আল্লাহর সৈনিক – ড. মিসকীন হেজাযী – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

আল্লাহর সৈনিক – ড. মিসকীন হেজাযী – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ মুহাম্মদ মুহিউদ্দীন

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৩২১

 আল্লাহর সৈনিক – বইটির এক ঝলকঃ

আবদুল আজীজ, অপরজন তার শ্যালক। গর্তে নেমে প্রথমে তারা গরম দুধ ও মধু জখমীর মুখে দেয়। তারপর ক্ষতস্থানগুলোতে ওষুধ প্রয়োগ করতে শুরু করে। জখমীর দেহে দু’টি গুলী বিদ্ধ হয়ে আছে। ছোরার আঘাতপ্রাপ্ত জখমের সংখ্যা বাইশটি। ফুসফুসে আঘাত লেগেছে। পাজরের তিনটি হাড় কেটে গেছে। বিস্ময়ভরা কণ্ঠে ডাক্তার আবদুল আজীজ তার শ্যালককে বললেন, ভাই! ঘটনাটি সম্পূর্ণ অলৌকিক! এতো মারাত্মক জখম হওয়া সত্ত্বেও লোকটি বেঁচে আছে!
দ্বি-প্রহরের সময় ডাক্তার আবদুল আজীজ ঘরে গিয়ে চিকিৎসার যন্ত্রপাতি এবং কিছু ঔষধ নিয়ে আসেন। সারাদিন চিকিৎসাকার্য সম্পাদন করে সন্ধ্যাবেলা তারা দু’জন ঘরে ফিরে যান। আবদুল আজীজের শ্যালক তার ভাগিনাকে ডেকে বলে, আহমদ! জলদি যাও, তোমার দু’ভাইকে ডেকে নিয়ে আসো। বলবে, আব্বাজান তোমাদের ডাকছেন ।
অল্পক্ষণ পর আহমদ তার দু’ মামাতো ভাইকে নিয়ে আসে। এবার তারা পাঁচজন চুপিসারে ঘর থেকে বের হয়ে জখমীর কাছে চলে যায়। ইশার নামাযের সময় থেকে তারা জখমীকে তুলে আবদুল আজীজের ঘরে নিয়ে আসে।
আবদুল আজীজের প্রশস্ত খোলামেলা ঘরের একেবারে পেছনের কক্ষের খাটের উপর জখমীকে শুইয়ে দেয়া হয়। ফাতেমা তার সেবা-শুশ্রূষায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
আহত যুবক শামিল। এই সেই শামিল, ফাতেমাকে ভালোবাসা এবং দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে যাকে অনেক তিরস্কার শুনতে হয়েছিলো। সেই ফাতেমা আজ তার জখমে পট্টি বাঁধছে, তার সেবা করছে। কিন্তু শামিল অচেতন-বেঁহুশ।
অপর কক্ষে আবদুল আজীজ, তার শ্যালক এবং তাদের উভয়ের ছেলেরা ফিসফিস করে কথা বলছে। আহমদ বললো, মামা! ইনি যে শামিল তাতে সন্দেহ নেই ।
কিছুক্ষণ সতর্ক আলাপচারিতার পর তারা যুগপৎ বিস্ময় ও আনন্দচিত্তে পুনরায় শামিলের কক্ষে প্রবেশ করে। আবদুল আজীজ সকলকে সাবধান করে বলে দেন, এ যে শামিল, ফাতেমা যেনো কিছুতেই বুঝতে না পারে!
দু’দিন পর শামিলের জ্ঞান ফিরে আসে এবং দ্রুত সুস্থতা লাভ করতে থাকে। দশ-পনেরদিন পর অজ্ঞাত পরিচয় রহস্যময় এক ব্যক্তি আবদুল আজীজের ঘরের দরজায় করাঘাত করে। আবদুল আজীজের পুত্র আহমদ দরজা খুলে তার পরিচয় এবং আগমনের উদ্দেশ্য জানতে চায় ।
আগন্তুক বললো, তোমার পিতার সঙ্গে আমার জরুরি কথা আছে। তার সঙ্গে আমার সাক্ষাত করতে হবে। আহমদ আগন্তুককে ঘরে বসিয়ে পিতাকে সংবাদ দিতে যায়। ডাক্তার আবদুল আজীজ তখন শামিলের জখমে পট্টি বাঁধছেন । সংবাদ পেয়ে আবদুল আজীজ সালাম দিয়ে আগন্তুকের কক্ষে প্রবেশ করেন। আগন্তুক উঠে তার সঙ্গে মুসাফাহা করে বললো, আমি আপনার জখমী মেহমান সম্পর্কে কিছু কথা বলতে এসেছি।
: জখমী… মেহমান…! না, এখানে কোনো জখমী বা মেহমান নেই! আমি আপনার কথার অর্থ বুঝতে পারছি না ।
: ডাক্তার আবদুল আজীজ! আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন। আমি আপনার হিতাকাঙ্ক্ষী। আমি বহুদূর থেকে এসেছি। আপনার জখমী মেহমান কে, তা হয়তো আপনার জানা নেই ।
: আমার ঘরে না হলে এ মুহূর্তে আমি আপনাকে মজা দেখিয়ে ছাড়তাম আপনি আমাকে মিথ্যুক প্রতিপন্ন করছেন।
: ডাক্তার আবদুল আজীজ! আপনার ভয়ের কোনো কারণ নেই। আমি সম্পূর্ণ নিরস্ত্র। প্রয়োজনে তল্লাশি করে দেখতে পারেন। আপনি শান্ত হোন। চিনতে পারেননি বলেই আপনি আমাকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। আমাকে জখমীর কাছে নিয়ে চলুন । সে যদি আমাকে চিনতে না পারে, তাহলে আপনি আমাকে খুন করতে পারেন। আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমার এখানে আগমনের সংবাদ আমি ছাড়া কেউ জানে না। আমার ছেলে-মেয়ে-স্ত্রীও নয়। আমার ব্যাপারে আপনাকে কেউ-ই কিছু জিজ্ঞেস করবে না।
আবদুল আজীজ মাথা ঝুঁকিয়ে কিছুক্ষণ চিন্তা করেন। তারপর বললেন, আচ্ছা আসুন। কিন্তু মনে রাখবেন, এখান থেকে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করা আপনার পক্ষে সম্ভব হবে না।
আগন্তুককে সঙ্গে নিয়ে আবদুল আজীজ শামিলের কক্ষে প্রবেশ করেন। যেইমানকে দেখেই শামিল উঠে বসার চেষ্টা করে এবং বলে, পীর ও মুরশিদ, আপনি! কিন্তু আমি দুঃখিত যে, আমি উঠে আপনাকে শ্রদ্ধা জানাতে পারছি না!
ডাক্তার আবদুল আজীজকে উদ্দেশ করে শামিল বললো, মুহতারাম! ইনি আমার মুরশিদ, দীনের পথের রাহবার, এরাগলের পীর, শায়েখে দাগেস্তান মোল্লা মুহাম্মদ।
আগন্তুকের পরিচয় পেয়ে ডাক্তার আবদুল আজীজ অভিভূত হয়ে পড়েন সঙ্গে সঙ্গে তার দু’হাত চেপে ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করে বললেন, মুহতারাম! আমি আপনার সাথে যে ব্যবহার করেছি, সবই সতর্কতার খাতিরে করেছি। আমাকে ভুল বুঝবেন না। আশা করি আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।
আবদুল আজীজ ফাতেমাকে ডেকে বললেন, মা, জলদি খাবারের আয়োজন করো। আমাদের ঘরে আজ এক মহান ব্যক্তি মেহমান হয়েছেন।
: আবদুল আজীজ! আমি তোমাকে কৃতজ্ঞতা জানাই। শামিলের জীবন রক্ষা করে তুমি সমগ্র কাফকাজের উপর বিরাট অনুগ্রহ করেছো। আমি তোমার নিকট একটি আবেদন নিয়ে এসেছি। আশা করি তুমি আমাকে নিরাশ করবে না ।
ঃ পীর ও মুরশিদ। আদেশ করুন।
ঃ তুমি তো ডাক্তার। তোমার ধারণা কী শামিল কি সম্পূর্ণ সুস্থ্য হবে। ঃ ক্ষত অনেকটা শুকিয়ে গেছে। আশংকা কেটে গেছে। আমি আশা করি, শামিল সম্পূর্ণরূপে সুস্থ্য হয়ে যাবে।
ঃ তোমার জানা আছে, শামিলের পিতা এবং অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন গমরীর লড়াইয়ে শহীদ হয়েছে। ওর মা এবং বোন কোথাও আত্মগোপন করে আছে। শুর পিতা হয়ে আমি তোমার নিকট এসেছি…।
ঃ আপনার অনুমতি হলে অন্য কক্ষে বসে আমরা এ বিষয়ে আলাপ করি ।
ঃ না, ছেলে প্রাপ্তবয়স্ক- বালেগ। আমি যা করতে চাচ্ছি, তা শরীয়ত পরিপন্থী কাজ নয়। শামিল ফাতেমার পাণিপ্রার্থী। আর দেশের জন্য শামিলের প্রয়োজন তীব্র । তুমি ইচ্ছা করলে তোমার পুত্র আহমাদের হাতে আমার মেয়েকে তুলে দেবো। কিন্তু আমার শামিলের জন্য ফাতেমাকে চাই। সময় বড় কঠিন। গাদ্দার এখন সমাজের নেতা। এই জখমী নওজোয়ানই এখন আমাদের একমাত্র ভরসা। আমার করজোেড় আবেদন, শামিল সুস্থ্য হলে ফাতেমাকে তার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিও। (পকেট থেকে কিছু অলংকার বের করে) আর শামিলের পিতার পক্ষ থেকে কনের জন্য• এই উপহার। অবাঞ্ছিত রেওয়াজ-রসম পরিহার করবে। আমার হয়তো দ্বিতীয়বার আর আসা হবে না। মানুষের জীবন-মৃত্যু সম্পূর্ণ আল্লাহর হাতে। আমার দৃঢ়বিশ্বাস, তোমার কন্যা জীবনে এমন সম্মান লাভ করবে, যার কল্পনাও তোমরা করতে পারছো না।”
ঃ আপনার আদেশ শিরোধার্য। আমি গর্বিত এই জন্য যে, মানুষের কাছে আমি বলতে পারবো, শায়খে দাগেস্তান মোল্লা মুহাম্মদ আমার মেয়েকে পুত্রবধূ বানাতে এসেছিলেন।
ঃ ‘সময় মতো সকলেই সব জানতে পারবে। (তারপর শামিলকে উদ্দেশ করে) বাবা! তুমি এখন তোমার হবু শ্বশুরের ঘরে আছো। আমি আমার দায়িত্ব পালন করে গেলাম। জালিমরা গাজী মুহাম্মদকে আমার থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। এ দেশের ভবিষ্যৎ এখন তোমার হাতে। বিশ্বাসঘাতক হামযা বেগ ইমাম সেজে বসেছে। তুমি সুস্থ্য হয়ে এবং বিয়ের কাজ সম্পাদন করে মূল দায়িত্বের প্রতি মনোনিবেশ করবে। তবে সবকিছু করবে চিন্তা-ভাবনা করে এবং সতর্কতার সাথে… আল্লাহ হাফেজ।
শায়খে এরাগল মোল্লা মুহাম্মদ ডাক্তার আবদুল আজীজের ঘর থেকে বের হয়ে অজানার উদ্দেশ্যে হারিয়ে যান। সাত.
প্রথম জার নেকুলাই সেন্টপিটার্সবার্গে তার শাহী মহলে বসে রাণীর সঙ্গে খোশ-গল্পে মেতে আছেন। এমন সময়ে এক দাসী দৌড়ে এসে মহলের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে যথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বললো, আলমপনাহ এবং শ্রদ্ধেয়া রাণীর কল্যাণ হোক। মহারাজের খাস খাদেম একটি সুসংবাদ শোনাবার অনুমতি প্রার্থনা করছে।
জার লেকুলাই আনন্দের আতিশয্যে আরাম কেদারা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন— ‘উপস্থিত করো তাকে, জলদি উপস্থিত করো।’
দাসী বাইরে চলে যায় । কয়েক মুহূর্ত পর খাস খাদেম যথারীতি সম্মান প্রদর্শন করে জানায়, মহান রাজাধিরাজের মর্যাদা বুলন্দ হোক, কাফকাজ জয় হয়েছে। বিদ্রোহীদের নেতা নিহত হয়েছে। কমান্ডারের দূত ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ শুনানোর জন্য বাইরে অপেক্ষমান।
জার নিজের গলা থেকে মুক্তার মহামূল্যবান হার খুলে খাদেমের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন, এই নাও পুরস্কার- তোমার সুসংবাদের পুরস্কার। আমার মনের আকাঙ্ক্ষা আমার জীবদ্দশায় পূরণ হয়েছে, এ-ই আমার জীবনের সবচে’ বড় পাওয়া। বিস্তারিত বিবরণ দরবারে শুনবো। দরবারের উজীরকে নিজয় উৎসবের ঘোষণা দিতে এবং বিশেষ উৎসবের আয়োজন করতে বলে দাও। (আরেকটি হার খাদেমের হাতে দিয়ে) এটি দূতের জন্য সুসংবাদ বহনের পুরস্কার।
রাশিয়ার রাজধানী সেন্টপিটার্সবার্গে কাফকাজ জয়ের উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডারের রিপোর্ট মোতাবেক সেনাপতি উইলিয়ামিনভকে বীরত্বের রাজটিকা পরিয়ে হেডকোয়ার্টারে পাঠিয়ে দেয়া হয় এবং তার স্থলে আরেক সেনাপতিকে কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়। বিজয় উৎসবের পর সেনা অফিসার তার হেডকোয়ার্টারে পৌঁছে যায়।
সেনা অফিসার কাফকাজে যুদ্ধ লড়তে বাধ্য। কারণ, এটা জার নেকুলাই র অলংঘনীয় আদেশ। কিন্তু সেনা অফিসার নিশ্চিত জানে, কাফকাজে যুদ্ধের জন্য হাত বাড়ানো পাগলামী সুলভ পদক্ষেপ বৈ নয়! কিন্তু তার মনের কথাটা তিনি ব্যক্ত করতে পারছেন না। তিনি জানেন, কাফকাজের প্রতিটি মানুষ স্বাধীনচেতা। এই ভূখণ্ডের আকাশছোঁয়া পর্বতরাজি, বিক্ষুব্ধ নদ-নদী গহীন অরণ্যে জারের রাজত্ব অচল। কাফকাজের আলাদা বৈশিষ্ট্যের পরিবেশই কাফকাজবাসীদের স্বাধীন চরিত্রের রূপকার । তাদের মনের দৃঢ়তা পাহাড়ের মতো উঁচু, তাদের চেতনা বিক্ষুব্ধ সমুদ্রের ন্যায় অপ্রতিরোধ্য এবং জীবন তাদের বনের বৃক্ষরাজির ন্যায় এলোমেলো, বিক্ষিপ্ত। সুনির্দিষ্ট কোনোও নিয়ম-নীতির আওতায় তাদের আবদ্ধ করা অসম্ভব। সিংহকে খাচায় আবদ্ধ করা সম্ভব; কিন্তু তাদের চরিত্রের পরিবর্তন সম্ভব নয়। সিংহকে হত্যা করা যায়, কিন্তু সিংহশাবক বড় হয়ে এক সময়ে সিংহেরই রূপ ধারণ করে, সিংহের পদাংকই অনুসরণ করে চলে।
এই বাস্তবতা জার নেকুলাই’র দৃষ্টির বাইরে। তার কর্ণ ‘রাষ্ট্রদ্রোহীতা’, ‘বিদ্রোহ’, ‘আদেশ লংঘন’ এসব শব্দের সঙ্গে অপরিচিত। কেউ জারের ইচ্ছার বিপরীত চিন্তা করলেও সে সাইবেরিয়ার ‘শীতল জাহান্নামে’ মৃত্যু অপেক্ষাও কঠিন জীবনযাপনে বাধ্য হয়। এক অঞ্চলে এক বিদ্রোহীকে দমন করলে অপর এলাকায় আরেক বিদ্রোহী যে জন্ম নিতে পারে, তা তার নিকট অবোধগম্য। জারের সোজা বুঝ, বিদ্রোহী শিক্ষামূলক উপযুক্ত সাজা পেলে বিদ্রোহের ধারণাই চিরতরে শেষ হয়ে যায়।
দাগেস্তানের সর্বত্র শোকের ছায়া বিরাজমান। প্রথম ইমাম গাজী মুহাম্মদ শহীদের সঙ্গীদের মধ্যে শামিল ছাড়া কেউ বেঁচে নেই। লড়াইয়ে হামযা বেগের গাদ্দারী ভূমিকার কথা শামিল ছাড়া আর কেউ জানে না। হামযা বেগ যদি গমরীর পেছনের পাহাড়ের দিক থেকে রুশ সৈন্যদের আক্রমণ করার সুযোগ না দিতো, তাহলে এই লড়াইয়ের ফলাফল ভিন্ন রকম হতো ।
শামিল এখন নিখোঁজ । মানুষের ধারণা, সেও শহীদ হয়েছে। রুশ সেনাপতি হামযা বেগকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো, গাজী মুহাম্মদ নিহত হলে রুশ শাহেনশাহ’র পক্ষ থেকে তাকে দাগেস্তানের গভর্নর নিযুক্ত করা হবে। রুশ কমান্ডার এবং হামযা বেগের মধ্যে এই চুক্তি সম্পাদনে আসলান বেগ নামক আদিরিয়ার এক গোত্রের খান মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলো। আসলান বেগ এক তীরে দু’টি শিকার করে। এক. রাশিয়ানদের সহানুভূতি লাভ। দুই. কাজী মুহাম্মদের ক্রমবর্ধমান শক্তি খতম ।
গমরীর লড়াইয়ের পর হামযা বেগ কিছুদিন তার গভর্নর নিযুক্তির ঘোষণা পাওয়ার অপেক্ষায় দিন কাটায়। কিন্তু যখন রুশ সৈন্যরা কাফকাজের স্থানীয় কর্তৃত্ব নিজেদের হাতে তুলে নিতে শুরু করে, তখন হামযা বেগের চোখ খোলে। এবার সে টের পায়, রুশ কমান্ডার তার সাথে প্রতারণা করেছে। হামযা বেগ মধ্যস্থতাকারী গোত্র নেতা আসলান বেগের শরণাপন্ন হয়। আসলান বেগ ইতিমধ্যে হামযা বেগকে তার আরেকটি স্বার্থ উদ্ধারে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখে। আসলান আদিরিয়ার খানমের কন্যা সুলতানার প্রতি আসক্ত। সুলতানাকে বিয়ে করার জন্য সে অস্থির-বেকারার। কিন্তু খানম তার চারত্রহীনতা সম্পর্কে সম্যক অবগত। তাই সরাসরি সে আসলানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ।
গমরীর লড়াইয়ে নিজের অবদানের সূত্র ধরে আসলান রুশ অফিসারদের মনে খানমের প্রতি কু-ধারণা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। কিন্তু তার এই তীর লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এবার সে খানম ও রুশ কমান্ডার উভয় পক্ষকে পেরেশান করার পরিকল্পনা গ্রহণ

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top