আরেক বারমুডা – কাজী আনোয়ার হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

আরেক বারমুডা – কাজী আনোয়ার হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ কাজী আনোয়ার হোসেন

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২১১

আরেক বারমুডা – বইটির এক ঝলকঃ

পানি ভেদ করে ওপরে উঠতে পারল না নিউক্লিয়ার সাবমেরিনের ট্রেনিং পাওয়া দক্ষ নাবিকেরা! এই প্রসঙ্গে একটা কথা মনে পড়ে গেল অ্যাডমিরালের। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দুর্ঘটনা ঘটে ‘টাঙ’ নামে একটা সাবমেরিনে। ডুবে যায় সাবমেরিনটা। ওখানে পানির গভীরতা ছিল একশো আশি ফুট। তখনকার দিনে আজকের মত এত আধুনিক যন্ত্রপাতি ছিল না। শুধু ফুসফুসের ওপর নির্ভর করেই সাবমেরিনের আটজন নাবিক পানির ওপরে ভেসে উঠতে পেরেছিল। বেঁচে গিয়েছিল আটজনই। ম্যাসন কি সত্যিই পাগল হয়ে গিয়েছিল? কোন কারণে সাংঘাতিক রকম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল? যার জন্যে ঠিকমত চিন্তা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিল সে?
‘খাবার নেই। কয়েক ঘণ্টা শ্বাস নেবার মত বাতাস অবশিষ্ট আছে আর। খাবার পানি শেষ হয়ে গেছে তিন দিন পরেই ।
অসম্ভব, একেবারে অসম্ভব! নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকটার কাজ করছিল না, এমন কথা বলেনি ম্যাসন। প্রয়োজনের চাইতে অনেক বেশি পানি বিশুদ্ধিকরণের ব্যবস্থা রয়েছে স্করপিয়নে। আর বাতাস? ধরা যাক এয়ার পিউরিফাইং সিসটেম কাজ করছে না কোন রহস্যজনক কারণে। সেক্ষেত্রেও কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলেই কার্বন ডাই অক্সাইড জমে যাওয়া কমানো যায়। তাছাড়া অক্সিজেন সরবরাহ করার আরও ব্যবস্থা রয়েছে সাবমেরিনে। হ্যাঁ, খাদ্য সমস্যা ঘটতে পারে। স্করপিয়ন যখন ডুবেছে, সঙ্গে নেয়া খাবারের এক তৃতীয়াংশ মাত্র অবশিষ্ট থাকার কথা। তাহলেও বেশির ভাগ নাবিকই মৃত। ওই খাবারে অবশিষ্ট কয়েকজন লোকের নব্বই দিনের বেশি চলার কথা। কিন্তু মাত্র পাঁচ দিনও চলল না খাবারে? আসলে এসব কোন সমস্যাই নয়। সমস্যা হলো রিঅ্যাকটর যদি বন্ধ হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে ওই সাবমেরিনে বাঁচতে পারবে না মানুষ। কিন্তু রিঅ্যাকটরের তো কোন উল্লেখই করেনি ম্যাসন !
“কি করা উচিত পরিষ্কার বুঝতে পারছি। আশ্চর্য এক প্রশান্তি অনুভব করছি এখন মনে। জাহাজের ডাক্তারকে ইঞ্জেকশন দেয়ার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছি। এতে অহেতুক যন্ত্রণা থেকে চিরকালের জন্যে মুক্তি পাবে মানুষগুলো। সবার শেষে ইঞ্জেকশন নেব আমি, ভাবছি।’
মাই গড! চমকে উঠলেন অ্যাডমিরাল। নিজেকে সুস্থ স্বাভাবিক বলে দাবি করছে ম্যাসন, অথচ আবার বলছে পাইকারী মানুষ খুনের আদেশ দিয়েছে।
হাতের লেখা অস্পষ্ট হয়ে গেছে এরপর, অনেক বেশি কাটাকুটি। পড়তে অসুবিধে হয়।
আবার ফিরে এসেছে ওরা। বাইরে খোলের গায়ে টোকা দিচ্ছে রবিন। মাদার অভ ক্রাইস্ট! ওরা তো মরেই গেছে, ভূতগুলো এসে জ্বালাচ্ছে কেন আমাদের!’
নাহ্, সুস্থ এবং স্বাভাবিক ছিল না ম্যাসন। বন্ধ সাবমেরিনে ভয়ঙ্কর অবস্থায় সময় কাটাতে কাটাতে বদ্ধ পাগল হয়ে গিয়েছিল শেষের দিকে। কিন্তু মাত্র পাঁচদিনেই? ‘আর মাত্র কয়েক ঘন্টা ঠেকাতে পারব ওদের। ভাঙতে শুরু করেছে। •আফটার এসকেপ কম্পার্টমেন্ট হ্যাচ ভেঙে ঢুকে পড়বে ভেতরে…। ওরা আসলে খুন করতে চাইছে আমাদের। কিন্তু পারবে না, তার আগেই আমরা হারিয়ে দেব ওদের। এত কষ্ট করে ভেতরে ঢুকে দেখবে সবাই মরে পড়ে আছি।’
‘ওদের’! ‘ওরা’!—কাদের কথা বলছে ম্যাসন? অন্য কোন দেশ?-রাশান স্পাই-ট্রলারের লোকেরা উদ্ধার করার চেষ্টা করেনি তো!
‘বাইরে নিশ্চয় অন্ধকার হয়ে গেছে, কাজ বন্ধ হয়ে গেছে ওদের। কমিউনিকেশন ক্যাপসুলে করে এই মেসেজ পাঠাচ্ছি। লগবুকে এরপরে আর কিছু লিখিনি। আশা করছি, অন্ধকারে ক্যাপসুলটা দেখতে পাবে না ওরা। আমাদের বর্তমান পজিশন ৩২° ৪৩ ১৫ নর্থ— ১৬১০ ১৮ ২২ ওয়েস্ট।’
স্করপিয়ন শেষ যেখানে ছিল রিপোর্ট পাওয়া গেছে, ম্যাসনের মেসেজে লেখা জায়গাটা তার চাইতে পাঁচশো মাইল দূরে। যদি পুরো গতিতেও চলে সাবমেরিনটা, তাহলেও পাঁচশো মাইল যেতে চার ঘণ্টা লেগে যাবে। স্করপিয়নের রেডিও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় আর ক্যাপ্টেন ম্যাসনের মেসেজে উল্লিখিত সময়ের ফারাক চার ঘণ্টার চেয়ে কম। ঠিক মিলছে না কোন কিছুই। পুরো ব্যাপারটাই কেমন যেন গভীর রহস্যপূর্ণ।
মেসেজ শেষ করে নোট লিখেছে ম্যাসন। নিশ্চয়ই পুরো অপ্রকৃতিস্থ ছিল তখন সে, ভাবলেন অ্যাডমিরাল।
‘আমাদের খোঁজার চেষ্টা করবেন না, কোন লাভ হবে না। আমাদের খুঁজে পাওয়ার মত কোন চিহ্নই রাখবে না ওরা। কি অদ্ভুত প্রক্রিয়া! যদি আগে ঘুণাক্ষরেও ব্যাপারটা টের পেতাম, হয়তো বেঁচে যেতে পারতাম। যে-ই পাবেন এই মেসেজ, দয়া করে পার্ল হারবারে অ্যাডমিরাল জেমস ম্যাকডেভিডের হাতে পৌঁছে দেবেন।’
কিন্তু আমি কেন! বুঝতে পারছেন না অ্যাডমিরাল। যদ্দূর মনে পড়ে, কমান্ডার পিটার ম্যাসনের সঙ্গে কখনও দেখাই হয়নি আমার। এত লোক থাকতে স্করপিয়নের শেষ পরিণতি জানানোর জন্যে আমাকেই বেছে নিল কেন ম্যাসন?
চার
রয়্যাল হাওয়াইয়ান হোটেল। বারের ওপর কনুই রেখে ঝুঁকে দাঁড়িয়েছে রানা। ভরা গ্লাসের দিকে তাকিয়ে রয়েছে, কিন্তু রঙিন পানীয়ের প্রতি মন নেই। ভাবছে সে। দুপুরে সাগর সৈকতে সিলিন্ডারটা খুঁজে পাওয়া থেকে পরের প্রতিটি ঘটনা ছবির মত খেলে যাচ্ছে ওর মনের পর্দায় ।
অ্যাডমিরাল ম্যাকডেভিডের চেহারাটা কল্পনার চোখে পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছে রানা। ক্যাপসুলের ভেতরে পাওয়া স্করপিয়নের লগবুকের ছেঁড়া পাতায় লেখাগুলো পড়ছেন। মনে যত যা-ই ভাবুন, তার সামান্যতম বহিঃপ্রকাশ নেই হাবেভাবে, চেহারায়।
আসলে কি ঘটেছে ডুবোজাহাজ স্করপিয়নের ভাগ্যে? ক্যাপ্টেন পিটার ম্যাসন আর নাবিকদের ভাগ্যে? কোন অপার্থিব যোগাযোগ হয়েছে ওটার একই এলাকায় হারিয়ে যাওয়া অন্যান্য জাহাজের সঙ্গে? সত্যিই কি প্রশান্ত মহাসাগরের ওই অঞ্চলটা ‘আরেক বারমুডা ট্রায়াঙ্গল’?
পড়া শেষ হলে ধীরে ধীরে মুখ তুলে রানার দিকে তাকিয়েছেন অ্যাডমিরাল ম্যাকডেভিড। অর্থপূর্ণভাবে মাথা ঝাঁকিয়েছেন। তাঁর দিকে তাকিয়ে নীরবে মাথা ঝাঁকিয়েছে রানাও। উঠে পড়েছে। টেবিল ঘুরে গিয়ে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে অ্যাডমিরালের দিকে। পুরু চামড়ায় ঢাকা হাড্ডিসার একটা হাত বাড়িয়ে রানার হাত চেপে ধরেছেন ম্যাকডেভিড, জোরে ঝাঁকুনি দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। একে একে ঘরের অন্য তিনজনও উঠে এসে হাত মিলিয়েছে রানার সঙ্গে। কেউ কোন কথা বলেনি, রানাও না। যেন সম্মোহিতের মত এরপর অ্যাডমিরালের অফিস থেকে বেরিয়ে এসেছে রানা। বিকেলে যানবাহনের ভিড় থাকে নির্মিজ হাইওয়েতে। ওই ভিড়ের ভেতর দিয়ে কিভাবে হোটেলে এসে পৌঁছেছে সে, ঠিক মনে করতে পারছে না। মনে নেই, কখন কি করে নিজের ঘরে এসে ঢুকেছে, গোসল সেরেছে, কাপড় পরেছে, আবার বেরিয়ে পড়েছে। প্রতিপক্ষ কে, জানে না সে। প্রতিপক্ষ যদি সত্যিই প্রকৃতি হয়, তাহলে কিছুই করার নেই তার। প্রকৃতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবে না ।
আঙুল দিয়ে গেলাসটা চেপে ধরে ধীরে ধীরে নাড়াচাড়া করছে রানা। পেছনে, আশেপাশে আরও লোকজন রয়েছে, কথাবার্তা বলছে ওরা, কিছুই কানে ঢুকছে না তার। অদ্ভুত কিছু একটা রয়েছে স্করপিয়নের লগবুকের লেখাগুলোতে, সেটা কি, ভেবে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে। মস্তিষ্কের গভীর কোষে কি একটা যেন লুকোচুরি খেলছে, ধরা দিয়েও দিচ্ছে না। আসছে, কিন্তু ধরতে গেলেই সরে যাচ্ছে আবার।
চোখের কোণে এই সময়ই ধরা পড়ল মানুষটা। রানার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। চোখ তুলে চাইল রানা। নিমেষে চিন্তার জগৎ থেকে বাস্তবে চলে এল। ক্যাপ্টেন হেই ম্যাকেঞ্জী। হাতে গেলাস।
রানার মতই স্ন্যাকস এবং রঙচঙে অ্যালোয়া শার্ট পরেছে ম্যাকেঞ্জী। এই দ্বীপে এই সময়ে এ ধরনের পোশাক অনেকেই পরে।
রানার পাশে এসে একই ভঙ্গিতে বারে হেলান দিয়ে দাঁড়াল ম্যাকেজী। বা হাতে গেলাস, ডান হাতে রুমাল। দরদর করে ঘামছে আর বার বার রুমাল দিয়ে ঘাড়-মুখ মুছছে।
মুখে কিছুই বলল না, ম্যাকেঞ্জীর দিকে তাকিয়ে ভুরু জোড়া একটু তুলল- নামাল রানা। ‘ব্যাপার কি?’ বলতে চাইল যেন চোখের ভাষায়।
‘এমনি, চলে এলাম,’ হাসল ম্যাকেঞ্জী।
‘ও,’ বলে নিজের গেলাসটা তুলে নিল রানা। অ্যাডমিরালের অফিসে তাড়াহুড়ো আর উত্তেজনায় অনেক কিছুই মিস করেছে সে। এখন ভাল করে দেখল ম্যাকেঞ্জীকে। অবাক হলো। তার চেয়ে ওজন একটু বেশি হবে ম্যাকেঞ্জীর, পনেরো পাউন্ডের মত। বয়েসও বেশি। চামড়ার রঙ আরেকটু পরিষ্কার। এছাড়া তার সঙ্গে ক্যাপ্টেনের অনেক মিল রয়েছে। বড় ভাই বলে অনায়াসে চালিয়ে দেয়া যায়। উচ্চতা, চুলের রঙ, শরীরের গঠন একই রকম।
নার্ভাস ভঙ্গিতে রানার চোখ থেকে চোখ সরিয়ে নিল ম্যাকেঞ্জী, নিজের গেলাসের দিকে তাকাল। আস্তে করে নাড়া দিল গেলাসটা। রামে ভাসমান বরফের টুকরোগুলো কাঁচের সঙ্গে বাড়ি লেগে মিহি টুংটাং শব্দ উঠল। সেদিকে তাকিয়ে থেকেই বলল ক্যাপ্টেন, দুপুরের ব্যবহারের জন্যে মাপ চাইছি আমি, মেজর।’
‘আরে দূর!’ তাড়াতাড়ি বলে উঠল রানা, এতে মাপ চাইবার কি হলো? আমিই কি যথেষ্ট ভদ্র ব্যবহার করেছি নাকি?’
‘একটা বিচ্ছিরি কাণ্ড …ওই স্করপিয়নের কথা বলছি,’ গেলাসে চুমুক দিল কঞ্জী। ‘রহস্যজনক নিখোঁজ! ‘
একই রকম রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়েছে আরও অনেক জাহাজ, সাবমেরিন। থ্রেশার, ব্লু-ফিন—এগুলোকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি এখনও।
‘কিন্তু স্করপিয়নের ব্যাপারটা আলাদা, চিন্তিত দেখাচ্ছে ম্যাকেঞ্জীকে। ‘এটাকে খুঁজবে হয়তো নেভি, কিন্তু কোন লাভ হবে না ।
“আমি বিশ্বাস করি না।
‘অন্য যে-দুটো সাবমেরিনের কথা বললেন আপনি, মেজর, ওগুলো আটলান্টিকে হারিয়েছে। কিন্তু স্করপিয়নের কপাল অনেক বেশি খারাপ, কারণ এটা হারিয়েছে প্যাসিফিকে। ঘাড়ের ঘাম মুছল আবার ম্যাকেঞ্জী। ‘একটা কিংবদন্তী রয়েছে নাবিকদের মাঝে। আটলান্টিকে যারা হারিয়ে যায়, তাদের কথা গল্প-গাথায় লেখা হয়। কিন্তু প্যাসিফিকে যারা হারিয়ে যায়, সবাই ভুলে যায় তাদের। সুন্দর একটা কবিতা আছে :
“দৌজ হু লাই ডীপ ইন দ্য আটলান্টিক সী আর রিকভ্
বাই শ্রাইনস, রীস্ অ্যান্ড পোয়েট্রি, বাট দৌজ হু লাই ইন দ্য প্যাসিফিক সী, লাই ফরগটেন ফর অল ইটারনিটি।’
চমৎকার গলা ম্যাকেঞ্জীর। সামনে দাঁড়ানো ঘামতে থাকা লোকটাকে পাদ্রীর পোশাকে কল্পনা করে ফেলল রানা। মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিউ ইংল্যান্ডের জেলেদের উদ্দেশে যেন স্তোত্র পড়ছে পাদ্রী। আসছে জোয়ারেই সাগরে নাও ভাসাবে জেলেরা, আশীর্বাদ নিচ্ছে গুরুর।
“কিন্তু মেসেজে পজিশন জানিয়েছে ক্যাপ্টেন ম্যাসন,’ বলল রানা। ওই এলাকায় তল্লাশী চালালে, আমার তো মনে হয় এক সপ্তাহের মধ্যেই স্করপিয়নকে খুঁজে পাবে নেভির সোনার ইকুইপমেন্ট।’
‘সহজে নিজের গোপন কথা ফাঁস করে না সমুদ্র, মেজর,’ খালি গেলাসটা বারের ওপর নামিয়ে রাখল ম্যাকেঞ্জী। তা, আমাকে এখন যেতে হচ্ছে। একজনের আসার কথা ছিল, কিন্তু ফাঁকিই দিল বোধহয়।
ম্যাকেঞ্জীর বাড়িয়ে দেয়া হাতটা ধরল রানা। হাসল, ‘আমিও ভুক্তভোগী। কেউ কথা দিয়ে না এলে বড় খারাপ লাগে।’

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top