নীল দরিয়ার নামে – মুহাম্মদ যাইনুল আবেদিনী – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

নীল দরিয়ার নামে – মুহাম্মদ যাইনুল আবেদিনী – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ মুহাম্মদ যাইনুল আবেদিনী

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৬১

নীল দরিয়ার নামে – বইটির এক ঝলকঃ

তোমরা একথা নিশ্চয় জান, এই পৃথিবীতে এ পর্যন্ত যত মানুষ এসেছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ জন্ম নেবে তার মধ্যে সবচে’ ভাল মানুষ হলেন আমাদের নবীজী। তাঁর আলোকময় বদনখানা ছিল চাঁদের চেয়েও উজ্জ্বল। তাঁর কোমল-সুন্দর আচরণে মোমের মত গলে যেত জাতশত্রুরাও। যাঁরা তাঁর কাছে আসতো তাঁরা কখনো ছেড়ে যেতে চাইতো না নবীজীকে। তাঁর কথা কর্ম ও চরিত্র ছিল যাদুমাখা, মধুময় ।
আমাদের নবীজী (সাঃ) যে শুধু সর্বক্ষণ ধর্ম কথাই বলতেন তা কিন্তু নয়। তিনি মাঝে মধ্যে গল্প করতেন। কৌতুক করতেন, রসিকতাও করতেন।
একবার এক বুড়ি এলো নবীজীর দরবারে। বুড়িকে দেখে নবীজী বললেন : ‘কোন বুড়ি কিন্তু বেহেশতে যাবে না!’ একথা শুনে তো বুড়ি অস্থির। কেঁদে কেঁদে কাহিল। বুড়ির এ হাউমাউ কান্না দেখে নবীজী তাকে সান্ত্বনার সুরে ডাকলেন। রসিকতার হাসি হেসে বললেন : আরে, তুমি যখন বেহেশতে যাবে তখন কি বুড়ি থাকবে! তখন তো তুমি পূর্ণযৌবনা হয়েই বেহেশতে যাবে।
এ কথা শুনে বুড়িরও হাসি পেল। বলল ও-এই কথা ! ! নবীজীকে ঘিরে বসে আছে তাঁর প্রিয় সঙ্গীগণ। তোমরা অবশ্যই জান, নবীজীর প্রিয় সঙ্গী কাঁরা? হ্যাঁ, আমরা যাঁদের সাহাবী বলি, তাঁরাই হলেন প্রিয় নবীজীর প্রিয় সঙ্গী! তাঁরা ছিলেন নবীজীর দুর্দিনের বন্ধু। নিজেদের জীবনবাজি রেখে নবীজীকে আগলে রেখেছেন। জীবন দিয়েছেন। কিন্তু নবীজীর গায়ে কোন আঁচড় লাগতে দেননি। কল্পনা করা যায়, তাঁরা কত মহান মানুষ ছিলেন! বলতে পার, তাঁরা যদি সেদিন জীবনের বিনিময়ে নবীজীকে, নবীজীর দীনকে গ্রহণ না করতেন তাহলে হাজার বছর পরে এসেও আমরা আজ ইসলামের আলো পেতাম না। মুক্তির সন্ধান পেতাম না।
আজ নবীজীর চারপাশে সেই মানুষদের-ই একটি জামাত! নবীজী তাঁদেরই একটি গল্প বললেন। বললেন : শোন! বনী ইসরাইলে তিনজন লোক ছিল। একজন শ্বেতী, একজন টাকওয়ালা আর অন্যজন অন্ধ। আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছা করলেন, তাদের পরীক্ষা করবেন। তাই তাদের কাছে মানুষের বেশে একজন ফিরিশতা পাঠালেন।
ফিরিশতা সর্বপ্রথম শ্বেতী রোগীর কাছে এলেন। এসে জিজ্ঞেস করলেন ঃ বলতে পার, তোমার সবচে’ পছন্দের জিনিস কি?
ঃ সুন্দর রং ও সুন্দর ত্বক! শ্বেতী বলল। সে আরও বলল : দেখুন না, এই শ্বেত রংয়ের কারণে মানুষ আমাকে ঘৃণা করে। কেউ আমার কাছে আসতে চায় না। একথা শোনার পর ফিরিশতা তার শরীরে হাত বুলিয়ে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তার সারা শরীর সুস্থ! শরীরের ত্বক ঝকঝকে সুন্দর। কোথাও শ্বেতচিহ্ন নেই।
ঃ এবার বল, তোমার সর্বাধিক পছন্দের সম্পদ কি? ফিরিশতা পুনরায় শোধালেন।
ঃ উট! শ্বেতী উত্তর দিল ।
ফিরিশতা তাকে একটি গর্ভবতী উট দিয়ে বললেন : আল্লাহ বরকত দেবেন!
এবার টাকওয়ালার কাছে উপস্থিত হলেন ফিরিশতা। বললেন : আচ্ছা, তোমার সবচে’ পছন্দের জিনিস কি? সে বলল : আহা, আমার মাথায় যদি সুন্দর চুল থাকতো তাহলে কত ভাল লাগতো। মানুষ আমাকে ‘টাক্কু’ বলতো না, ঘৃণা করতো না।
ফিরিশতা তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। হাত বুলাতেই মাথা ভরে গেল চুলে। কী চমৎকার চুল! মাথায় হাত দিয়ে তো সে অবাক। আনন্দে তার নাচতে ইচ্ছে করছে।
ফিরিশতা বললেন ঃ এবার বল, তোমার সবচে’ প্রিয় সম্পদ কি? ঃ গাভী! টাকওয়ালা বলল।
ফিরিশতা তাকে একটি গর্ভবতী গাভী দিয়ে বরকতের দোয়া করে চলে গেলেন।
সবশেষে এলেন অন্ধের বাড়িতে।
ঃ তোমার সবচে’ প্রিয় জিনিসটি কি, বল তো?
অন্ধ বলল ঃ দেখুন না, আমি অন্ধ! কিছুই দেখতে পাই না। তাছাড়া মানুষ আমাকে অন্ধ বলে। আল্লাহ যদি আমাকে দৃষ্টি শক্তি দিতেন তাহলে সকলকে দেখতে পারতাম ।
ফিরিশতা তার চোখে হাত বুলিয়ে দিলেন।
হাত সরাতেই সে সুস্থ! সব কিছু দেখতে পাচ্ছে! কী যে খুশি সে ! ঃ এবার বল কি চাই তোমার?
ঃ একটি বকরী! একটি বকরী হলেই চলবে আমার- অন্ধ বলল। ফিরিশতা তাকে একটি গর্ভবর্তী বকরী দিয়ে চলে গেলেন।
তারপর চলে গেল অনেক দিন। উষ্ট্রী বাচ্চা দিল। গাভী ও বকরী বাচ্চা প্রসব করল। সবগুলোতেই বরকত হলো। শুধু বরকতই হলো না! অল্প দিনেই উট, গরু, আর ছাগলে প্রান্তর ভরে উঠল। এখন আর তাদের কোন দুঃখ নেই, অভাব নেই। সকলেই সুখী, সকলেই ধনী। এখন সময় হয়েছে পরীক্ষার। আল্লাহর আদেশ হলো। ফিরিশতা নেমে এলেন। সেই পূর্বের চেহারা, পূর্বের পোশাক!
প্রথমে এলেন শ্বেতীর কাছে। গিয়ে বললেন : দেখ, আমি একজন মুসাফির! গরিব-মিসকিন। চলতে চলতে সফরের সব সম্বল আমার শেষ হয়ে গেছে। এখন আল্লাহ ছাড়া আমার আর কোন পাথেয় নেই । আর তুমি আমার ভরসা। আমি তোমার কাছে ঐ আল্লাহর নামে একটি উট চাচ্ছি, যিনি তোমাকে ভাল রং দান করেছেন। তোমাকে করেছেন উন্নতবর্ণ। আমাকে একটি উট দাও। আমি ওতে চড়ে ঘরে ফিরে যাব।
এ কথা শুনে লোকটি বেশ ধমকের সুরে বলল : দূর হও এখান থেকে! মাথায় আমার কত চাপ। কাঁধে কত দায়িত্ব- সেগুলোই সামাল দিতে পারি না। আবার নতুন ঝামেলা !
ফিরিশতা বিস্ময়ের সুরে বললেন : আমি মনে হয় তোমাকে চিনি। তুমি শ্বেতরোগী ছিলে না? তোমাকে মানুষ ঘৃণা করত! অসহায় নিঃস্ব গরিব ছিলে। আল্লাহ তোমাকে রোগমুক্ত করলেন, এই বিশাল সম্পদের মালিক করলেন।
: খুব সুন্দর বলছো তো! উপহাসের সুরে বলল লোকটি। আরও বলল : দেখ এই সম্পদ আমাদের বাপ-দাদাদের সূত্রেই পেয়েছি। ‘আমরা কখনোই গরিব ছিলাম না।
ফিরিশতা বললেন ঃ যদি মিথ্যা বলে থাক তাহলে আল্লাহ তায়ালা তোমাকে পূর্বের মত করে দেবেন।
একথা বলে ফিরিশতা চলে গেলেন।
হাজির হলেন টাকওয়ালার কাছে। সেই আগের পোশাকে, আগের আকৃতিতে। বললেন, নিজের দারিদ্র্য ও অসহায়ত্বের কথা এবং বাড়িতে পৌঁছার জন্যে একটি গরু চাইলেন। সেও শ্বেতীর মতোই ধমক দিয়ে সরিয়ে দিতে চাইলো। ফিরিশতা তার অতীত দিনের টাক ও দরিদ্রতার কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন। সে তাতেও মানল না। বরং গরম হয়ে শ্বেতীর মতোই বাপ-দাদার নামে বাহাদুরী ফুটালো।
ফিরিশতা বিদায় নেয়ার সময় বললেন : মনে রেখ, মিথ্যা যদি বলে থাক তাহলে কিন্তু ‘যেই সেই’ হয়ে যাবে।
সবশেষে এলেন অন্ধের বাড়িতে। এসে বললেন : আমি একজন মুসাফির। আমার সফরের সামান-পত্তর ফুরিয়ে গেছে। এখন আমার ভরসা আল্লাহ আর তুমি। যে মহান মালিক তোমাকে পুনরায় দৃষ্টি দান করেছেন আমি তাঁর নামে তোমার কাছে একটি ছাগল চাই। এতটুকু হলেই আমি আমার ঘরে পৌঁছতে পারব।
সে বলল ঃ সত্যিই আমি অন্ধ ছিলাম। আল্লাহ তায়ালা আমার প্রতি ‘রহম’ করেছেন। দয়া করে আমাকে দেখার শক্তি দিয়েছেন। তুমি তাঁর নামে শুধু একটি ছাগল চাইছো! একটি কেন? তোমার যতটি প্রয়োজন নিয়ে যাও! আর যা খুশি রেখে যাও। খোদার কসম, আমি তোমাকে কোন কিছুতেই বাধা দেব না।
ফিরিশতা বললেন ঃ বেশ হয়েছে। আমার ওসবের কিছুই প্রয়োজন নেই। আসল কথা ছিল, তোমাদের তিনজনকে পরীক্ষা করা। পরীক্ষা হয়ে গেছে। তুমি পাস করেছো। আল্লাহ তোমার প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন। আর ওরা দুজন অকৃতজ্ঞতার কারণে বঞ্চিত হয়েছে। তাদের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে!
এটাই খোদার বিচার। যারা কৃতজ্ঞ হয় তাদের আল্লাহ আরও বাড়িয়ে দেন। আর যারা অকৃতজ্ঞ হয় তাদের সম্পদ ছিনিয়ে নেন! (বুখারী শরীফ)
তিন
আরেক দিনের কথা।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সাহাবায়ে কেরামকে বললেন ঃ এক ছিল বনভূমি এলাকা। সেখানে এক লোক বাস করতো। মজুর ধরনের। সে বসে

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top