যাদুর বাঁশী – শফিউদ্দিন সরদার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

যাদুর বাঁশী – শফিউদ্দিন সরদার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ শফিউদ্দিন সরদার

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৯১

যাদুর বাঁশী – বইটির এক ঝলকঃ

শুনে আমির আলী তো তাজ্জব! বললো- আমি শাহজাদীকে চুরি করে এনেছি মানে? কে বললে সে কথা?
পাইক বললো-বাদশাহর উজির আর তার ছেলে গাফ্ফার এই কথা বলেছে।
আমির আলী বললো- সেকি! আমি কোথা থেকে চুরি করে আনলাম শাহজাদীকে?
পাইক বললো-রাস্তা থেকে। পালকীতে চড়ে শাহজাদী আত্মীয়ের বাড়ীতে যাচ্ছিল। লোকজন নিয়ে গিয়ে তুমি পালকী সমেত শাহজাদীকে চুরি করে তোমার বাড়ীতে এনেছো। উজির আর তার ছেলে এটা দেখেছে। শাহজাদী আর পালকী তোমার বাড়ীতেই আছে। সারাদেশ তন্নতন্ন করে খুঁজে শাহজাদী আর তার পালকী কোথাও পাওয়া যায়নি। তুমিই তোমার বাড়ীতে লুকিয়ে রেখেছো।
আমির আলী বললো- মিথ্যা কথা। তুমি আমার বাড়ির সব যায়গা খুজে দেখো। শাহজাদী আর তার পালকী যদি কোথাও পাও, আমাকে ধরে নিয়ে যাও। যদি না পাও, তাহলে বাদশাহকে গিয়ে বলো, একাজ ঐ উজির আর তার ছেলেই করেছে।
আমির আলীর বাড়ীটা আগা গোড়া খুঁজে দেখে শাহজাদী বা তার পালকী কিছুই পেলোনা পাইকটা। তাই বাধ্য হয়ে সে ফিরে গেল ।
ফিরে তো তাকে যেতেই হবে। আমির আলীতো শাহজাদীকে চুরি করতে যায়নি। শহিজাদীকে চুরি করতে গিয়েছিল ঐ শয়তান গাফ্ফারটাই। আমির আলী আবার দেশে ফিরে আসায় গাফফারের সাথে শাহাজাদীর আর বিয়ের সম্ভাবনা নেই দেখে, শাহাজাদীকে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার যুক্তি গাফ্ফারের বাপই গাফ্ফারকে দিয়েছিল। গাফ্ফারকে সে বলেছিল” আগামীকাল শাহজাদী পালকীতে চড়ে কুটুম বাড়ীতে যাচ্ছে। লোকজনসহ গিয়ে তুমি পাল্‌কী সমেত শাহজাদীকে জোর করে জামনগর নিয়ে যাও। জামনগরের রাজা আমার বন্ধু। তাকে আমি চিঠি দিয়ে দিচ্ছি। জামনগর গেলেই জামনগরের রাজা শাহজাদীর সাথে তোমার শাদি দিয়ে দেবে। তখন দেখব কোথায় থাকে শাহজাদীর দেমাগ। কেমন করে সে শাদী করে ঐ আমীর আলীকে।”
লোকজন নিয়ে গাফ্ফার সেই যে বেরিয়ে গেল, তার পর থেকে শাহজাদীর আর কোন খবর নেই। গাফ্ফার ফিরে এসেছে কিন্তু শাহজাদী আর তার পাল্‌কীটা লা-পাত্তা। আমির আলীর বাড়ীতে খুঁজলে ওসব পাওয়া যাবে কেন?
পাইকটা চলে যাওয়ার পর আমির আলী ভাবতে লাগলো, এতো আচ্ছা এক ফ্যাসাদ হলো দেখছি। উজিরের কথা বিশ্বাস করে বাদশাহ যদি তাকে ধরে নিয়ে যায়, তাহলে তো যাদুকরের হাত থেকে ঐ মানুষগুলোকে আর উদ্ধার করা যাবেনা! তাই সে স্থির করলো, মরণ হয় হোক, ঐ ভেড়াগুলোর সাথে সেওয়াবে ঐ যাদুকরের গর্তের মধ্যে। বিনা দোষে বাদশাহর হাতে মরার চেয়ে ঐ অসহায় মানুষগুলোকে উদ্ধার করতে গিয়ে মরা অনেক ছওয়াবের কাজ। যাদুকরের গর্তের মধ্যে গিয়ে একবার সে শেষ চেষ্টা করে দেখবে, ভেড়া হয়ে যাওয়া মানুষগুলোকে বাঁচানো যায়
কিনা ।
সেইদিনই ভেড়ার একটা লোমওয়ালা আস্ত চামড়া যোগার করলো আমির আলী এবং ঐ চামড়া হাতে চলে গেল ঐ পাকুরতলায়।
এবার পাকুরতলায় এসেই তার চক্ষু স্থির। সে অবাক হয়ে দেখলো, শাহজাদীর পালকীটা সেখানে এক পাশে পড়ে আছে। এটা যে বাদশাহর বাড়ীর পালকী, আমির আলী তা দেখেই চিনতে পারলো। কিন্তু পালকীতে শাহজাদীও নেই, পালকীর বেয়ারাগুলোও নেই। পালকীটা এখানে কি করে এলো, আমির আলী চিন্তা করে তার কুল করতে পারলোনা। তবে সে বুঝতে পারলো, শাহজাদীও ভেড়া হয়ে ঐ গর্তের মধ্যে গেছে। সে কয়েকদিন এখানে আসেনি, এরই মধ্যে ঘটনা ঘটেছে।
আমির আলীকে আর ছান্দে কে? এমনিতেই যাদুকরের গর্তের মধ্যে যাওয়ার জন্যে আমির আলী এখানে এসেছিল। শাহজাদী আলেয়াও ভেড়া হয়ে আটকা পড়েছে ঐ গর্তে -এটা বুঝতে পেরে আমির আলীর সে আগ্রহ আরো শতগুণে বেড়ে গেল। তার পেয়ারের শাহজাদী আটকা পড়ে মারা যাবে আর তার উদ্ধারে আমির আলী না গিয়ে কি আর পারে ?
তাই সে ঝোপের আড়ালে চুপ করে বসে রইলো। যাদুকর সেদিন মানুষগুলোকে ভেড়া বানিয়ে নিয়ে যেতে লাগলে, ভেড়ার চামড়াটা গায়ে জড়িয়ে আমির আলীও ভেড়ার দলের সাথে মিশে গেল এবং তাদের সাথে যাদুকরের ঐ গর্তের মধ্যে চলে এলো। যাদুকর এটা বুঝতেই পারলোনা ।
গর্তের মধ্যে এসে আমির আলী দেখে, সেখানে এক এলাহী কারবার। গর্তটার পরেই মাটির তলে বিশাল এক পাকা গুদাম ঘর। সেই গুদাম ঘর ভেড়ার পালে ভর্তি। গুদামঘরে পরেই একটা অফিস ঘর আর সেই অফিস ঘরের পেছনেই আর এক লম্বা সুড়ঙ্গ পথ। অন্য এক সময় আমির আলী ঐ সুড়ঙ্গ পথে ঢুকে দেখলো, সেই পথটা চলে গেছে সমুদ্রের ধারে এবং গোপন এক জাহাজ ঘাটে। সমুদ্রটা অবশ্য জংগলটার নিকটেই ছিল। আমির আলী বুঝলো, এই জাহাজ ঘাট দিয়েই তাহলে ভেড়াগুলো বিদেশে চালান দেয়া হয় ।
থাক সে কথা। মাটির তলে এসেই ঐ গুদাম ঘরে গেল এবং ভেড়াদের মাঝে খুঁজতে লাগলো, সেখানে শাহজাদী ভেড়া হয়ে আছে কি না। থাকলে তো তাকে চিনতে পারবে শাহজাদী তার ছুটে আসবে তার
কাছে।
হলোও ঠিক তাই। আমির আলী অল্প একটু খুঁজতেই, একটা ভেড়া ছুটে এলো তার কাছে এবং তার, মানে আমির আলীর হাত-পা শুঁকতে ও চাটতে লাগলো । তা দেখে আমির আলী তার কানে কানে বললো -তুমি কি শাহজাদী?
সংগে সংগে ভেড়াটা মাথা দোলালো জোরে জোরে। গুদাম ঘরটা পাকা হলেও মেঝে ছিল মাটির। ধূলো ছিল প্রচুর। তখনই ভেড়াটা পা দিয়ে মেঝেতে লিখলো- “হ্যাঁ আমি শাহজাদী আলেয়া।”
তা দেখে আমির আলী চমকে উঠে বললো-“কি কান্ড! কি কাণ্ড! তুমি এখানে? তুমি কি কথা বলতে পারোনা” । শাহজাদী আবার পা দিয়ে লিখলো- “আমি কথা বলতে পারিনে। তবে সব কথা শুনতে পাই আর বুঝতে পারি।”
আমির আলী বললো-তা তুমি এখানে, মানে এই পাকুরতলায় এলে কি করে?
শাহজাদী লিখলো-“গাফফারের হামলা থেকে আমাকে বাঁচানোর জন্যে আমার পালকীর বাহকেরা পালকী নিয়ে এখানে পালিয়ে আসে। এতে করে আবার আমরা সবাই এই যাদুকরের যাদুর খপপরে পড়ে গেছি।
আমির আলী বললো- কি তাজ্জব! আল্লাহর বাণী, মানে কোন দোআ- কালাম না শেখার জন্যেই তোমার এই অবস্থা হয়েছে। আল্লাহ্র বাণীর কাছে কোন যাদু-টোনা দাঁড়াতে পারেনা- বুঝেছো! এই যে আমাকে দেখো, আমি কোরআন শরীফের আয়াত পড়তে আর বলতে শিখেছি বলেই যাদুকরের যাদু আমাকে ভেড়া বানাতে পারেনি।
এই সময় যাদুকরকে এই দিকে আসতে দেখে আমির আলী ও শাহজাদী দুইজন দুইদিকে সরে গেল।
যাদুকর এসে গুদামে ঢুকলো। তার সাথে গুদামে এলো আর এক বিদেশী লোক। তার কথাবার্তা শুনে আমির আলী বুঝতে পারলো, এই লোকই ভেড়ার বেপারী। ভেড়াগুলো বেচার জন্যে জাহাজ ভর্তি করে ভেড়া নিয়ে এই লোকই বিদেশে যায় ।
গুদাম ঘরে এসে ঐ বিদেশী লোকটা যাদুকরকে জিজ্ঞাসা করলো- তোমার গুদামে এখন মোট কতটা ভেড়া আছে?
যাদুকর বললো- তা হাজার দশেক হবে।
বিদেশী লোকটা খুশী হতে পারলোনা। বললো- মাত্তর হাজার দশেক ? ভাগ্যে আমি আগেই জাহাজ নিয়ে আসিনি। তাহলে আমার জাহাজ ভাড়াই পোষাতোনা ।
যাদুকর বললো-কি রকম- কি রকম?
বিদেশীটা বললো-কমছে কম বিশ হাজার ভেড়া ছাড়া জাহাজ ভরেনা। দশ হাজার ভেড়া নেয়ার জন্যে জাহাজ আনলে কি জাহাজ ভাড়া

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top