সামনে বৈরুত – আসাদ বিন হানিফ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

সামনে বৈরুত – আসাদ বিন হানিফ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ আসাদ বিন হানিফ

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১৬৩

সামনে বৈরুত – বইটির এক ঝলকঃ

ইয়াজউদ্দিন মাসুদ আমের বিন উসমানকে খুব বিশ্বাস করতেন। তাই তিনি রাজিয়া খাতুনদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমেরের ওপরই দিয়ে রেখেছিলেন। আমের এ দায়িত্ব যথাযথভাবেই পালন করছিলো। তারা বাগানে রওনা হলে আমের নিজেও তাদের সাথে বাগানে চলে যেতো ।
সেদিনও বিকেলে ঘোড়ার গাড়ীতে চড়ে বাগানের দিকে রওনা দিলেন রাজিয়া খাতুন। সঙ্গে শামসুন নেছা এবং দাসী। রক্ষী হিসাবে তাদের সঙ্গে চললো আমের বিন উসমান ।
শহরের পাশেই সবুজ উদ্যানে প্রবেশ করলো তাদের ঘোড়ার গাড়ী। রাজিয়া খাতুন গাড়ী ছেড়ে বাগানে নেমে গেলেন। সঙ্গে সঙ্গে শামসুন নেছা, দাসী এবং আমেরও নেমে তাকে অনুসরণ করলো ।
জায়গাটি অতি মনোরম। বাগানের এক পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ছোট্ট নদী । অন্য পাশে জনগণের চলাচলের রাস্তা ।
এ বাগানে জনগণের প্রবেশ নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র শাহী পরিবারের লোকজন ও মেহমানদের জন্যই নির্দিষ্ট ছিল এ বাগান ।
রাজিয়া খাতুন কেবল ভ্রমণের উদ্দেশ্যেই এ বৈকালিক সফরে বের হতেন না। এ সফর থেকে তিনি আরো কিছু ফায়দা হাসিল করে নিতেন। আমের উনুশীর কাছ থেকে যে সব তথ্য সংগ্রহ করতো সে সব তথ্য তিনি জেনে নিতেন এই ফাঁকে। সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে তাদের করণীয় কি হতে পারে তাও আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করে নিতেন।
রাজিয়া খাতুন ঝর্ণার দিকে হাঁটতে হাঁটতে কথা বলছিলেন। রাজিয়া খাতুনের পাশে শামসুন নেছা, পেছনে দাসী ও আমের পাশাপাশি ।
ওরা যখন বাগানে কথা বলছিল, ইসহাক তুর্কীকে তখন তার এক সঙ্গী বলছিল, ‘তুমি যে দাসীর সাথে দেখা করার জন্য সারাদিন ধরে বসে আছো, সন্ধ্যার পর সে একবার রিপোর্ট করতে আসবে ঠিকই, কিন্তু ইচ্ছে করলে তার আগেও তুমি তার সাথে দেখা করতে পারো।’
‘কিভাবে?’ আগ্রহ নিয়ে জানতে চাইল ইসহাক তুর্কী ।
‘এইমাত্র আমি দেখে এলাম, রাজিয়া খাতুন ও শামসুন নেছা শাহী বাগানে বেড়াতে বেরিয়েছে। তাদের সঙ্গে আছে দাসী এবং আমের বিন উসমান নামে এক রক্ষী। এই রক্ষীও গোপনে আমাদের সাহায্য করছে।’
খবরটা ইসহাক তুর্কীকে দারুণভাবে পুলকিত করলো। দাসীর সাথে দেখা করার সঙ্গে সঙ্গে রাজিয়া খাতুনের সাথে একটু দেখা করার ইচ্ছা আগে থেকেই তার মনে উঁকিঝুকি মারছিল। কিন্তু দাসীর সাথে আলাপ না করে এ সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা কারো পক্ষে সম্ভব হয়নি। ইসহাক তুর্কী আর দেরী করলো না, সঙ্গে সঙ্গে বাগানের দিকে রওনা হয়ে গেল
রাজিয়া খাতুন ঝরণার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। শামসুন নেছা এবং দাসীও তার সাথেই ছিল। আমের গত রাতে উনুশীর কাছ থেকে যে তথ্য পেয়েছিল তা ওদেরকে শোনাচ্ছিল ।
আমের বলছিল, ইয়াজউদ্দিনের মনোভাব মোটেই সুবিধের নয়। সে এরই মধ্যে সম্রাট বিলডনের সাথে গোপনে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। প্রকাশ্যে সে সুলতানের সাথে নিজেকে জোটবদ্ধ শক্তি হিসাবেই প্রকাশ করবে। কিন্তু কার্যতঃ সময় মত সে সুলতানকে সহযোগিতা করবে না।
সুলতান রসদ চেয়ে পাঠালে সে প্রতারণা করবে। সেনা চেয়ে পাঠালে বাহানা করে বলবে, ‘আরমেনীয়দের হামলার আশংকায় এমনিতেই আমি অস্থির। তাই একান্ত ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এই মুহূর্তে সৈন্য পাঠাতে পারছি না বলে দুঃখিত।’
কথা শেষ হলে ঝরণার পাশ থেকে উঠে এলো আমের। রাজিয়া খাতুন ও শামসুন নেছা বসে রইল ঝরণার দিকে মুখ করে। দাসীও ওদের সাথেই বসেছিল, একটু পর উঠে ওদের কাছ থেকে সামান্য সরে গিয়ে ফুলের সৌন্দর্য দেখতে লাগলো ।
আনমনে হাঁটতে হাঁটতে ফুলের সৌন্দর্য দেখছে দাসী, হঠাৎ তার কানে ভেসে এলো অদ্ভুত এক গানের কলি। তেমন সুরেলা নয়, বোঝাই যাচ্ছে এ লোক পেশাদার কোন গায়ক নয়, কিন্তু বড় দরদ দিয়ে গাইছে গানটি। গানের কথাগুলো নতুন এবং ইঙ্গিতধর্মী । কান পাতলো দাসী। লোকটি তখন গাইছে: আমি এক মরুভূর যাত্রী
তারার লক্ষ্য পানে ছুটে চলেছি
বহু দূর দেশ থেকে
একবার দেখা পেতে
অনেক কষ্টে আমি ছুটে এসেছি।
বাগানের পাশ দিয়ে হেঁটে হেঁটে যাই। একবার তব দেখা যদি আমি পাই এ আশায় আনমনে গেয়ে চলেছি ।
ভ্রমণের নাম করে তুমিও এসেছো জানি লুকিয়ে রেখেছো বুকে কি কথার খনি সে কথা জানতে শুধু ব্যাকুল হয়েছি। আমি এক মরুভূর যাত্রী
তারার লক্ষ্য পানে
বাগানের পাশ ঘেঁষে ছুটে চলেছি ।
চমকে উঠল দাসী! এ কেমন কথা! কি কথা জানতে চায় যুবক ! কার কাছে জানতে চায়!
সে চোখ তুলে তাকাল বাগানের পাশ দিয়ে যে রাস্তাটি চলে গেছে সেদিকে। তাকিয়েই সে অপ্রস্তুত হয়ে গেল। এক যুবক তার দিকেই তাকিয়ে আছে অনিমেষ চোখে। যদিও সে খুব আস্তে ধীরে হাঁটছে, কিন্তু রাস্তার দিকে তার চোখ নেই, মুহূর্তের জন্যও সে চোখ ফেরাচ্ছে না অন্যদিকে।
দাসী ঝোঁপঝাড়ের আড়াল নিয়ে যুবকের দিকে এগিয়ে গেল । গান শুনেই সে বুঝেছিল, এটা কোন গান নয়। কোন গোয়েন্দা কারো সাথে দেখা করার জন্য এ গানের মাধ্যমে গোপন সংকেত দিচ্ছে। কেউ শুনলে ভাববে, আপনভোলা কোন পথিক আপন মনে গান গাইছে। কিন্তু যাদের গোয়েন্দা কাজের সামান্য অভিজ্ঞতা আছে সেই বুঝবে, এ গান কাউকে ডাকছে ।
যুবকটি তার দিকে তাকিয়ে ছিল। তার মানে তাকে উদ্দেশ্য করেই এ গান গাইছিল যুবক? কিন্তু কে এই যুবক ?
কৌতূহলী দাসী যুবকের আরো কাছে গিয়ে ঝোঁপের আড়ালে দাঁড়িয়ে চোখ ফেললো যুবকের ওপর। সঙ্গে সঙ্গে চিনে ফেললো ইসহাককে। ঝোঁপের আড়াল থেকে বেরিয়ে এলো দাসী। ইসহাক বললো, ‘তাড়াতাড়ি শোন, হাতে বেশী সময় নেই।’
দাসী আরো কয়েক কদম এগিয়ে বললো, ‘ভয় নেই, ভেতরে চলে আসুন এবং আমাকে অনুসরণ করুন।’
এই বলে দাসী আর দাঁড়াল না, একদিকে হাঁটা দিল । ইসহাক এদিক ওদিক তাকিয়ে চট করে বাগানে ঢুকে গেল এবং কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে দাসীর পিছে পিছে হাঁটতে লাগলো ।

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top