শেষ বিকেলের কান্না – নসীম হেজাযী – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

শেষ বিকেলের কান্না – নসীম হেজাযী – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ আবদুল হক

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২৪২

শেষ বিকেলের কান্না – বইটির এক ঝলকঃ

ডাক্তার এবং মাসয়াব চলে গেলেন । সাঈদা চাকরাণীকে বললঃ ‘তুমিও বিশ্রাম করো গে।’
চাকরাণী পাশের কামরায় চলে গেল। সাদিয়া খালার দিকে তাকিয়ে বললঃ ‘খালাম্মা, আমি আপনাকে অনেক বিরক্ত করেছি। আপনিও বিশ্রাম করুন।’
ঃ ‘মা, তোমার ঘুম এলেই আমি চলে যাব। আবুল হাসানের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে কী জবাব দেব এ নিয়ে আমি বড় দুশ্চিন্তায় ছিলাম । আল্লাহর শোকর, তিনি তোমাকে ধৈর্য ধরার শক্তি দিয়েছেন।
: ‘খালাম্মা, আমি অত্যন্ত দূর্বল। আপনার চেহারায় আমার প্রশ্নের জবাব পেয়েছি বলেই কিছু জিজ্ঞেস করিনি। আমি আত্মপ্রবঞ্চনায় থাকতে চাই। আমি যা দেখেছি তা ছিল স্বপ্ন। কওমের তরী ডুবে গেলে সাগরে পড়া মানুষগুলো খড়কুটোর আশ্রয়ে বেশী সময় থাকতে পারে না। হাসান কোন দিন ফিরে আসবে না, হারেস এ সংবাদ নিয়ে এলে অসংকোচে আমায় বলতে পারেন। কথা দিচ্ছি, আমি কান্নাকাটি করব না।’
ঃ ‘সাদিয়া, হারেস আমাদের দুশমন হলে প্রবোধ দেয়ার জন্য এখানে আসত না। আমার মনে হয় সে তোমার খালুর কাছে মিথ্যে বলেনি। ইনশাআল্লাহ হাসান খুব শীঘ্র ফিরে আসবে। তখন সব কিছুই তোমার কাছে স্বপ্ন বলে মনে হবে।’
সাদিয়া নির্নিমেষ নয়নে তাকিয়ে রইল সাঈদার দিকে। অবশেষে বললঃ ‘খালাম্মা, বার বার হারেসের কথা বলবেন না। আমি তার কাছে ভাল কিছু আশা করি না। হাসানের প্রতি তার কোন সহানুভূতি থাকলেও সে হাসানের কোন সাহায্য করতে পারত না। সে যখন সুলতানের কাফেলার সাথে যাচ্ছিল, তখন তাকে ঘিরে সুন্দর স্বপ্ন রচনা করতে ভাল লাগত। কিন্তু যখন ভবিষ্যতের কল্পনা করি, শিউরে উঠি আমি। আমার জন্য দোয়া করুন খালাম্মা। ভোরের আলো ফুটলে যেন রাতের এ বিভীষিকার কথা মনে না থাকে।’ পাশ ফিরে চোখ বন্ধ করল সাদিয়া। অনেকক্ষণ পর্যন্ত শোনা যেতে লাগল ওর কান্নার মৃদু শব্দ ।
পরদিন ভোরে মাসয়াব হারেসের সাথে দেখা করতে গেলেন। ফিরে এলেন দু’ঘন্টা পর। এসেই সাদিয়ার কামরায় প্রবেশ করলেন। কিন্তু সাদিয়া নেই, বিছানা শূন্য। স্ত্রীর কামরায় ঢুকলেন, দেখলেন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন সাঈদা ।
ঃ ‘সাঈদা।’ হাত ধরে স্ত্রীকে ডেকে তুললেন মাসয়াব ।
‘: ‘আপনি এসে গেছেন।’ ধড়ফড়িয়ে বিছানায় উঠে বসলেন সাঈদা । : হ্যাঁ, এসেছি, কিন্তু সাদিয়া কোথায়?”
:
‘কেন, ওর ঘরে নেই?’
: ‘না।’
দরজায় উঁকি দিয়ে চাকরাণী বললঃ তিনি ছাদে। এখন ভালই আছেন । আমি তাকে নাশতা খাইয়ে এসেছি।’
ঃ ‘তুমি আমায় জাগাওনি কেন?” ধমকের সুরে বললেন সাঈদা ।
: ‘আমি আপনাকে জাগাতে চাইছিলাম, আপাই নিষেধ করলেন। তিনি বললেন, খালাম্মা সারা রাত জেগে ছিলেন, উনাকে ঘুমোতে দাও, আমি একটু মুক্ত বাতাসে ঘুরে আসি। আপনাদের নাশতা নিয়ে আসব?’ ঃ ‘হ্যাঁ, নিয়ে এসো।’
চাকরাণী চলে যাবার পর সাঈদা কতক্ষণ নিষ্পলক স্বামীর দিকে তাকিয়ে রইলেন।
ঃ ‘ভেবেছিলাম আপনি হাসানকে সাথে নিয়ে আসবেন।’
মাসয়াব ভারাক্রান্ত মনে চেয়ারে বসে পড়লেন।
ঃ ‘সাঈদা। যদি আমি ওকে নিয়ে আসতে পারতাম! ডন লুই ওকে সাথে নিয়ে গেছে। এখান থেকে রাতে হারেস বাসায় ফিরে দেখে ওরা নেই। হয়ত ওদের সন্দেহ ছিল, হারেস আমাদের পক্ষে কথা বলবে। যাবার সময় বলে গেছে, গভর্ণরের পয়গাম পেয়ে ওদেরকে তাড়াতাড়ি যেতে হচ্ছে। আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসানকেও নিয়ে যাচ্ছে। হারেস বার বার আমায় সান্ত্বনা দিয়ে বলল, আবুল হাসানের পশমও নড়বে না। ওরা আলফাজরায় গণ্ডগোল সৃষ্টি করতে চাইবে না, কিন্তু আমি নিশ্চিন্ত নই। সারা পথ ভেবেছি সাদিয়াকে কি বলব। ও এত শীঘ্র সেরে উঠবে ভাবিনি। ডাক্তার বলেছিলেন খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিলে ওর শরীর আরো খারাপ হয়ে যাবে।’
আলতো পায়ে সাদিয়া কক্ষে প্রবেশ করল। চারদিকে দৃষ্টি বুলিয়ে বললঃ ‘ঘুম ভাঙতেই আমি অনুভব করলাম হাসানের জন্য আমার বেঁচে থাকা প্রয়োজন । যেদিন আমার এ দুর্বল হাত দুশনের শাহরগ পর্যন্ত পৌঁছবে আমি সে দিনের প্রতীক্ষায় থাকব।’
বিষণ্ণ কন্ঠে মাসয়াব বললেনঃ ‘মা, হারেস কথা দিয়েছে, সে হাসানকে সাহায্য করবে। ও ফিরে না এলে আমি নিজেই গ্রানাডা যাব। আজই যেতাম, কিন্তু হারেস কদিন অপেক্ষা করতে বলল।’
: ‘গ্রানাডায় গিয়েও আপনি ওর কোন সাহায্য করতে পারবেন না। আমাদের জন্য হারেসের কোন আন্তরিকতা থাকলে হাসানকে গ্রেফতার করতে সশস্ত্র লোক নিয়ে সে আসতো না। দ্বিতীয়বার আপনার কাছে এসেছে আলফাজরায় ওর গ্রেফতারীর ফলে কি প্রতিক্রিয়া হচ্ছে তা জানার জন্য। পরিবর্তিত পরিবেশে গাদ্দার নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে, কিন্তু ওদের প্রকৃতির পরিবর্তন হয় না। খালুজান, এখনি হারেসের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হতে বলছি না। আমি জানি বর্তমানে তার সাথে প্রকাশ্য শত্রুতা আপনার জন্য অশেষ বিপদ ডেকে আনবে।
ঃ ‘বেটি, ওকে মুক্ত করার জন্য আমি যে কোন ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত।
: ‘খালুজান! যাবার সময় দুশমন সম্পর্কে ওর ভুল ধারণা ছিল না। ও জানত, খৃস্টান অফিসার কেন তাকে ডেকেছে। তার শেষ কথাগুলো এখনো আমার কানে বাজছে। তখন তার কথাগুলো আমার কাছে আশ্চর্য মনে হয়েছিল। এখন বুঝতে পারছি কোন্ সে আবেগ তাকে জীবন মৃত্যু সম্পর্কে এত বেপরোয়া করে দিয়েছিল। এখন কোন অন্ধকার থাকলেও ওর আত্মার আর্ত চিৎকার আমি শুনতে পাব। খালুজান! ও বলেছিল, ‘সাদিয়া! আমার কারণে যেন এ বাড়িতে কোন মুসীবত না আসে। খালা এবং খালুকে আমাকে আমার অবস্থার উপর ছেড়ে দিতে বলবে। আমার দুঃখে ওরা যেন ভাগী হতে চেষ্টা না করেন।’ আমি এ আশায় বেঁচে থাকব যে, কোনদিন হয়ত আলফাজরার ভাইয়েরা কয়েদখানার দরজা ভেঙ্গে ফেলবে, তুর্কী আর বারবারী ভাইয়েরা তারিক ও মুসার মত এসে শোনাবে মুক্তির গান। ওকে বলবে তোমার গ্রানাডার ঘর বিরাণ হয়ে গেছে, কিন্তু আলফাজরায় এখনো এমন লোক আছে যে তোমার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।’
সাদিয়ার কাঁধে হাত রেখে মাসয়াব বললেনঃ ‘বসো মা! তোমার সাথে কিছু কথা আছে।’
সাদিয়া চেয়ার টেনে বসল। মাসয়াব বিষণ্ণ কন্ঠে বললেনঃ ‘বেটি! আমরা কত অসহায়! খৃস্টানরা সন্ধির শর্ত মেনে চলবে, এই বলে আমরা নিজকে প্রবঞ্চিত করতাম। কিন্তু পরিস্থিতি প্রমাণ করেছে, মুনীব আর গোলামের মধ্যকার সন্ধির শর্ত টিকে থাকে না। আবুল কাসেম নিহত, তোমার স্বামী বন্দী, এরপরও হত্যাকারীদের নাম নিতেও ভয় পাই । এরচেয়ে অসহায়ত্ব আর কী হতে পারে। আমরা জানি, গতকালের চেয়ে আজকের পরিস্থিতি কঠিন, আজকের চেয়ে আগামীকাল হবে আরো ভয়ংকর, আরো বিপজ্জনক। তবুও এ আশায় বেঁচে আছি যে, তোমার দোয়া নিষ্ফল হবে না । একদিন হারিয়ে যাবে এ রাতের বিভীষিকা। হঠাৎ একদিন আবুল হাসান দাঁড়াবে এসে তোমার দুয়ারে। তখন মনে হবে হারিয়ে যাওয়া অতীত ছিল অন্ধকার রাতের নিছক ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন। আমি হয়ত সেদিন পর্যন্ত থাকব না। আর তাই তোমার প্রতি উপদেশ, আবুল হাসান এলে এক মুহূর্তও এখানে থেকো না। আমি যে ভুল করেছি তুমি যেন তা করো না। আফ্রিকা গেলেই বুঝতে পারবে, একটা কুঁড়েঘরও এখানকার অট্টালিকার চেয়ে অনেক শান্তিদায়ক। যে ঝড়ের তোড়ে আমরা গ্রানাডা ছেড়েছি, এখানে বসে বসে সে ঝড়ের অপেক্ষা করো না মা। আমরা আমাদের উপর অত্যাচার করেছি, সে পাপের শাস্তি তুমি ভোগ করবে কেন?’
প্রকাশ্যে খুব মনেযোগ দিয়েই কথা শুনছিল সাদিয়া, কিন্তু তার মন ছুটে গেছে অনেক দূরে। কল্পনার পাখায় ভর করে সে ছুটে গিয়েছিল আলহামরা। আবুল হাসান কয়েদখানার কপাট ভাঙছে, তার সাথে জাহাজে সওয়ার হচ্ছে ও। কল্পনায় দেখছিল মরু সাহারার বিশাল প্রান্তর। মাঝে মাঝে খর্জুর বীথিকা।
: ‘বেটি!’ মাসয়াব বললেন, ‘কয়দিন আগেই তোমার ভবিষ্যতের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি, এ ছিল আমার চরম ভুল। আবুল কাসেমের মৃত্যু সংবাদ পাবার পরও দুশমনের ভবিষ্যতের পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছুই ভাবিনি। আল্লাহ যদি তোমার দোয়া কবুল করেন আর আবুল হাসান ফিরে আসে, তাহলে কথা দিচ্ছি, এক লহমাও এখানে থাকব না।’
: ‘খালুজান, আমি আপনার হুকুম অমান্য করব না। কিন্তু কথা দিন তার আসার পূর্বে আমাকে এখান থেকে চলে যেতে বলবেন না। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তার জন্য প্রতীক্ষা করব আমি। প্রতিটি ভোরেই আল্লাহর কাছে দোয়া করব, যেন সন্ধ্যার পূর্বেই সে পৌঁছে যায়। প্রতি সন্ধ্যায় দেউড়ির বুরুজে জ্বালাব প্রদীপের আলো। রাতের অন্ধকারেও সে যেন পথ দেখতে পায়। যখন আমার আশার প্রদীপ নিভে যাবে, একদিনও বেঁচে থাকব না। কিন্তু আমার একীন, সে অবশ্যই আসবে । বন্দী হবার তিন দিন পর আবুল হাসান সশস্ত্র পাহারায় গ্রানাডার ফটকে এসে দাঁড়াল। এক অশ্বারোহী এগিয়ে ডন লুইয়ের আগমন সংবাদ দিল পাহারাদারকে। খবর পেয়ে দরজা খুলে নগর কোতোয়াল এবং রক্ষী প্রধান বেরিয়ে এল। হাতের ইশারায় অভিবাদনের জবাব দিয়ে কোতোয়ালকে লক্ষ্য করে ডন লুই বললঃ ‘একে কয়েদখানায় নিয়ে যাও। আমার পক্ষ থেকে জেলারকে বলবে, গ্রানাডার মুসলমান বন্দী থেকে একে যেন দূরে রাখে। এ এমন গোপন কথা জানে যা প্রকাশ পেলে রাষ্ট্রের ক্ষতি হতে পারে। গভর্ণরের সাথে আলাপ করে ওর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। হয়ত ওকে গ্রানাডা থেকে দূরে কোথাও পাঠিয়ে দিতে হবে।’
ডন লুইয়ের এ কথা না শুনলেও নিজের ভবিষ্যত কি হতে পারে সে সম্পর্কে আবুল হাসান মোটামুটি ধারণা করতে পারছিল। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তার একটাই চিন্তা, যাদের জন্য ও সব বিপদ মুসিবত ভোগ করতে প্রস্তুত হয়েছে তারা কতটুকু নিরাপদ!
সশস্ত্র পাহারায় ওকে কয়েকখানায় নিয়ে যাওয়া হল। একটা অন্ধকার কক্ষে শুয়ে সে বর্তমান ও অতীত নিয়ে ভাবছিল। কল্পনার আকাশে বিচরণ করা ছাড়া তার আর করার কিছুই ছিল না। কল্পনার পাখায় ভর করে ও চলে যেত সেই ভুবনে, যেখানে এসে মিশেছিল সাদিয়ার দুনিয়া। ভাবতে ভাবতে হঠাৎ একদিন তার মনে পালানোর ইচ্ছে জাগল। সাথে সাথে উঠ বসল সে। তার মন বলল, গ্রানাডা আমার ঘর, আমার জন্মভূমি। আমাকে আশ্রয় দেয়ার মত অসংখ্য মানুষ এখানে এখনো রয়েছে। কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারলে একদিন নিশ্চয়ই আলফাজরা যাবার সুযোগ পাব।

আবার তার মনে অন্য ভাবনা আসতেই হৃদপিণ্ডের ধুকপুকানি বেড়ে যেতো। না, না, সাদিয়া, আলফাজরায় তোমার বাড়ীর নিরাপত্তার জন্য হলেও আমাকে এখানে থাকতে হবে। আমি পালিয়ে গেলে খৃস্টানরা তোমার বাড়ীর চারপাশে পাহারা বসাবে। এরই মাঝে হয়তো তোমার বাড়ী তল্লাশীও করেছে। আমার মতই হয়তো তোমাদেরকে কোন কয়েদখানার অন্ধকার কক্ষে বন্দী করে রাখা হয়েছে। না সাদিয়া! আমার বিপদের ভাগী তোমাদেরকে করব না। আল্লাহ নিশ্চয়ই আমাদের সাহায্য

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top