শেষ আঘাত ২য় খণ্ড – এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ মুজাহিদ হুসাইন ইয়াসীন
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১৯৩
শেষ আঘাত ২য় খণ্ড – বইটির এক ঝলকঃ
আরবের মাটি যেন আরববাসীর ঘোরতর শত্রু বনে গেলো। তার দাবানলীয় উত্তাপে সব খরকুটায় পরিণত করেও নিস্তার দিচ্ছিলো না ।
আমীরুল মুমিনীনের সর্বাত্মক ব্যবস্থাদি ও তার অমানুষিক পরিশ্রম হয়তো ক্ষুধা-কাতর মানুষগুলোর অন্ন যোগান দিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ মরণ ছোবল থেকে তো কেউ বাঁচতে পারছিলো না।
এর মধ্যে আবার সাহাবায়ে কেরাম ও শীর্ষস্থানীয় নেতৃবর্গ আমীরুল মুমিনীনের অতি দ্রুত স্বাস্থ্যহানির বিষয়ে তাঁকে সতর্ক হতে অনুরোধ করেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! ক্রমেই অবনতিশীল ভঙ্গুর স্বাস্থ্য তাঁর দৌড়-ঝাপ থামাতে পারছিলো না। তাছাড়া তাঁর স্থানীয় বিষয়ে পেরেশানীর অন্ত ছিলো না। স্বাস্থ্য অটুট রাখার মতো পুষ্টিকর খাবার তিনি ছুঁয়েও দেখতেন না। বলতেন, এ খাবার তখনই আমি গ্রহণ করতে পারবো যখন আমার কওমের প্রতিটি সদস্য পেট ভরে খেতে পারবে দু’বেলা ।
বর্ষীয়ান সাহাবাগণের পরামর্শে কয়েকজন যুবক খাওয়ার সময় হযরত উমর (রা) কে কোন এক অজুহাতে গণদস্তরখানা থেকে উঠিয়ে আনলেন। অন্য পৃথক দস্তরখানায় বসালেন। সামনে গোশত ও পুষ্টিকর খাবার পরিবেশন করে কোন আলোচনায় তাকে মগ্ন করে দিলেন। যাতে তিনি কথা বলতে বলতে অজান্তেই খাবার থেকে অবসর হয়ে যেতে পারেন।
কিন্তু খাবারের দিকে হাত বাড়াতেই তার ঈগল চোখে ধরায় পড়ে গেলো তাদের আন্তরিক চালাকি।
আমীরুল মুমিনীন কাষ্ঠ হেসে বললেন, ‘দস্তরখানায় ঘুরে ফিরে দেখো। না খেতে খেতে জীর্ণ-শীর্ণ হয়ে যাওয়া কাউকে এ খবার দিয়ে এসো। আমার জন্য সাধারণ খাবারই ভালো।’
সে রাতেই উমর (রা) সাধারণ দস্তরখানায় খাওয়ার পর পানি চাইলেন। তাকে মধু মেশানো পানি দেয়া হলো। তিনি এক ঢোক পান করেই গ্লাস এক দিকে সরিয়ে রাখলেন। অত্যন্ত অনুযোগের সুরে বললেন,
‘কেন তোমরা এমন করো ? আল্লাহর কসম! আমি এমন কিছু করবো না কিয়ামতের দিন যে ব্যাপারে আমার কাছে তার জবাবদিহি তলব করা হবে। একদিন আমীরুল মুমিনীন তার ছোট ছেলেকে তরমুজের একটি টুকরো খেতে দেখলেন। তাকে বিদ্রুপ করে বললেন,
‘বাহ বাহ আমীরুল মুমিনীনের বেটা! তুমি ফল চিবোচ্ছো আর রাসূলুল্লাহ (স) এর উম্মত ভুখা-নাঙ্গা হয়ে মরছে।
বাবার কঠোর মেজাজ সম্পর্কে তো ছেলে ভালোই জানতো। বাচ্চা ছেলে এত শখ করে একটা জিনিস খাচ্ছে। সে কেঁদে ফেললো। এতটুকু অবুঝ বাচ্চার কান্নাও তাকে প্রভাবান্বিত করতে পারলো না। তখন এক লোক এসে আমীরুল মুমিনীনকে জানালো, আপনার এ বাচ্চা তার কয়েকটি খেজুরের বিনিময়ে তরমুজের এ টুকরোটি নিয়েছে। এটা শুনে তিনি নিশ্চিত হলেন তার ছেলে অন্যায় করছে না।
ছয় সাত মাস কেটে গেলো দুর্ভিক্ষের। ইরাক ও শাম থেকে অতি দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে আনাজ তরকারি আসছে এবং সেগুলো দুর্ভিক্ষ কবলিত বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছে যাচ্ছে।
একদিন উমর (রা) মদীনা থেকে সামান্য একটু দূরের এক বসতিতে গেলেন। সেখানে দুটি বাড়ি থেকে শোক-মাতমের শব্দ পেলেন। এক মহিলার যুবক ছেলে ও আরেক মেয়ের স্বামী মারা গেছে। উমর (রা) প্রথমে মৃতদের পরিবারের প্রতি যথাসাধ্য সমবেদনা প্রকাশ করলেন। তারপরই জিজ্ঞেস করলেন, এরা না খেয়ে মরেনি তো ?
তিনি জবাব পেলেন, না! এক বেলাও এরা অভুক্ত থাকেনি। এক অজানা রোগে এরা মারা গেছে।
উমর (রা) হুকুম দিলেন বায়তুল মাল থেকে এদের কাফন দেয়া হবে। কাফনের পর নামাযে জানাযার ইমামতি করলেন স্বয়ং আমীরুল মুমিনীন উমর (রা)।
এ অজানা রোগটি ভয়াবহ এক সংক্রমক ব্যধি হয়ে দেখা দিলো। ক্রমেই তা রূপ নিলো ধ্বংসাত্মক মহামারির। যেই এতে আক্রান্ত হতো চিকিৎসার কোন সুযোগ না দিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতো।
আমীরুল মুমিনীন যৎসামান্য যাই বিশ্রাম করতেন তাও এবার ছেড়ে দিলেন। এ ভয়ঙ্কর মহামারির প্রতিকারের জন্য গ্রামের পর গ্রাম ছুটোছুটি করতেন দিনরাত অবিরাম । বড় বড় ডাক্তার বদ্যিদেরও দুশ্চিন্তার অন্ত ছিলো না। তাদের কোন চিকিৎসাই মৃতের সংখ্যা কমাতে পারছিলো না। চিকিৎসা করলে বেশির থেকে বেশি এতটুক হতো যে, দুএকদিন রোগ যন্ত্রণা বেশি ভোগ করে মারা যেতো ।
হযরত উমর (রা) হুকুম জারি করলেন, এ রোগে যারা মৃত্যুবরণ করবে এবং দুর্ভিক্ষ চলাকালীন যারাই মারা যাবে তাদের দাফন-কাফন বায়তুল মালের পক্ষ থেকে হবে। উমর (রা) যেখানেই পৌঁছতে সক্ষম হতেন জানাযার নামায পড়াতেন । প্রত্যেক নামাযের পর তিনি এ দুর্ভিক্ষ ও মহামারি থেকে মুক্তি জন্য দুআ করতেন । দিনরাত দৌড়-ঝাপ করে রাতভর নামায পড়তেন আর ব্যকুল হয়ে কাঁদতেন।
দুআর মধ্যে উমর (রা) এ ফরিয়াদ অবশ্যই করতেন, ‘হে আল্লাহ! হে গাফুরু রহীম! আমার গুণাহের সাজা আপনার প্রিয় রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উম্মতকে দিবেন না। অপনার বান্দাদেরকে আমার হাতে ধ্বংস করবেন না হে পরওয়ারদিগার!
অবশেষে আমীরুল মুমিনীনের মনোবল পুরোপুরি ভেঙে পড়লো। ভেঙে পড়লো তার স্বাস্থ্যও। তবু তিনি দমবার পাত্র নন। সবদিকে সংবাদ দিয়ে কাসেদ পাঠিয়ে দিলেন, সব মুসলমানকে জমায়েত করে ইণ্ডিষ্কার নামায পড়া হোক। তারপর আল্লাহর দরবারে একনিষ্ঠ হয়ে সবাই কান্নায় ভেঙে পড়ুক, যাতে তিনি এ দুর্ভিক্ষ ও মহামারি থেকে আশু যুক্তি দান করেন। যারা আজ রাতের মধ্যেই মদীনায় পৌঁছুতে পারবে তারা যেন রাতের মধ্যেই মদীনায় পৌঁছে যায়।
দূরবর্তী এলাকায় যে কাসেদরা গেলো তারা রাতেও সফর অব্যহত রাখলো। পরদিন মদীনায় দুপুরে নামাযে ইস্তিস্কার সময় নির্ধারণ করা হলো ।
পরদিন দুপুরে লক্ষাধিক মানুষ মদীনার ময়দানে সমবেত হলো। সূর্য-বর্ষিত আগুনের হলকায় জ্বলতে থাকা মাটি অঙ্গারের চেয়ে গরম ছিলো। খালি পায়ে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব ছিলো। কিন্তু লোকেরা আল্লাহর পবিত্র সত্ত্বায় নিবিষ্ট হয়ে এমনভাবে একাকার হয়ে গেলো যে, তাদের সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ ছিলো না। নামাযের ইমামতি করলেন উমর (রা)। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা) এর চাদর মোবারক জড়িয়ে রেখেছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ঐতিহাসিকরা তখনকার যে দৃশ্য চিত্রায়ন করেছেন তা পাঠ করলেও চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে ওঠে। যখন সবাই ইস্তিস্কার নামায পড়ছিলো হেচকি তোলা তাদের কান্নার আওয়াজে ময়দান ভারি হয়ে উঠেছিলো। ব্যতিক্রম ছিলো না আমীরুল মুমিনীনের অবস্থাও।
নামায শেষ করলেন আমীরুল মুমিনীন। কিন্তু তার কান্না শেষ হলো না। সবে শুরু হলো যেন। তিনি দুআর জন্য হাত তুললেন। দুআয় তিনি কি বলছিলেন তার এক শব্দও বুঝা যাচ্ছিলো না। বাচ্চাদের মতো তিনি হাউ মাউ করে কাঁদছিলেন। তার সাদা কালো দাঁড়ি থেকে এমনভাবে অশ্রু গড়িয়ে আসছিলো যেন কেউ তার মুখে পানির ঝাপটা দিচ্ছে।
হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব (রা) উমর (রা) এর সামনে বসে দুআ করছিলেন। উমর (রা) দুআর মধ্যেই তার হাত ধরে তার পাশে দাঁড় করালেন এবং তার দু হাত ধরে প্রার্থনার ভঙ্গিতে আকাশের দিকে তুলে ধরে বললেন,
‘হে মেহেরবান আল্লাহ! আমরা আপনার প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চাচাজানকে শাফাআতের জন্য আপনার দরবারে পেশ করছি। আমাদেরটা না শুনলেও তাঁরটা তো ফেলে দিতে পারবেন না আপনি।’
হযরত আব্বাস (রা)-ও উমর (রা) থেকে আরো উঁচু আওয়াজে ফরিয়াদ তুললেন, হে আল্লাহ্! আপনার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওসিলায় রহমতের কয়েক ফোঁটা….
. অপ্রতিরোধ্য কান্নার দমকে তার কথা চাপা পড়ে গেলো। কান্নার চোটে তার শরীরটা যেন মোচড়ে মোচড়ে উঠছিলো।
যেসব জায়গায় আমীরুল মুমিনীনের কাসেদ গিয়েছিলো সেসব জায়গাতেও ইস্তিস্কার নামায আদায় করা হয়েছিলো। সেসব জায়গাতেও চোখের অশ্রুতে মানুষের মুখ বুক একাকার হয়েছে। নামায ও দুআর পর উমর (রা)-এর মুখে এ জপ চলতে লাগলো, ‘আল্লাহ রহমান রহীম।’
তারপর আগুনের হলকা উৎক্ষিপ্ত আরো একটি দিন শেষ হলো। রাতও কাটলো দুর্দশাময় আরেকটি দিনের অপেক্ষায় গভীর নিঃশ্বাস ফেলে ফেলে। কিন্তু সে রাতের কোলে এমন এক প্রভাতের উদয় ঘটলো যা দেখে কেউ বিশ্বাস করতে পারছিলো না ।
সূর্য যেন কোথাও মুখ লুকিয়ে আছে। আকাশ জুড়ে মেঘের কালো- কৃষ্ণ-পর্বত বিচরণ করছে। তারপর যখন সেই মেঘের পাহাড় ভেঙে পড়লো, দেখতে দেখতে চারদিক তামিয়ে নিয়ে জলমগ্ন হয়ে গেলো।
সামান্য দূরের জিনিসও বৃষ্টির তোড়ে দেখা যাচ্ছিলো না ।
নয় মাসের তৃষ্ণার্ত জমিন আল্লাহর অমূল্য রহমত তৃপ্তিভরে শুষে নিচ্ছিলো।
দু’ তিন দিন পর বৃষ্টির তোড় কমলে উমর (রা) বেরিয়ে পড়লেন। এবার ছুটোছুটি শুরু করলেন পঞ্চাশ ষাট হাজারের শরণার্থী শিবিরে। শরণার্থীদেরকে অনতি বিলম্বে তাদের এলাকায় ফেরত পাঠাচ্ছিলেন। তারা যেন গিয়ে সদ্য সতেজ সিক্ত হওয়া জমির ফায়দা উঠিয়ে ফসলের বীজ বোনায় লেগে যায়। রোজি তো রাবেয়া হয়ে গেছে সেই কবে। কিন্তু যে ঘটনাকে ঘিরে রাবেয়া হয়েছে সে ঘটনার সেখানেই সমাপ্তি ঘটেনি।
মাঝিমল্লার সরদারের কাছ থেকে উয়েস ও তার দু’সঙ্গী খ্রিস্টান ছদ্মবেশে রোজিকে উদ্ধার করেছিলো। সেই সরদারও তাদের তিনজনকে বিশ্বাস করে রোজিকে তাদের কাছে সোপর্দ করে দেয়। সরদার নিশ্চিত ছিলো, ওরা রোজিকে বলিদানের স্থানে নিয়ে যাবে । কিন্তু ওরা তো নৌকার মাঝিকে মাঝ নদীতে হত্যা করে রোজিকে নিয়ে উড়াল দেয়।
সেই সরদার বলিদানের স্থানে খুব দ্রুত পৌঁছে গেলো। সরদারও বলিদানের দৃশ্য দেখে উপভোগ করবে এই ছিলো ইচ্ছে। কিন্তু সেখানে পৌঁছে দেখে বলিদানের পাদ্রী ও ধর্মীয় নেতারা রোজির জন্য অপেক্ষা করছে। তাদেরকে সরদার জানালো, তিন খ্রিস্টান যুবকের সঙ্গে সেই মেয়েকে তো অনেক আগেই পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। শুনে সবাই হয়রান হয়ে গেলো। কোথায় গেলো মেয়েটি… বড় পাদ্রী ফতোয়া দিয়ে দিলেন, এ মেয়েকে নীল দরিয়া বলির জন্য গ্রহণ করেনি। নীল সেই মেয়েকেই চায় যাকে প্রথমে বলির জন্য গির্জার পক্ষ থেকে নির্ধারণ করা হয়েছিলো।
সে মেয়ে তো ছিলো হুরশীসের একমাত্র সন্তান। যে হুরশীস মেয়েকে বলিদান থেকে বাঁচানোর জন্য রোজিকে ইস্তাকিয়া থেকে নিয়ে এসেছিলো। এ মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে রোজি তো গেলোই। তার সঙ্গে তার মেয়ের অলংকারগুলোও চলে গেলো। পাদ্রী কাল বিলম্ব না করে হুকুম দিলো, অলংকার ছাড়াই হুরশীসের কন্যাকে বলি দেয়া হবে । তখনই এক দল লোক হুরশীসের মেয়েকে ঘুম থেকে ভুলে বলি দানের সাজানো মণ্ডপে হাজির করলো এবং পাদ্রী তাকে নদীতে ফেলে দিলো।
হুরশীস কল্পনাও করেনি এভাবে তার মেয়ে চলে যাবে। আগে হারিয়েছে তার বহু মূল্যের অলংকার। আর এখন হারিয়েছে তার একমাত্র মেয়েকে। উভয় শোক তাকে উন্মাদ করে তুললো। সে তার ধর্ম সমাজ সব ভুলে গেলো। ভেতরে জ্বলে উঠলো প্রতিশোধ স্পৃহা ।
ওখান থেকে মাইল তিনেক দূরে রোমক ফৌজের চৌকি রয়েছে। হেরাক্লিয়াস পুরো মিশর জুড়ে হাজার হাজার ছোট বড় ফৌজি চৌকি স্থাপন করে রেখেছেন। উদ্দেশ্য হলো,
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!