আফগান জিহাদের অজানা কাহিনি – ১ – মুহাম্মদ রফী – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

আফগান জিহাদের অজানা কাহিনি – ১ – মুহাম্মদ রফী – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ আবু উসামা

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২৬৫

 আফগান জিহাদের অজানা কাহিনি – ১ – বইটির এক ঝলকঃ

বহিরাগত অস্ত্র ও পুঁজির জোরে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে ছেয়ে যায়—তারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর অগ্রবাহিনীরূপে ভূমিকা পালন করে। অপরদিকে আন্তর্জাতিক চক্রান্তের জাল কেন্দ্রের সেনা হাইকমাণ্ড পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে। তারা রাজনৈতিক এই অস্থিতিশীলতাকে কাজে জাগিয়ে পাকিস্তানের শক্তিমান প্রেসিডেন্ট জেনারেল মুহাম্মাদ আইয়ুব স্কনের জায়গায় জেনারেল ইয়াহইয়ার মত বিলাসী, আরামপূজারী, ব্যাধিগ্রস্ত লোককে জাতির কাঁধে সওয়ার করে দেয়। সেই ব্যাধিগ্রস্ত লোকটি স্বার্থপর রাজনীতিকদের কুটচক্রান্তে আইনানুগ ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার সাথে সমস্যার সমাধান না করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে নিপীড়নের এমন মারাত্মক পথে দাঁড় করায় যে, অনেক জায়গায় তাদের শীতল স্পর্শের চাপে পূর্ব পাকিস্তানের শান্তিপ্রিয় মুসলমানরা পর্যন্ত আর্তনাদ করে ওঠে। ফলে সেনাবাহিনী তাদের সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হয়ে ভয়ংকর প্যাঁকে ফেঁসে যায়।
সার্বিক এই প্রস্তুতির পর রাশিয়ার উদার সহযোগিতা এবং পশ্চিমা শক্তির উসকানী ও পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৭১-এ ভারতের ‘বাহাদুরেরা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তখন বাহ্যিকভাবে তাদেরকে উল্লেখযোগ্য কোন প্রতিরোধের মুখোমুখী না হওয়ারই কথা ছিল, কিন্তু এমন নৈরাশ্যকর অবস্থাতেও পাকিস্তানের আত্মমর্যাদাশালী ও নির্ভীক সৈনিকগণ, বাংলাদেশের উলামায়ে কেরাম, মাদরাসার তালিবে ইলম, দ্বীনদার মুসলমান এবং স্বেচ্ছাসেবকগণ অবিচলভাবে সে প্লাবনের মোকাবেলা করেন। তারা জয়পরাজয়ের প্রতি ভ্রূক্ষেপ না করে ইসলামপ্রীতি, আত্মমর্যাদা, বীরত্ব ও মুমিনসুলভ আত্মত্যাগের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করেন। সর্বপ্রকার বিরুদ্ধবাদী চক্রান্ত চলা সত্ত্বেও পশ্চিম পাকিস্তানেও জিহাদী উদ্দীপনা বিক্ষুব্ধ অগ্নিতরঙ্গের রূপ ধারণ করে। ছোট বড় সকলে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এবং রণাঙ্গনে গমনের জন্য বেকারার হয়ে যায়। দারুল উলূম করাচীতেও রাইফেল ট্রেনিং চলছিল। তাতে আমিও অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করি। কিন্তু রাজনৈতিক খেলোয়াড় ও সামরিক নেতৃত্বের জোট সম্পূর্ণ ভিন্নরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। ইয়াহইয়া খান হঠাৎ করেই বাংলাদেশের মাটিতে তার ৯৩ হাজার ঈমানদার সৈনিককে ভারতীয় জেনারেলদের সম্মুখে অস্ত্র সমর্পণের নির্দেশ দেয়। অস্ত্র সমর্পণের সেই লজ্জাস্কর দৃশ্য টেলিভিশনের পর্দায় দেখিয়ে সমগ্র বিশ্ব থেকে বীরত্ব ও দক্ষতার স্বীকৃতি আদায়কারী সেনাবাহিনীকে চরমভাবে
অপদস্ত করা হয়।
বাংলাদেশে ভারতের ‘বীরেরা’ যতক্ষণ পর্যন্ত অন্যায় আগ্রাসন চালায় ততক্ষণ পর্যন্ত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ নিশ্চুপ থাকে। পাকিস্তান ভেঙ্গে দু’ ভাগ হতেই নিরাপত্তা পরিষদ তৃপ্তির ঢেকুর তুলে ঘোষণা করে যে, ‘এখন যুদ্ধ বন্ধ করা হোক।
আমাদের ৯৩ হাজার নির্ভীক তরুণ—যারা শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়ে যাওয়ার এবং বিজয় কিংবা শাহাদত লাভের গৌরব অর্জন করার জন্য অস্থির ছিল—তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে ভারতের জিন্দাদখানায় নিক্ষেপ করা হয়। বাংলাদেশের উলামায়ে কেরাম, মাদরাসার তালিবে ইলম এবং স্বেচ্ছাসেবক মুজাহিদগণ যারা পাকিস্তান ও পাকিস্তানী মতাদর্শ রক্ষার জন্য দেহপ্রাণ এবং সর্বস্ব নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন, তাদের উপর এমন নির্মম পাশবিকতা চলানো হয়, যৎদৃশ্যে চেঙ্গিস খানের পাশবিকতার মস্তকও হেঁট হয়ে যায়। আরব দেশসমূহ—যারা তখনও ‘আরব জাতীয়তাবাদের’ ফাঁদ থেকে মুক্ত হয়ে ছিল না—তারাও রক্তক্ষয়ী এ নাটকের শুধু নীরব দর্শকই হয়ে থাকে। ইন্না লিল্লাহ !
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী রক্তক্ষয়ী এ নাটক বাস্তবায়ন করার পর বলেছিলেন, ‘আমরা ‘দ্বিজাতি মতাদর্শকে’ বঙ্গোপসাগরে ডুবিয়ে দিয়েছি।’ তিনি পরবর্তী সময়ের এক গোপন বৈঠকে একথাও বলেন যে, ‘এখন আমাদের পরবর্তী টার্গেট হবে সিন্ধুপ্রদেশ।’
সুতরাং বর্তমানে সিন্ধু প্রদেশেও চক্রান্তের সেই চাল চেলে ভারত এতদূর সফলতা লাভ করেছে যে, এখন যখন আরব দেশসমূহ ‘আরবীয় জাতীয়তাবাদের’ তিক্ত ও মারাত্মক পরিণতি ভোগ করে ইসলামী জাতীয়তাবাদের’ দিকে প্রত্যাবর্তন করছে এবং বাংলাদেশের মুসলমানদের সম্মুখেও ‘বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের’ প্রহসনের জাল ছিন্ন হয়েছে—এমন সময় পাকিস্তানে ভাষা ও আঞ্চলিকতা নির্ভর জাতীয়তাবাদের নতুন প্রতীমা খাড়া করা হয়েছে। যার পদতলে জাতীয় ঐক্যকে বলি দেওয়া হচ্ছে। প্রকৃত দুশমনকে চেনার পরিবর্তে ভাষা ও অঞ্চলভিত্তিক চরম সাম্প্রদায়িকতা তাদেরকে এমন অন্ধ করে দিয়েছে যে, পুনরায় এক মুসলমান আরেক মুসলমানের গলা কর্তন করে চলছে।

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top