ঈমানদার – শফিউদ্দিন সরদার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

ঈমানদার – শফিউদ্দিন সরদার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ শফিউদ্দিন সরদার

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২২৬

ঈমানদার – বইটির এক ঝলকঃ

দরবার কক্ষ। সুলতান দ্বিতীয় আহমাদ শাহ মসনদে উপবিষ্ট। খানিকটা বয়সের ভারে আর অধিকটা অসুস্থতার কারণে তিনি অত্যন্ত মুহ্যমান। অতিশয় প্রয়োজনে জরুরী ভিত্তিতে দরবার ডেকেছেন সুলতান। খুবই সীমিত সংখ্যক সভাসদদের ডাকা হয়েছে দরবারে। প্রধানমন্ত্রী খাজা জাহান সহ কয়েকজন বিশিষ্ট সভাসদ হাজির আছেন দরবারে। সুলতানের ব্যক্তিগত আহবানে হাজির হয়েছেন মাহমুদ গাওয়ান ও তাঁর ভাতিজা মাহমুদ মনসুর। সুলতান এঁদের মসনদের অনেকটা কাছাকাছি বসিয়েছেন। এদৃশ্য অন্যের কাছে তেমন দৃষ্টি কটু না হলেও দু’একজন পরশ্রীকাতর সভাসদদের চোখে যথেষ্টই পীড়া দিচ্ছিল।
দরবারের শুরুতে সুলতান মাহমুদ গাওয়ানকে উদ্দেশ্য করে বললেন- আপনার সেদিনের সেই নসিহত আরো প্রকটভাবে ফলে গেছে মোহতারাম ! ঈমান যারা আনেনি তাদের উপর অন্ধ বিশ্বাস রাখা বাস্তবিকই নির্বুদ্ধিতা ।
মাহমুদ গাওয়ান মুখ তুলে তাজিমের সাথে বললেন- জাঁহাপনা ।
জাঁহাপনা বললেন, তাদের যে দু’একজন আস্থার মর্যাদা দেয়, তাঁরা সুজন। নিজেদের সৎগুনের মাহাত্ম্যেই তা তাঁরা দেন। বাদবাকীরা সকলেই বিশ্বাসের অযোগ্য। ‘মারি অরি ছলে কি কৌশলে’- এই চাণক্যবাণীই যাদের মূলমন্ত্র, ঈমানের বরখেলাপ বলে তাদের কাছে কিছু নেই। আজ তাই তারা করতে পারেনা-এমন কুকাজও কিছু নেই ।
গাওয়ান সাহেব বললেন, ব্যাপারটা পরিষ্কার হলো না আর একটু খোলাসা করে বললে…
সুলতান বললেন, খোলাসা করেই বলা হচ্ছে জনাব। আমার গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান আক্তার আলী সাহেবই সব খোলাসা করে বলছেন……
বলেই তিনি সামনে দণ্ডায়মান গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানকে উদ্দেশ্য করে বললেন- বলুন আলী সাহেব, কি সংবাদ এনেছেন তা সবিস্তারে বলুন।
গোয়েন্দা প্রধান আক্তার আলী সাহেব সুলতানকে কুর্নিশ করে বললেন-বিজয় নগরের রাজা দ্বিতীয় দেবরায় পরাজিত হয়ে বশ্যতা স্বীকার করা সহ চরম ভক্তি প্রদর্শন করলে, জাঁহাপনারা বিজয় নগর থেকে সসৈন্যে ফিরে এলেন। কিন্তু রাজা দেবরায়ের এই ভক্তিটা যে আন্তরিক-এটা বিশ্বাস করতে না পেরে আমার কিছু গোয়েন্দা কর্মী পূর্বাপর বিজয়নগরেই ছদ্মবেশে থেকে যায়। দীর্ঘদিন যাবত রাজার কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করার পর আমার ঐ গোয়েন্দা কর্মীরা তার ভক্তিকে সেরেফ একটা ধোকাবাজী বলেই মনে করে। তাদের ঐ ধারনাটা যে সম্পূর্ণ সঠিক, ফেরার পথে রাজার সৈন্যের দ্বারা জাঁহাপনার প্রাণনাশের চেষ্টাই তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ ।
সুলতান কথার মাঝেই বলে উঠলেন, বিলকুল বিলকুল। রাজার বেঈমানী তখনই আমার কাছে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। এবার বলুন, এক্ষণে নতুন কি পদক্ষেপ নিয়েছে সে ।
গোয়েন্দা প্রধান বললেন-তার এক্ষণের পদক্ষেপ আদৌ কোন নয়া পদক্ষেপ নয় হুজুর। রাজা তার এই নয়া পদক্ষেপের প্রস্তুতি গ্রহণ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। এক্ষণে তার সেই প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে-এইমাত্র।
অর্থাৎঃ
অর্থাৎ, মুসলমান বাহিনীর হাতে তার হিন্দু বাহিনী বারবার মার খাওয়ার ফলে রাজার ধারণা হয় যে, মুসলমান সৈন্যদের চেয়ে তার হিন্দু সৈন্যেরা শক্তিতে আর দমে কিঞ্চিৎ খাটো হলেও, সেটা বড় ব্যাপার নয়। বড় ব্যাপার হলো, মুসলমান বাহিনীর কলা-কৌশলের কাছে তার বাহিনী বেজায় রকমের খাটো। মুসলমানদের ঐ কলাকৌশল রপ্ত করতে পারলেই, দৈহিক শক্তির ঐ সামান্য ঘাটতিটা পুষিয়ে নেয়া মোটেই কোন কঠিন কাজ হবে না।
আচ্ছা !
এই বিবেচনায় বিজয়নগরের রাজা অনেকদিন আগে থেকেই সবার অলক্ষ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে মুসলমান যোদ্ধাদের এনে বিস্তর সুযোগ সুবিধেসহ বড় বড় জায়গীর (জমিদারী) প্রদান করে আসছে আর তাদের দ্বারা হিন্দু সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সে সাধারণ মুসলমানদেরও বিজয় নগরে আনছে আর একটা মুসলমান সমাজ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে।
সুলতান সবিস্ময়ে বললেন, সেকি! মুসলমান সমাজ গড়ে তোলার উদ্দেশ্য? গোয়েন্দা প্রধান বললেন, উদ্দেশ্য, এই মুসলমান বাসিন্দাদের মধ্যে থেকে মুসলমান সৈন্য পাওয়া আর সেই সাথে বিভিন্ন স্থানের চৌকস মুসলমান যোদ্ধাদের বিজয়নগরে এসে জায়গীর গ্রহণে প্রলুব্ধ করা। সেদেশে মুসলমান সমাজ আর মুসলমানদের বসবাস আছে দেখলে, স্বাভাবিকভাবেই মুসলমান যোদ্ধারা সে দেশে বসবাসে আর রাজার সৈন্যবাহিনীতে নকরী গ্রহণে উৎসাহিত হবে-এই হলো রাজার চিন্তা ভাবনা ।
এই সময় মাহমুদ গাওয়ান বলে উঠলেন, সে কি! মুসলমান যোদ্ধারা তরবারি ঘুরিয়ে হিন্দুরাজার দিকে ধরতে পারে-এমন কোন ভয় ঐ হিন্দু রাজার নেই? গোয়েন্দা প্রধান বললেন, না জনাব। অনেক দৃষ্টান্ত থেকেই রাজার এই অভিজ্ঞতা হয়েছে যে, একবার অমুসলমানের নেমক খেলে, মুসলমান সেনাসৈন্যেরা সচারাচর নেমক হারামী করে না। এ কারণেই রাজার সে ভয় নেই আর এই বিশ্বাসের জোরেই রাজা এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
সুলতান বললেন, তাজ্জব! এযে এক সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা। গোয়েন্দা প্রধান বললেন, সুদূর অতীত থেকেই রাজা দেবরায় এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জাঁহাপনা । মুসলমান সেনাসৈন্য আর বাসিন্দাদের আস্থা পাকাপোক্ত করে তোলার লক্ষ্যে বিজয় নগরের রাজা ইদানিং রাজধানীর সদরে একটি মসজিদও নির্মান করেছে। ঐ মসজিদে এখন নিয়মিত নামাজ আদায় করা হচ্ছে।
সুলতান পুনরায় বিস্মিত কণ্ঠে বললেন, সেকি! হিন্দু রাজ্যের রাজধানীতে মসজিদ!
গোয়েন্দা প্রধান বললেন, প্রয়োজনে নিয়ম নাস্তি জাঁহাপনা। উদ্দেশ্য হাসিলের খাতিরে ওরা অনেক কিছুই করতে আর হজম করতে পারে।
আচ্ছা! তারপর?
কয়েকজন চৌকস মুসলমান যোদ্ধা দ্বারা প্রশিক্ষণ দিয়ে রাজা দেবরায় অতি দ্রুতগতিতে একটি বিশাল আর শক্ত সৈন্যবাহিনী তৈয়ার করেছে হুজুর। এক্ষণে সেই সৈন্য বাহিনী নিয়ে রায়চূড় দোয়াব দখল করার জন্যে আবার সসৈন্যে ছুটে
আসছে সে ।
বটে! আবার?
জি জাঁহাপনা। মুসলমান যোদ্ধাদের প্রদত্ত প্রশিক্ষণ তার বাহিনীতে ইতিপূর্বে যথেষ্ট ছিল না। এবার পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের দ্বারা তার সেনা সৈন্যদের পোক্ত করে তুলে নিয়ে রাজা দেবরায় আবার ছুটে আসছে রায়চূড় দোয়াব দখল করার উদ্দেশ্যে। রাজার বিশ্বাস, এবার সে কামিয়াব হবেই।
হবেই
বিজয়নগরে অবস্থিত আমার গোয়েন্দা কর্মীরা জানিয়েছে, রাজার এ ধারণা আর বিশ্বাস অত্যন্ত দৃঢ়।
জ্বলে উঠলো সুলতান দ্বিতীয় আহমাদ শাহর দুচোখ, মুষ্ঠিবদ্ধ হলো তাঁর দুই হাত। তিনি বজ্রকণ্ঠে বললেন, বটে! তার এই বিশ্বাসটা ফুৎকারে উড়িয়ে দিতে আবার তো তরবারি হাতে দাঁড়াতেই হয় আমাকে ! বাহিনী নিয়ে ছুটতেই হয় বেঈমানটার বেঈমানীর সমুচিত জবাব দিতে!
গোয়েন্দা প্রধান আক্তার আলী একথায় শংকিত কণ্ঠে বললেন, সেকি জাঁহাপনা! এই শরীরে আপনি আবার বাহিনী নিয়ে ছুটবেন? না-না, তা হয় না হুজুর। আপনার বিশ্বস্ত মন্ত্রী, সেনাপতি বা অন্য যে কোন দক্ষ আর বিশ্বস্ত ব্যক্তির অধীনে বাহিনী প্রেরণ করুন আর সেই বাহিনী প্রেরণ করুন অতি সত্ত্বর। বিলম্ব হলে বিনা বাধায় রায়চূড় দোয়াব দখল করে নিয়ে সেখানে তার অবস্থান অত্যন্ত মজবুত করে ফেলবে জাঁহাপনা!
সে তো অবশ্যই । আর সে কারণেই ঐ নাছোড়পিণ্ডে দুশমনটাকে উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্যে আমার নিজে যাত্রা করা ছাড়া আর কাকে পাঠাবো, বলুন? আমার উজিরে আজম এই খাজা জাহান সাহেব আমার মতোই বৃদ্ধ। তাঁর দ্বারা ঐ শক্তিশালী দুশমনকে দমন করা সম্ভব নয়। আমার সেনপতিদের মাঝেও এক্ষণে এমন কোন চৌকস সেনাপতি নেই যে বা যারা নিজে স্বাধীন ভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করতে সক্ষম । কাজেই, তলোয়ার হাতে না নামলেও, যুদ্ধ পরিচালনা করার জন্যে ময়দানে আমার হাজির থাকা একেবারেই অপরিহার্য, আলী সাহেব!
জাঁহাপনা!
আমার উজিরে আজম সাহেব বয়সের ভারে এতটা কাবু হয়ে না গেলে আমার স্থানটা তিনিই পূরণ করতে পারতেন। সে দক্ষতা তাঁর ছিল। কিন্তু-
কিছুক্ষণ আগে উজিরে আজম খাজা জাহানের পুত্র জাফর খান অনেকের অলক্ষ্যে দরবারে এসে তার পিতার পাশে আসন গ্রহণ করেছিল। সুলতানের এই কথার প্রেক্ষিতে সে উঠে দাঁড়ালো তড়াক্ করে। সুলতানকে উদ্দেশ্য করে সে বীরদর্পে বললো, আমার আব্বাজান বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে গেলেও, আমি তো তা যাইনি জনাব। আমি একজন টগবগে তরূণ। বাহিনী চালানোর দায়িত্বটা আমার উপর ছেড়ে দিন। দেখবেন, এই বাহমনী রাজ্যটাকে সুরক্ষিত করার তাকদ, কি পরিমানে বাহুতে আমার বিদ্যমান !
সুলতান সবিস্ময়ে প্রশ্ন করলেন, তুমি? বাহিনী চালনা করবে তুমি? একজন ছেলে মানুষ! একজন সাধারণ সেপাইয়ের মতো কিছুটা লড়াই করতে শিখলেও, বাহিনী পরিচালনা করার জ্ঞান কোত্থেকে এলো তোমার? কোন প্রশিক্ষণ নেই, কখনো কোন বাহিনী পরিচালনা করা নেই, হঠাৎ করে কিভাবে এ অভিজ্ঞতা তোমার হলো?
বামহাত টান করে জাফর খান বললো, বাজুতে তাকদ থাকলে শিক্ষা- প্রশিক্ষণ কিছুই লাগেনা জনাব। আমার বাহুতে শক্তি আছে জিয়াদা, ব্যস্ আর কি চাই?
পুত্রের কথা শুনে খাজা জাহান সন্ত্রস্ত কণ্ঠে বললেন, সেকি । তুমি লড়াইয়ে যাবে কি? তোমার ডান বাহুর ঐ শাল ক্ষতটা এখনো সম্পূর্ণ শুকায়নি। পুরোপুরি সফল হয়। তোমার ডানহাত তুমি লড়াই করবে কি করে? পুত্র বললো, যে সৈন্য পরিচালনা করে, তাকে তলোয়ার হাতে লড়াই করতে হয় না আব্বাজান! লড়াই করবে সৈন্যেরা। মরবে তারা। অশ্ব পৃষ্ঠে বসে আমি তাদের হুকুম-নির্দেশ দেবো শুধু ।
পিতা বললেন, সেরেফ ঐ হুকুম-নির্দেশ দিয়েই বাহিনী পরিচালনা করা যায় না জাফর। প্রয়োজনে সৈন্যদের অগ্রভাগে দাঁড়িয়ে দুশমনদের সাথে মুখোমুখি লড়াই করতে হয়। সে দক্ষতা তোমার থাকলেও, এক্ষণে ঐ কাটা হাতে লড়াই করা-
মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে জাফর খান বললো- মাথায় মগজ থাকলে তা করতে হয়না আব্বাজান। বুদ্ধির জোরেই সৈন্যদের দ্বারা সে লড়াই করিয়ে নেয়া যায় আর তা করিয়ে নিতে আমি রীতিমতো সক্ষম।
তা হয়তো যায়। তবে-
কোন তবে কিন্তু নেই আব্বাজান! আপনি এই বাহমনী রাজ্যের উজিরে আযম। আপনার অভাবে আমাকেই তো এরাজ্যের উজিরে আযম হতে হবে। সুলতানও নিশ্চয়ই আমাকে সেপদে অধিষ্ঠিত করবেন। কাজেই, আমার যোগ্যতাটা কি আমাকে প্রমাণ করতে হবে না? যুদ্ধে আমি যাবোই ।
মুখে প্রকাশ না করলেও, পুত্রের মুরোদের খবর পিতার কাছে অজ্ঞতা নয় । একজন সাধারণ সৈনিকের পূর্ণ দক্ষতাও যে পুত্রের নেই এটা তিনি সবিশেষ জানেন। তাই, পুত্রের এই জিদের কারণে উজিরে আযম সাহেব অকস্মাৎই হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন এবং পুত্রকে ধমক দিয়ে বললেন, থামো। একজন সাধারণ রাহাজানের তলোয়ারের ঘায়ে বাহুখানা যার দুইভাগ হয়ে যাওয়ার অবস্থায় আসে, সে যাবে যুদ্ধে! কুঁজোর চিৎ হয়ে শোয়ার সখ আর বলে কাকে? বাহুর ঘা’টা আগে পুরোপুরি শুকিয়ে যাক, তারপর সে খোয়াব দেখো । পিতার অসতর্কতার জন্যে পুত্র চমকে উঠে বললো, আব্বাজান!
সুলতান উজিরে আযমকে প্রশ্ন করলেন- ঘা’টা মানে? জাফরের বাহুটা আহত হলো কি করে? কে আর কবে তাকে আঘাত করলো? www.boighar.com
উজিরে আযম খাজা জাহান বললেন, গত ঈদুল ফেতরের সময় হুজুর। জেনানাদের মেলার পথের ওদিকে জাফর নিরস্ত্র ভাবে ঘোরাফেরা করছিল। হঠাৎ কোথা থেকে এক দল রাহাজান এসে হামলা করে নিরস্ত্র জাফরের উপর আর তার ডান বাহুতে তরবারির কঠিন এক ঘা মারে। এতে করে জাফরের ডান বাহুটা দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায় যায় অবস্থা হয়। প্রাণপণে ছুটে পালিয়ে না এলে রাহাজানদের হাতে ওখানেই জাফরের মৃত্যু ঘটতো।
নাউজুবিল্লাহ মিন্ যালেক। সেকি, এটা সত্যি ঘটনা?
জি হুজুর, সত্যি ঘটনা ।

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top