নাঙ্গা তলোয়ার ৩য় ও ৪র্থ খণ্ড – এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

নাঙ্গা তলোয়ার ৩য় ও ৪র্থ খণ্ড – এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২৭৩

নাঙ্গা তলোয়ার ৩য় ও ৪র্থ খণ্ড – বইটির এক ঝলকঃ

“না উমর।” হযরত আবু বকর (রা.) হযরত উমর (রা.)-এর বারবার পীড়াপীড়ির পর বলেন—“ আমি ঐ তলোয়ার খাপবদ্ধ করতে পারি না, যাকে আল্লাহ্ তা’আলা কাফেরদের উপর বিজয়ী করেছেন।”
হযরত উমর (রা.) তুষ্ট হতে পারেন না। হযরত আবু বকর (রা.) হযরত উমর (রা.)-কে অসন্তুষ্টও করতে চান না। তিনি হযরত খালিদ (রা.)-কে মদীনায় তলব করেন।
হযরত খালিদ (রা.) দীর্ঘ সফর পাড়ি দিয়ে বহুদিন পর মদীনায় পৌঁছেন এবং সর্বপ্রথম মসজিদে নববীতে যান। তিনি মাথার পাগড়িতে একটি তীর বিদ্ধ করে রেখেছিলেন। হযরত উমর (রা.) মসজিদেই ছিলেন। হযরত খালিদ (রা.)-কে দেখে তিনি রীতিমত উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি উঠে দাঁড়ান এবং হযরত খালিদ (রা.)-এর পাগড়ি হতে তীর টেনে বের করেন এবং তা টুকরো টুকরো করে দূরে ছুঁড়ে দেন।
“তুমি এক মুসলমানকে হত্যা করেছ”—হযরত উমর (রা.) রাগতস্বরে বলেন—“এবং তার স্ত্রীকে নিজের স্ত্রী বানিয়েছ। তুমি প্রস্তর বর্ষণে হত্যার যোগ্য। “
হযরত খালিদ (রা.) নিয়মানুবর্তীতায় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি হযরত উমর (রা.)-এর মর্যাদা ও পদাধিকার সম্বন্ধে ওয়াকিফহাল ছিলেন। ফলে নিশ্চুপ থাকেন। হযরত উমর (রা.)-এর কোন কথার প্রতিবাদ করেন না। হযরত উমর (রা.)-এর রাগ পড়ে গেলে তিনি নীরবে মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসেন এবং সোজা খলীফা হযরত আবু বকর (রা.)-এর সমীপে গিয়ে উপস্থিত হন। হযরত আবু বকর (রা.)ই তাকে কারণ দর্শানোর জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন। হযরত আবু বকর (রা.)-এর সম্মতি পেয়ে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনপূর্বক মালিক বিন নাবীরার সমস্ত ঘটনা ও অপরাধের বিবরণ দেন। তিনি অকাট্যভাবে প্রমাণ করেন যে, মালিক বিন নাবীরা মুসলমান ছিল না; বরং উল্টো মুসলমানদের প্রাণের শত্রু ছিল।
হযরত আবু বকর (রা.) হযরত খালিদ (রা.)-কে তিরস্কার করেন এবং তাকে সতর্ক করে দেন যে, ভবিষ্যতে এমন কোন আচরণ যেন না করেন, যা অন্যান্য সেনাপতির মাঝে ভুলের প্রচলন ঘটায়। ইমাম তবারী এবং হাইকাল প্রমুখের বর্ণনা মুতাবিক হযরত আবু বকর (রা.) পরিশেষে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন যে, বিজিত গোত্রের কোন নারীকে বিবাহ করা এবং ইদ্দতকাল পূর্ণ না করা আরবের প্রচলিত রীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কারণ, এ নারী পরিশেষে বাদীই হত। তাই মনিবের এ ইখতিয়ার রয়েছে যে, সে তাকে বাদীও বানাতে পারে, আবার চাইলে বিবাহ করে স্ত্রী বানিয়ে রাখতে পারে।
হযরত আবু বকর (রা.) সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে আরো বলেন, বর্তমানে মুসলমানরা চতুর্দিক থেকে বিপদ কবলিত। গোত্রের পর গোত্র বিদ্রোহের ঝাণ্ডা উঁচু করছে। এর বিপরীতে আমাদের সৈন্যসংখ্যা খুবই অপ্রতুল। এমতাবস্থায় কোন সেনাপতি শত্রু পক্ষের কোন নেতাকে ভুলক্রমে হত্যা করে ফেললেও তা কোন মারাত্মক অপরাধ নয় ।
খলীফা হযরত আবু বকর (রা.) হযরত উমর (রা.)-কে এই বলে আশ্বস্ত করেন যে, ইসলামের এক ঘোরতর শত্রু মুসাইলামা বিন হানীফা নবুওয়াতের দাবী করে এক বিরাট শক্তিতে পরিণত হয়েছে। তার অধীনে কম-বেশী 80 হাজার সৈন্য আছে। ইকরামা বিন আবু জাহল ইতোমধ্যে তার কাছে পরাজিত হয়েছে। এখন সবার দৃষ্টি খালিদের দিকে। মুসাইলামাকে পরাস্ত না করতে পারলে ইসলাম মদীনার মাঝেই কার্যত বন্দী হয়ে পড়বে। এ সফলতার জন্য হযরত খালিদের বিকল্প নেই।
হযরত উমর (রা.) চুপ থাকেন। তিনিও বিপদের গুরুত্ব যথাযথ অনুধাবন করতে সক্ষম হন। হযরত আবু বকর (রা.) হযরত খালিদ (রা.)-কে নির্দেশ দেন, এখনি বাতাহে রওয়ানা হয়ে যাও এবং সেখান থেকে সসৈন্যে মার্চ করে গিয়ে ইয়ামামায় আক্রমণ করে উত্থিত ফেত্নার মূলোৎপাটন কর ।
হযরত খালিদ (রা.) অত্যন্ত ভয়ঙ্কর এবং বিপজ্জনক এক যুদ্ধের উদ্দেশ্যে মদীনা থেকে বাতাহে উড়াল দেন। তিনি বাতাসের বেগে এসে বাতাহে পৌঁছান এবং পরবর্তী যুদ্ধের জন্য প্রভৃতি গ্রহণ করেন।
॥ চৌদ্দ ॥
৬৩২ খ্রিস্টাব্দের তৃতীয় সপ্তাহে হযরত খালিদ বিন ওলীদ (রা.) মাত্র ১৩ হাজার সৈন্য নিয়ে ৪০ হাজারেরও অধিক মুরতাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইয়ামামা নামক স্থানে এক ঘোরতর যুদ্ধে লিপ্ত হন। ইতিহাসে এটাই ইসলামের সর্বপ্রথম রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হিসেবে বিবেচিত। এ যুদ্ধের শেষাংশ ‘হাদীকাতুর রহমান’ নামক এক বিস্তীর্ণ বাগিচায় অনুষ্ঠিত হয়। এখানে উভয় পক্ষের এত প্রাণহানি ঘটে যে, মানুষ ঐ বাগিচাকে ‘হাদীকাতুর রহমান’-এর পরিবর্তে ‘হাদীকাতুল মণ্ডত’ (মৃত্যুদানব) নামে স্মরণ করে। আজও ঐ স্থানটি ‘হাদীকাতুল মণ্ডত’ নামে পরিচিত।
মুসাইলামা সম্পর্কে পূর্বে আলোচনা হয়েছে যে, সে নবুওয়াতের দাবী করেছিল। তার ভক্ত ও অনুসারীর সংখ্যা এত বৃদ্ধি পায় যে, তার সৈন্যরা মুসলিম বাহিনীর জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যদিও এ সময়ে মুসলমানরা এক বিরাট শক্তিতে পরিণত হয় কিন্তু অপরদিকে মুসাইলামার শক্তিও বর্ধিত হতে থাকে। এটা যেমন মদীনার জন্য আশংকাজনক ছিল তেমনি ইসলামের জন্যও ছিল উদ্বেগজনক। মদীনা ছিল ইসলামী রাষ্ট্রের হেড কোয়ার্টার।
হযরত আবু বকর (রা.)-এর নির্দেশে হযরত খালিদ (রা.) বাতাহে এসে মুসাইলামার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। তার জানা ছিল যে, পুরাতন দোস্ত সেনাপতি ইকরামা (রা.) অত্র এলাকার আশে-পাশে কোথাও সৈন্য নিয়ে অবস্থান করছেন। ফলে কঠিন মুহূর্তে তিনি এসে খালিদ বাহিনীকে সাহায্য করবেন।
হযরত ইকরামা বিন জাহল (রা.) ঐ ১১ সেনাপতির একজন, খলীফা যাদেরকে বিভিন্ন এলাকায় মুরতাদ এবং বিদ্রোহ দমনের জন্য প্রেরণ করেছিলেন। মুসাইলামার গোত্রের ন্যায় এত শক্তিশলী অন্য কোন গোত্র ছিল না। তাই প্রথমে এ এলাকায় হযরত ইকরামা (রা.)-কে পাঠানো হয় এবং তার পশ্চাতে হযরত শারযীল নামে আরেক সেনাপতিকেও প্রেরণ করা হয়। হযরত আবু বকর (রা.) সেনাপতি শারযীলকে হযরত ইকরামা (রা.)-কে সাহায্য করার নির্দেশ দিয়ে পাঠান।
হযরত ইকরামা (রা.) ইয়ামামায় চলছেন। এটা আড়াই মাস পূর্বের ঘটনা। তখন হযরত খালিদ (রা.) অপর ভণ্ড নবী তুলাইহার সাথে শক্তি পরীক্ষায় লিপ্ত। হযরত খালিদ (রা.) তুলাইহাকে তুলোধুনা করে পরাস্ত করেন। এ সংবাদ হযরত ইকরামা (রা.)-এর কানে পৌঁছলে তিনি আবেগতাড়িত হন। তখনও পর্যন্ত কোন গোত্রের সাথে তার সংঘর্ষ হয় না। এর কিছুদিন পরে ইকরামা (রা.) আবার জানতে পারেন যে, হযরত খালিদ (রা.) সালমার শক্তিশালী বাহিনীকে পরাজিত করেছেন।
ঐতিহাসিকরা লেখেন, হযরত ইকরামা (রা.)-এর উপর এক ধরনের মানবিক দুর্বলতা প্রভাব বিস্তার করেছিল। তিনি সাথের অন্যান্য সেনাপতিকে বলেন, হযরত খালিদ যেখানে একের পর এক রণাঙ্গনে বিজয় অর্জন করে চলেছে সেখানে তিনি এখনও কোন যুদ্ধের মুখোমুখী হননি। হযরত খালিদ (রা.) এবং হযরত ইকরামা (রা.) ইসলাম গ্রহণের পূর্ব হতেই পরস্পর ঘনিষ্ঠ সাথী, এক মানের যোদ্ধা এবং রণাঙ্গনে উভয়ে দক্ষ নেতৃত্বদানে পারঙ্গম ছিলেন।
“আমরা এমন একটি বিজয় অর্জন করতে পারি না, যার সামনে খালিদের সকল বিজয় স্নান হয়ে যায়?” হযরত ইকরামা (রা.) অধীনস্ত সেনাপতিদের লক্ষ্য করে বলেন—“আমি জানতে পেরেছি, শারযীল আমাদের সাহায্যে আসছেন। জানি না তিনি কবে নাগাদ এসে পৌঁছবেন। বেশীদিন অপেক্ষা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি মুসাইলামার উপর আক্রমণ করতে চাই।”
মুসাইলামা অর্বাচীন কিংবা নির্বোধ ছিল না। তার ভাল করেই জানা ছিল যে, মুসলমানরা তার নবুওয়াত কোনভাবেই বরদাশত করবে না। যে কোনদিন মুসলিম বাহিনী এসে তার টুটি চেপে ধরতে পারে। সে নিজ এলাকার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুদৃঢ় করে রেখেছিল। চৌকস এবং গোয়েন্দা টিমও প্রস্তুত রাখে। হযরত ইকরামা (রা.) সার্বিক দিক বিবেচনা না করেই অগ্রসর হন এবং ইয়ামামার নিকটে এসে পৌঁছান। আবেগ উদ্বেলিত হওয়ায় শত্রুর গতিবিধির উপর নজর রাখার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তিনি সতর্ক হতে পারেন না। তিনি শত্রুদের না দেখলেও অপর পক্ষের গোয়েন্দারা ঠিকই তাঁর বাহিনীকে দেখে ফেলে এবং সঙ্গে সঙ্গে মুসাইলামাকে অবহিত করে।
উঁচু-নীচু টিলা ও বালিয়াড়ি এক স্থানে মুসাইলামার কতক সৈন্যের উপর হযরত ইকরামা (রা.)-এর চোখ পড়ে। হযরত ইকরামা (রা.) তাদের উপর হামলা চালান। কিন্তু এটা মুসাইলামার একটি পাতা ফাঁদ বৈ ছিল না। মুসাইলামা অত্র অঞ্চলের ডানে বামে অগ্রে-পশ্চাতে বিপুল সৈন্য লুকিয়ে রেখেছিল। গুপ্ত এ বাহিনী চতুর্দিক থেকে ইকরামা বাহিনীর উপর অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। হযরত ইকরামা (রা.) এই ধারণাতীত পরিস্থিতি সামলে উঠতে ব্যর্থ হন। মুসাইলামার বাহিনী তাদেরকে সামলে উঠতে সুযোগ দেয় না। হযরত ইকরামার (রা.) সাথে প্রখ্যাত এবং অভিজ্ঞ সেনাপতি ছিল। কিন্তু রণাঙ্গন ছিল শত্রুর নিয়ন্ত্রণে। তারা মুসলমানদের কোন চাল সফল হতে দেয় না। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে হযরত ইকরামা (রা.)-কে পিছে হটে আসতে হয়।
হযরত ইকরামা (রা.)-এর পক্ষে এই পরাজয়ের খবর গোপন করা সম্ভব ছিল না। গোপন করলে সৈন্যদের কেউ মদীনায় খবর পৌঁছে দিত। হযরত ইকরামা
(রা.) পূর্ণ বিবরণ লিখে খলীফা হযরত আবু বকর (রা.)-এর বরাবর পাঠিয়ে দেন। পত্র পাঠে তিনি ভীষণ মনঃক্ষুণ্ণ হন। তিনি ইতিপূর্বে স্পষ্টভাষায় হযরত ইকরামা (রা.)-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, তিনি যেন সেনাপতি শারযীলের পৌঁছার অপেক্ষা করেন এবং একাকী মুসাইলামার সাথে যুদ্ধে লিপ্ত না হন। কিন্তু হযরত ইকরামা (রা.) ধৈর্যধারণ করতে পারেননি। তিনি ত্বরিৎ আবেগের শিকার হন। হযরত আবু বকর (রা.) হযরত ইকরামা (রা.)-কে যে লিখিত জবাব দেন তাতে ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ এভাবে ছিল যে, তিনি হযরত ইকরামা (রা.)-কে ইবনে আবু জাহলের (বাপের বেটা-এর) পরিবর্তে ইবনে উম্মে ইকরামা (মায়ের বেটা) লেখেন। কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করা উদ্দেশ্য হলে আৱৰে তাকে পিছার প্রতি সম্বন্ধ না করে মাতার প্রতি সম্বন্ধ করা হত। এর দ্বারা এটা বুঝানো হত যে, তোমার জন্মের বিষয়টি বিতর্কিত অথবা তুমি স্বীয় পিতার সন্তান নও। খলীফার পত্রের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ “
“ইবনে উম্মে ইকরামা! আমি তোমার মুখ দেখতে চাই না। তুমি মদীনায় আস—এটাও চাই না। কারণ, তুমি এলে এখানকার জনতার মাঝে নিরাশা আর হতাশা ছড়িয়ে পড়বে। মদীনার ধারে-কাছে ভিড়বে না। তুমি ইয়ামামা এলাকা ছেড়ে হুজায়ফার সাথে গিয়ে মিলিত হবে। সম্মিলিতভাবে আম্মানবাসীদের সাথে যুদ্ধ করবে। এখানে যুদ্ধ শেষ হলে আরফাযার সাহায্যার্থে মাহরা চলে যাবে। তারপর ওখান থেকে ইয়ামান গিয়ে মুহাযির বিন আবী উমাইয়্যার সাথে গিয়ে মিলিত হবে। যতদিন তুমি সফল সেনাপতির পরিচয় দিতে সক্ষম না হবে ততদিন আমাকে তোমার মুখ দেখাবে না। আমি তোমার সাথে কথা পর্যন্ত বলব না ।”
খলীফা হযরত আবু বকর (রা.) অপর সেনাপতি হযরত শারযীল (রা.)-এর বরাবর নির্দেশ পাঠান যে, যেখানে বর্তমানে আছ সেখানেই অবস্থান করে হযরত খালিদ (রা.)-এর অপেক্ষা কর। হযরত খালিদ (রা.) এলে নিজের সৈন্য তাঁর হাওলা করে দিয়ে নিজেও তাঁর অধীন হয়ে যাবে।
হযরত খালিদ (রা.)-কে জানিয়ে দেয়া হয়য়ে, হযরত শারমীনের (রা.) সৈন্য তিনি পেয়ে যাবেন। এতে তিনি এই চিন্তার সময়ে বেজায় খুশী হন যে, এবার তিনি অতি সহজে মুসাইলামার মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন। তার আশা ছিল হযরত শারযীলের সৈন্যরা পূর্ণ তেজোদীপ্ত হবে। কিন্তু এ সৈন্য যখন হযরত খালিদ (রা.) লাভ করেন তখন তারা তেজোদ্যম ছিল না। অধিকাংশই হতোদ্যম এবং কতক ছিল রক্তাক্ত-আহত।
“কি হয়েছে শারযীল।” হযরত খালিদ (রা.) ঘটনার ব্যাখ্যা চান।
“একরাশ লজ্জা ছাড়া কোন জবাব আমার কাছে নেই” – সারফীন আহত স্বরে বলে—“আমি খলীফার নির্দেশ অমান্য করেছি। আমার প্রতি কেন্দ্রের নির্দেশ ছিল, হযরত ইকরামাকে সাহায্য করার জন্য। কিন্তু আমার পৌঁছার পূর্বেই ইকরামা মুসাইলামার সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পিছু হটে আসে। এটা একটি আত্মপ্ররোচনা ছিল, যা আমাকেও কাবু করে যে… ।
“একটি বিজয় তোমার খাতায় লেখা হয়ে যাক” – অত্যন্ত বিচক্ষণ এবং দূরদর্শী হযরত খালিদ (রা.) বিদ্রূপের ভঙ্গিতে হযরত শারাবীদের জবাব পূরণ করতে গিয়ে বলেন—বিচ্ছিন্ন পাথরের কোন শক্তি নেই শারযীল! কিন্তু এই পাথরযোগে যখন কোন প্লাটফর্ম তৈরী হয় তখন সেটা এত শক্তিধর হয়ে ওঠে।

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top