রোহিঙ্গা তরুণী – আমিরুল মোমেনিন মানিক – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

রোহিঙ্গা তরুণী – আমিরুল মোমেনিন মানিক – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ আমিরুল মোমেনিন মানিক

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৬৮

রোহিঙ্গা তরুণী – বইটির এক ঝলকঃ

নীল এবং সবুজের লেপ্টানো দেয়াল। জানালার ফাঁক গলে রোদের বৃষ্টি । ঝলমলে বেডরুমের ঝুল বারান্দা। কার্নিশে দুটো টিকটিকি ভালোবাসাবাসি করছে। পাশেই সাদা কালো ফটোগ্রাফ। চোয়ালভাঙা লম্বা চুলের একটা মুখচ্ছবি। এটা আবরারের বিশ্ববিদ্যালয়বেলার ছবি ।
সাউন্ড স্পিকারে বাজছে ভূপেন হাজারিকার গান। মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য…
আবরার উপুড় হয়ে শুয়ে আছে। চোখে ভাতঘুম। ক’দিন আগে ইস্তাম্বুল থেকে ফিরেছে সে । ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স এবং মিয়ানমারের আবিদার স্মৃতি এখনো নতুন চকচকে। নানা বিক্ষিপ্ত চিন্তায় তার মনটাও ভালো নেই । গতকাল খুলনায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়েছে, সেই ঘটনার উদ্বেগও রেখাপাত করে আছে আবরারের মনে। একটা বিষয় নিয়ে সে খানিকটা চিন্তিতও বটে। রাখাইনে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আবিদারা যে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা আন্দোলন করছে সেটাও কি তাহলেও জঙ্গিবাদ? এই ধরনের চিন্তার বুদবুদ তার মাথায় । বালিশের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালটা পড়ে আছে। হঠাৎ ওটা হাতে নিয়ে পাতা উল্টাতেই নজরে আসে একটি লেখা। রোমান্টিক বিপ্লবের স্বপ্ন বিলাস । লিখেছেন আবু আরিজ । লেখাটা পড়তে থাকে আবরার ।
…টিনএজ । ১৩ থেকে ১৯ বছরের সীমানা । উনুনে গরম তেলের মতো টগবগে তারুণ্য । আবেগ, স্বপ্ন আর উদ্যমের মাখামাখি। শুধুই নতুন কিছু করে দেখাবার নেশা। হোক সেটা ইতিবাচক বা নেতিবাচক । এই সময়কালটাই দাহকাল! স্পর্শকাতর। টিএনজ বয়সে বাঁক নেয়া পথেই হাটতে হয় সারাজীবন । এটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে সত্য ।
অনেক সমাজবিজ্ঞানীর ভাষ্য, স্কুল-কলেজের সিঁড়ি ছুঁয়ে দেয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না যে তরুণ জীবনে একবারও সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দ্যাখেনি ।
সুকান্ত ভট্টাচার্য অবশ্য টিনেজের আঠারোকে দারুণভাবে উপস্থাপন করেছেন তাঁর কবিতায় ।
“আঠারো বছর বয়সের নেই ভয় পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা, এ বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়- আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা ।
এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে, প্রাণ দেওয়া-নেওয়া ঝুলিটা থাকে না শূন্য সঁপে আত্মাকে শপথের কোলাহলে।”
উদ্ধৃতির শেষ একটা লাইন। ‘সঁপে আত্মাকে শপথের কোলাহলে’। কিন্তু আত্মাকে কোথায় সঁপে দিচ্ছে টিনেজ বা তিরিশের মধ্যে বয়সবন্দী তরুণরা! সেটা কি বিপ্লব, না প্রতিবিপ্লব! না বিভ্রান্তের উপত্যকা । এখানেই প্রশ্ন ।
আবরারের বেশ মনে ধরেছে লেখাটা। সুতরাং আরেকটু মনোযোগ দেয় লেখাটায় । চারু মজুমদার । নামটা কি পরিচিত মনে হয়। ৬০ এর দশকে অনেক তরুণের স্বপ্নের নায়কের নাম। একটু খুলে বলি। ১৯৬৭ সালের কথা । ভারতের দার্জিলিংয়ের নকশালবাড়ী গ্রাম। বিমল কিষাণ নামের এক চাষী নিজের জমি চাষ করতে আদালতের দ্বারস্থ হন । কিন্তু স্থানীয় সন্ত্রাসীরা সেই জমি কেড়ে নেয় তার কাছ থেকে। এর প্রতিবাদে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন চারু মজুমদার ও কানু স্যান্যাল। তাদের নেতৃত্বে যুক্ত হয় প্রান্তিক ঘামে ভেজা মানুষ। এ ঘটনায় খুন হন পুলিশ ইন্সপেক্টর সোনম ওয়াংগিরি । পুলিশের গুলিতে মারা যান গ্রামের আট মহিলা ও দুই শিশু। এরপর এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে পুরো পশ্চিমবঙ্গে। বিত্তবান, জোতদার, ধনিক শ্রেণীর সম্পদে গরিবের অধিকার আছে, এমন শ্লোগানের বুলি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ।
চারু মজুমদার পরিণত হন স্কুল-কলেজ-ভার্সিটির তরুণদের স্বপ্ন পুরুষে । এ আন্দোলনে না জেনে না বুঝে অথবা থরো থরো আবেগে ঝাঁকে ঝাঁকে যুক্ত হতে থাকে তরুণরা ।
বিপ্লবের রোমান্টিসিজমে ভাসতে থাকে পাড়া-মহল্লা-শহরতলি । অধিকারহারা নিম্নবর্ণের মানুষের মধ্যেও লাগে দিন বদলের স্বপ্নের আঁচ। নকশালের নেতারা আন্দোলন সফল করতে গ্রহণ করেন গেরিলা পদ্ধতি । সরকারি অফিসে, ধনিক শ্রেণীর বাসস্থলে চলতে থাকে হামলা। বেকায়দায় পড়ে জ্যোতি বসুর সরকার । ফলে যেকোনো উপায়ে সরকার নকশাল দমনে উদ্যত হয় । উপায়ান্তর না পেয়ে জ্যোতি সরকার গ্রহণ করেন অবৈধ পন্থা । তাদের হাত ধরে উপমহাদেশে প্রথমবারের মতো চালু হয় মানুষ হত্যার নতুন রীতি ‘ক্রসফায়ার’। কঠোর থেকে কঠোরতর হতে থাকে প্রশাসন । নকশালের পরিকল্পনাহীন অগণতান্ত্রিক গেরিলা আন্দোলন কোণঠাসা হয়ে পড়ে। ক্রসফায়ারে নিহত হয় বিপ্লবের স্বপ্নে বিভোর হাজার হাজার তরুণ । পলেস্তরার মতো খসে পড়ে দিন বদলের ভ্রান্ত ফানুস। পুলিশি নির্যাতনে মারা যান চারু মজুমদার। আর আত্মহত্যা করেন কানু স্যান্যাল। কেউ কেউ পুরোনো ধ্যানকে আঁকড়ে ধরে গড়ে তোলেন নানা চরমপন্থী সংগঠন ।
মোটা দাগে, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ মিলিয়ে সমাজ পরিবর্তনের ভ্রান্ত আন্দোলনের এই হলো করুণ উপাখ্যান । আবরার নিজেকেই প্রশ্ন করে, নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন কি কখনোই পরিপূর্ণ স্বাধীনতা এনে দিতে পারে? খানিকটা খটকা লাগে তার। আবারো চোখ রাখে আবু আরিজের লেখাটাতে ।
এরও অনেক আগের ঘটনা। সোভিয়েত বলশেভিক বিপ্লবের পর থেকেই সমাজ পরিবর্তনের নানা শ্লোগান বাংলার তরুণদের কাছে ভালো লাগার অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে । ওই ধারার জনপ্রিয় আইকন চে গুয়েভারা কারো কারো কাছে এখনো স্বপ্নের কাঠখড়। তাছাড়া ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সুদীর্ঘ ঘাত লেগে আছে এ মাটির পরতে পরতে ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর একদল তুখোড় তরুণ সমাজ বিপ্লব আর বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন দেখিয়ে গঠন করে জাসদ। কিন্তু তাদের অপরিপক্ব কর্মকৌশল পরবর্তীতে বুমেরাংয়ে পরিণত হয় ।
১৯৭৯ । সংগঠিত হয় অভূতপূর্ব ইরানি বিপ্লব। রেজা শাহের দমন- নিপীড়নের বিরুদ্ধে সেখানে এক সর্বজনীন ও সুপরিকল্পিত পরিবর্তন ঘটে । এর তাপ লাগে এই বঙ্গতেও। ৮০’র দশকে অনেক ইসলামী সংগঠন স্বপ্ন দেখতে শুরু করে ইরানের আদলে বাংলাদেশকে গড়ার । কিছু পন্থাও তারা গ্রহণ করে । কিন্তু সময়ের অতলে সেই সব স্বপ্ন এখন প্রাণহীন ।
তারুণ্য-পরিবর্তনের ধ্যান বুকের মধ্যে ঝুলিয়ে রাখবে, এটা স্বাভাবিক প্রবণতা। এবং এই প্রবণতা ধারণ করেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন তিতুমীর, শরীয়তুল্লাহ, ফকির মজনু শাহ, প্রীতিলতারা ।
কিন্তু বিপ্লবের সব স্বপ্ন বা পরিবর্তনের চিন্তাই কি যথার্থ? ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নামে উগ্র গোষ্ঠী যে স্বপ্ন দেখাচ্ছে তার প্রক্রিয়া কতটা বাস্তব ঘনিষ্ঠ। বিভিন্ন অনুসন্ধানী তথ্য উপাত্ত থেকে দেখা যায়, তাদের কর্মকৌশলেই সুগভীর ষড়যন্ত্রের ফাঁদ। ফলে সেই সব অবুঝ তারুণ্যের রোমান্টিক স্বপ্ন বিভ্রাপ্তির অতলে পড়ে পরিণত হচ্ছে নৃশংসতায় । হয়ে উঠছে মানববিধ্বংসী।
এইখানে এসে থেমে যায় আবরার । জনমত তৈরি করা, এরপর চূড়ান্ত লড়াই। কিন্তু রাখাইনের আবিদারা মিয়ানমারের জান্তাদের বিরুদ্ধে নিজ দেশে কি কার্যকর জনমত গড়ে তুলতে পারবে? এই প্রশ্নটা আবরারের মনে ঘুরতে থাকে। আবিদারা যদি তাই না পারে তাহলে রাখাইনের জঙ্গি সংগঠন আরসা-ই কি তাদের শেষ ভরসা হবে? না এটাওতো অবাস্তব বা অমানবিক । চিন্তার জাল ভাঙতে আবারো চোখ রাখে প্রবন্ধে ।
বিংশ শতাব্দীর শেষকাল। এবং একবিংশ শতাব্দীর উদ্বোধন সময় । বিশ্বব্যাপী আদর্শিক সংকট প্রকট হয়ে ওঠে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির নতুন নতুন আগ্রাসন ভাবিয়ে তোলে গোটা বিশ্বকে। নানা ছুতোয় মুসলমানের ওপর নামে নির্যাতনের খড়গ। কিন্তু কে করবে এর প্রতিবাদ। দেশে দেশে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন নির্জীব । দুনিয়াব্যাপী ইসলামী আদর্শের দলগুলোর ব্যর্থতায় বিপুল আদর্শিক শূন্যতা। ফলে সাম্রাজ্যবাদের একচ্ছত্র মালিক এখন অ্যামেরিকা-ইউরোপ ।
কিন্তু স্বপ্ন তো আর বসে থাকতে পারে না। ফলে তৈরি হতে থাকে মিথ্যা স্বপ্ন । প্রতিষ্ঠিত হয় নানা উগ্রবাদী সংগঠন। গোষ্ঠী স্বার্থ ও সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে পৃষ্ঠপোষকতা পেতে থাকে সংগঠনগুলো।
প্রশ্ন উঠতে পারে যে, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদেরই বা লাভ কী?
“ইসলাম মানে সন্ত্রাস; ইসলাম মানুষ হত্যার ধর্ম – বিশ্বব্যাপী এই অপবাদ প্রচার করে ইসলামের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে পারাটাই মূলত পৃষ্ঠপোষকদের সার্থকতা । এই অন্তর্নিহিত পূঢ়ার্থ সাধারণ জঙ্গিদের পক্ষে বোধগম্য হওয়া কখনোই সম্ভব নয় । কারণ এই চক্রান্ত অনেক সুদূরপ্রসারী ও পরিকল্পিত ।
একটু খেয়াল করুন, জঙ্গি সংগঠনগুলো কখনোই ফিলিস্তিন ইস্যুতে সোচ্চার হয় না । কখনো ইসরাইলের বিরুদ্ধে কোন অভিযান তো দূরের কথা বিবৃতি পর্যন্ত দেয় না । মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মোকাদ্দাস পুনরুদ্ধারের ব্যাপারে তাদের কি কোনো কর্মসূচি আছে?
উল্টো তাদের আক্রমণের শিকার হচ্ছে হচ্ছে মুসলিম দেশগুলো ।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে জঙ্গিবাদ নিয়ে প্রকাশিত নিবন্ধ সামনে রাখলে দেখা যায়, উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো গোটা পৃথিবীর মানুষকে মূলত তাদের

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top