আক্রান্ত দূতাবাস – কাজী আনোয়ার হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ কাজী আনোয়ার হোসেন
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৬১
আক্রান্ত দূতাবাস – বইটির এক ঝলকঃ
বারমুদেজকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছি। এরমধ্যে করেছেও অনেকবার। তাতেই বা কি? হ্যাঁ, আমরা দিয়েছি। তাতে আমেরিকার বাপের কি? সারা দুনিয়ায় অস্ত্র সরবরাহের ঠিকেদারি আপনারাই নিয়ে বসে আছেন, তাই না? আমেরিকা কোথাও অস্ত্ৰ বেচলে দোষ হয় না, নিরাপত্তার হুমকি দেখা দেয় না। ওসব ঘটে কেবল অন্য কোন দেশ করলে?”
হাসল ভালদেজ। ‘এই মোড়লগিরি ছাড়ুন। দিন পাল্টাচ্ছে, টের পান না? সেন্ট্রাল আমেরিকার সব দেশ থেকে যে এক এক করে তাঁবু গোটাতে হচ্ছে, তা নিয়ে আপনাদের ক্যাপিটল হিলে। বেশি দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই মাথা ঘামানো উচিত। সে যাক, আমি বলছিলাম, আমাকে এই কম্পাউন্ডে কেউ ঢুকতে দেখেনি। আমি এসেছি ফুড সাপ্লাইয়ের ট্রাকের বন্ধ ক্যাবে করে। বেরও হর একই ভাবে, কেউ টের পাবে না।
হেলান দিয়ে বসল সে, ফাইল খোলাই থাকল। এবার, অপারেশন “কোবরা” নিয়ে কথা বলা যাক।’
ডানে-বাঁয়ে মাথা দোলালেন রাষ্ট্রদূত। ‘ভালদেজ, আপনি যদি ভেবে থাকেন আপনার আর্ট কাজে লাগিয়ে আমাকে ইন্টারোগেট করে কাজ হাসিল করবেন, ভুলে যান। বরং উল্টে আমি আপনার এখানে উপস্থিতির তীব্র প্রতিবাদ আর নিন্দা জানাচ্ছি। যতক্ষণ থাকবেন ততক্ষণ জানাতেই থাকব।
রাষ্ট্রদূতের মাথার ওপর দিয়ে পিছনের দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকল জর্জ ভালদেজ। চেহারায় কোনরকম অভিব্যক্তি নেই। মুখ বন্ধ, যেন টেপ দিয়ে আটকানো । পলক পড়ছে না চোখে, দেহের একটা পেশীও নড়ছে না। কেবল বুক ওঠানামা করছে নিঃশ্বাসের তালে।
গুড়, ভাবছে সে, শুরুটা চমৎকার হয়েছে। তার নাম ধরে সম্বোধন করে এক ধাপ উঠেছে মানুষটা। ভেবেছে আর উঠবে না, কিন্তু আমি ওঠার। উঠল ভালদেজ, দরজা খুলে ইনার রূমে চোখ বোলাল। দুটো মাত্র জানালা, দুটোই মোটা গিলের। সম্ভষ্ট হয়ে ঘুরে দাঁড়াল। বুড়ো আঙুল বাকা করে কাঁধের ওপর দিয়ে রুমটা ইঙ্গিত করল। “আপনাকে এক্সপ্লোসিভ জ্যাকেট থেকে মুক্তি দিয়েছি আমি, ওটা আর পরতে হবে না আপনাকে। কিন্তু এই গার্ড হাউস থেকে বের হতে পারবেন না আপনি মুখ না খোলা পর্যন্ত। এই রূমে থাকতে হবে
“খুলবেন কি খুলবেন না, সে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্যে কিছু সময় দেব আমি আপনাকে। কাল ভাবছি আসব না। কমবোনাকে বলে যাচ্ছি যেন বাঙ্ক সরিয়ে খড়কুটোর বিছানা তৈরি করে দেয় আপনাকে এই রূমে। টয়লেট শাওয়ারের দরজাও বন্ধ করে দেয়া হবে। ওসব আপনাকে কয়েদীদের মত বালতিতে সারতে হবে। আরেক বালতিতে খাওয়া আর গোসলের পানি থাকবে। সাবান ছাড়া গোসল করতে হবে, দাঁত মাজার সুযোগ দেয়া হবে না
“দিনে একবার পাবার পারেন আপনি, পাতলা সুপ, কিছু ভাত, বীন, বাধাকপি, এইসব। মাঝেমধ্যে মাছ-মাংসের স্টুড দেয়া হবে।”
রাষ্ট্রদূতের চেহারায় বিস্ময়, রাতে রেখা দেখে আরও সন্তুষ্ট ভালদেজ। বলে যেতে থাকল, ‘আন্ডারপ্যান্ট ছাড়া কিছু পরতে বা গায়ে দিতে পারবেন না। অবশ্য এখানে যা গরম, সেটাই ভাল হবে আপনার জন্যে। দয়া করে আমি যাওয়ার পর ফমবোনা আমার আগেই শার্ট-প্যান্ট খুলে ফেলবেন। নইলে ও যে বদরাগী মানুষ, সব ছিঁড়ে নামাবে। দেরি হলে হয়তো দু’চার ঘা মেরেও বসতে পারে। আপনার জন্যে মর্যাদাহানিকর হবে সেটা। সুযোগ পেলে সে-কাজ ও করবে।
ঝট্ করে উঠে দাঁড়ালেন ডেনটন। রাগে কাঁপছে সারাদেহ। আমাকে থাকতে হবে এখানে এরকম জন্তু-জানোয়ারের মত? আমাকে?’
“হ্যাঁ। এরমধ্যে খারাপ কিছু দেখি না আমি, ডেনটন। মিলিয়ন মিলিয়ন ল্যাটিন আমেরিকান এভাবেই দিন কাটায়। নোংরা মেঝেতে ঘুমায়, প্রকৃতির ডাক পড়লে বালতিতে কাজ সারে। পানি ছাড়া পান করার আর কিছু জোটে না তাদের, আপনি আজ থেকে যা খাবেন, তাই খেয়ে বছরের পর বছর কাটায়। ওরাও আপনার মতই মানুষ, ওরা যখন এই নিয়তি মেনে নিয়েছে, আপনারও নেয়া উচিত। আফটার অল ওরা আপনাদেরই শোষণ-বঞ্চনার শিকার।
*এ দেশীদের কথাই ভাবুন। শ্রমিকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কফি চাষ করে, আপনারা ওদের সমস্ত কফি বাগান নামমাত্র দামে কিনে বসে আছেন যুগ যুগ ধরে। জাহাজ বোঝাই করে দেশে নিয়ে যান সব। এদের কফির রিচ অ্যারোনায় আপনাদের দেশের বাতাসের গন্ধ বদলে যায়, অথচ এই বেচারাদের ভাগ্য বদলায় না । বছরেও এক কাপ কফি জোটে না এদের। এরা মেনে নিয়েছে, আপনিও মেনে নিন। কষ্ট কম মনে হবে তাতে।
একটু থামল ভালদেজ। তার সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রদূতকে কতটা আঘাত করেছে, অনুমানের চেষ্টা করল। হুম, ভালই করেছে। কাপুনি বেশ বেড়ে গেছে
‘এখন চলি,’ বলল সে। পরশু আসব আপনার “অপারেশন কোবরার” কেচ্ছা শুনতে। আমার দেশী বিশ্বাসঘাতকদের নাম জানতে।
‘নেতার!’ হুঙ্কার ছাড়লেন র্যালফ ডেনটন। ওই প্রসঙ্গে একটা কথাও বলব না আমি। কখখনো
ফাইল নিয়ে আউটার দরজার দিকে এগোল ভালদেজ, দরজা মেলে ধরে ঘুরে তাকাল। চেহারায় আত্মবিশ্বাস। ‘নিশ্চই বলবেন আপনি। একভাবে না হলে অন্যভাবে বই বের করব আমি।’
“আপনি…আপনি টর্চার করবেন আমাকে?’ অবিশ্বাসে গলা চড়ে গেল তাঁর “একজন আমেরিকান রাষ্ট্রদূতকে?’
“না, ডেনটন। ওই কাজটা আমি কখনোই করিনি, করবও না। ওসব আসলে কাউন্টারপ্রোডাক্টিভ।
‘বুঝেছি। তার মানে ড্রাগ?’
উছ, বোঝেননি। ড্রাগও ব্যবহার করি না আমি, হাসল জর্জ ভালদো। ‘গুড বাই, এক্সেলেনসি। নির্ভয়ে তৃতীয় বিশ্বের অপুষ্টিকর খাবার খান, পানি পান করুন, সময়মত আসব আমি। আর হ্যাঁ, দয়া করে কমবোনাকে কোন অবস্থাতেই চটাবেন না। দেখেছেন তো আমার সাথেই কেমন আচরণ করেছে লোকটা?’
‘আমাকে এখানে আটকে রাখা- এটাও এক ধরনের নির্যাতন। মানসিক
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!