যে গল্পে হৃদয় গলে ১ম খণ্ড – মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১১৩
যে গল্পে হৃদয় গলে ১ম খণ্ড – বইটির এক ঝলকঃ
ইমাম শাবী (রহঃ) একদা তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আপনার বাড়ীর অবস্থা কেমন? জবাবে তিনি বলেছেন, আমাদের দাম্পত্য জীবনের বয়স বিশ বছর। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে স্ত্রীর পক্ষ থেকে একদিনের জন্যও এমন কোন আচরণ পাইনি যা আমাকে ক্রোধান্বিত বা অসন্তুষ্ট করেছে।
ইমাম শাবী (রহঃ) প্রশ্ন করলেন, তা আবার কেমন? কাজী শুরাইহ (রহঃ) বললেন, বাসর রাতে প্রথম যখন স্ত্রীর নিকট পৌঁছলাম, তখন থেকেই আমাদের মিল এমন হল যে, আজ পর্যন্ত আমরা “দুটি দেহ একটি মন” হিসেবেই জীবন যাপন করছি ।
প্রথম রাত্রে স্ত্রীর সাথে যখন সাক্ষাত করতে গেলাম, তখন দেখলাম আমার স্ত্রী অপূর্ব সুশ্রী ও সুন্দরী। আমি তার দিকে অপলক নেত্রে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলাম। ভাবলাম, এটি কোন মানবী, না বেহেশতের হুর? কল্পনাতীত সুন্দরী স্ত্রী পেয়ে তৎক্ষনাত শুকরিয়া স্বরূপ দু রাকাত নামাজ পড়তে দাঁড়িয়ে গেলাম। যখন আমি সালাম ফিরালাম তখন দেখলাম সেও আমার সাথে নামায পড়ছে ও আমার সালাম ফিরানোর পর সেও সালাম ফিরিয়েছে। দোয়ার পর যখন আমি তার দিকে স্বীয় হস্ত প্রসারিত করলাম তখন সে কোমল কণ্ঠে বললো, জনাব অনুগ্রহ করে একটু ধৈর্য ধরুন। আমিতো আপনারই। আমার জীবন যৌবন তো আপনার জন্যই নিবেদিত। অতঃপর সে প্রথমে মহান আল্লাহর প্রশংসা ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দরুদ পাঠ করলো ও পরে আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো,
হে আমার প্রাণ প্রিয় মাথার মুকুট। আমি একজন সহজ সরল অবলা নারী। আপনার পছন্দ-অপছন্দ, কামনা-বাসনা, মনের চাহিদা কিছুই আমার জানা নেই। সুতরাং মেহেরবানী করে আপনার পছন্দ অপছন্দ আমাকে অবহিত করুন। আমার মনের একান্ত ইচ্ছা ও প্রতিজ্ঞা যে, যে কাজটি আপনার পছন্দনীয় আমি জীবনভর সেটি করবো। যেরূপ কথাবার্তা আপনার ভাল লাগে, যেভাবে থাকলে আপনি খুশি হবেন, যেভাবে চললে আপনার চেহারায় হাসি ফুটে উঠবে এবং সমস্ত হৃদয় প্রশান্তিতে ভরে যাবে আমি আজীবন সে রকম কথাবার্তা ও আচার-আচরণ করবো। যে কাজ বা আচার আচরণ আপনার অপছন্দনীয় তা থেকে আমি অবশ্যই বিরত থাকবো ।
হে আমার হৃদয় রাজ্যের রাজা! আমি আজ আপনার নিকট আরো কিছু জানতে চাই। তা হলো, আমাদের পরিবারের কাকে কাকে আপনি ভালবাসেন এবং তাদের সম্পর্কে আপনার নির্দেশনা কি? তাছাড়া আপনার আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে আপনি কাদেরকে পছন্দ করেন যাদেরকে আমি বাড়ীতে আসতে দিব? আর কাকে কাকে অপছন্দ করেন যাদেরকে আপনার ঘরে আসতে দেয়ার ব্যাপারে অক্ষমতা ও অপারগতা প্রকাশ করবো? আমার বক্তব্য এখানে সমাপ্ত। আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি, আমার জন্য ও আপনার জন্য ।
হযরত কাজী শুরাইহ (রাঃ) পরম প্রিয়তমার মধুমাখা জ্ঞানগর্ভ কথা শ্রবণ করে বিমোহিত হয়ে পড়লেন। তিনি আনন্দে আত্মহারা হয়ে মনে মনে আবারও মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করলেন। অতঃপর প্রাণপ্রিয় জীবন সঙ্গিনী তার নিকট যা যা জানতে চেয়েছিল একে একে তিনি সবকিছুই বুঝিয়ে বলে দিলেন। তারপর রাতের বাকী অংশটুকু আনন্দের সাগরে হাবুডুবু খেয়ে কাটিয়ে দিলেন ।
একথা ধ্রুব সত্য যে, যদি কোন ভাগ্যবান ব্যক্তির জীবনে এমন দ্বীনদার স্ত্রী জুটে যায়, যার দিকে তাকালে স্বামীর কলিজা ঠান্ডা হয়ে যায়, যার মধুর ব্যবহার স্বামীকে চরম তৃপ্তি দান করে, যার উঠা-বসা, চলাফেরা, হাসি-কান্না, মান-অভিমান সবই তার মর্জি মোয়াফেক হয়। স্বামীর সন্তুষ্টিই যার জীবনের প্রধান লক্ষ্য, স্বামীর খেদমত করে যে তৃপ্তি অনুভব করে, স্বামীর ‘হ্যাঁ’ তে হ্যাঁ এবং ‘না’ তে ‘না’ এই নীতির উপর চলে তাহলে সে স্বামী যেন সমগ্র পৃথিবীর মালিক হয়ে গেল। সে যেন মুকুট বিহীন সম্রাট। বুদ্ধি-বিবেকহীন কোন লোকও যদি এমন একজন নেককার স্ত্রী প্রাপ্ত হয় তাহলে উক্ত স্ত্রী আপন স্বামীকে জ্ঞানী-গুণী ও বিদ্বান ব্যক্তিরূপে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারবে ইনশাআল্লাহ। পক্ষান্তরে কোন জ্ঞানী-গুণী ও বুদ্ধিজীবি ব্যক্তির ভাগ্যে যদি মুর্খ, বাচাল, বুদ্ধিহীন, নাফরমান, বদমেজাজী ও অহংকারী স্ত্রী জোটে, তাহলে সে এক সময় হয়তো জগতের বিবেক বুদ্ধিহীন লোকদের মধ্যে গণ্য হবে।
প্রকৃত পক্ষে প্রতিটি নববধূর উচিত যে, বিবাহ হওয়ার পর দু’চার দিনের মধ্যেই স্বামীর নিকট থেকে তার পছন্দ-অপছন্দের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেয়া এবং সেভাবেই জীবন যাপনে অভ্যস্থ হওয়া। অবশ্য স্বামীর পছন্দের বিষয়টি যেন শরীয়ত পরিপন্থী না হয় সেদিকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। আল্লাহ তাআলা সকল মা-বোনদেরকে এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আদর্শ স্ত্রীরূপে জীবন যাপন করার তৌফিক দান করুন। আমীন। ইসলামপূর্ব যুগে কন্যা সন্তান জন্মকে পাপ বা অভিশাপ মনে করা হত। কন্যা সন্তান জন্ম হলে লজ্জায়, ঘৃণায় সে কাউকে চেহারা দেখাতে পারত না। তাই কলংকের এই চিহ্নকে চিরতরে মুছে ফেলার জন্য জন্মের পরপরই নবজাতককে গলাটিপে হত্যা করত অথবা জীবন্ত কবরস্থ করত। তখনকার ইতিহাসে জীবন্ত কন্যা সমাহিত করার যে পৈশাচিক দৃশ্য ফুটে উঠে তা পাঠ করে পাষাণ হৃদয়ের লোকদেরও অশ্রু সংবরণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। নিষ্পাপ কচি কণ্ঠের করুণ আর্তনাদ পাষাণ পিতৃহৃদয়ে বিন্দুমাত্রও দয়ার সঞ্চার করত না। স্বহস্থে কন্যা সমাধিস্থ করে হাসি মুখে ফিরে আসত তারা।
বনু তামীম গোত্রের সর্দার কায়েস বিন আছিম ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণের পর আল্লাহর রাসূলের নিকট স্বহস্থে কন্যা সমাধিস্থ করার এক মর্মস্পর্শী করুণ কাহিনী বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন-
ইয়া রাসূলাল্লাহ! একবার আমি সফরে গিয়েছিলাম। আমার অনুপস্থিতিতে আমার একটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। অবশ্য আমি বাড়িতে থাকলে তার কান্নার আওয়াজ শুনার সাথে সাথেই গর্তে পুঁতে তার আওয়াজ চিরদিনের জন্য স্তব্ধ করে দিতাম। কিন্তু আমার স্ত্রী তাকে মাতৃস্নেহ দিয়ে লালন পালন করতে থাকে। কিছুদিন পর তার মাতৃমমতা এত প্রবল আকার ধারণ করে যে, আমার নিমর্মতার ভয়ে সে তাকে তার খালার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। উদ্দেশ্য হল, হয়তো খালার স্নেহে লালিত পালিত হয়ে একটু বড় হলে পিতার হৃদয়েও দয়া-মায়ার উদ্রেক হবে এবং ফুটফুটে নিষ্পাপ শিশু কন্যাটি নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবে।
দীর্ঘদিন পর সফর থেকে আমি বাড়িতে ফিরলাম। বাড়িতে এসে শুনলাম, আমার একটি মৃত সন্তান জন্ম হয়েছিল।
এদিকে আমার কন্যাটি তার খালার স্নেহে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। একদিন বিশেষ কারণে আমি বাইরে কোথাও গিয়েছিলাম। এই সুযোগে আমার স্ত্রী মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে আসে। অপ্রত্যাশিতভাবে বাড়িতে ঢুকেই দেখি, একটি সুন্দর সুদর্শন চঞ্চল শিশুকন্যা সমস্ত ঘরময় ছুটাছুটি করছে। মেয়েটিকে দেখে স্বর্গীয় এক মায়ার পরশে আমার হৃদয় মন ভরে গেল। আনন্দে চোখ দুটি চিকচিক করে উঠল। আমি দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত স্থির দৃষ্টিতে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে রইলাম ।
এদিকে আমার চেহারা দেখে আমার স্ত্রী আঁচ করতে পারল যে, পাষাণ হৃদয়ে পিতৃস্নেহের বান ডেকেছে। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, এ কে? কার মেয়ে? ভারী চমৎকার তো! তার মায়া আমার হৃদয় মন জয় করে ফেলেছে।
স্ত্রী ভাবল, এখন আর কোন ভয় নেই। তাই সে আমার নিকট সব কিছু খুলে বলল। মেয়েটি আমার জানতে পেরে অবলীলাক্রমে স্নেহভরে আমি তাকে কোলে তুলে নিলাম। আনন্দের আতিশায্যে বারবার চুমু খেলাম। এ সময় মেয়েকে লক্ষ্য করে স্ত্রী বলল, মা! এ যে তোমার আব্বু! অমনি সে আব্বু আব্বু বলে আমাকে জড়িয়ে ধরল। সে যে কি সুখ! কি আনন্দ! তা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। ইয়া রাসূলাল্লাহ! এরপর থেকে আমি তাকে কাছে ডাকলে আব্বু আব্বু বলে কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ত আর আমি তাকে বুকে চেপে ধরে স্বর্গীয় আনন্দ উপভোগ করতাম ।
হে আল্লাহর রাসূল! আমার মেয়েটি স্নেহ মমতার উষ্ণ পরশে প্রতিপালিত হচ্ছিল। কিন্তু মাঝে মাঝে আমার মনের মধ্যে এক হিংস্র পশুত্ব এসে উপস্থিত হত। তখন আমি কুচিন্তার অথৈ সাগরে হাবুডুবু খেতাম। ভাবতাম, হায়! আমি একি করছি? এ মেয়ের জন্য কি আমার মান-মর্যাদা ইজ্জত সম্মান সবকিছু ধুলিস্যাত হয়ে যাবে? এই তো কিছুকাল পরেই সে হবে অজ্ঞাত এক যুবকের শয্যা সায়িনী। তখন সমাজে আমি কি করে মুখ দেখাবো? এ সকল চিন্তা করে তখন আমার সমস্ত শরীর ক্ষোভে ঘৃণায় রি রি করে উঠত ।
অবশেষে আমার হিংস্রতাই বিজয়ী হল। আমার পশুত্ব আর আত্ম অহমিকা আমাকে অন্ধ করে ফেলল। সিদ্ধান্ত নিলাম, লাঞ্চনা-অপমান ও কলংকের এই চিহ্নকে আজই সমাধিস্থ করে আত্ম প্রশান্তি লাভ করব। স্ত্রীকে বললাম, মেয়েটিকে আজ সাজিয়ে দাও। ওকে এক নিমন্ত্রণে সাথে নিয়ে যাব। স্ত্রী তাকে সুন্দর জামা পরিয়ে উত্তমরূপে সাজিয়ে দিল। আব্বার সাথে নিমন্ত্রণে যাওয়ার সংবাদে সেও আনন্দে আত্মহারা। আমি তাকে নিয়ে এক পাথুরে জমীনের দিকে রওয়ানা হলাম। মেয়েটি তখন আনন্দের আতিশায্যে লাফিয়ে লাফিয়ে কখনও আমার সামনে, কখনও আমার পিছনে আবার কখনও আমার হাত ধরে হাটছিল। কিন্তু সে জানত না যে, আমার মধ্যে তখন পশুত্বের কি পৈশাচিক ঝড় বইছিল। আমি তখন ছিলাম অন্ধ-মুক-বধির। তার হর্য-উল্লাস, কল কণ্ঠের আব্বু আব্বু ডাক কিছুই আমাকে প্রভাবিত করছিল না। এভাবে চলতে চলতে দূরে জনমানব শূন্য এক স্থানে গিয়ে থামলাম এবং দ্রুত গর্ত খুঁড়তে লাগলাম। আমার কাণ্ড দেখে বিস্মিত হয়ে মেয়েটি বলল! আব্বু এ পাথুরে জায়গায় গর্ত করছেন কেন? নিমন্ত্রণে যাবেন না? অনেক দেরী হয়ে যাচ্ছে যে! আমি তখন নির্বাক, নিস্তব্ধ। গর্ত খননে মগ্ন। ছিটে পোটা ধুলি কনা আমার শরীরে লাগলে অবুঝ শিশু তার জামা দিয়ে তা ঝেড়ে দিচ্ছিল এবং বলছিল, আব্বু! আব্বু!! আপনার শরীরে যে ময়লা লাগছে!
গভীর গর্ত খনন শেষে আমি উপরে উঠে আসলাম এবং সাথে সাথে সেই সদাহাস্য মমতাময়ী কন্যাটিকে শূন্যে তুলে গর্তে নিক্ষেপ করলাম। | তারপর দ্রুত মাটি ফেলে গর্তটি ভরতে লাগলাম। এ সময় মেয়েটি অশ্রু | সজল নয়নে আমার দিকে তাকিয়ে আর্ত-চিৎকার করে বলছিলো, আব্বু! | আব্বু! আপনি একি করছেন আব্বু? আব্বু! আমি তো কোন দোষ করিনি, তবে কেন আমাকে গর্তে ফেলে মাটি চাপা দিচ্ছেন?
ইয়া রাসুল্লাল্লাহ! আমি তখন এত নিষ্ঠুর ও নির্মম হয়ে গিয়েছিলাম যে, এ আর্ত-চিৎকারে আমার পাষাণ হৃদয়ে একটুও দয়ার উদ্রেক হয়নি। আমি যেন তখন উম্মাদ হয়ে পড়েছিলাম। তাইতো আমি আপন কন্যাকে জীবন্ত সমাধিস্থ করে ব্যাথার পরিবর্তে পৈশাচিক উল্লাস আর সীমাহীন প্রশান্তি নিয়ে বাড়ীতে ফিরতে পেরেছিলাম।
এ নিষ্ঠুর, নির্মম ও মর্মস্পর্শী কাহিনী শুনে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চক্ষু থেকে টপ টপ করে অঝোর ধারায় অশ্রু প্রবাহিত হতে লাগলো। গুমড়ে কেঁদে উঠছিলেন তিনি। আর বলছিলেন, যারা অন্যের প্রতি দয়াবান নয় আল্লাহ কিভাবে তাদের প্রতি দয়াশীল হবেন?
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!