অমানুষ – কাজী আনোয়ার হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

অমানুষ – কাজী আনোয়ার হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ কাজী আনোয়ার হোসেন

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২৭৪

অমানুষ – বইটির এক ঝলকঃ

এগিয়ে আসছে যেন বড় কিছু। ফিরে তাকিয়ে পানিতে সেই অদ্ভুত গোলাকার জিনিসটা দেখল আবার। ওর দিকেই এগোচ্ছে।
পানিতে থাবা দিয়ে ওটাকে ভয় দেখিয়ে তাড়ানোর চেষ্টা করল ও। ভয় পেল না ওটা। একইভাবে এগিয়ে আসতে থাকল ।
ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বিপদ সঙ্কেত দিচ্ছে। ভড়কে গেল ভিকি 1 মেরুদণ্ডে শীতল শিহরণ। আর থাকতে সাহস করল না ওখানে। ঘুরে দাঁড়িয়ে তীরের দিকে এগোল। পানি ঠেলে তাড়াতাড়ি ওঠার জন্য দুই হাত ব্যবহার করছে বৈঠার মত। সামনের দিকে সামান্য কুঁজো হয়ে গেছে শরীর। কোমরসমান পানি ঠেলে এগোচ্ছে… এক গজ…দুই গজ… পা পিছলে যাচ্ছে আলগা নুড়িতে। এগোনো কঠিন করে তুলছে। হাত বাড়িয়ে দিল সামনে। কোন কিছু ধরে নিজেকে টেনে তুলতে চাইছে। হাত পড়ল হরিণের মাথাটায়। ওটাই আঁকড়ে ধরল। তীক্ষ্ণ কিছু বিধে গেল হাতের তালুতে। ব্যথা পেলেও মাথাটা ছাড়ল না ও, টান কমাল না ।
শুকনো পাথরে টেনে তুলল অবশেষে নিজেকে । উঠে দাঁড়াল। টলছে। কিন্তু একটা মুহূর্তও দেরি না করে দৌড়ে উঠতে শুরু করল ঢাল বেয়ে। হাঁপানোর শব্দ গোঙানির মত বেরিয়ে আসছে মুখ দিয়ে। পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার আগে থামল না। ফিরে তাকাল পানির দিকে। অদৃশ্য হয়ে গেছে গোল জিনিসটা। স্থির পানিতে আবার ছড়িয়ে যাচ্ছে সেই গোলাকার ঢেউ।
ঠাণ্ডায় ও আতঙ্কে কাঁপতে কাঁপতে বাড়ির দিকে দৌড়াতে করল ও। হাত মুঠো করতে গিয়ে তীক্ষ্ণ ব্যথাটা টের গেল আবার। তাকিয়ে দেখে, চামড়ায় বিধে আছে ছোট্ট
জিনিস। একটা অদ্ভুত
মুখ তুলে লিভিং রুমের দরজায় ভিকিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল রানা। চুপচুপে ভেজা। গা থেকে, পড়া পানি পায়ের কাছে নাম যাচ্ছে। কাঁপছে ভিকি। ফ্যাকাসে হযে গেছে মুখ। ঠোঁট নীল । আতঙ্কিত।
‘ভিকি!’ লাফিয়ে উঠে দাঁড়াল রানা। ঠেলা লেগে চেয়ারটা – উল্টে গিয়ে পড়ল দেয়ালে। ফিরেও তাকাল না। ছুটে এল ভিকির কাছে। ‘কী হয়েছে?’
জবাবের অপেক্ষায় না থেকে বসে পড়ে ভিকির জুতোর ফিতে খুলতে শুরু করল রানা। পাথর থেকে পড়ে গিয়েছিলে?’ ‘একটা হরিণ!’ জবাব দিল ভিকি ‘হরিণ? কীসের হরিণ?’
কথা বলতে গিয়ে গোঙাতে লাগল ভিকি। বুক-পিঠে এক ধরনের খামচে ধরা অনুভূতি। দাঁতে দাঁতে বাড়ি খেতে লাগল ।
“থাক, কথা বলার দরকার নেই।’ ভিকির জুতো খুলে দিল রানা। মোজা, প্যান্ট, আন্ডারওয়্যার, সব খুলে ছুঁড়ে ফেলল মেঝেতে। হলের আলমারি থেকে দুটো বড় তোয়ালে নিয়ে এসে একটা দিয়ে ভিকির গা মুছে দিল, আরেকটা জড়িয়ে দিল গায়ে। হাত ধরে টেনে এনে একটা সোফায় বসাল
হরিণ এখানে আসে শুনেছি,’ রানা বলল। ‘সাঁতরে নাকি চলে আসে ব্লক আইল্যান্ড থেকে। মনে হয় মিসেস মেলভিলের চারাগাছগুলোর ওপর লোভ। গা ভর্তি লাইম পোকা, কামড়ালে নাকি পাগল হয়ে যায় মানুষ….
‘হরিণটা মরা!’ রানাকে থামিয়ে দিল ভিকি ।
‘তাতেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। সাগর সাঁতরে পাড়ি দিতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল…’
করে খুবলে
“না! ডুবে মরেনি। ওটাকে খুন করা হয়েছে, খেয়েছে…’ থেমে থেমে কথা বলছে ভিকি এখনও বন্ধ হয়নি। ‘বিশাল একটা পাথরের কাছে গিয়েছিলাম…ওটার নীচে পানিতে পাথরের ফাঁকে আছে হরিণের মড়িটা…এমন খাওয়া খেয়েছে, এখান থেকে কিছুই নেই,’ নিজের পাঁজরে হাত রেখে দেখাল ভিকি। ‘প্রথমে ভেবেছি ব্লু-ফিশের কাজ…’
‘হতেই পারে,’ রানা বলল। ‘নিশ্চয় জখম নিয়ে পানিতে নেমেছিল হরিণটা। রক্ত বেরোচ্ছিল। রক্তের গন্ধে এসে হামলা করেছে মাছের ঝাঁক…’
‘না,’ মাথা নাড়ল ভিকি। প্রথমে আমিও ভেবেছি ব্লু-ফিশ। পরে মনে হলো হাঙরের কাজ। কিন্তু হরিণটার চোখ নেই। চোখসহ চারপাশের চামড়া মাংস সব খামচে তুলে নেয়া হয়েছে । হাঙর এ রকম করে না।’
‘তাহলে ব্লু-ফিশই…’
আবার বাধা দিল ভিকি। ‘চলে আসছিলাম। হঠাৎ মনে পড়ল চোখের পাশে আঁচড়ের যে দাগ, ওরকম দাগ আগেও কোথাও দেখেছি। ভালমত দেখার জন্য ঘুরতে গিয়েই পা পিছলাল…পড়ে গেলাম পানিতে…হরিণের মাথাটা আঁকড়ে ধরে উঠতে গিয়ে হাতে ‘ বিধল জিনিসটা।’
‘কী জিনিস?’ ভুরু কোঁচকাল রানা।
ডান হাতের তালু মেলল ভিকি। ছোট্ট কাটা দাগটা দেখাল। জিনিসটা বাঁ হাতে রেখেছিল। রানাকে দিল I
‘হাঙরের দাঁতই তো মনে হচ্ছে,’ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে বলল রানা।
টেবিল ল্যাম্পের আলোয় এনে ভাল করে দেখল। ত্রিকোণ । অনেকটা সাদা হাঙরের দাঁতের মত। দুই পাশে করাতের দাঁতের মত খাঁজ কাটা, তবে অনেক বেশি মিহি। আঙুল গেল ও, চামড়া কেটে গেল, সার্জনের ছুরির মত পাশটা অপেক্ষাকৃত পুরু, চ্যাপ্টা, দুই
দেখতে । তৃতীয় দুটো হুক । জিনিসটা কোনও স্বাভাবিক প্রতের মাথা দুটো পরস্পরের দিকে মুখ করা, উল্টো কাঁটার মত কাঁটা। একটা কাঁটা, কৈর মাথায় বড়শির
”বলে মনে হলো না রানার কাছে। কৌতূহল বাড়ল। একটা রুলার বের করে মেপে দেখল প্রতিটি পাশ। এক ইঞ্চির ঠিক আট ভাগের পাঁচ ভাগ-একটুও কমবেশি না। গায়ে ময়লা লেগে আছে। দুই আঙুলে টিপে ধরে ডলে ডলে পরিষ্কার করে ফেলল। বেরিয়ে পড়ল চকচকে ধাতু। অবাক চোখে ভিকির দিকে তাকাল রানা। ‘সত্যিই মরা হরিণের মাথায় পেয়েছ?’
আবার হাতের কাটাটা দেখাল ভিকি। ‘কাটলাম কী দিয়ে তা হলে?’
ভিকির চেহারাই বলে দিচ্ছে মিথ্যে বলছে না।
‘আমার মাথায় ঢুকছে না, বিড়বিড় করল রানা, সাগরে এমন কোন প্রাণী কী করে থাকে যার দাঁত স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে তৈরি! তেরো
রক চেনি ও ডিক চেনি দুই ভাই যখন ডক্ থেকে সরে এল, বেলা তখন সওয়া দুটো। দেরি হয়ে গেছে অনেক। প্রচণ্ড খেপে গেছে তাতে রক। আরও আগে যেতে চেয়েছিল ও, অন্তত আগে, ডিকের জন্য পারেনি। দুটো স্কুবা ট্যাংকে বলেছিল ডিককে। কিন্তু ডিক চলে গিয়েছিল ওয়াটারবোরোর ব্লেসিং অভ দা ফ্লিট প্যারেডে পরার জন্য
তৈরিতে সাহায্য করতে। ডিককে বোটের কিনা দেখতে বলে রেখেছিল রক। ভরতে কস্টিউম থকে তেল ভরা আছে ডিক গিয়েছিল ভুলে, আর তারপর ফিউয়েল ডকে লাইন দিয়ে তেল নিতে গিয়ে দেরি হয়েছে চল্লিশ মিনিট। রাগ চেপে চুপ করে রইল রক। পাগল খেপিয়ে লাভ নেই । বেশি বকাবকি করতে গেলে “ধূর, যাবই না তোমার সঙ্গে’ বলে হয়তো চলন্ত বোট থেকেই ঝাঁপ দেবে বদমাইশটা।
ভিতরে ভিতরে প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে আছে রক। ওর জীবনের একটা বিশেষ দিন আজ। অনেকটা সেকারণেও বিরূপ কথা বলে ডিককে রাগাল না। চুপ করে বোটের মাঝখানে গদিমোড়া টুলে ভাইকে বসে থাকতে বলে থ্রটল ঠেলে দিল সামনে।
লাফ দিয়ে আগে বাড়ল বোট বন্দরে ঝাঁক বেঁধে আছে সেইল বোটগুলো, ওগুলোর ফাঁক-ফোকর দিয়ে ঢুকছে বেরোচ্ছে ডিঙি নৌকা-পূর্ব প্রান্তের মেইন থেকে শুরু করে জার্সি-সব জায়গা থেকেই লোক এসেছে রেসিঙের প্রস্তুতি দেখতে। রকের অবশ্য এসব নিয়ে মাথাব্যথা নেই। ও তার নিজের চিন্তায় বিভোর। পরীক্ষাটা সফল হলে বহু টাকার মালিক হবে ও।
সাগরে বড় ঢেউ নেই, কাজেই গতি বাড়াতে অসুবিধে হচ্ছে না। ন্যাপাট্রির পাশ ঘুরে এসে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে চলল। লক্ষ্য, সাগরের পানিতে ফোঁড়ার মত ফুলে থাকা ‘ব্লক আইল্যান্ড ও অসপ্রি আইল্যান্ডের মাঝখানের জায়গাটা।
প্রয়োজন
‘হেলেন জে’ নামে একটা স্কুনার ডুবে আছে ওখানে। মোটামুটি অক্ষতই রয়েছে বোটটা। ওটাই লক্ষ্য রকের। গভীরতা কম, পানির নীচে ভাল আলো পাওয়া যাবে, ভিডিওটেপিঙের উপযুক্ত। ডেয়ো মুভি তৈরি করার জন্য একটা সেট, ওর । এমন সেট, যেটা বাস্তবসম্মত হবে। হলুদ রঙের একটা বয়া ভাসতে দেখে মনে হয় ভারি কিছু ঝোলানো রয়েছে ওটাতে থাকুক। এখন দেখার সময় নেই।
বোট হয়তো ডুবে গেছে, বয়ান ডিক।
‘বোটটোট হতে পারে, ‘ ডিক
দ্রুত হপ্তার ঝড়ে কারও
“বেঁধে চিহ্ন দিয়ে রেখেছে, পরে এসে তুলে নেবে। বোট হলে আমাদের সেট এখানেই পেয়ে যাব ।

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top