স্পেনের রূপশী কন্যা ২য় খণ্ড – এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ শহীদুল ইসলাম
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১৬২
স্পেনের রূপশী কন্যা ২য় খণ্ড – বইটির এক ঝলকঃ
“না, তোকে হত্যা করা হবে না।” ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলল বদর। তুই যে মৃত্যু কামনা করিস সেই মৃত্যু তোকে দেয়া হবে না। এখন থেকে তোকে আজীবন বন্দীদশায় থাকতে হবে। তুই দুনিয়াতেও জাহান্নাম ভোগ করবি, আখেরাতেও আগুনে জ্বলবি। ভাই হিসেবে এটি আমার কর্তব্য যে, বোনের ধর্মদ্রোহিতার কারণটি ভালোভাবে বুঝিয়ে দেয়া যে, কোন বাতিলকে মনে পুষলে, বাতিলের উপর অটল থাকলে দুনিয়াতে কি পরিণতি ভোগ করতে হয়। আর আখেরাতের ফয়সালাতো আল্লাহই করবেন।”
“দুনিয়ার শাস্তিই আমাকে আখেরাতের শাস্তি থেকে বাঁচিয়ে দেবে।” বলে ফ্লোরা পাহারাদার মহিলাদের ডাকতে শুরু করল। পাহারাদার মহিলাদেরকে ফ্লোরা ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলল, আপনাদের বলা হয়নি, এই ঘরে কোন পুরুষ আসতে পারবে না…? এ কিভাবে এখানে এলো?”
“এ তো তোমার ভাই ফ্লোরা! বলল এক মহিলা ।
“ভাই নয়, আমার কছে সে এখন পর। কোন মুসলমান কোন খৃষ্টানের ভাই হতে পারে না। একে এখান থেকে বেরিয়ে যেতে বলুন।”
আরো বেশী লজ্জিত ও অপমানিত বোধ করে বদর মাথা নীচু করে ঘর থেকে বেরিয়ে এল।
চরম হতাশা, দুঃখ বেদনা ও শোকাতুর হৃদয় নিয়ে ঘরে ফিরে বদর তার মাকে বলল, মা! আমার সন্দেহ হচ্ছে ফ্লোরার দেমাগ তুমিই খারাপ করেছো। কারণ মৃত্যুর আগে আব্বু তোমাকে বলেছিলেন, তুমি তাকে বিশ বছর যাবত ধোঁকা দিচ্ছ।”
“শোন বাবা!” আমি তোমার আব্বুকে কখনও ধোঁকা দেইনি। তিনি আমাকে কয়েকটি নরপশুর কাছ থেকে প্রাণে রক্ষা করে অসহায়ত্ব থেকে রক্ষা করে নিজের কাছে আশ্রয় দিয়েছিলেন এবং স্ত্রীর মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছিলেন। আমি সব সময় তার প্রতি বিশ্বস্ত থেকেছি। কিন্তু খৃস্টধর্মের মায়া ত্যাগ করতে পারিনি। একদিকে ছিল তোমার আব্বুর প্রতি মায়া অপর দিকে আমার পূর্ব ধর্মের প্রতি টান। আমি উভয়টি ঠিক রাখতে আমার মেয়ে ফ্লোরাকে খৃষ্টধর্মে দীক্ষা দিয়ে আমার মনের চাপ হাল্কা করতে চেয়েছিলাম। এখন তোমার আব্বু মারা গেছেন। এখন আর এই ঘরে আমার কোন প্রয়োজন নেই। আমি তোমার ছোট বোন বালাদীগোথকে সাথে নিয়ে যাচ্ছি।”
“কোন মা কি এভাবে ছেলেকে ত্যাগ করে চলে যেতে পারে? যেভাবে তুমি যেতে চাচ্ছো? তোমার মায়া মমতা কি মরে গেছে?
“তুমি যদি আমার সাথে থাকতে চাও, তাহলে আমার ধর্মের দীক্ষা নাও ! ধর্মের জন্যে আমি পুত্রকে অনায়াসে ত্যাগ করতে প্রস্তুত।”
“তুমি যদি স্বামী ও পুত্রকে ধর্মের জন্যে ত্যাগ করতে পার, তাহলে আমিও ধর্মের খাতিরে আমার মা বোনদের ত্যাগ করতে বিন্দুমাত্র আফসোস করব না” বলল বদর । যতো তাড়াতাড়ি পার এ বাড়ি ছেড়ে চলে যাও, আমি আমার ঘরে এমন কালনাগিনী পুষতে পারব না। আমি আর কখনও তোমাদের চেহারা দেখতে চাই না।” এই কথা বলে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল বদর।
সন্ধ্যায় সে বাড়িতে ফিরে এল। শূন্য বাড়ি। ততক্ষণে তার মা ও ছোট্ট বোন বালাদীগোথ বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে।
এদিকে বন্ধ ঘরে ফ্লোরা নীরব থাকত। কারো সাথে কোন কথা বলত না। ফ্লোরার নীরবতায় প্রহরী মহিলারা অনেকটা আশ্বস্তবোধ করছিল যে, ফ্লোরা তাদেরকে কোন হয়রানী করছে না। তাদেরকে এই মেয়ে সম্পর্কে বলা হয়েছিল মেয়েটি ভয়ঙ্কর ধরনের পাগলী এবং সে কোন কথাবার্তা শুনে না, তাকে সামলানো খুবই কঠিন ব্যাপার ।
“কোন অপরাধে তোমাকে নজরবন্দী করা হয়েছে ফ্লোরা?” একদিন তিন মহিলা ফ্লোরাকে জিজ্ঞেস করল।
“আমার পিতা আমাকে এক বৃদ্ধের সাথে বিবাহ দিতে চেয়েছিল।” বলল ফ্লোরা। লোকটি শুধু বৃদ্ধই ছিল না, ছিল মদখোর ও বিলাসী। আমার পিতা কথাবার্তা পাকা করে ফেলেছিল, আমি সেই বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ছিলাম। আচ্ছা, তোমাদের কাউকে যদি এমন কোন প্রস্তাব করা হতো তাহলে কি তোমরা মেনে নিতে?” আমি এই বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে আমার ভাই আমাকে খুব মারধোর করল, এরপর আমার পিতাও খুব মারল, আমি উভয়কে খুব গালিগালাজ করলে আমার পিতা আমাকে ধরে নিয়ে কাজীর দরবারে বিচার দিল যে, আমার মেয়ে ধর্মকে অস্বীকার করে এবং ধর্ম সম্পর্কে কটূক্তি করে । তখন আমার খুব জিদ চাপল। বলতো – তোমরা যদি আমার স্থলে হতে তাহলে কি করতে?” রাগে আমি কাজীকেও কিছু শুনিয়ে দিলাম এবং আমার পিতাকেও আচ্ছা করে ধোলাই দিলাম। কাজী রেগে গিয়ে ফায়সালা দিল, ‘এই মেয়ের মুখ খারাপ, ওকে সাধারণ কয়েদখানার বদলে একাকী এক ঘরে বন্দী করে রাখো এবং শুধু মহিলা প্রহরার ব্যবস্থা করো এবং তাকে ভালো মন্দের তা’লিম ও শিক্ষা দাও।”
“এখন তো তোমার পিতা মারা গেছে!” তোমার ভাই কেন এসেছিল?” জিজ্ঞেস করল এক মহিলা ।
“সে বলতে এসেছিল, আমি সেই মৃত্যুপথযাত্রী বৃদ্ধকে বিবাহ করতে রাজী আছি কি-না? আমার ভাই আমাকে লোভ দেখিয়েছে যে, আমি যদি বিয়েতে সম্মতি দেই, তাহলে এক্ষুণি আমাকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে দেয়া হবে ।
“বিচারক কি তার ফায়সালা পরিবর্তন করবেন? তুমি কি ইসলামের অবমাননা করেছিলে?” জানতে চাইল অপর মহিলা ।
মহিলার জিজ্ঞাসায় ফ্লোরা সুযোগ পেয়ে গেল। সে বিচারপতির বিরুদ্ধেও কুৎসা শুরু করল। সে বলতে লাগল, “তোমরা কি বিচারকদের ফেরেশতা মনে কর? বিচারক আমার প্রতি যে দৃষ্টিতে দেখেছিল, সেই দৃষ্টি যে কোন মেয়েই বুঝতে পারে। আমি যদি কাজীর বক্রদৃষ্টির জবাব সেভাবেই দিতাম, তাহলে সে আমার পিতার কথা মেনে আমাকে কয়েদখানায় বন্দী করত। কাজী বল আর আমীরে উন্দোলুসের কথা বল, সবাই ইসলামের নামে মদ, নারী নিয়ে ব্যস্ত । সাজা শাস্তি তো আমাদের জন্যে আর পুরস্কার ওদের জন্য।”
“সুন্দরী মেয়েদের জন্যে সৌন্দর্যই কাল হয়ে দাঁড়ায়। বলল তৃতীয় মহিলা । তোমারও দুর্ভাগ্যের কারণ তোমার সৌন্দর্য। তোমাকে যদি স্পেনের শাসক দেখতে পায় তাহলে এখনি তোমাকে হারেমে ডেকে পাঠাবে।”
“তাহলে সেটিই হবে আমার জন্যে শেষ দিন।” বলল ফ্লোরা।
নিজের ব্যাপারে কি ভাবছো তুমি? কয়েদখানা থেকে মুক্ত হয়ে তুমি কোথায় যাবে।”
“তোমাদেরকে আমি এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে, আমি বন্দিদশা থেকে কখনই পালানোর চেষ্টা করব না।” বলল ফ্লোরা। আমি তোমাদের কখনও ধোঁকা দেবো না। কারণ আমি পালিয়ে গেলে আমার অপরাধের শাস্তি ভোগ করতে হবে তোমাদের। তোমরা যেমন নারী, আমিও নারী। নারী হয়ে আমি নারীকে ধোঁকা দিতে পারি না। তোমরা যদি আমাকে একাকী রেখে কোথাও চলেও যাও, তাহলে ফিরে এসে আমাকে এখানেই দেখতে পাবে… আর বন্দিদশা থেকে মুক্ত হওয়ার পরের কথা বলছো? মুক্তির পর সে ব্যাপারে ভাববো। তবে একথা বলতে পারি, আমি প্রথমে যে কথা বলব তা হল, তোমাদের মধ্যে যে কারো জিম্মায় থাকার আগ্রহ প্রকাশ করব আমি।” সুন্দরী ফ্লোরার কথায় প্রহরী তিন মহিলা আশ্বস্তবোধ করল। তারা ফ্লোরার ব্যাপারে অনেকটাই চিন্তামুক্ত হয়ে গেল। তারা দেখল মেয়েটি চুপচাপ থাকে, কোন উচ্চবাচ্য করে না। এই মেয়ে কখনও পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে না। তারা ফ্লোরার ব্যাপারে অনেকটা নিরুদ্বিগ্ন হয়ে গেল ।
ফ্লোরাকে আল্লাহ্ তাআলা যেমন দিয়েছিলেন দৈহিক সৌন্দর্য, অনুরূপ অন্য সাধারণ দশটি মেয়ের চেয়ে তার মেধা ও বুদ্ধিও ছিল অস্বাভাবিক প্রখর। সে তার মজলুম জীবনের বানানো কাহিনী বলে বলে মহিলাদের হৃদয়ের মধ্যে তার প্রতি মমতার সৃষ্টি করে ফেলল ।
বন্দিত্বের পঞ্চম কিংবা ষষ্ঠ দিনে ফ্লোরার কাছে পয়ত্রিশ ছত্রিশ বছর বয়সের এক পুরুষ আসল। লোকটির চেহারায় যৌবনের ছাপ বিদ্যমান। খুবই পরিপাটি পোষাক-পরিচ্ছদ, মুখমণ্ডলের দাড়ি খুবই সুন্দর করে ছাটা। দীপ্তিমান তার দৃষ্টি। মাথায় সাদা ধবধবে পাগড়ী আর পরনে ধূসর বর্ণের আসকান। চালচলন ও কথাবার্তাতেই ফ্লোরা বুঝতে পারল লোকটি উচ্চ শিক্ষিত ।
লোকটি ফ্লোরার নজরবন্দী বাড়ির গেটে এসে কড়া নাড়ল। প্রহরী এক মহিলা গেট খুলে দিলে সে প্রহরীকে সরকারী নোটিশ দেখিয়ে বলল, আমাকে এই বাড়িতে বন্দী ফ্লোরা নামের মেয়েটিকে ধর্মীয় তালিম দেয়ার জন্যে নিয়োগ করা হয়েছে।
তাকে ভিতরে যেতে দিয়ে গেট বন্ধ করে দেয়া হল। এক প্রহরী মহিলা এসে ফ্লোরার ঘরের দরজা খুলে তাকে ফ্লোরার কক্ষে এগিয়ে দিয়ে চলে এল।
লোকটিকে প্রবেশ করতে দেখে ফ্লোরার চেহারা ঘৃণায় বিবর্ণ হয়ে গেল। কিন্তু সে তড়িৎ নিজেকে সামলে নিয়ে চেহারায় একটা কৃত্রিম হাসি এনে উঠে দাঁড়াল।
“আমি শুনতে পেলাম তুমি নিজ ধর্ম ও পয়গাম্বর সম্পর্কে অশালীন উক্তি কর। আসলে এর জন্যে তোমার শাস্তি হওয়ার চেয়ে তোমার বাবা-মায়ের শাস্তি হওয়া উচিত ছিল। তোমাদের চেয়ে তারাই এ জন্য বেশী দায়ী –বলল আলেম ব্যক্তি ।
এসো, এখানে বস এবং মন থেকে তোমার বন্দিদশাকে একেবারেই বিদায় করে দাও। আসলে তোমার বয়স তো এখনও অনেক কম। এই বয়সে অনেকেই আল্লাহকে বক্রদৃষ্টিতে দেখে। আমার তো মনে হয়, নিজের বয়স ও সৌন্দর্যের অহংকার থেকেই তুমি এসব ভুল করেছো। আমার অনুমান কি ঠিক?”
“না, আপনার অনুমান ঠিক নয়। লোকটির প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষকে হাসিতে বদল করে জবাব দিল ফ্লোরা। আমি আপনাকেই প্রথম পুরুষ হিসেবে পেয়েছি যিনি আমার মধ্যে সৌন্দর্যের অনুভূতি দিলেন। নয়তো আমি নিজেকে এখনও খেলার শিশুই মনে করি। আপনি কি আমাকে ছোট্ট মনে করেন না?”
“হ্যাঁ, নিশ্চয় তুমি ছোট্ট। এজন্যই তো আগেই আমি বলেছি, তোমার অপরাধ ক্ষমাযোগ্য ছিল। বিচারকের উচিত ছিল, তোমার বয়সের দিকে তাকিয়ে শান্তি মওকুফ করে দেয়া…। যাক, যা হয়ে গেছে তা নিয়ে ভাবলে আর কি হবে…। তোমাকে ধর্মীয় তালিম তরবিয়্যত দেয়ার জন্যে আমাকে পাঠানো হয়েছে। আচ্ছা! তুমি কি হৃদয় মন দিয়ে ইসলাম ধর্মকে গ্রহণ করবে?”
“ফ্লোরা যে শুধু বয়সের দিক থেকে অষ্টাদশী তরুণী তা নয়। বয়সের চেয়ে ঢের বেশী ছিল ওর মেধা ও বিচক্ষণতা। তাই রূপ ও সৌন্দর্যের কার্যকারিতা অতি অল্প সময়ে সে তার প্রতিবেশী যুবকের মধ্যে পরীক্ষা করে দেখতে পেয়েছিল, খুব সামান্য সময়ের মধ্যেই রূপ ও সৌন্দর্যের যাদুকরী কার্যকারিতায় সেই যুবককে ব্যবহার করে সে পালাতে সক্ষম হয়েছিল এবং অনায়াসে ওকে হত্যা করে সে নির্বিঘ্নে নিজেকে আড়াল করতে সামর্থ হয়েছিল। এ লোক তার জীবনের দ্বিতীয় পুরুষ। কিন্তু এই লোক জ্ঞানী ও আলেম। ধর্ম তার দিল দেমাগের রগ রেশায় শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবাহিত। তদুপরি ফ্লোরা তার সামনে এভাবে হাসল আর নিজেকে মেলে ধরল যে, এই উপস্থাপন যে কোন পুরুষের মধ্যেই ঝড় তুলতে সক্ষম ।
“আমি মনে প্রাণে ধর্ম গ্রহণ করব কি-না একথা নির্ভর করে যিনি আমাকে ধর্মের তালিম দেবেন, তিনি আমার কাছে কতটুকু গ্রহণযোগ্য তার উপর…।” মুচকি হেসে বলল ফ্লোরা ।
তরুণী ফ্লোরার মুখে এমন কথা ফুটবে এমনটি স্বপ্নেও ভাবেনি এই ব্যক্তি। লোকটি অপ্রস্তুত হয়ে গেল ফ্লোরার কথায়।
“প্রতিদিন যদি আপনিই আসেন তাহলে আমি আপনার সব কথা শুনব। বলল ফ্লোরা। কিন্তু আমার অনুরোধ হলো, আমার সাথে আপনি কোন কঠোর নিরস কথা বলবেন না। আপনি ভুলে যাবেন না আমার পরিস্থিতির কথা যে, আমি ছিলাম মুক্ত পাখির মতো। বন্ধনহীন জীবনে মনের ইচ্ছা মতো খেলাধুলা করতাম, উড়ে বেড়াতাম, আর এখন আমাকে পাখির মতো খাঁচায় বন্দী করে রাখা হয়েছে। এমতাবস্থায় যে কারো মেজাজ খিটখিটে থাকে এবং খুব দ্রুত যে কোন জিনিসের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ে।”
“তুমি আবার আগের মত মুক্তবিহঙ্গের ন্যায় মুক্তজীবনে ফিরে গিয়ে উড়তে এবং কোলাহল করতে চাও?”
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!