মীর সাহেব বললেন- থাকতেই হবে। আমার নাতনির মুখে যখন শুনলাম আপনি আজ বাদ আসর আসবেন, তখন কি আর অপেক্ষায় না থেকে পারি? বাড়িতে মানুষ আমার খুবই কম। ইউসুফ আলী কেন যেন ইস্কুল থেকে এখনও ফেরেনি। আপনার মতো লোক এসে বাড়িতে কাউকে না দেখে ফিরে গেলে কি বেয়াদবির কোন সীমা থাকবে আমাদের? গুনাহগার হতেও কি কমতি থাকবে কিছু? দাঁড়িয়ে কেন? বসুন-বসুন । বসার আসনের প্রতি ইঙ্গিত করলেন মীর সাহেব। মুসাফির সাহেব আসন গ্রহণ করলে মীর সাহেব নিজেও বসে পড়লেন অপর একটি আসনে। বসতে বসতে বললেন- আমার কি খোশ-নসিব! আপনার মতো একজন বিখ্যাত আলেম মানুষ আজ আমার বাড়িতে এলেন। www.boighar.com
মুসাফির সাহেব বাধা দিয়ে বললেন- এহহে! এতক্ষণে তো সত্যি সত্যিই গুনাহ্গার করলেন আমাকে। মোটেই কোন বিখ্যাত আলেম আমি নই। আমার আগমনে আপনার মতো এমন একজন প্রবীণ ব্যক্তির এতটা বিহ্বল হওয়ার আর নিজেকে এতটা ধন্য মনে করার আদৌ কোন কারণ নেই। বরং আমারই আজ চরম খোশ কিসমতি যে আপনার মতো এমন একজন প্রবীণ ও জ্ঞানবৃদ্ধ ব্যক্তির নিবিড় সান্নিধ্যে আসার সুযোগ হলো আমার। আপনার নাতনি আমাকে ডেকে না পাঠালে হয়তো এমন কিসমত আমার কোনদিনই হতো না।
মীর সাহেব উৎসাহভরে বললেন- পাঠাবেই তো পাঠাবেই তো! আমার নতনির কথা বলছেন? সে এক আজব মেয়ে। আলেম-উলেমার সন্ধান পেলে, সে কি আর চুপ থাকে? সে যে উলামায়ে কেরামদের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। ইউসুফ আলীর মুখে আপনার সুখ্যাতি শোনার পর থেকেই তো সে আমাকে চাপ দিতেই আছে আপনাকে দাওয়াত করে আনার জন্যে। অচল মানুষ আমি। চোখেও ভাল দেখিনে। যাই যাই করতে করতে এবার ইউসুফ আলীর মাধ্যমেই সে দাওয়াত করে এনেছে আপনাকে। ঠিকই করেছে। আমার আশায় থাকলে হয়তো আরো কতদিন কেটে যেতো, কে জানে!
মুসাফির সাহেব হেসে বললেন- তাই নাকি? আলেমদের প্রতি উনি খুবই শ্রদ্ধাশীল ?
মীর সাহেব বললেন- শ্রদ্ধাশীলই তো। খাঁটি আলেমদের প্রতি সত্যিই সে শ্রদ্ধাশীল। অপরদিকে, আলেম নামধারী ভণ্ড আর অসৎ ব্যক্তিরা তার দুই চোখের বিষ ।
ঃ খুবই স্বাভাবিক। কিছু অসাধু মানুষ আলেমের ভেক নিয়ে ব্যবসা করে বেড়ায়। এলেম এদের সামান্য। ঈমান এদের নড়বড়ে। এদের উল্টাপাল্টা কথায় আর আচরণে মানুষের মনে আলেমদের সম্বন্ধে বিরূপ ধারণার সৃষ্টি হয়। এতে করে আলেম সমাজ ও ইসলামের প্রভূত ক্ষতি হয়।
ঃ ক্ষতি বলে ক্ষতি। এদের দ্বারা ইসলামের যে ক্ষতি হয়, একজন বিধর্মীর দ্বারা বোধ করি তার অর্ধেকটাও হয় না।
ক্রমেই দু’জন গভীর আলোচনায় মগ্ন হয়ে গেলেন, কিছুক্ষণ এভাবে চলার পর মুসাফির সাহেব সংবিতে ফিরে এসে ব্যস্ত কণ্ঠে বললেন- ওহো, সময় তো আমার খুবই খাটো হয়ে এলো। আপনার নাতনি কোথায়? হঠাৎ উনি আমাকে ডেকে পাঠালেন কেন, তাতো জানা হলো না। আর তো আমি বেশিক্ষণ থাকতে পারব না এখানে। মীর সাহেবও হুঁশে এসে বললেন- তাইতো-তাইতো। আপনার অপেক্ষায় আমাকে এখানে বসিয়ে রেখে গিয়ে সে এতক্ষণ করে কী? আচ্ছা একটু বসুন, আমি দেখি ।
বলেই লাঠিতে ভর দিয়ে মীর সাহেব যথাসম্ভব দ্রুত অন্দরের দিকে রওনা হলেন। মীর সাহেব বেরিয়ে যাওয়ার দুই-তিন মিনিট পরেই চা-নাশতার ট্রে হাতে বৈঠকখানায় প্রবেশ করলেন জেরিনা ম্যাডাম। তাঁর আপদমস্তক ঐ একইভাবে বোরকায় আবৃত । সালাম দিয়ে চা-নাস্তার ট্রেটা মুসাফির সাহেবের সামনে টেবিলে রাখতে রাখতে জেরিনা ম্যাডাম সলজ্জ মৃদুকণ্ঠে বললেন- আমি দুঃখিত। আমার আসতে একটু দেরী হয়ে গেল ।
সালামের জবাব দিয়ে মুসাফির সাহেব বললেন- একটু নয়, অনেকখানিই হয়ে গেল। আমার সময়টাই তো ফুরিয়ে এলো প্রায়। কেন আমাকে ডেকেছেন, চটপট বলুন তো এবার?
ঐ একই রকম মৃদুকণ্ঠে জেরিনা ম্যাডাম বললেন- ডাকিনি তো। এই একটু চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছি আপনাকে।
ঃ সেরেফ চা খাওয়ার জন্যেই দাওয়াত করেছেন আমাকে?
ঃ হ্যাঁ, অনেকটা তাই । তবে গত পরশুর ঐ ঘটনার জন্যে আপনি যেন মন খারাপ না করেন, এ কথাটা বলার জন্যেও এনেছি আপনাকে এখানে।
ঃ গত পরশুর ঘটনা বলতে গেদু মিয়ার চায়ের স্টলের সামনে ঐ এক বদমায়েশের চিৎকারের কথা বলছেন কি? ঐ ডাক-হাঁক, হুটপাট ?
ঃ জি-জি, ঐ টাই ।
ঃ তা এতে আমি মন খারাপ করবো কেন ?
ঃ করতেই পারেন। আপনি ভিনদেশী লোক। ভাবতে পারেন, ঐ বদমায়েশের মতো এখানকার সব লোকই খারাপ। তাছাড়া, আমি যেখানে ঘটনার সাথে জড়িত, আমার সম্বন্ধেও আপনার মনে একটা বিরূপ ধারণা পয়দা হতে পারে।
ঃ বিরূপ ধারণা। অর্থাৎ?
ঃ আমি ভাল মেয়ে নই, এমন একটা ধারণা আর কি ।
মুসাফির সাহেব প্রতিবাদী কণ্ঠে বললেন- না-না, তা হবে কেন? একি বলছেন? আপনাকে কখনো আমি খাটো করে ভাবিনে। বরং ইউসুফ আলীর আম্মা আপনি। আপনাকে আমি বরাবরই যথেষ্ট সম্মানের চোখে দেখি। আর এখানকার লোকজন যে খারাপ নয়, তা তো দেখতেই পেলাম সকলের আচরণে। আমাকে মন্দ কথা বলায় কীভাবে লোকজন তাড়া করলো ঐ শয়তানটাকে, তাতো আপনিও দেখলেন ।
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!