হায় মানবতা! হায় বিশ্ব বিবেক!! – মোল্লা মারজান – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ মোল্লা মারজান
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৪৯
হায় মানবতা! হায় বিশ্ব বিবেক!! – বইটির এক ঝলকঃ
করে শুতে পারছিলাম না। স্থানের সংকীর্ণতা ও অন্ধকারের কারণে কষ্টের তীব্রতা আরো বেড়ে গেল। রুটি ছিলনা, পানি ছিল না। সবার মুখ শুকিয়ে গেল, দুর্বলতা বেড়ে গেল।
আজ ছিল দ্বিতীয় রাত। আমরা ছিলাম ক্ষুধার্ত। দিনে রোযা রেখেছিলাম পানাহার ব্যতিরেকেই। প্রত্যেকে ইশার নামায স্ব স্ব স্থানে বসে তায়াম্মুম করে ইশারা করে আদায় করলাম। সিজদার জায়গা পর্যন্ত ছিল না। আরব মুজাহিদীন আমাকে অভিযোগ করতে লাগল যে, আমরা আপনার কথায় তাদের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করলাম, আর তারা বিশ্বাসঘাতকতা করে আমাদেরকে গ্রেফতার করে কিল্লায় বন্দী করল। আমি আরব মুজাহিদদেরকে উত্তরে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে বলতাম যে, এখন তো আমি অসহায়। কিছুই তো করতে পারছি না। আমিও আপনাদের সাথে বন্দী।
রাত দশটার মত হবে। বাচ্চার প্রচণ্ড বিস্ফোরণে গর্জে উঠল এবং বারুদের ধোঁয়া ও গন্ধে ভরে গেল। উত্তরাঞ্চলীয় জোটের রক্তপিপাসু যোদ্ধারা বাতি জ্বেলে হ্যান্ড গ্রেনেড ভিতরে ছুঁড়ে মেরেছিল। যার ফলশ্রুতিতে সাত জন তালিবান ঘটনাস্থলেই শহীদ হয়ে গেল। আহতদের এক বড় অংশ সারা রাত আঘাতের কারণে কাতরাচ্ছিল। অন্ধকারে বোঝা যাচ্ছিল না যে, কে কতটুকু আহত হয়েছে? রাতটা বসে বসে অস্থিরতার সাথে যাপিত হল। যিকির ও তিলাওয়াত করতে করতে ফজর হয়ে গেল। ফজরের নামায তায়াম্মুম করে বসে বসে আদায় করলাম।
২৫ নভেম্বর সকাল হতেই এক এক কয়েদীকে পর্যায়ক্রমে বাঙ্কারের বাইরে এনে তল্লাশী নিয়ে এবং হাত বেঁধে এলোপাথাড়ি মারতে মারতে অজ্ঞাত স্থানের দিকে নিয়ে যাওয়া শুরু হল। কয়েদীদের আশংকা ছিল যে, হত্যা করার জন্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বেলা এগারোটা বেজে গেল। বাঙ্কারে আমরা স্রেফ পঞ্চাশ জন কয়েদী অবশিষ্ট ছিলাম। আচানক বাইরে থেকে তাকবীর বুলন্দ হওয়ার আওয়াযের সাথে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হল এবং সাথে সাথেই গুলী শুরু হয়ে গেল। যুদ্ধ তখন শুরু হল যখন হিযবে ওয়াহ্দাতের সাথে সম্পৃক্ত হাযারাহ বংশের এক যুদ্ধবায আরব মুজাহিদের তল্লাশীকালে তার পকেট থেকে পবিত্র কুরআন বের করে জিজ্ঞাস করল যে, এটা কী? আরব মুজাহিদ জবাবে বলল, এটি কুরআন মাজীদ । বদবত হাযারাহ যুদ্ধবায অবজ্ঞার সুরে অপবিত্র উচ্চারণ করতে করতে পবিত্র কুরআন দূরে ছুঁড়ে মারল। আরব মুজাহিদ কুরআন পাকের লাঞ্চনা বরদাশত করতে পারল না। সে পিছনে দাঁড়ানো অন্য এক আরব মুজাহিদকে ইঙ্গিত করল যে পূর্ব থেকেই হ্যান্ড গ্রেনেড লুকিয়ে রেখেছিল। সে নারা লাগিয়ে হ্যান্ড গ্রেনেডের পিন বের করে হাযারাহ যোদ্ধাদের দিকে ছুঁড়ে ছিল। বিস্ফোরণে কয়েকজন উড়ে গেল। অবশিষ্ট যোদ্ধা ব্যস্তসমস্ত হয়ে নিজের গান ওখানে ফেলে ভীত বিহবলিত হয়ে উল্টোপায়ে পালাতে লাগল। ছাদে ও চূড়ায় আগ থেকে মোতায়েনকৃত বন্দুকধারীরা চারদিক থেকে তালিবানের উপর ফায়ার শুরু করল। আরব মুজাহিদরা তাদের বন্দুক ছিনিয়ে নিল এবং নীচু হয়ে অস্ত্র তুলে বীর পুরুষোচিত মুকাবিলা শুরু করে দিল ।
ফায়ারিং তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছিল। এত প্রচণ্ড ফায়ারিং শুরু হয়ে গেল যে, আমরা মাথা তুলে বাইরে তাকাতে পারছিলাম না । কিল্লার চারদেয়ালে ও চূড়ার উপর দাঁড়ানো উত্তরাঞ্চলীয় যোদ্ধারা পিছমোড়া করে বাঁধা নিরস্ত্র কয়েদীদের উপর বৃষ্টির মত গুলী বর্ষণ
করতে লাগল । এভাবে যোহরের নামাযের সময় হয়ে গেল । আমরা
নামায পড়লাম । সূরা ইয়াসীন পাঠ করলাম। আল্লাহর কাছে মদদ চেয়ে সমস্ত সাথী পরস্পর গলাগলি করে মাফ বিনিময় করলাম এবং আখেরী মুলাকাত হিসাবে মিলতে লাগলাম। আমরা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলাম যে, বের করা সমস্ত কয়েদীকে শহীদ করে দেয়া হয়েছে।
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!