পথহারা পাখী – শফিউদ্দিন সরদার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ শফিউদ্দিন সরদার
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৩২২
পথহারা পাখী – বইটির এক ঝলকঃ
ইমাম শাহ ফের বিস্মিত কণ্ঠে বললেন— ‘আমাকে আবার বলতে হয়, এই দুনিয়াটা সত্যিই বড় বিচিত্র। বিচিত্র এই— ‘
তাঁর মুখের কথা শেষ না হতেই হুড়হুড় করে শ্রোতারা এসে হাজির হতে লাগলেন ।
শ্রোতারা এসে দুই কক্ষে আসন গ্রহণ করলে আলেম কমরুদ্দীন দেওয়ান সাহেবের নির্দেশে ইমাম শাহ ফকির বাহিনীর অভিযানের স্থগিত কাহিনী আবার শুরু করলেন। তাঁর বলা কাহিনী নিম্নরূপ রামপুর বোয়ালিয়া কুঠির কুঠিয়ালদের শায়েস্তা করার পর ফকির নেতা মজনু শাহ ফকিরদের ছাউনি তোলার নির্দেশ দিলেন। রামপুর বোয়ালিয়া ত্যাগ করে তিনি দলবল নিয়ে ধাবিত হলেন উত্তর দিকে। একটানা সফর করে বাংলার প্রায় উত্তর সীমান্তে চলে এলেন। এই সময় এইদিকে, বিশেষ করে রংপুর-দিনাজপুর এলাকায় খাজনা আদায়ের ইজারাদার ও তাদের কর্মচারীদের অত্যাচার চরমে উঠে গিয়েছিল। প্রজাদের দুর্দশার অবধি ছিল না। মানুষ বলেও প্রজাদের গণ্য করতো না এই দুরাচার ইজারাদারগোষ্ঠী। গরু-ছাগলের চেয়েও কৃষক প্রজাদের সাথে হীন আচরণ করতো তারা।
খবর পেয়ে মজনু শাহ তাঁর বাহিনী নিয়ে এইদিকে ছুটে এলেন। রংপুর ও দিনাজপুর পেছনে রেখে আরো খানিক উত্তরে এসে জলপাইগুড়িতে আস্তানা গাড়লেন তিনি। উদ্দেশ্য, রংপুর-দিনাজপুরে হামলা চালিয়ে এসে এখানে এই দূর এলাকায় আত্মগোপন করা। এই ইরাদায় তিনি কাদামাটি দিয়ে এখানেও এক দুর্গ নির্মাণ করলেন। দেওয়াল প্রাচীর তুলে আস্তানা খুব মজবুত করে নিলেন। এরপর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে ভাগ হয়ে তাঁরা জনগণের মধ্যে মিশে গেলেন আর খোঁজ করে করে যেসব গঞ্জে গ্রামে কাচারীতে জুলুম চালানো হচ্ছে, সেসব স্থানে গিয়ে অতর্কিতে ছোট ছোট হামলা চালাতে লাগলেন ।
ফকির বাহিনী এখন আর সেরেফ আধ্যাত্মিক ফকির বাহিনী রইলো না । রামপুর বোয়ালিয়ার লড়াইয়ের সময় বা তারও কিছু আগে থেকেই এই আধ্যাত্মিক ফকিরের দলে অন্য আধ্যাত্মিক মজলুমদের যোগদান শুরু হলো এবং ক্রমেই সেই যোগদানের প্রক্রিয়া প্রবলতর হয়ে উঠলো। এতে যোগ দিতে লাগলেন অত্যাচারিত কৃষক প্রজারা, সর্বহারা ব্যবসায়ীরা, বেকার আমলারা, নকরীচ্যূত সেপাই সেনারা এবং কিছু কিছু ছিন্নমূল জোতদার ও জমিদার শ্রেণীর লোকেরা।
উত্তরবঙ্গে ফকিরদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেলে ইজারাদারদের অনুরোধে কোম্পানীর কর্তৃপক্ষ একটি শক্তিশালী সৈন্যদল দিয়ে ক্যাপ্টেন ম্যাকেঞ্জিকে পাঠালো ফকিরদের লুটতরাজ ও গণনির্যাতন বন্ধ করতে। কর্তৃপক্ষ ম্যাকেঞ্জিকে বললো— ‘জনগণের উপর ফকিরেরা চরম নির্যাতন চালাচ্ছে, যেকোন মূল্যে ফকিরদের উৎখাত করা চাই।’
‘ম্যাকেঞ্জি এসে রংপুরে স্থায়ীভাবে দপ্তর খুলে বসলো। তার কাজ, বাহিনী হাঁকিয়ে ফকিরদের লুটতরাজ ও গণনির্যাতন বন্ধ করা ।
কিন্তু অর্থনৈতিক শোষণ ও গণনির্যাতন রোধকল্পেই ফকিরদের আগমন । ফকিরদের লুটতরাজ কোথায় আর গণ নির্যাতন কি ? বরং লুটতরাজ ও নির্যাতন যা কিছু এ অঞ্চলে চলছে তা ইংরেজদেরই সৃষ্টি। তাদেরই ইজারাদার, আমলা আর দালাল-ফোড়ে লোকেরাই জনগণের প্রাণ ওষ্ঠাগত করে তুলেছে।
এর উপর আবার শুরু হলো কোম্পানীর সেপাই সেনার নিপীড়ন। হাতে তেমন কাজ না থাকায় ম্যাকেঞ্জির সেপাইরাও জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে ভয়-ভীতির মুখে জনগণের নিকট থেকে ব্যাপক হারে অর্থাদায় করতে লাগলো । ম্যাকেঞ্জি নিজেও সূদের কারবারে লিপ্ত হলো। অত্যন্ত উচ্চহারে সূদ প্রদানের শর্তে ম্যাকেঞ্জি জমিদার ও কারবারী লোকদের টাকা হাওলাত দিতে লাগলো । সে টাকা সূদে-আসলে প্রদান করতে তাৎক্ষণিকভাবে কেউ অপারগ আর অক্ষম হলে ম্যাকেঞ্জি তাকে সেপাই দিয়ে ধরে এনে মেরে-পিটে আর কয়েদ করে রেখে তা আদায় করতে লাগলো ।
এহেন নির্যাতনের ফলে জনসাধারণের মনে ইংরেজদের বিরুদ্ধে অপরিসীম বিদ্বেষ পয়দা হয়। জনসাধারণ ক্রমেই প্রতিরোধমুখী হয়ে ওঠে। ঘটনা চরমে ওঠে বাংলার পূর্ণিয়া জেলা আর নেপালের মোরাং-এর সীমান্তে। ‘ফার’ নামক এক জাতীয় অত্যন্ত মূল্যবান কাঠের প্রচুর বৃক্ষ ছিল এখানে। সারি সারি বৃক্ষ । নিবিড় অরণ্য। লা-ওয়ারিশ নয়। জনসাধারণের মালিকাধীন ভূমিতে জনসাধারণের তদবিরে উৎপাদিত ফার কাঠের বন। মালদহের ইংরেজ প্রতিনিধি বারওয়েল কোম্পানীর জন্যে সস্তা দরে ফার কাঠ কেনার উদ্দেশ্যে মার্টেল নামক এক ব্যক্তিকে মোরাং-এর সীমান্তে প্রেরণ করলো।
মার্টেল একজন অসৎ ও দুরাচার ব্যক্তি । লোকজন সহকারে এসে সে স্থানীয় লোকজনের সাথে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার শুরু করে। ব্যক্তিগত মুনাফা কামাইয়ের অভিপ্রায়ে মার্টেল বাজার দরের চেয়ে অনেক কম দরে কাঠ বিক্রয় করার জন্যে ভীতির মুখে জনগণের উপর চাপ সৃষ্টি করে। জনগণ অসম্মত হলে, সে জোর করে বিনা মূল্যে গাছ কেটে নিতে থাকে। জনগণ কি করবে ভাবতেই, মার্টেল স্থানীয় এক মোরাং রমনীকে জোর করে ধরে এনে ধর্ষণ করে।
ম্যাকেঞ্জির কাছে খবর ছিল, ফকিরেরা সংখ্যায় অনেক। এত ফকির হাওয়া হয়ে গেল কোথায় ? বাহিনী নিয়ে ম্যাকেঞ্জি তালাশ করতে লাগলো । জলপাইগুডি থেকে নেপালের সীমান্ত অধিক দূরে নয়। কিন্তু সীমান্ত এলাকাটি অরণ্যঘেরা । ভেতরে অরণ্য আরো গভীর। খুঁজতে খুঁজতে এই পর্যন্ত এসে ম্যাকেঞ্জি থেমে গেল। সীমান্ত পেরিয়ে ভেতরে যাওয়ার এবং অরণ্যে ঢুকে তালাশ করার দুঃসাহস সে করলো না। ম্যাকেঞ্জি বাহিনী নিয়ে রংপুরে ফিরে এলো।
ম্যাকেঞ্জি ফিরে আসার কিছুদিন পরেই মজনু শাহ আবার তাঁর দলবল নিয়ে জলপাইগুড়ির দুর্গে চলে এলেন এবং পূর্ববৎ অত্যাচারীদের মোকাবেলা করতে
লাগলেন।
মজনু শাহর প্রত্যাবর্তনের খবর পেয়ে কোম্পানীর কর্তৃপক্ষ এবার লেফটেন্যান্ট কীথের অধীনে একদল বাছাই করা দুর্ধর্ষ সৈন্যবাহিনী ফকিরদের উ খাতে প্রেরণ করলো।
লেফটেন্যান্ট কীথ্ ছিল একজন অহংকারী ও দাম্ভিক সৈন্যাধ্যক্ষ। গর্ব তার মাত্রাধিক। বিশাল বাহিনী নিয়ে যে কাজ ম্যাকেঞ্জি করতে পারেনি, সে কাজ তুড়ি মেরে সমাধা করার দন্তে সে এসে হুংকার ছেড়ে জলপাইগুড়ির ডেরার উপর চড়াও হলো।
কিন্তু চুন পড়লো লেফটেন্যান্ট কীথের মুখেও। সে-ও উলুবনে গেল। দুর্গের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার পর সে দেখলো, মাটির দেওয়ালগুলোর বিরুদ্ধেই তলোয়ার ঘুরাচ্ছে তারা, দুর্গের মধ্যে একটা কুকুর-বেড়ালও নেই ।
কীথের আগমন সংবাদ গোপন সূত্রে পেয়ে ফকিরনেতা মজনু শাহ এবারও তাঁর বাহিনী নিয়ে আগেই দুর্গ থেকে সরে পড়লেন এবং মোরাং-এর পথ ধরলেন। মোরাং তথা নেপালের সীমান্তে এসে বনারণ্যের পাশে বিরাম নিতে দাঁড়ালে, তাঁর কাছে এক আবেদন এলো দলের লোকের। অন্যতম ফকিরনেতা মুসা শাহর মাধ্যমে ফকির বাহিনীর কয়েকজন অত্যন্ত তরুণ লড়াইয়া মজনু শাহর সাথে কিছু কথা বলার জন্য আরজ পেশ করলেন।
মুসা শাহর সুপারিশে মজনু শাহ সম্মত হয়ে একপাশে বসলেন এবং তরুণদের কাছে ডেকে বললেন— ‘বলো, কি তোমরা বলতে চাও ?’
তরুণদের মধ্যে সবচেয়ে কমবয়সী এক সুদর্শন লড়াইয়া সামনে এগিয়ে এসে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে বললেন- ‘হুজুর, আমরা যা বলতে চাই তা ধৃষ্টতার সামিল। আমাদের মতো অনভিজ্ঞ নাবালকদের মুখে এ প্রসঙ্গ খুবই বেমানান । তবু আমরা জানি, আমাদের হুজুর একাধারে দরাজদীল ও স্নেহশীল ব্যক্তি, ছোট-বড় সকলের প্রতি নজর তার সমান। এই ভরসাতেই আমরা কথা বলতে সাহস করেছি হুজুর।’
ফকির মজনু শাহ স্মিতহাস্যে বললেন— ‘আচ্ছা বেশ, তোমার বক্তব্য তমি বলো ?
তরুণ বক্তাটি আবার সবিনয়ে বললেন— ‘বক্তব্যটা আমার একার নয় হুজুর । আমার এই সঙ্গীদের সবার। সবাই বসে আলাপ-আলোচনা করার পর প্রসঙ্গটি হুজুরের কাছে পেশ করার জরুরত বিশেষভাবে অনুভূত হওয়ায় আমরা কথা বলতে এসেছি।’
মজনু শাহ ঐ একইভাবে বললেন— ‘বেশ তো, বলো।’
ঃ গোস্তাকী মাফ চেয়ে বলছি, আমরা বোধ হয় আমাদের পদক্ষেপে ভুল করছি হুজুর। ইংরেজ বাহিনীর এই হামলার প্রেক্ষিতে আমাদের বোধহয় পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা প্রয়োজন ।
মজনু শাহর চোখের নজর তীক্ষ্ণ হলো । তিনি গম্ভীর কণ্ঠে বললেন— ‘অর্থাৎ ‘
ঃ এই পালাই পালাই মনোভাব নিয়ে কতদিন আমরা চলবো হুজুর ? ইংরেজেরা আমাদের হামলা করতে আসবে আর অমনি আমরা এক ডেরা থেকে আর এক ডেরায় পালিয়ে যাবো-এ থেকে আমাদের চূড়ান্ত ফায়দাটা কি আসবে? ঃ বলো, কি বলতে চাও ?
: ইংরেজ সেপাইদের দীলে আতংক পয়দা না করে আমরা যদি পুনঃ পুনঃ পালিয়ে বেড়াই, তাহলে তো ওদের সাহস আরো বেড়ে যাবে আর ফলশ্রুতিতে ওরা আমাদের বুযদীল মনে করে কেবলই তাড়া করতে থাকবে।
আরো অধিক গম্ভীর হয়ে মজনু শাহ বললেন- ‘হুউ ! তাহলে কি করতে বলো তুমি ? তোমার নসিহত কি ?’
ঃ নসিহত নয় হুজুর, বিনীত নিবেদন। ওদের দীলে আতংক পয়দা করার জন্যে মাঝে মাঝে আমাদের পদ্ধতিটা পরিবর্তন করা প্রয়োজন। ওরা আমাদের তাড়া করতে এলে, মওকামতো ওদের উপরও আমাদের চড়াও হওয়া দরকার।
মজনু শাহ নারাজ কণ্ঠে বললেন— ‘এ আর এমন কি নতুন কথা ? মওকা পেলে তো অবশ্যই চড়াও আমরা হবো। কিন্তু সেই মওকাটা পেলাম কোথায় ? ঃ মওকাটা সব সময় আছে আপ্ আসে না হুজুর। সময় সময় ওটাকে তৈয়ার করে নিতে হয় ।
মজনু শাহ স্তম্ভিত হলেন । শাণিত কণ্ঠে বললেন— ‘তৈয়ার করে নিতে হয় ? কিভাবে তৈয়ার করে নিতে হয় তা তুমি জানো ?
ঃ সে বিষয়ে আমার অধিক জ্ঞান নেই। তবে আমি মনে করি, এখন আমরা কোশেশ করলে এ টা মওকা তৈয়ার করতে পারি।
: পারো ?
ঃ হুজুর এযাজত দিলে একটু চেষ্টা করে দেখতে পারি । ঃ যেমন ?
ঃ আমরা এখান থেকে পালাবো না। ইংরেজেরা আমাদের তালাশে এখানে এসে হাজির হলে আমরা তাদের সাথে সামনাসামনি লড়াইয়ে প্রবৃত্ত হবো । কিছুক্ষণ লড়াই লড়াই খেলা খেলে, পরে সেই মওকা আমরা তৈয়ার করে নেবো। : পারবে ?
ঃ হুজুরের দোয়া থাকলে আমাদের মনোবল আছে, আমরা পারবো ।
ঃ কি আমাকে করতে বলো তাহলে ?
ঃ আমাদের বাহিনীর অধিক অংশটা আমাদের অধীনে দিতে হবে হুজুর। বাকী অংশটা থাকবে হুজুরদের অধীনে। সর্বপ্রথম এই আরজটা মঞ্জুর করতে হবে।
ঃ তারপর ?
একটা নির্দিষ্ট পথের কথা উল্লেখ করে সেই তরুণটি বললো— ‘কিছুক্ষণ লড়াই করে আমরা অরণ্যঘেরা ঐ পথে পালিয়ে যেতে থাকবো। হুজুর তাঁর দল নিয়ে আগে আগে ছুটতে থাকবেন, অবশিষ্ট লড়াইয়াদের নিয়ে আমরা হুজুরদের পেছনে পেছনে আসতে থাকবো।’
ঃ আচ্ছা।
ঃ আমরা পরাজিত হয়ে পালিয়ে যাচ্ছি ভেবে দুশমনেরাও আমাদের পিছু নেবে। ঃ তারপর ?
: হুজুরেরা যখন দেখবেন পথে আমরা নেই, উধাও হয়ে গেছি, তখনই হুজুরেরা দাঁড়িয়ে যাবেন। হুজুরেরা বিজ্ঞজন। এরপরের ঘটনা দেখলেই হুজুরেরা বুঝতে পারবেন, হুজুরদের তখন কি করণীয়।
স্মিতহাস্যে তরুণটি মাথা নত করলো। মজনু শাহ গম্ভীর হয়ে মুহূর্তকাল ভাবলেন। পরিকল্পনাটির মধ্যে তিনি খানিকটা সম্ভাবনা দেখতে পেলেন। তিনি মুসা শাহকে প্রশ্ন করলেন – ‘ভাই মুসা শাহ, এ ব্যাপারে আপনি কি বলেন ?
মুসা শাহ প্রত্যয়ের সাথে বললেন— ‘নওজোয়ানেরা সাহস যখন করেছেই একটা, ওদের সুযোগ একবার দেয়াই আমি উচিত বলে মনে করি। পারে যদি, বাহাদুরীর কাজ কিছুটা করুক না ওরা ?’
ঃ আপনিও তাহলে এটা সমর্থন করছেন ?
ঃ করছি বৈকি ? ওদের উপরও তো এই ফকির বাহিনী পরিচালনা করার কিছু কিছু ভার ছেড়ে দিতে হবে। বুড়ো হতে চলেছি আমরা। অথচ আমাদের এ সংগ্রাম দীর্ঘমেয়াদী। এককভাবে ক’দিন আর আমরা এই গোটা বাহিনী পরিচালনা করতে পারবো। কমবেশী সবাইকে এ দায়িত্ব দিনে দিনে ভাগ করে দিতে হবে আর এ কাজে তাদের তালিম দিয়েও নিতে হবে।
ঃ মুসা শাহ!
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!