সাড়া জাগানো সত্য কাহিনী – মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

সাড়া জাগানো সত্য কাহিনী – মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১১৩

সাড়া জাগানো সত্য কাহিনী – বইটির এক ঝলকঃ

সে বহুদিন পূর্বের কথা। তখন যোগাযোগ ব্যবস্থা এত উন্নত ছিল না। ইচ্ছা করলেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়া যেত না। বরং বহু সময় ও কষ্টের পরেই তা সম্ভব হত। আজকে যেমন জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দার থেকে মাত্র ছয় ঘন্টার ব্যবধানে জেদ্দা বিমান বন্দরে পৌঁছা যায় তখন কিন্তু তা কল্পনাও করা যেত না। আমি এখন সম্মানিত পাঠক পাঠিকাদের ঐ সময়কার একটি চমকপ্রদ শিক্ষণীয় ঘটনা শুনাব, যখন আধুনিক কালের উন্নত যানবাহনগুলোর অস্তিত্ব ছিল না।
আশি পঁচাশি বছরের এক অশীতিপর বৃদ্ধা। তার এক ছেলে দুই মেয়ে। মেয়ে দুটির বিবাহ অনেক আগেই হয়ে গেছে। মেয়েরা তাদের স্বামীর সংসারে সুখেই দিনাতিপাত করছে।
ছেলেটির নাম আব্দুল্লাহ। মাদরাসায় কয়েক ক্লাস লেখা-পড়া করেছে। এলাকার লোকেরা তাকে মৌলভী আব্দুল্লাহ বলে ডাকে। ছেলেটি বেশ শান্ত স্বভাবের। কারো সাথে ঝগড়া করে না, মারামারি করে না। মাকে এখন সেই দেখাশুনা করে ।
আব্দুল্লাহর মনে ছিল হজ করার এক তীব্র বাসনা। এ বাসনা একদিন দুদিনের নয়। বহুকাল আগের, বহু পুরানো এ বাসনা। কা’বা শরীফ তাওয়াফ এবং মদীনায় রওজায়ে আতহারের পাশে দাঁড়িয়ে সালাত ও সালাম পেশ করা তার জীবনের এক বিরাট স্বপ্ন ছিল। এ স্বপ্ন পূরণে কোন বাধাও তার ছিল না। সুস্থ দেহ, আর্থিক স্বচ্ছলতা সবই তার ছিল। কিন্তু একমাত্র মায়ের জন্য তার এ স্বপ্ন পূরণ বিলম্বিত হচ্ছিল। আব্দুল্লাহ মায়ের সেবা করে। মাও তাকে ভীষণ ভালবাসে। মা যেন এ ছেলেকে ছাড়া কিছুই বুঝে না। প্রতিবছর হজের সময় এলে আব্দুল্লাহ মায়ের কাছে যায়। মিনতির স্বরে বলে-
মা! আমি এ বছর হজে যেতে চাই। আপনার অনুমতি হলেই রওয়ানা দিতে পারি ।
সন্তানের প্রতি মায়ের ভালবাসা এমনিতেই সীমাহীন। তদুপরি আব্দুল্লাহ তার একমাত্র ছেলে। বয়সও অনেক হয়ে গেছে। অনেক কাজ ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নিজে নিজে করতে পারেন না। অন্যের সাহায্য নিতে হয়। তাই ছেলে হজের অনুমতি চাইলে বরাবরই তিনি একই কথা বলে ছেলেকে ফিরিয়ে দেন। বলেন-
বাবা! আমি অসুস্থ ও দুর্বল হয়ে গেছি। তুমি ব্যতীত আমাকে দেখাশুনা করার আর কেউ নেই। তুমি আসার পূর্বেই হয়ত মরে যাব। সুতরাং এ বছর হজে যাওয়া স্থগিত রাখ।
এভাবে চার পাঁচ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর ছেলের ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গে গেল। সে এবার দৃঢ় সংকল্প করল যে, এ বছর যেভাবেই হউক হজে যাব। মায়ের কথা কিছুতেই মানব না। এবার তিনি অনুমতি দিক বা না দিক তাতে আমার কোন পরওয়া নেই। যেভাবে পারি, আমি আমার সংকল্প বাস্তবায়ন করবই ।
দেখতে দেখতে হজের সময় ঘনিয়ে এল। আব্দুল্লাহ হজের পূর্ণ প্রস্তুতি নিল। কিন্তু একথা মাকে জানাল না। অবশেষে রওয়ানা হওয়ার দিন মাকে বলল-
ঃ মা দুআ করো। আজকেই হজের উদ্দেশ্যে বের হচ্ছি।
: আজই বের হচ্ছ অথচ আগে আমাকে কিছুই জানাও নি! মায়ের কন্ঠ চিরে একরাশ বিস্ময় ঝরে পড়ে।
ঃ হ্যাঁ, এবার আপনাকে জানানোর প্রয়োজন বোধ করি নি।
ঃ কেন?
ঃ অতীতের বছরগুলোতে আপনার অনুমতি চেয়েছিলাম । কিন্তু আপনি দেন নি। আমার বিশ্বাস এ বছরও আপনি তাই বলবেন। সে জন্য আপনার অনুমতি না নিয়েই এবার হজে যাওয়ার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
: বাবা! তুমি এ বছরও যেয়ো না। তোমার কাছে এ আমার শেষ আবদার। আর কখনো তোমাকে নিষেধ করব না।
ঃ আমি আপনার কথা মানব না মা। আপনার নিকট এখন আমি অনুমতি নিতেও আসিনি। হজে যাচ্ছি শুধু এতটুকু জানানোর জন্য এসেছি।
: বাবা! তুমি কি আমার শেষ আবেদনটুকুও রাখবে না?
: না, রাখব না। রাখতে পারি না। কারণ আপনি কেবল প্রতি বছর একই অজুহাত দিয়ে থাকেন। বলেন যে, তুমি হজ থেকে ফিরে আসার আগেই মৃত্যুবরণ করব, তাই তুমি এ বছর যেয়ো না। অথচ আপনি আজ পর্যন্ত মরেন নি ।
ঃ তুমি ছেলে হয়ে কথাটি এভাবে বলতে পারলে?
ঃ হ্যাঁ, না বলে কোন উপায় দেখছি না, মা। আমি এ বৎসর অবশ্যই হজে যাব, চাই আপনি মরে যান বা জীবিত থাকেন ।
একথা বলে আব্দুল্লাহ বগলে একখানা কিতাব রেখে মক্কার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলেন। এ সময় বৃদ্ধা জননী অনেক অনুনয় বিনয় করে আবারো বলছিলেন, বাবা! তুমি যেয়ো না। আমার মন বলছে এ বছরই আমি মারা যাব। আমাকে একাকী রেখে যেয়ো না। তুমি চলে
গেলে কে আমার খেদমত করবে? কে আমাকে দেখাশুনা করবে? আমার তো আপনজন বলতে দুনিয়াতে আর কেউ নেই। তোমার বোনেরাও তো জামাইয়ের বাড়িতে চলে গেছে।
হৃদয়ের গহীন কোণ থেকে উৎসারিত মায়ের এ কথাগুলোর দিকে আব্দুল্লাহ বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ করল না। ফিরে এসে মাকে দু’খানা সান্ত্বনার কথাও শুনাল না। এমনকি ফিরেও তাকাল না। সোজা বের হয়ে হজের পথ ধরল। ছেলের এ আচরণে মায়ের মনে বেশ কষ্ট লাগল। তার হৃদয়টা ভেঙ্গে চৌচির হয়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে কয়েক ফোঁটা তপ্ত অশ্রু গড়িয়ে পড়ল চোখের দু’কোণ বেয়ে। তিনি নিজেকে সামলাতে পারলেন না। ধপাস করে মাটিতে বসে পড়লেন। তারপর হাত দুটো উপরে তুলে বললেন-
হে পরওয়ার দেগার আল্লাহ! তুমি আব্দুল্লাহর কাণ্ড দেখেছ। সে আমার কথা শুনল না। আমার দিকে ফিরেও তাকাল না। ওগো পরাক্রমশালী মাওলা! তুমিও তার কথা শুনিও না এবং তার দিক থেকে তোমার রহমতের দৃষ্টি ফিরিয়ে নিও। সে যেমন আমাকে কষ্ট দিল তেমনি তুমিও তাকে কষ্টের মধ্যে ফেলিও ।
এদিকে মৌলভী আব্দুল্লাহ বিরামহীন গতিতে এগিয়ে চলছে। তার মনে আশা পূর্ণ হওয়ার এক বুক স্বপ্ন। কোন দিকে খেয়াল নেই তার। চলছে তো চলছেই ।
অনেক দূরের সফর। একটানা কতদূর আর চলা যায়। চলতে চলতে ক্লান্ত হয়ে গেলে আব্দুল্লাহ গাছের ছায়ায় আশ্রয় নেয়। কখনো বা চলে যায় নিকটবর্তী কোন মসজিদে। মুসাফিরখানার সন্ধান না পেলে মসজিদেই রাতটা কাটিয়ে দেয়। সেখানে বিশ্রামের পাশাপাশি ইবাদত করারও বেশ মওকা মিলে যায়।
একদিনের ঘটনা
রাত্রি যাপনের জন্য আব্দুল্লাহ একটি মসজিদে অবস্থান নেয়। ইশার নামাজ আদায় ও খাওয়া দাওয়া শেষে সে ঘুমিয়ে পড়ে। মসজিদটি ছিল লোকালয় থেকে একটু দূরে। সফরের ক্লান্তির কারণে অল্প সময়ের মধ্যে সে নিজেকে সঁপে দেয় গভীর নিদ্রার কোলে।
রাত তখন তিনটা। চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। হাত মেললে হাত দেখা যায় না । আব্দুল্লাহ ঘুম থেকে জেগে উঠে। ভাল করে অজু করে। তারপর তাহাজ্জুদে দাঁড়ায়। নীরব, নিস্তব্ধ নির্জন পরিবেশে বড়ই একাগ্রতার সাথে নামাজ পড়তে থাকে। মসজিদের দরজা তখন খোলাই ছিল । ঘটনাক্রমে মসজিদের পাশের বাড়িতে এক চোর ঢুকে। সে মালামাল নিয়ে পালানোর সময় লোকজন টের পেয়ে যায়। সবাই তার পিছে পিছে ধাওয়া করে। চোর বেচারা উপায়ান্তর না দেখে মসজিদে ঢুকে পড়ে। সে দেখে এক ব্যক্তি নামাজে মগ্ন ।
এমন সময় চোরের মাথায় এক বুদ্ধি আসে। সে ভাবে, যদি মালগুলো লোকটির কাছাকাছি রেখে পালাতে পারি, তবে লোকজন আমার পিছনে আর দৌড়াবে না। তাকেই চোর মনে করে শাস্তি দিবে।
সময় খুব কম। বেশি চিন্তা করার সময় নেই। চোর বেচারা তড়িগড়ি করে চোরাইকৃত মালামালগুলো নামাজি ব্যক্তির কাছে নিয়ে আস্তে করে রেখে দেয়। অতঃপর দেয়াল টপকে অন্ধকারে হারিয়ে যায়।
চোর তো জান নিয়ে পালাল কিন্তু বিপদ চাপল মৌলভী সাহেবের ঘাড়ে। লোকজন যখন দেখল, চোর মহাশয় মসজিদে ঢুকেছে তখন দেরী না করে চতুর্দিক থেকে তারা মসজিদ ঘিরে নেয়। কিন্তু ততক্ষণে প্রকৃত চোর পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এক পর্যায়ে কয়েকজন সাহসী লোক ভিতরে প্রবেশ করে। দেখে, এক ব্যক্তি নামাজ পড়ছে। তার পরণে লম্বা আলখেল্লা । পিছনে রয়েছে চোরাই মাল ।
লোকজন বিস্মিত হয়। কারণ এমন চোর জীবনেও তারা দেখে নি। তারা পরস্পর বলাবলি করে- আশ্চর্য চোর তো! জান বাঁচানোর জন্য চুরির মালপত্র মসজিদে রেখে নামাজ শুরু করে দিয়েছে।
এ দৃশ্য দেখে এলাকার লোকেরা ক্রোধে ফেটে পড়ে। একে তো চোর, তার উপর আবার ভণ্ডামী, এ কি সহ্য করা যায়? তারা তাদের ধারণায় মৌলভী বেশী চোরকে টেনে হেচড়ে বাইরে নিয়ে আসে। তারপর শুরু হয় উত্তম মাধ্যম। আচ্ছামত ধোলাই। যে যেভাবে পারে পেটাতে থাকে। লাথি-ঘুষি, কিল-গুতো কোন কিছুই বাদ পরে নি। এলাকার ছেলেরাও সুযোগ পেয়ে দুচার ঘা লাগাতে কসুর করে না। মোটকথা, বাকি রাতটুকু মৌলভী সাহেবের গণ পিটুনী খেয়েই শেষ হয়।
পরদিন বাদ ফজর। লোকেরা তাকে নিয়ে বিচারকের দরবারে

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top