বিগ ব্যাঙ – কাজী আনোয়ার হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ কাজী আনোয়ার হোসেন
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২৪২
বিগ ব্যাঙ – বইটির এক ঝলকঃ
রুশ দূতাবাস থেকে বেরিয়ে কাছাকাছি একটা বার-এ ঢুকল মিখাইল বুচভ। আমেরিকান ভদকা খাবার জন্যে বরাবর এখানেই আসে সে, রুশ ভদকা কেনার মত স্বচ্ছলতা তার নেই। আধ বোতল খেতেই মনটা ভাল হয়ে গেল। আপনমনে বিড়বিড় করছে—দাবিরদিন ভাল ছেলে, তার কাকা ভ্লাদিমির পাপাভিচ মহৎ ব্যক্তি।
রোদে বেরিয়ে এল, সামান্য টলছে। হাতঘড়ি দেখল, খানিকটা সময় আছে হাতে। একটা পাবলিক ফোন দেখতে পেয়ে ঢুকে পড়ল ভেতরে। ডায়াল করার পর সাড়া দিল একটা মেয়ে, নতুন কণ্ঠস্বর। এমা শ্যারনকে চাইল সে। একটু পর অপরপ্রান্তে এমার গলা পাওয়া গেল। বুচভ বলল, “আমি স্টার কমপিউটর থেকে বলছি।’ ফোন নম্বরটা পড়ল। ‘আপনার অর্ডার রেডি করা হয়েছে। নম্বরটা হলো—ফাইডফাইভফাইভ জিরোটুথ্রীথ্রী। হ্যাভ আ নাইস ডে।
লাইন কেটে দিল বুচভ। ক্রেডলে রিসিভার রেখে অপেক্ষা করছে। কল্পনার চোখে দেখতে পেল ক্রোওয়েল অফিস বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে আসছে এমা, একটা পে ফোন বুদে ঢুকবে।
রিঙ হলো। রিসিভার তুলল বুচভ। এমা বলল, ‘বুচভ, গুড গড! এরকম ঝুঁকি কেউ নেয়? তোমার ওপর কারও যদি নজর থাকে? কতবার বলেছি এখানে তুমি আমাকে ফোন করবে না।’
‘এমা, ও এমা!’ প্রায় ফুঁপিয়ে উঠল বুচভ। ‘তোমার গলা শুনে কি ভাল যে লাগছে।’ “ইউ ফ্যাট বাস্টার্ড! এরইমধ্যে মাতাল হয়ে গেছ।’
‘এমা, প্লীজ, শোনো। কথা বলার মত আর কেউ নেই আমার। শুয়োরের বাচ্চা দাবিরদিন আমাকে পেয়ে বসেছে। ওহ্ গড়, ওরা আমাকে রাশিয়ায় ফেরত পাঠাবে!’
‘এ তো বহুদিন থেকে শুনে আসছি।’
‘প্লীজ ডার্লিং, প্লীজ। আমাকে তুমি ডুবিয়ো না। কিছু একটা দাও আমাকে। খুব তাড়াতাড়ি। বড় কিছু হওয়া চাই, প্লীজ। এমন কিছু যা দিয়ে ওদেরকে খুশি করা যায়। শুধু গুজবে এখন আর কাজ হবে না। সত্যি যদি ভালবাসো, এটাই আমাকে সাহায্য করার শেষ সুযোগ তোমার। প্লীজ, প্লীজ!’
অপরপ্রান্তে হাসছে এমা। ‘তুমি চিরকালই অস্থির। বললেই কি বড় কিছু পাওয়া যায়? ক’টা দিন সময় দাও আমাকে।
“না, প্লীজ, না। এমা, আমি জানি তোমার ওপর ভরসা করা যায়।’
“ঠিক আছে, পরে কথা হবে,’ বলে যোগাযোগ কেটে দিল এমা । রিসিভারের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকল বুচভ। এভাবে লাইন কেটে দিল? অদ্ভুত না? তবে মনটা আগের চেয়ে শান্ত লাগছে। প্রায় এগারোটা বাজে। কলম্বিয়ায় যাবার সময় হয়েছে তার, হট ডগের ছোট্ট কাজটা সেরে ফেলা দরকার ।
‘মেজর রানা, স্যার,’ এফবিআই এজেন্ট কাটার ডাকল ।
‘ইয়েস?”
‘স্যার, হোয়াইট হাউস বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইছে।’ “বলে দিন, রিপোর্ট করার মত এখনও কিছু ঘটেনি।’
মনে মনে বিস্মিত হলেও আর কিছু না বলে চলে গেল কাটার। প্যাট্রিক লুকাসের দিকে তাকাল রানা। ‘আমি আপনার ফাইল পড়েছি। গ্রেট রেকর্ড। রিপোর্ট কার্ডে এ-প্লাসের ছড়াছড়ি। কিন্তু স্যানাটোরিয়ামের ব্যাপারটা কি বলুন তো? কোন সমস্যা দেখা দিয়েছিল?’ রানার চোখে ঠাণ্ডা দৃষ্টি।
“হ্যাঁ, বিয়েটা ভেঙে যাবার পর একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। তবে এখন কোন সমস্যা নেই।’
হাসল রানা, হঠাৎ করেই অমায়িক একটা ভাব ফুটে উঠল চেহারায় । ‘আসলে আমার একজন জিনিয়াস দরকার, যে ওই পাহাড়টা সম্পর্কে সব কিছু জানে।
‘আমি আপনাকে সাহায্য করতে পারব বলে মনে হয়। ‘ভেরি গুড। তাহলে বলুন, ওখানে ওরা কারা?’ ‘সার্চ মি,’ বললেন লুকাস ।
‘ঠিক আছে। ওটা ওরা দখল করল কেন?’
‘মিসাইলটা ছুঁড়বে, তাই,’ বললেন লুকাস। ‘ইনডিপেনডেন্ট লঞ্চ কেপেবিলিটি আছে, এরকম স্ট্র্যাটিজিক ইনস্টলেশন যুক্তরাষ্ট্রে এই একটাই। পাখিটা ওড়াবার ইচ্ছে না থাকলে ওটা দখল করার কোন মানে হয় না।’
‘কিন্তু কেন? কি লাভ?’
‘তা বলতে পারব না,’ বললেন লুকাস। ‘স্রেফ নাইঈলিজম হতে পারে। কেউ একজন দুনিয়ার সর্বশেষ পরিণতি দেখতে চায়। স্ট্র্যাটিজিক কোন অর্থ এখনও আমি খুঁজে পাচ্ছি না। পাখিটা উড়লে সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারবে রাশিয়া, দেরি না করে বোতামে চাপ দেবে তারা। বিগ ব্যাঙ! সবাই আমরা মারা যাব।’
“স্রেফ ধ্বংস করার আনন্দে এই কাজ কেউ করবে?’
“হয়তো শুধু ধ্বংস করাটাই উদ্দেশ্য নয়। হয়তো আরও বড় কোন পরিকল্পনার এটা একটা অংশ মাত্র। ‘
“আপনি জিনিয়াস, সেই অন্য কারণটা কি হতে পারে আন্দাজ করুন।’
মাথা নাড়লেন লুকাস। ‘সম্ভবত ওখানে যে ছড়ি ঘোরাচ্ছে সে-ও একটা জিনিয়াস। আমাকে আরও খানিক সময় দিতে হবে।’
‘হিসাবটা যখন মেলাতে পারবেন, সবার আগে আমাকে জানাবেন, প্লীজ,’ বলল রানা। ‘সঙ্গে সঙ্গে। উদ্দেশ্য কি জানতে পারলে ওরা কারা সেটা জানা সহজ হয়ে যাবে। এবার বলুন, ভেতরে ঢোকা সম্ভব?’
‘না।’ মাথা নাড়লেন লুকাস। ‘শুনলাম ওখানে ওদের অনেক লোক আছে?’
‘ষাটজন। সবাই সশস্ত্র । ‘মিলিটারি ‘
‘হ্যাঁ, এলিট গ্রুপ। ওদের সিজার অপারেশনে কোন খুঁত ছিল না। চূড়ায় ওরা এখন একটা তেরপল বিছিয়েছে। কি করছে দেখতে পাচ্ছি না। শত কোটি ডলারের স্যাটেলাইট মেঘ-বৃষ্টি-টর্নেডো ভেদ করে দেখতে পায় গর্বাচেভ কি দিয়ে নাস্তা খেলেন, কিন্তু এমন কোন লেন্স আজও আবিষ্কৃত হয়নি এক ইঞ্চি ক্যানভাস ভেদ করতে পারে। ওখানে ওরা কি করছে বলুন তো?’
‘আমার কোন ধারণা নেই,’ বললেন লুকাস ।
রানা ভাবছে, ওরা একটা রেডিও সিগন্যাল পাঠিয়েছে। আরেক দল কমান্ডো গ্রুপের কাছে? ডেল্টা ফোর্স আক্রমণ শুরু করলে ঝাঁপিয়ে পড়বে? নাকি এয়ারপোর্ট দখল করে নেবে, হেলিকপ্টার গানশিপ নামতে দেবে না? লুকাস কোন ধারণা দিতে পারেন?
লুকাস মাথা নাড়লেন। ‘আমি শুধু মিসাইল বুঝি। মিসাইল বেসিং। আর জানি, ওখানে পৌঁছুতে বারোটা বাজবে আপনার, আরেক গ্রুপ বাধা দিক বা না দিক।’
রানা অভিযোগ করল, ‘আপনি আমাকে কোন আশার কথা শোনাচ্ছেন না।’
‘দুঃসংবাদ আরও আছে, মেজর রানা,’ বললেন লুকাস। ‘আপনি যদি পাহাড়ের ওপর লোকগুলোকে খুনও করেন, আপনাকে ওই দরজা পেরিয়ে এলিভেটর শ্যাফটে ঢুকতে হবে। নিচে নামার ওটাই একমাত্র পথ। দরজাটা এগারো টন টাইটেনিয়াম। গত হণ্ডায় কাটা শুরু করলেও আজ মাঝরাতের মধ্যে শেষ করতে পারতেন না।’
‘ধরুন স্রেফ যদি খুলতে চাই?’ জিজ্ঞেস করল রানা ।
এমন দৃষ্টিতে তাকালেন লুকাস, রানা যেন একটা শিশু। ‘দরজাটা ক্যাটাগরি এং পারমিশিভ অ্যাকশন লিঙ্ক সিকিউরিটি ডিভাইস-এর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আ মাল্টিপল টুয়েলভ ডিজিট কোড উইথ লিমিটেড ট্রাই। তিনবার চেষ্টা করার পর আর কোন সুযোগ পাবেন না ।’
‘সংখ্যাটা সে পেল কিভাবে? ভেতর থেকে কোন লোক তাকে সাহায্য করেছে?’
“না, সম্ভব নয়। কারণ চব্বিশ ঘণ্টা পর পর কোডটা বদল করা হয়। তবে সিস্টেমের একটা খুঁত হলো, কোডটা সিকিউরিটি অফিসারের সেফে রাখা হয়—ইমার্জেন্সীর সময় এসএসি যাতে নামতে পারে। আয়োজনটা এভাবেই করি আমরা। তবে এ তথ্য কারও জানার কথা নয় । ব্যাপারটা সিক্রেট। যাই হোক, সেফটা নিশ্চয়ই ভেঙে ফেলেছে ওরা। কোড পাবার পর এলিভেটরে চড়তে কোন অসুবিধে হয়নি। নিচে নেমে মিসাইল অফিসারদের কাবু করেছে।
না?’
‘এসএসি-র সঙ্গে যোগাযোগ করে কোডটা আমরা চাইতে পারি
ঠোঁট বাঁকালেন লুকাস। ‘কি যে বলেন,’ বললেন তিনি। ‘এই লোক…’
‘আমরা তার নাম দিয়েছি ড্রাগন-ওয়ান।’
‘হ্যাঁ, ড্রাগন-ওয়ান। সে নিশ্চয়ই ভেতর থেকে ওই কোড বদলে ফেলেছে, অর্থাৎ রি-সেট করেছে।
‘দরজাটা আমরা উড়িয়ে দিতে পারি না?’
*এত বেশি বিস্ফোরক লাগবে, মেইনফ্রেম কমপিউটার ধ্বংস হয়ে যাবে। ইনস্টলেশনের ওপরের অংশটা ওই কমপিউটরই নিয়ন্ত্রণ করে, ডোর কোড সহ । কমপিউটর নষ্ট হলে চিরকালের জন্যে দরজাটা বন্ধ হয়ে যাবে, কোনদিনই ভেতরে ঢুকতে পারবেন না।’
‘তথ্যের অভাবে আমি অনেক কাজে হাত দিতে পারছি না,’ বলল রানা। ‘কী ভল্টের ব্যাপারটাই ধরুন। কী ভল্টের তথ্য কবে ওরা পেয়েছে, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রশ্ন। কবে জেনেছে তার ওপর নির্ভ করছে আরেক প্রশ্নের উত্তর—ওদের সঙ্গে কোন ওয়েল্ডার আছে কিনা।
লুকাস বললেন, ‘ধরে নিন কী ভল্টের কথা ওরা অনেক আগে থেকেই জানে। কোডের কথা জানে ওরা, কোথায় রাখা হয় তাও জানে, কমিউনিকেশন ইকুইপমেন্ট সম্পর্কে জানে। কী ভল্ট সম্পর্কে জানবে না কেন?’
‘মি. কারমাল,’ জিজ্ঞেস করল রানা, ‘আপনার কি ধারণা, আমরা
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!