অনিঃশেষ আলো ৩য় খণ্ড – এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

অনিঃশেষ আলো ৩য় খণ্ড – এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২০৪

অনিঃশেষ আলো ৩য় খণ্ড – বইটির এক ঝলকঃ

রোমান বাহিনী যেভাবে ছিন্নভিন্ন হয়ে পালিয়েছে, তাতে ফাউমের সমগ্র অঞ্চল শূন্য হয়ে গেছে । আমর ইবনে আস (রাযি.) এগিয়ে গিয়ে সেগুলো সব দখল করে নিলেন ।
ফাউমের আলোচনা বিগত অধ্যায়ে এসেছে। অঞ্চলটি এতই বিশাল ও বিস্তৃত ছিল যে, মিশরের একটি প্রদেশের মর্যাদা তার অর্জিত ছিল। আমর ইবনে আস (রাযি.)-এর নির্দেশে এই প্রদেশের বড়-বড় শহরগুলোতে মুসলমানদের গভর্নরগণ পৌঁছে গেছেন এবং তাঁরা ওখানকার নাগরিকদের কাছ থেকে ট্যাক্স উসুল করতে শুরু করেছেন। ইতিহাসে এসেছে, জনসাধারণের উপরও মুসলমানদের এমন প্রভাব বদ্ধমূল হয়ে গিয়েছিল যে, তারা কোনো প্রকার আপত্তি না করে ট্যাক্স দিতে শুরু করে দিল। ইতিহাসে একথাও এসেছে যে, জনসাধারণের মাঝে একটি কথা ছড়িয়ে পড়েছিল, বিজেতা মুসলমানরা রোমান বাহিনীর অফিসার ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের ধরে শিকলে বেঁধে ফেলছে এবং পরে তাদের সিপাহসালারের সামনে নিয়ে হাজির করছে আর তিনি তাদের শাস্তি দিচ্ছেন। এ প্রদেশে যাঁদের গভর্নর ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হলো, আমর ইবনে আস (রাযি.) তাঁদের কঠোর ভাষায় আদেশ দিলেন, নাগরিকদের থেকে যার যার অবস্থা অনুপাতে ট্যাক্স উসুল করবে এবং কেউ যেন কোনো প্রকার অভিযোগ আরোপের সুযোগ না পায় ।
হেরাল-এর কাছে এই পরাজয়ের সংবাদ পৌঁছানো মুকাওকিসের কর্তব্য ছিল। হেরাল-এর প্রতিক্রিয়াও যে খুবই কড়া হবে তাও মুকাওকিসের জানা ছিল। মুকাওকিস ইতিমধ্যেই দেখেছেন, হেরাল শামের পরাজয় ও সেখান থেকে পিছুহটার সব দায় তার মাথায় রেখেছেন। তিনি হেরাল-এর নামে বার্তা লেখালেন এবং পত্রখানা একজন দূতের হাতে দিয়ে তাকে বাজিন্তিয়ার উদ্দেশে রওনা করিয়ে দিলেন ।
লোকদুটো মেয়েটাকে নিয়ে এস্কান্দারিয়া পৌঁছে গেল। ওখান থেকে সামুদ্রিক জাহাজে করে বাজিন্তিয়া পৌঁছে যাবে। তারা নিজেরা সাধারণ মানুষের পোশাক পরেছে এবং মেয়েটাকেও একজন হতদরিদ্র নারীর বেশ ধরিয়ে দিয়েছে। তার মাথা ও মুখমণ্ডল এমনভাবে ঢাকা যে, চোখদুটো ব্যতিরেকে আর কিছুই দেখা যাচ্ছে না। এস্কান্দারিয়া পৌঁছে তারা জানতে পারল, জাহাজ দুদিন পর রওনা হবে । তারা দুদিনের জন্য একটা সরাইখানায় উঠে গেল ।
সরাইখানাটা বন্দরের সন্নিকটেই ছিল। এখানে সাধারণত জাহাজের অপেক্ষায় অপেক্ষমাণ যাত্রীরা এসে আশ্রয় নিত। যখন একটি জাহাজ প্রস্তুত হয়ে যেত তখন জাহাজের ক্যাপ্টেন বা অন্য কোনো কর্মকর্তা এসে ঘোষণা দিত, জাহাজ কাল অমুক সময় রওনা হবে। জাহাজের ক্যাপ্টেন ও কমকর্তা-কর্মচারীরা সরাইখানায় এসে খানা খেত ।
বাজিন্তিয়ার দিককার রোম উপসাগরের উপকূলগামী নৌজাহাজ প্রস্তুত হচ্ছিল। এক দিন আগে এই জাহাজের ক্যাপ্টেন সরাইখানায় এলেন। তিনি দেখতে এসেছেন, এখানে কতজন যাত্রী আছে। যাত্রীরা সংবাদ পেল, জাহাজের ক্যাপ্টেন এসেছেন । তারা সবাই বাইরে বেরিয়ে এল ।
ঘটনাচক্রে ক্যাপ্টেন মেয়েটাকে দেখে ফেললেন। সে সময় তার মুখের উপর নেকাব ছিল না। ক্যাপ্টেন মেয়েটার রূপ দেখে অবাক হয়ে গেলেন। তিনি জানতে পারলেন, এই মেয়েটাও তার জাহাজের যাত্রী হচ্ছে ।
সেকালে জাহাজের ক্যাপ্টেনরা জাহাজে নিজেদের রাজা মনে করতেন এবং সাধারণত তারা খুবই অসচ্চরিত্র ও অপরাধপ্রবণ হতেন। মেয়েটার উপর এই ক্যাপ্টেনের কুদৃষ্টি আটকে গেল ।
ক্যাপ্টেন চলে গেলে কিছুক্ষণ পর জাহাজের অপর এক কর্মকর্তা সরাইখানায় এল এবং অপেক্ষমাণ যাত্রীদের মাঝে ঘোরাফেরা করতে লাগল। সে মেয়েটার সঙ্গী পুরুষদুজনের সামনে এসে দাঁড়িয়ে গেল এবং তাদের সাথে এমনভাবে কথা বলল, যেন সাক্ষাটা এমনিতেই হয়ে গেছে। অথচ, সে ক্যাপ্টেনের পাঠানো লোক এবং আয়োজনটা মেয়েটাকে ফাঁসানোর জন্য করা হয়েছে। জিজ্ঞাসা করল, তোমাদের সাথে এই মেয়েটা কে? তোমাদের সঙ্গে কেন এসেছে? তারা বলল, এ আমাদের সহযাত্রী; আমাদের সঙ্গে যাবে। কর্মকর্তা বলল, এই বয়সের মেয়েরা জাহাজে যেতে পারে না। অন্য কোনো জাহাজ নিলেও একে আমরা নেব না। তোমরা পরবর্তী জাহাজের অপেক্ষা করো। মাসখানেক পরই আরেক জাহাজ এখান থেকে নোঙর তুলবে ।
শুনে লোকদুজন বিচলিত হয়ে উঠল। এত দিন অপেক্ষা করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ, তাদের তাড়াতাড়ি যাওয়া দরকার। তারা মিশরের গভর্নরের আদেশ পালন করছে এ তেমন কোনো বিষয় নয়। হেরাল-এর সঙ্গেও তাদের এমন কোনো শত্রুতা নেই যে, তাকে তাদের হত্যা করতেই হবে । লক্ষ্য তাদের সেই উপঢৌকন, যা কিনা এই মিশনটি বাস্তবায়ন করতে পারলে তাদের হাতে আসবার কথা । এত দীর্ঘ সময় অপেক্ষা তারা করতে পারবে না । অন্যথায় এর মধ্যে মুকাওকিস তার সিদ্ধান্ত পালটেও ফেলতে পারেন। তাছাড়া দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কখন কোন দিকে মোড় নেয়, তাও তো বলা যায় না । কাজেই যে করেই হোক তাদের এ জাহাজে করেই যেতে হবে এবং মেয়েটাকে নিয়েই যেতে হবে। তারা জাহাজ-কর্মকর্তাকে স্বার্থের টোপ দিল। বলল, যেভাবে হোক আমাদের নিয়ে যাও; আমরা আমাদের কর্তব্য পালন করব। বলো, আমাদের কী করতে হবে।
‘খুবই কঠিন কাজ’- ‘জাহাজ-কর্মকর্তা ঘুষের রেট বাড়ানোর লক্ষ্যে বলল- একে পুরুষের পোশাক পরিয়ে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু এত দীর্ঘ সফরে একে ক্যাপ্টেনের চোখ থেকে লুকিয়ে রাখা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হবে। ক্যাপ্টেন খুবই নির্দয় ও নির্মম মানুষ । ধরা পড়ে গেলে একে ভুলে নদীতে ফেলে দেবেন।’
“তারা ঘুষের রেট বাড়িয়ে দিল এবং অনুনয়ের সাথে বলল, জাহাজে একে লুকিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের। আপনি শুধু একে সাথে নেওয়ার অনুমতি দিন। কিন্তু তারা জানতে চাইল না, মেয়েটাকে আমরা কেন নিতে পারব না? মেয়েমানুষ জাহাজের যাত্রী হতে পারে না? এটা কার আদেশ? তাদের বিবেক- বুদ্ধির উপর সেই ঐশ্বর্য সওয়ার হয়ে ছিল, যা কিনা তাদের পাওয়ার কথা । অবশেষে জাহাজ-কর্মকর্তা দাবি অনুসারে উৎকোচ নিয়ে তাদের বলল, তোমাদের কোনো পোশাক থাকলে বের করো। তারা এক স্যুট পোশাক বের করে দিল। কর্মকর্তা কক্ষের দরজা বন্ধ করে মেয়েটাকে পোশাকগুলো পরাল । তারপর তার মাথা ও মুখের কিছু অংশ এমনভাবে ঢেকে দিল, যেমন করে মানুষ মরুভূমির সফরের সময় কিংবা এমনিতেই ঢেকে নেয়। অবশেষে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে যাচাই করে জাহাজ-কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত শুনিয়ে দিলেন, এখন আর একে কেউ চিনতে পারবে না ।
“কিন্তু আমি তোমাদের বলে দিচ্ছি’- জাহাজ কর্মকর্তা বলল- ‘জাহাজে আমি মেয়েটাকে লুকিয়ে রাখার পুরোপুরি চেষ্টা করব। কিন্তু ক্যাপ্টেন যদি টের পেয়ে যান কিংবা তিনি যদি মেয়েটাকে দেখে ফেলেন, তখন আর আমার কিছু করার থাকবে না । তার থেকে একে রক্ষা করার দায়িত্ব তোমাদের ।
পরদিন যাত্রীরা বন্দরে গিয়ে জাহাজে চড়তে শুরু করল। এরা দুজনও মেয়েটাকে পুরুষের পোশাক পরিয়ে সঙ্গে করে জাহাজে উঠে গেল। জাহাজের একজন লোকও দেখল না, অল্প বয়সের একটা মনকাড়া সুন্দরী মেয়ে জাহাজে উঠে গেছে। ভাড়া উসুলকারী ভাড়া আদায় করে নিল । দ্বিতল জাহাজটা বেশ বড়সড় ছিল । অনেক যাত্রীরও সমাগম; আবার জায়গাও প্রচুর। একজায়গায় জাহাজের মালপত্র পড়ে ছিল এবং বাড়তি পালগুলোও ওখানে পেঁচিয়ে রাখা ছিল । যাত্রীরা যার যার জায়গা বেছে নিচ্ছে এবং আপন-আপন মালামাল গুছিয়ে রাখছে। এমন সময় যে-কর্মকর্তা এদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছিল, সে এসে মেয়েটাকে সঙ্গে করে নিয়ে গেল। পাল রাখার স্থানে খানিক গভীর জায়গা ছিল । কর্মকর্তা মেয়েটাকে ওখানে বসিয়ে দিল এবং পালের একটা অংশ তার উপর ছড়িয়ে দিল । এখন আর মেয়েটাকে কারুর দেখবার কোনোই জো নেই ।
মেয়েটা সরল-সোজা কোনো গ্রাম্য নারী নয় যে, কোনো বাদ-প্রতিবাদ না করে ভেড়া-বকরির মতো যেখানে বেঁধে রাখবে, সেখানেই পড়ে থাকবে। এক অতিশয় চতুর ও প্রবঞ্চক বাইজি নর্তকী মায়ের কন্যা ও। এই কচি বয়সেই সেয়ানা-সেয়ানা পুরুষদের আঙুলের ইশারায় নাচানোর বিদ্যা অর্জন করেছে। মেয়েটার সবচেয়ে বড় ও কার্যকর অস্ত্র হলো দৈহিক সুষমা, তারুণ্য আর সেই প্রশিক্ষণ, যা সে তার মায়ের কাছ থেকে লাভ করেছে। সে কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করল, জাহাজ গন্তব্যে পৌঁছতে কদিন সময় লাগবে?
‘স্বাভাবিক হিসাবে দশ থেকে বারো দিন লাগবার কথা’- কর্মকর্তা উত্তর দিল- “কিন্তু তা নির্ভর করে বাতাসের উপর । বাতাস যদি অনুকূল থাকে আর জোরালো হয়, তা হলে জাহাজও দ্রুত চলবে । অন্যথায় পনেরো-বিশ দিনও লেগে যেতে পারে । আর যদি মাঝনদিতে ঝড়ের কবলে পড়ে যাই, তা হলে বলা মুশকিল ঝড় জাহাজকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাবে।’
“তার মানে কি এই যে, এতগুলো দিন আমাকে এখানেই লুকিয়ে বসে থাকতে হবে?’ মেয়েটি বিমর্ষ কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল।
‘না’- কর্মকর্তা উত্তর দিল- ‘প্রথম কথা হলো, এ পোশাকে তোমাকে কেউ চিনতেই পারবে না। ফলে সারাক্ষণ লুকিয়ে থাকার প্রয়োজন হবে না। এখন তো এনে আমি তোমাকে জায়গাটা চিনিয়ে দিলাম যে, যখন প্রয়োজন হবে, এখানে এসে লুকোবে । দ্বিতীয়ত, ক্যাপ্টেন সব সময় বাইরে ঘোরাফেরা করেন না; দিনের বেলা কিছু সময় ঘুমান। তখন আমি তোমাকে এখান থেকে বের করে জাহাজের ছাদে পাঠিয়ে দেব আর তুমি নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াবে ।’
মেয়েটিকে ওখানে বসিয়ে রেখে লোকটি সরাসরি ক্যাপ্টেনের কাছে চলে গেল এবং বলল, আপনার শিকার এসে পড়েছে। ক্যাপ্টেনকে সে মেয়েটির অবস্থানের জায়গাটা চিহ্নিত করে দিল। ক্যাপ্টেন খুশি হয়ে কিছু পুরস্কার দিয়ে তাকে বিদায় করে দিলেন ।
জাহাজের নোঙর উঠে গেল। কর্মচারীরা জাহাজের পাল উড়িয়ে দিল। জাহাজ বন্দর ত্যাগ করে খোলা সমুদ্রের দিকে এগুতে শুরু করল । দিনভর দায়িত্ব পালন করে সন্ধ্যাবেলা সূর্যটা সমুদ্রের মাঝে ডুবতে শুরু করেছে । এখন আর ডাঙার কোনো নাম-চিহ্নও চোখে পড়ছে না। যেদিকেই চোখ যাচ্ছে শুধু পানি আর পানি। মেয়েটা সারাটা দিনে দু-তিনবার বের হলো এবং জাহাজের ছাদে উঠে সমুদ্রের মনকাড়া দৃশ্য উপভোগ করল । এটা তার জীবনের প্রথম নৌভ্রমণ । সে নিজের লোকদের কাছে বসা ছিল। এমন সময় জাহাজের সেই কর্মকর্তা এসে বলল, পানাহার সেরে এক্ষুনি জায়গামতো চলে যাও এবং রাতটা ওখানেই কাটাও। সে মেয়েটিকে নিশ্চয়তা দিল, ওখানে তোমার ধরা খাওয়ার কোনোই ভয় নেই ।
নিজের লোকদের সাথে বসে খানা খেয়ে মেয়েটি লুকানোর জায়গায় চলে গেল এবং কিছুক্ষণ পর ঘুমিয়ে পড়ল ।
যাত্রীরা সবাই গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন। জাহাজের রাতের ডিউটির জনাকয়েক কর্মকর্তা-কর্মচারী সজাগ আছে শুধু। ক্যাপ্টেন তার ক্যাবিন থেকে বের হলেন এবং সোজা সেই জায়গাটায় চলে গেলেন, যেখানে মেয়েটা গুটিয়ে রাখা পালের আড়ালে লুকিয়ে শুয়ে আছে। ক্যাপ্টেন মেয়েটার পায়ে আলতো খোঁচা মেরে জাগিয়ে তুললেন । মেয়েটা হঠাৎ বিড়বিড়িয়ে উঠে বসল ।
‘কে তুমি?’- ক্যাপ্টেন প্রভাবদীপ্ত কণ্ঠে ও শাসনের সুরে জিজ্ঞাসা করলেন- ‘এখানে শুয়ে আছ কেন?’
‘আমি জাহাজের যাত্রী’- মেয়েটি উত্তর দিল- ‘এখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম আর হঠাৎ চোখ লেগে গেল।’
ক্যাপ্টেন মেয়েটার বাহু ধরে তুলে দাঁড় করালেন এবং মাথার কাপড়টা সরিয়ে দিলেন। মেয়েটার গুটিয়ে রাখা লম্বা চুলগুলো খুলে গেল এবং কাঁধ ও পিঠের উপর ছড়িয়ে পড়ল । তার পরিধানে পুরুষালি পোশাক ছিল বটে; কিন্তু কণ্ঠ তো পুরুষোচিত বানানো যায় না ।
‘আমাকে ধোঁকা দিচ্ছ!”- ক্যাপ্টেন রাগান্তিত গলায় বললেন এবং মেয়েটাকে টেনে বের করে আনলেন – ‘একা, নাকি সঙ্গে কেউ আছে?’
ক্যাপ্টেনের জানা ছিল, মেয়েটার সঙ্গে দুজন পুরুষ মানুষ আছে। কিন্তু বোঝাতে চাচ্ছেন, তিনি কিছুই জানেন না এবং কর্তব্যের তাগিদে এমনিতেই এখানে
এসেছেন।

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top