নারী সাহাবীদের ঈমানদীপ্ত জীবন – ডঃ আব্দুর রহমান রাফাত পাশা – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

নারী সাহাবীদের ঈমানদীপ্ত জীবন – ডঃ আব্দুর রহমান রাফাত পাশা – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ মাওলানা মাসউদুর রহমান

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৮৩

নারী সাহাবীদের ঈমানদীপ্ত জীবন – বইটির এক ঝলকঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন সফর থেকে ফিরতেন তখন প্রথমে যেতেন মসজিদে, সেখানে দু’রাকাআত নামায আদায় করতেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে যেতেন ফাতিমার গৃহে, সেখানের অবস্থান দীর্ঘায়িত করতেন এরপর যেতেন স্ত্রীদের গৃহে।
মুহাম্মাদ ইবনে কুয়েস থেকে বর্ণিত আছে যে, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক সফরে বের হলেন, তাঁর সেই সফরের সঙ্গী ছিলেন ‘আলী ইবনে আবী তালেব রাযিয়াল্লাহু আনহু। তাঁদের দু’জনের অনুপস্থিতির অবসরে ফাতিমা রাযিয়াল্লাহু আনহা প্রস্তুত করলেন দু’টি বালা, একাট গলার হার ও দু’টি দুল আর দরজায় ঝুলিয়ে দিলেন একটি সুন্দর পর্দা। এসবই করলেন পিতা ও স্বামীর গৃহে প্রত্যাবর্তনের খুশিতে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ফিরে এলেন তখন
সাক্ষাত করতে গেলেন ফাতিমার সঙ্গে। বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকলেন তার সাহাবীরা। মেয়ের কাছে তাঁর দীর্ঘ অবস্থানের কারণে তাঁরা বুঝতে পারছিলেন না যে ফিরে যাবেন নাকি অপেক্ষা করবেন। এমনি মুহূর্তে বের হয়ে আসলেন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাঁর চেহারায় ফুটে উঠেছিল রাগের চিহ্ন। তিনি গিয়ে বসলেন মিম্বরে।
ফাতিমা রাযিয়াল্লাহু আনহা বুঝতে পারলেন যে তাঁর পিতা রুষ্ট হয়েছেন ঐ বালা, হার, দুল ও পর্দা দেখে…..
তখন তিনি সব অলঙ্কার খুলে ফেললেন, পর্দা নামিয়ে ফেললেন এবং পাঠিয়ে দিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে। বাহককে বলে পাঠালেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলবে –
আপনার মেয়ে সালাম দিয়েছে এবং এগুলো আল্লাহর জন্য বিলিয়ে দিতে বলেছে। বাহকের মুখে সবকথা শুনে তিনি বললেন-
قد فعلت فداها أبوها – ليست الدنيا من محمد ولا من آل محمد، و لو كانت الدنيا تعدل عند الله من الخير جناح بعوضة ما سقى كافرا منها شربة ماء.
অর্থঃ অবশেষে সে সঠিক কাজটিই করল। তার পিতা তার জন্য উৎসর্গীত। আসলে দুনিয়ার চাকচিক্য মুহাম্মাদ ও তার পরিবারের জন্য নয়। দুনিয়া ও দুনিয়ার সুখ-শান্তি যদি আল্লাহর কাছে একটি মাছির পাখার পরিমাণ মূল্যবানও হত তাহলে (আল্লাহ শুধু তাঁর নেকবান্দাদেরকেই সুখ-সমৃদ্ধি দান করতেন এবং) কোন কাফেরকে এক ঢোক পানিও পান করতে দিতেন না । ফাতিমাতুয যাহরার গৃহ অতি শীঘ্র লাভ করল নেককার সন্তান-সন্ততির সুখ ও সৌভাগ্য। এই মহান পিতা-মাতাকে দান করা হল হাসান হুসাইন ও মুহসিন অর্থাৎ তিন পুত্র
আর দুই কন্যা যায়নাব ও উম্মে কুলসম ।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিশাল সুখানুভূতি আবর্তিত ছিল এই সব সন্তানকে ঘিরে। জানা যায় যে, হাসানের জন্ম হলে পিতা-মাতা তার নাম রেখেছিলেন ‘হারব’। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে বললেন-
কোথায় আমার পুত্র? জলদি নিয়ে এসো।
প্রচণ্ড খুশিতে নাতিকে কোলে নিয়ে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন- তোমরা কী নাম রেখেছ এর?
‘হারর্’। তাঁরা উত্তর দিলেন।
উঁহুঁ, হলো না, ওর নাম হবে ‘হাসান’।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতিমা রাযিয়াল্লাহু আনহার সন্তানদের প্রচুর সোহাগ করতেন, শিশুদের মত কথা বলে, শিশুসুলভ কাজ করে ঘনিষ্ঠ হতেন তাদের, তিনি তাদের সঙ্গে কৌতুক করতেন, করতেন রসিকতা, তাদেরকে নাচাতেন, অনেক সময় নামাযের মধ্যে তাদের কেউ নানাজীর ঘাড়ে চড়ে বসত
তিনি তখন বিলম্বিত করতেন নামায, দীর্ঘ করতেন সেজদা যেন তাকে নামিয়ে দিতে না হয়।
তাঁর অভ্যাস ছিল মাঝে মাঝে ফাতিমা রাযিয়াল্লাহু আনহার গৃহে রাত কাটানোর; তখন তিনি তাঁর ছেলে-মেয়েদের দেখা-শোনা করতেন একাই। পিতা-মাতাকে ছুটি দিয়ে নিজেই তিনি করতেন ওদের সব খেদমত।
একরাতে তিনি শুনতে পেলেন হাসান পানি চাচ্ছে, তিনি উঠে পড়লেন এবং মশক থেকে পানি ঢালতে লাগলেন তখন হুসাইনও পানির জন্য হাত বাড়িয়ে দিল, তার হাত সরিয়ে তিনি প্রথমে পান করালেন হাসানকে। এটা দেখে ফাতিমা রাযিয়াল্লাহু আনহা বললেন- তাহলে কি হাসানই আপনার বেশি প্রিয়?
তিনি বললেন-
তা কেন হবে? তাকে প্রথমে দিলাম কারণ সেই প্রথমে চেয়েছিল। ফাতিমা রাযিয়াল্লাহু আনহা যখন সাক্ষাৎ করতেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে, তখন তিনি মেয়ের হাত ধরে স্বাগত জানাতেন। তাকে নিয়ে বসাতেন নিজের আসনে …
আর যখন তিনি যেতেন মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য, তিনি উঠে পড়তেন পিতার সম্মানে, তাঁকে অভ্যর্থনা জানিয়ে তাঁর হাত ধরে সেখানে চুমু দিতেন।
তিনি পিতার কাছে হাজির হলেন মুমূর্ষ অবস্থায়। মেয়েকে কাছে ডেকে কানের কাছে কিছু একটা বললেন, তাতে তিনি কেঁদে উঠলেন …. অল্প সময় পরে তিনি আবারও তাঁর কানে কানে কিছু বললেন এবার আর কাদলেন না বরং তার চেহারায় ফুটে উঠল মিষ্টি হাসির আভাস। হযরত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিলেন আর মনে মনে চিন্তা করছিলেন-
*আমি এতদিন মনে করতাম অন্যদের চেয়ে এই মেয়েটির বিশেষ মর্যাদা আছে, ব্যক্তিত্ব আছে, দেখছি সেও অন্যদের মতই। এই দেখি কাঁদে এই দেখি হাসে।’
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাত হয়ে গেলে, তিনি একদিন ফাতিমার কাছে ঐ কান্না ও হাসির রহস্য জানতে চাইলেন। ফাতিমা রাযিয়াল্লাহু আনহা জবাব দিলেন-
প্রথমবার কানে কানে জানালেন তিনি মারা যাবেন, শুনে আমি কেঁদেছিলাম …
দ্বিতীয়বার কানে কানে আমাকে জানালেন- তাঁর পরিবার থেকে সর্ব প্রথম আমিই তাঁর সঙ্গে মিলিত হব আখিরাতে, এতে আমি খুশি হয়ে হেসেছিলাম।
নারী সাহাবীদের ঈমানদীপ্ত জীবন- ৩৫ ফাতিমা রাযিয়াল্লাহু আনহা পিতার ইন্তেকালের পর আর বেশিদিন অপেক্ষা করেন নি, অল্প কয়েকমাসের মধ্যেই চলে গেলেন চিরতরে এই পৃথিবী ছেড়ে, মিলিত হলেন নিজের পিতার সঙ্গে। কেউ বলেন- অল্প কয়েক মাস মানে ছয়মাস, কেউ বলেন তিন, কেউ বলেন দুইমাস ।
হিজরতের একাদশ বর্ষে ফাতিমাতুয যাহরা রাযিয়াল্লাহু আনহা আপন প্রতিপালকের ডাকে সাড়া দিলেন, তিনি আনন্দিত হয়েছিলেন পিতার সঙ্গে দ্রুত এই সংযুক্তিতে। তাঁর মৃত্যু যখন নিকটবর্তী হল, তিনি নিজ হাতে নিজের গোসল করলেন এবং আসমা বিনতে উমায়েসকে বললেন-
আমার নতুন পোশাক এনে দাও, তিনি পরলেন সেগুলো আর বললেন- আমি গোসল সেরে ফেলেছি, কেউ যেন আমার কাফন উন্মুক্ত মা করে …..
তিনি একটুখানি মুচকি হাসলেন, পিতার ইন্তেকালের পর তাকে কেউ কখনো হাসতে দেখেনি কেবল ঐ মুহূর্তটি ছাড়া যখন তিনি প্রাণত্যাগ
করেন।
আল্লাহ! তুমি বিস্তীর্ণ রহমতের বর্ষণ কর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্নেহ-ভালবাসার ফুল ফাতিমার প্রতি, তাঁকে বধুর বেশে ‘আলী রযিয়াল্লাহু আনহুর কাছে পাঠানো হয়েছিল রমযান মাসে ….. আবার জান্নাতেও পাঠানো হলো রমযান মাসেই ।

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top