বিষকন্যা – কাজী আনোয়ার হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ কাজী আনোয়ার হোসেন
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৩৫০
বিষকন্যা – বইটির এক ঝলকঃ
‘কোস্টাস অ্যারোনাফিস বলে একজন আছে, তোমার বয়ফ্রেন্ড-ভুলে যেয়ো না।’
‘আমি কারও কেনা নই, আজও কেউ আমাকে জয় করতে পারেনি।’
‘শেষবার তাকে আমি অস্ত্র হাতে দেখেছি,’ চারদিকে তাকাল রানা, তারপর ঢাল বেয়ে উঠতে শুরু করল।
মিলির গলায় রাগ, পিছন থেকে ধিক্কার দিল সে, ‘কেমন পুরুষ তুমি?’
‘বেঁচে থাকতে চায় বলে সাবধানে পা ফেলে,’ হাঁটার গতি শ্লথ না করে বলল রানা। একটা অ্যাসাইনমেন্টের প্রথম পর্যায়ে রয়েছে ও, মাথার ভেতর গিজগিজ করছে অসংখ্য সমস্যা, ঈর্ষাকাতর একজন প্রেমিককে খেপিয়ে তুলে পরিস্থিতিটাকে আরও প্রতিকূল করার কোন ইচ্ছে ওর নেই। কাল রাতে ওকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়েছে, আজ সকালে চাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে একটা জাহাজ। দিনের বাকি সময়টা ওর জন্যে কি অপেক্ষা করছে দেখার জন্যে অস্থির হয়ে আছে মনটা।
ব্লাফ-এর মাথায় ওঠার আগেই ধোঁয়ার গন্ধটা নাকে ঢুকল। দুপ দাপ করে রাগী পা ফেলে উঠে এসেছে মিলিও, নগ্ন বুক সম্পর্কে যেন সচেতন নয়। হাসি চেপে রানা ভাবল, কোটিপতি অ্যারোনাফিসকে হতভম্ব করতে না পারলেও, তার বাটলারকে ভ্যাবাচাকা খাইয়ে দিয়ে মজা পাবে মিলি। অদ্ভুত ছেলেমানুষি একটা ভাব রয়েছে তার সমস্ত আচরণে। নিজেকে জাহির করতে ভালবাসে।
হাত ইশারায় মিলিকে পিছনে অপেক্ষা করতে বলল রানা । তারপর সাবধানে কিনারা টপকে ব্লাফ-এর মাথায় উঠল। গন্ধটা এখানে আরও জোরাল, অথচ এখনও আগুনের কোন চিহ্ন চোখে পড়ল না। নিচ থেকে ঢেউগুলোর বিরতিহীন আছাড় খাওয়ার শব্দ ভেসে আসছে। রানার সামনে জলপাই গাছগুলোর ভেতর দিয়ে সশব্দে বইছে বাতাস ।
ধৈর্য হারিয়ে ফেলল মিলি, দুপ দাপ শব্দ তুলে রানার পাশে উঠে এল। ‘গন্ধটা কিসের?’ জানতে চাইল সে।
‘আমার কাছাকাছি থাকো,’ বলল রানা, গাছের ছায়ার ভেতর দিয়ে সাবধানে এগোল।
সেই গলিটায় চলে এল ওরা, কোস্টাল হাইওয়ে থেকে ভিলার দিকে চলে গেছে। গলির মাঝখানে দাঁড়িয়ে ডানে-বাঁয়ে তাকাল রানা।
সকালে এখানেই বাঁক নিয়েছিল কালো মার্সিডিজটা। এখন সেটাকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। খালি একটা গাড়ি-পথ কিছুই প্রমাণ করে না, মনটা আরও যেন খুঁত খুঁত করতে লাগল রানার । গলি ছেড়ে আবার জঙ্গলের ভেতর ঢুকল ও। ওর ভাড়া করা সিমকাটা এখান থেকে সামান্য দূরে।
দেখে মনে হলো গাড়িটায় কেউ হাত দেয়নি। দরজার তালা খুলে .৩৮টা বের করল রানা।
‘ওটা কেন?” অবাক হয়ে জানতে চাইল মিলি।
‘বলা তো যায় না, যদি লাগে।’
‘আমি জানতাম না তোমার কাছে অস্ত্র আছে।’
‘আমার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানো না তুমি।’
‘তোমার এখন বরং চলে যাওয়াই ভাল,’ বলল মিলি। ‘আবার আমরা দেখা করতে পারি। আমি কোথায় গান করি তুমি জানো।’ ঘুরল সে, গলির দিকে হাঁটা ধরল। হাত লম্বা করে তার কব্জিটা ধরে ফেলল রানা। ব্যথায় উফ্ করে উঠল মিলি। ‘দাঁড়াও!’
নিজেকে ছাড়াবার চেষ্টা করল মিলি। ‘ছাড়ো! আমি সময় নষ্ট করতে রাজি নই। তোমাকে দিয়ে আমার কোন কাজ হবে না…’ ‘এক মিনিটের জন্যে সেক্সের কথা ভুলে থাকবে, প্লিজ?’
‘আমাকে তুমি অপমান করেছ…দু’বার!’ জেদের সুরে বলল মিলি। ‘তাছাড়া, এই অবস্থায়…তুমি বেদিং সুট পরে আছ, আর আমি এভাবে…আমার সহ্য হচ্ছে না।’ নিজের দিকে তাকাল সে, তারপর মাথাটা সবেগে পিছন দিকে কাত করে কাতর কণ্ঠে বলল, ‘আমি সৌন্দর্যের পূজারিণী, ভোগে বিশ্বাস করি। জানি না নিজেকে কিভাবে এতদিন সামলে রেখেছিলাম। তোমাকে দেখে আমার সমস্ত ধৈর্য আর সংযম চুরমার হয়ে যাচ্ছে।’
‘চলো ভিলায় যাই। সব সময় গাছের আড়ালে থাকবে।’
‘আড়াল জিনিসটা দরকার হয় গোপন কাজ করার জন্যে,’ রানার সাথে হাঁটা ধরে বলল মিলি, গোলাপ পাপড়ির মত কোমল ছোট্ট সুন্দর মুখটায় কৃত্রিম অসন্তোষ ।
রানা কোন জবাব দিল না।
খানিকটা হাঁটার পর আবার বলল মিলি, ‘কোস্টাসকে তোমার আসলে ভয় পাবার কোন দরকার নেই, বুঝলে!
এবারও কোন জবাব দিল না রানা। সাবধানে হাঁটছে, পিস্তল
ধরা হাতটা কোমরের কাছে তোলা।
‘সে এমনকি নেইও এখানে,’ বলল মিলি।
“কি?” মিলির দিকে ঘুরল রানা। ‘তুমি জানলে কিভাবে?” মসৃণ একটা কাঁধ ভারি আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে ঝাঁকাল মিলি। ‘আমাদের চাপা দেয়ার চেষ্টা করল ইয়টটা। কার ওটা?’
‘কার?’
‘কোস্টাসের, আবার কার!
‘বলো কি! আমাকে আগে বলোনি কেন?’
‘বলিনি…বলিনি ভয়ে। আমার সন্দেহ হয়েছিল, জানতে পারলে এ-ধরনের কিছু একটা করবে তুমি, এখন যা করছ।’ নির্জন জঙ্গলের ভেতর নিস্তব্ধতা নেমে এল।
‘কোস্টাসকে তোমার ক্ষমা করতে হবে,’ আবার বলল মিলি। ‘তাকে বুঝতে পারলে তুমি তাকে ক্ষমা করবেও।
‘কি রকম?’ বিস্ময়ের ধাক্কাটা সামলে উঠতে না পারলেও কৌতুক বোধ করল রানা ।
‘কাজটা করেছে স্রেফ ভালবাসার খাতিরে, ঈর্ষাবশত। কোস্টাস আমাকে দেখাতে চায়, আমার প্রতি কত গভীর তার টান। কিন্তু কাজটা করার পর এখন তার অবস্থা কি হবে জানো? অনুতাপে দগ্ধ হবে বেচারি, একা একা নিজের মাথার চুল ছিঁড়বে। তারপর, আবার যখন দেখা হবে আমাদের, ভাবতে পারো তখনকার পরিস্থিতিটা? আনন্দে, উল্লাসে –মানে আমাদের রিইউনিয়নটাকে বলা যেতে পারে…’ গ্রীক! তোমার বোঝার কথা নয়। আমার সমস্ত কিছু গ্রীক।’ ‘হ্যাঁ, সাংঘাতিক দুর্বোধ্য।
‘তোমার মত শীতল একজন মানুষ বুঝতে পারবে, এ আমার আশা করা উচিত হয়নি।’
ঘুরে দাঁড়াল রানা। ওর পিছনে শুকনো ঘাস আর পাতা খস খস করে উঠল, পিছু নিয়েছে মিলি। মনে মনে একটা আশংকা করছে রানা। ভিলার ভেতর না জানি কি দেখতে পাবে। ওর উদ্বেগের ভাগ মেয়েটাকে দেয়ার কোন ইচ্ছে না থাকলেও, সতর্ক হবার সময় পেল না ও, ঝোপ থেকে বেরিয়ে আসতেই ভিলার নিচের দিকটা এতক্ষণে পুরোপুরি দৃষ্টিগোচর হলো। ওর আশংকা মিথ্যে নয় ।
মিলির দম বন্ধ করার আওয়াজ পেল ও। ‘গড়, ওহ্ গড!’ আঁতকে উঠল মেয়েটা। ‘ভিলায় আগুন ধরে গেছে!’
‘সাবধান, বলল রানা, চারদিকে চোখ রেখে সামনের খোলা জায়গাটায় বেরিয়ে এল।
‘কেউ বোধহয়…তাই না…?’
‘আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, হ্যাঁ। চারদিকে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পাচ্ছে না রানা। ‘তারা হয়তো এখনও এখানে আছে।’ ‘তারা মানে? কাদের কথা বলছ তুমি?’
“চিনি না।’
ভিলার কাঠামোটা অসংলগ্ন, ছোটখাট একটা পাহাড়ের বিভিন্ন স্তরে সাজানো রয়েছে। ওরা দেখল, লাল টালির ছাদের নিচ থেকে ধূসর-হলুদ ধোঁয়া বেরিয়ে আসছে, অন্তত দু’জায়গায়। বাতাস থাকায় ধোঁয়াটা জমতে পারছে না ভিলার মাথায়। যে কারণেই আগুনটা লেগে থাকুক, চুনকাম করা কংক্রিটের পাঁচিল, মার্বেল
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!