লৌহ মানব – নসীম হেজাযী – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ ফজলুদ্দীন শিবলী
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২০৯
লৌহ মানব – বইটির এক ঝলকঃ
হাম্মাদ পুরোহিতের চেহারায় ঠাস করে একটি চড় কষে দিল, বলল, ‘মথুরার জিন্দানখানা থেকে এক মহৎ উদ্দেশ্যে ও বেরিয়ে এসেছে।’
পুরোহিত ক্ষোভে দুঃখে বলে ওঠেন, ‘মহাশয়। মুখ সামলে কথা বল। নয়ত এই মন্দিরে এমন কষ্ট দেব যাতে বিনা দিয়াশলাইতেই কাঠে আগুন লেগে যাবে। তোমার এই সাথী দেবমন্দিরের দাসীর সাথে এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ ব্যবহার করতে যাচ্ছে কেন? দেবদাসী দেবতাদের প্রিয় পাত্র। তাদের চরণ সেবার জন্যই সে পূজারিনী সেজেছে। ওর সাথে বেয়াদবী করলে দেবতা তোমায় ক্ষমা করবে না মুর্খ, উমা নামে যে দেবীর বাধন কাটছে ও, তাকে দেবতার উদ্দেশ্যে বলিদান করার সিদ্ধান্ত করেছি আমরা। এ ধরনের অপয়া মেয়ে নিয়ে তোমাদের কোন লাভ নেই। আমরা দেবতাদের খুশী করতে ওর রক্ত ঝরাব। তাহলেই কেবল দেশ ও জাতি দেবতাদের কোপানল থেকে
বাঁচবে।
‘আহাম্মক পুরোহিত শুনে নাও! তার আগেভাগেই তো আমি তোমার জন্য যমদূতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছি। আমার হাত থেকে তোমাকে বাঁচাতে পারে এমন কোন দেবতা থাকলে তাকে ডেকে দেখতে পার।’ বলল হাম্মাদ ।
‘শোন মহাশয়। ধৈর্য্যধরে আমার কথা শোন। মনকে একাগ্র কর, আত্মা শুদ্ধ কর। এখান থেকে ভালোয় ভালোয় বেরিয়ে পড়। নয়ত এমন স্থানে পাঠাব যেখানে থাকলে এজনমের স্বাদ যাবে তেতো হয়ে।’ বললেন পুরোহিত ।
রহস্যপূর্ণ মন্দিরে হাম্মাদের ফের আওয়াজ শোনা গেল, ‘হায় তুমি যদি মন্দিরের পুরোহিত না হয়ে নিম্নবর্ণের হিন্দু হতে! আমরা ধর্মপুরুষদের শ্রদ্ধা করি নয়ত এতক্ষনে তোমার মাথা যমীনে গড়াগড়ি খেত। আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দাও। সঠিক উত্তর দিতে গড়িমসি করলে তোমার মাথা কেটে নেব।
পুরোহিত ঘৃণামিশ্রিত কণ্ঠে বললেন, তুমি এখনও বালক। যা খুশী তাই করতে পার আমি তোমার কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজী নই। আর তোমার শক্তির সম্মুখে আমার শক্তিরও তেমন কোন বড়াই নেই।’
হাম্মাদ ওর তলোয়ার পুরোহিতের গর্দান ছুঁয়ে বলল, দেখতে চাই, তুমি আমার প্রশ্নের জবাব কি করে না দিয়ে পার।’ পুরোহিতের আপদমস্তক ভয়ে কেঁপে ওঠল। রুদ্ধ হয়ে গেল তার কণ্ঠ। শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেল জিহ্বা। বড্ড কষ্ট করে তিনি যবান খুললেন। কম্পিতকণ্ঠে বললেন, ‘রাজন! আমি নগণ্য এক সেবক। আপনার যে কোন আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেব। তারপরও আমাকে কতল করবেন না মহারাজ!’ ‘ক্ষমা করুন মহারাজ! আমিও তো মানুষ। আমারও তো ভুল হতে পারে।
হাম্মাদ তলোয়ার নামিয়ে বলল, ‘আমি যা কিছু জিজ্ঞাসা করব তার সঠিক জবাব দেবে। না হয় এই নির্জন কক্ষে তোমার মুণ্ডুহীন দেহটা পড়ে থাকবে । ‘বলুন মহারাজ। আপনি কি জানতে চান। আমি এক বর্ণও মিথ্যা বলৰ না।’ পুরোহিতের চোখে চোখ রেখে হাম্মাদ জিজ্ঞাসা করল, গজনীর কোন শাসক হিন্দুস্থান হামলা করলে এখানকার রাজা-বাদশাহ্রা কী পরিমাণ সৈন্য সমাবেশ করতে পারে।
*৪০ হাজারের মত। মথুরা ও থানেশ্বর থেকে ১৫ হাজার। কাশ্মীর ও উত্তর সীমান্ত থেকে ২৫ হাজার। সর্বমোট ৮০ হাজারের মত সৈন্য।
খামোশ হয়ে গেল হাম্মাদ। পরক্ষণে পুরোহিতের পলে তলোয়ার উঁচিয়ে বলল, সেই বধ্যভূমিতে চল যেখানে আমার কওমের এক বেটিকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছিলে। শোন পুরোহিত! তোমাকে ও এই দেবদাসীকে আমি ক্ষমা করে দিতাম কিন্তু তুমি আইলাক খানকে চিনে ফেলছো যে। এজন্য দু’জনকেই হত্যা করা জরুরী হয়ে পড়েছে। বধ্য ভূমির দিকে যেতে গিয়ে পুরোহিত রাম নাম জপ করতে থাকে।
হাম্মাদ তলোয়ার চালিয়ে পুরোহিতের মুণ্ডুপাত করে ফেলে। অপরদিকে আইলাক রশিতে বাধা দেবদাসীর বাধন খুলতে থাকে। মন্দিরের বাইরে তখন শুরু হয় শোরগোল। হাম্মাদ বলে, আইলাক! তুমি উমাকে নিয়ে আমার পেছনে এসো। খুব সম্ভব, পুরোহিতের আওয়াজ মন্দিরের বাইরে পৌঁছে গেছে। ওরা অবশ্যই এখানে আসবে । উমাকে নিয়ে দ্রুত আমার পেছনে এসো ।
হাম্মাদ দৌড়ে সিড়িপথের দিকে অগ্রসর হলো এবং দপদপে জলন্ত মশালগুলো নিভিয়ে দিল । সিড়ি ঘরে একটি থামের আড়ালে দাঁড়িয়ে পরবর্তী পরিস্থিতির আশায় রইল ওঁৎপেতে। আইলাক ও উমা সিড়ি টপকে উপরে এল। ততক্ষণে সিড়ি ঘরে দেখা গেল চার সেপাইকে হাম্মাদ, আইলাক ও উমা কোনক্রমে দেয়ালে পিঠ ঠেকে দাড়িয়ে রইল। কাজেই ওদেরকে কেউ দেখতে পেল না। ওরা সামনে অগ্রসর হতেই আইলাক খান পেছন থেকে হামলা করতে উদ্যত হলে হাম্মাদ ওকে বারণ করল।
চার প্রহরী সিঁড়ি টপকে অন্দর মহলের দিকে এগিয়ে যেতেই হাম্মাদ সিঁড়ি মুখের দরোজা খুলে বাইরে তাকাল। বাইরের পরিবেশ বিলকুল নিরব নিথর। কানে কানে ওদেরকে পিছনে আসতে বলল। সিড়িপথ থেকে বেরিয়ে বাইরে থেকে দরোজার ছিককিনি আটকে দিল। দক্ষিণ গেট লক্ষ্য করে অন্ধকারে ছুটলো ওরা। হাম্মাদ ওদের দুজনকে দ্রুত নীচে নেমে যেতে বলল। সাথে সাথে নিজেও নামতে লাগল ।
আচমকা মন্দিরের পূর্বপাশ থেকে চিৎকার করে ওঠল জনৈক গ্রহরী। ‘ধর ধর’ ‘ওই যে পালাল’। নীচে নামার রশিটির কাছে এসে হাম্মাদ বলল, আইলাক খান তুমি উমাকে নিয়ে নীচে নেমে যাও। আমি আগুয়ান শত্রু সৈন্যের পথরোধ করার চেষ্টা করছি। আইলাক খান ভক্তিভরে বলল, ‘আমীর হে! আমি আপনাকে একাকী দুশমনের মুখে রেখে যেতে পারি না। আপনার পাশে থেকে যুদ্ধ করে মরতে চাই। হাম্মাদ কঠোর আওয়াজে বলল, ‘আইলাক খান। এটা আমার হুকুম। তুমি উমাকে নিয়ে নীচে নামো। এখান থেকে যুৎসই কোন স্থানে আমার অপেক্ষা কর। আইলাক খান প্রথমে উমাকে রশির সাহায্যে নীচে নামাল। পরক্ষণে নামল নিজেও।
আইলাক খান উমাকে বলল, “উমা। উমা। তুমি আস্তেধীরে ওই খোলা প্রান্তরে গিয়ে দাঁড়াও। আমি এখানটায় আমীর সাহেবের অপেক্ষা করি। হামলাকারীদের সংখ্যা বেশী হলে আমি তার সাহায্যে উপরে যাব।’
উমা বললো, “ইনি আবার কোন আমীর? এবং এসেছেন কোত্থেকে?
ভারতবর্ষের সকল গোয়েন্দার প্রধান। গজনী প্রশাসন তাকে প্রেরণ করেছেন। বাড়ী নিশাপুর। নাম হাম্মাদ বিন খালদূন। সময় নষ্ট করো না। জলদী নেমে যাও ৷ ওখানে কোন মুসিবতে পড়লে দেখবে দুটি ঘোড়া বাঁধা আছে। যে কোন একটায় সওয়ার হয়ে তখন রওয়ানা হয়ে যাবে। বলল আইলাক।
এদিকে মন্দিরের প্রহরীরা হাম্মাদের উদ্দেশ্যে তীর বৃষ্টি শুরু করলে হাম্মাদ একটি পাথরের আড়ালে বসে গেল। সাঁ সাঁ করে ওর মাথার ওপর দিয়ে এক পশলা তীর ছুটে গেল। হাম্মাদ ওর তুনের কিছু তীর এবার এস্তেমাল করল। পাঁচ তীরন্দায চিৎকার দিয়ে নীচে গড়িয়ে পড়ল। অপর দু’জন ওর দিকে তেড়ে আসতে চাইলে তারা ওর শিকারে পরিণত হল। প্রতিপক্ষ শক্তিধর মনে করে প্রহরীরা মন্দিরে লুকোলো।
নীচে বসে অইলাক খান দেখছিল, মন্দিরে প্রহরীরা ঢোকার সাথে সাথে পেছন থেকে ৫জন প্রহরী হাম্মাদের দিকে এগিয়ে আসছে। আইলাক খান দ্রুত রশি বেয়ে উপরে উঠতে উঠতে বলল, আমীর! পেছনে লক্ষ্য করুন!
হাম্মাদ দ্রুত তার ঢাল উচিয়ে হামলা প্রতিহত করতে ব্যপৃত হল। ততক্ষনে আইলাকও ওর সাহায্যে হামলাবাজদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায়। ওরা যখন শত্রুদের একের পর এক কচুকাটা করতে থাকে তখন নারীকণ্ঠের বিকট চিৎকারে কেঁপে ওঠে ওদের মন। ওরা বুঝতে পারে এ কণ্ঠ উমার। দ্রুত নীচে নেমে দেখতে পায় উমা একটি পাথরের ওপর উপুর হয়ে পড়ে রয়েছে।
হাম্মাদ দ্রুত ওর কাছটিতে এগিয়ে যায়। শীরায় হাত দিয়ে দেখতে পায় ঊমা জীবিত তবে বেহুশ। আইলাকে লক্ষ্য করে বলে, ‘আইলাক ওকে তোমার ঘোড়ার পিঠে চড়াও আমি রশিটা নিয়ে আসছি। দ্রুত এখান থেকে পলায়ন করতে হবে। যেতে হবে ওপারে। ওপার গিয়েই আমরা বিশ্রাম নেব।
হাম্মাদ রশি নামিয়ে পাক দিতে থাকে। আইলাক ততক্ষণে পাজাকোল করে উমাকে ঘোড়ার পিঠে চাপায়। নদীর কিনারে এসে ওর চোখে মুখে পানির ছিটে দিয়ে হুঁশ করতে চেষ্টা করে কিন্তু উমার হুঁশ ফেরে না। ক্ষীণশ্বাস তখনও ওর নাক মুখ দিয়ে বেরোয় অতিকষ্টে। উমাকে ভাল করে বসিয়ে হাম্মাদের এন্ডেষার করতে থাকে। খানিক বাদে হাম্মাদ এসে পৌঁছায়। ওর কাধে প্রকান্ড সেই রশি। হাম্মাদ বলে, ‘তোমরা আমাকে অনুসরণ করে। পাহাড়ী এই নদী খুব একটা গভীর নয়। তিন/চারহাত পানি হতে পারে। তোমার ঘোড়া অতি সাবধানে নামাও।
ওপারে গিয়ে ওরা দক্ষিণ মুখে চলতে থাকে। দরিয়ার কিনার ধরে ওরা দ্রুত ছুটতে থাকে। আইলাক খান একহাতে ঘোড়ার লাগাম আরেক হাতে উমার নাড়ীর স্পন্দন দেখে। উমার নাড়ী সচল।
মাইল পাঁচেক চলার পর আইলাক চিৎকার দিয়ে বলে ওঠে, ‘হাম্মাদ! হাম্মাদ !! থামুন! উমার নাড়ীর স্পন্দন নেই। হাম্মাদ চমকে ওঠে এবং নীচে নেমে পড়ে। আইলাক খানের ঘোড়া থেকে উমাকে যমীনে নামিয়ে শুইয়ে দেয়। উমার শারীরিক অবস্থা তখন হতাশাজনক ! তার নাড়ীর স্পন্দন থেমে গেছে এবং আখেরী দম নিতে থাকে সে। আইলাক কে অকুল পাথারে ভাসিয়ে উমা এ জগতের সফর শেষ করে । আইলাক বলে, ‘আমীর হে। ও মরে গেছে। ওর মরে যাওয়াই ভাল।’ হাম্মাদ ওর নাড়ীতে হাত দিয়ে বলে ওঠে, ইন্না লিল্লাহে ওয়াইন্না ইলায়হে রাজেউন। আইলাকের চোখ পানিতে ভরপুর। হাম্মাদ দেয় সান্ত্বনা। উভয়ে মিলে কুড়াল দিয়ে টিলার উপর কবর খুদে উমাকে চির নিদ্রায় শায়িত করে। প্রেয়সীর সমাধীর দিকে এক নযর রেখে পরবর্তী মঞ্জিল উদ্দেশ্যে ছুটে চলে আইলাকের ঘোড়া। সেই সাথে চলে ঘোড়া হাম্মাদেরটাও। স্বরসতির উপকূল ধরে হাম্মাদ ও আইলাকের ঘোড়া ছুটে চলেছে। ভীমসেন থেকে মাইল পাঁচেক দূর থাকতে ঘোড়া তাজদম করতে খানিক যাত্রাবিরতি করল ওরা । নামাযের সময় হয়ে এলে নদীতে নামল উযু করতে। মাগরিবের নামায আদায় করে পুনরায় ঘোড়পৃষ্ঠে সওয়ার হোল। উভয়ের মুখ কালো। উমার অপ্রত্যাশিত মৃত্যুই এই হতাশার কারণ ।
গাঢ় অন্ধকারে ওরা বিদ্যানাথের হাবেলীর সামনে এসে দাঁড়াল। তাঁর স্ত্রী সাবিত্রী ও কন্যা বিমলা ওদের অভ্যর্থনা জানাল। হাবেলীতে রত্না ও বিশ্বপালের দেখা নেই । হাম্মাদ ওদের কামরার উদ্দেশ্যে ছুটলে বিদ্যানাথ বললেন, ওদিকে নয় এদিকে আসুন। ‘কেন?’ প্রশ্ন হাম্মাদের।
‘রত্না ও বিশ্বপাল এখানে নেই।’ বললেন বিদ্যানাথ ।
‘কোথায় ওরা?’ ওর প্রশ্ন।
‘বলছি সবকিছু।’ বিদ্যানাথের চোখেমুখে একরাশ হতাশা ও উদ্বিগ্নতার ছাপ । প্রশ্নের উত্তরে যাওয়ার আগেভাগে উল্টো হাম্মাদকেই প্রশ্ন করলেন, “উমা কৈ?”
এ প্রশ্নের জবাবে হাম্মাদ নগরকোট মন্দির থেকে উমা উদ্ধারের কাহিনী বলে গেল। বিদ্যানাথ, সাবিত্রী ও বিমলা কাহিনী শুনে ভারাক্রান্ত হলো। জ্ঞান সিং এরপর ওদের ঘোড়া নিয়ে আস্তাবলে চলে গেল। বিদ্যানাথ ওদেরকে নিয়ে বিশ্বপালের কামরায় এলেন। বিদ্যানাথ বলতে লাগলো-
‘রত্নাকে আজমীরের রাজা পৃথ্বিরাজ তার লোকজন দিয়ে তুলে নিয়ে গেছে। ‘কবে? কিভাবে?’ হাম্মাদ আর্ত চিৎকার করে ওঠে।
‘তুমি এখান থেকে যাওয়ার কিছুদিন পরে বিশ্বপাল ইসমাইলকে নিয়ে পাড়াগায়ে যায়। ইত্যবসরে রত্না আমার ভাই লক্ষরাজের বাড়ীতে বেড়াতে যায়। আমার ওই ভাইয়ের বেটা অর্জুনের সাথে ওর বাগদান হয়েছিল। সে জানত পৃথ্বিরাজ রত্নার পিছু লেগে আছে, এজন্য সে রত্নার বাবা-মাকে হত্যা পর্যন্ত করেছিল। লক্ষরাজের বাড়ীতে যাবার দুদিনের মাথায়ই পৃথ্বিরাজ তার লোকজন দিয়ে ওকে তুলে নেয়। আমার ভাই ও বাড়ীর অন্যান্য লোকজন রাজসিপাহীদের বাধা দিলে ওরা সকলকেই মেরে ফেলে।
আমি বিশ্বপালকে ডেকে পাঠাই। পরদিন বিশ্বপাল এসে পৌঁছায়। বোনের অন্বেষায় সে পরদিন আজমীর রওয়ানা হয়। যাবার প্রাক্কালে বলে যায়, হয় রত্নাকে
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!