নাঙ্গা তলোয়ার ৫ম খণ্ড – এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ মাওলানা আলমগীর হোসাইন
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২৭৩
নাঙ্গা তলোয়ার ৫ম খণ্ড – বইটির এক ঝলকঃ
মুসলমান তীরন্দাযগণ ঐ হুকুম বর্ণে বর্ণে পালন করে, যা তাদের দেয়া হয়েছিল। তারা কামান অকেজো ও অচল করে দেয়। শুধু এটুকু করেই তারা ফিরে আসে না। তারা ঐ অবস্থায় কেল্লার তীরন্দাযদের প্রতি তীর নিক্ষেপ করতে থাকে। শূন্যে তীরের আসা-যাওয়া ছাড়া আর কিছু দেখা যাচ্ছিল না। জানবায মুজাহিদদের অভূতপূর্ব নির্ভীকতা ও বীরত্ব দেখে আরো কয়েকজন তীরন্দায চলে আসে। এটা ছিল তীরের যুদ্ধ। উভয় পক্ষের লোকজন তীরবৃষ্টির শিকার হচ্ছিল।
সেনাপতি যিরার মুষ্টিমেয় তীরন্দাযদের অকুতোভয় ও নির্ভীকতা দেখে কেল্লার চার পাশ প্রদক্ষিণ করেন এবং তীরন্দাযদের প্রতি আবারও এ বার্তা পাঠান যে, তারা যেন আরও সামনে অগ্রসর হয়ে তীর নিক্ষেপ করে।
অপর তিন কেল্লার অবস্থাও অনেকটা এমনই ছিল। খ্রিস্টানরা বীরত্বের সঙ্গে মোকাবেলা করছিল। মুসলিম অশ্বারোহীরা দ্রুতবেগে ঘোড়া ছুটিয়ে পাঁচিলের কাছে আসত এবং ধাবমান ঘোড়ায় বসে তীর নিক্ষেপ করে বের হয়ে যেত। এ কৌশলে অশ্বারোহীদের এই ফায়দা হয় যে, তারা শত্রুপক্ষের তীরের নিশানা হতে বেঁচে যেত। তারপরও কিছু অশ্বারোহী আহত হয়। কতিপয় মুজাহিদ কেল্লার প্রধান ফটক পর্যন্ত পৌঁছে যায় এবং তারা দরজা ভাঙ্গার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালায় । কিন্তু ফটকের রক্ষীরা অধিকতর বীরত্ব দেখিয়ে তাদের সকল চেষ্টা ভণ্ডুল করে দিতে থাকে। মুসলিম বাহিনীর তীরের আঘাতে পাঁচিলের উপরের যত সৈন্য ভূপতিত হত তার চেয়ে বেশি সৈন্য এসে তাদের শূন্যস্থান পূরণ করত।
হযরত খালিদ (রা.) প্রতিটি কেল্লা চক্কর দিয়ে প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে অবগত হতে থাকেন এবং মুজাহিদ বাহিনীকে এই একটি কথাই বলেন যে, যেভাবেই হোক সন্ধ্যার পূর্বেই কেল্লা জয় করা চাই। কেল্লা জয় করতে বেশি সময় নেয়ার অবকাশ আমাদের নেই। হযরত খালিদ (রা.) শুধু পেছনে থেকেই নির্দেশ দেন না; বরং কেল্লার পাঁচিলের তত কাছে পর্যন্ত চলে যেতেন যেখানে তীরবৃষ্টি হচ্ছিল। তিনি দু’টি কেল্লার প্রধান ফটক পর্যন্ত পৌঁছে যান আর তীর তার চারপাশ দিয়ে শো শো করে উড়ছিল। হযরত খালিদ (রা.) এই জন্য বেশি দেরী করতে পারছিলেন না যে, তার আশঙ্কা ছিল, হয়ত হঠাৎ পশ্চাৎদিক হতে আযাদাবাহের আত্মপ্রকাশ ঘটতে পারে এবং সে মুসলিম বাহিনীর উপর চড়াও হতে পারে। ভূখণ্ডটি ছিল অগ্নিপূজারীদের। কেল্লা তাদের। সৈন্য তাদের। এলাকার লোকজনও ছিল তাদের পক্ষে। এর বিপরীতে মুসলমানদের সৈন্যসংখ্যা ছিল নেহায়েত কম। উপরন্তু এই দূরদেশে তাদের আশ্রয়স্থলও ছিল না। এটা হযরত খালিদ (রা.)-এর অসাধারণ বিচক্ষণতা, দূরদর্শিতা এবং তার উপসেনাপতিদের নজিরবিহীন দুঃসাহসিকতার পরিচয় ছিল যে, তারা শত শংকা দু’পায়ে দলিত-মথিত করে একের পর এক শুধু এগিয়েই চলছিলেন। তাদের অভিধানে ‘পশ্চাদমুখিতার’ কোনো নাম-গন্ধও ছিল না। মূলত এই দুঃসাহসিকতার কারণেই পারসিক বাহিনীর জন্য মুসলিম বাহিনী ত্রাসে পরিণত হয়েছিল। মুসলমানদের নাম শুনলেই তারা ঘাবড়ে যেত। তাদের হৃদপিণ্ডে কম্পন সৃষ্টি হত। যার ফলে তারা মুসলমানদের অনেক অনেক গুণ বেশি হওয়া সত্ত্বেও রণাঙ্গনে টিকে থাকতে পারত না এবং যারা থাকত তারা গাজর-মূলার মত কাটা পড়ত।
হযরত খালিদ (রা.) কখনও এই আত্মতৃপ্তিতে ভুগতেন না যে, যারা পরাজিত হয়ে রণে ভঙ্গ দিয়েছে তারা আর আক্রমণের সাহস পাবে না । তিনি এই চার কেল্লাকে শত্রুর পাতা ফাঁদ কিংবা বিছানো জাল মনে করতেন। তাই তিনি অধিকতর সতর্কতার জন্য দূর দূরান্তে গুপ্তচর পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। যারা উঁচু বৃক্ষে চড়ে, উঁচু জায়গায় উঠে সর্বদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখবে। তাদের প্রতি এই নির্দেশ ছিল যে, দূর থেকে সৈন্যের কোনো চিহ্ন নজরে এলেই তা যেন হযরত খালিদ (রা.) কে তাৎক্ষণিক জানানো হয় ।
“তারা আসবে … অবশ্যই আসবে” হযরত খালিদ (রা.)-এর এই পয়গাম সকল সালার ও সৈন্য বরাবর পৌঁছে দেয়া হয়েছিল। সঙ্গে এ আহ্বানও ছিল যে, “খোদার সিংহগণ, হিম্মত কর। কেল্লা কব্জা কর। যদি দুশমন বাস্তবিকই এসে পড়ে, তবে তাদের প্রতি তোমাদের তীর কেল্লার পাঁচিলের উপর থেকে বর্ষিত হবে।”
লাগাতার যুদ্ধ, নতুন রণাঙ্গণে যাত্রা এবং অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকায় মুজাহিদ বাহিনী তাদের দেহ ও তার দাবীর কথা একরকম ভুলেই গিয়েছিল। তারা আত্মিক শক্তিতে লড়ছিল। একে অপরকে উৎসাহ, অনুপ্রেরণা যোগাত এবং শত্রুকে আহ্বান জানাত। তাদের তীর নিচ হতে শুধু উপরের দিকেই উড়ে যাচ্ছিল। এদিকে কেল্লাভ্যন্তরের দৃশ্য এমন ছিল যে, পাঁচিল হতে আহত তীরন্দাযদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছিল। বেশিরভাগ তীর তাদের চেহারা, চোখ এবং ঘাড়ে লেগেছিল। আহতদের আত্মচিৎকারে তাদের সঙ্গীদের উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভাটা পড়তে শুরু হয়েছিল। মুসলিম বাহিনীর নারাধ্বনি ও গর্জন কেল্লার এ দিক থেকে শোনা যাচ্ছিল। এতে কেল্লাবাসীদের হৃদকম্পন শুরু হয়ে গিয়েছিল। ভীতি ও ত্রাস তাদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছিল। তারা ভেতর থেকে এটা বুঝছিল যে, অগণিত ও অসংখ্য সৈন্য কেল্লা অবরোধ করে রেখেছে।
ঐতিহাসিকদের সূত্রে মুহাম্মাদ হুসাইন হায়কাল লিখেছেন, সকল কেল্লাতে পাদ্রী এবং অন্যান্য ধর্মীয় নেতারা ছিল। তারা যখন দেখল, পাঁচিল হতে বহু পরিমাণ আহত সৈন্যদের নামানো হচ্ছে, তখন তারা কেল্লার অধিকর্তাদের কাছে যায়। ইতিহাস হতে শুধু এক কেল্লার অভ্যন্তরের বিস্তারিত অবস্থা জানা যায়। এটা ছিল ‘কসরে ইবনে বুকায়লা’ কেল্লা। এ কেল্লার অধিপতির নাম ছিল আব্দুল মাসীহ বিন আমর বিন বুকায়লা।
আবদুস মাসীহ সম্পর্কে এই তথ্য জানানো দরকার যে, তিনি কোনো যেনতেন কেল্লাপতি ছিলেন না। তিনি ইরাকের শাহজাদা’ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। অগ্নিপূজারীরা এক সময় ইরাক দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু আব্দুল মাসীহ এর বাপ-দাদারা এই কেল্লাকে নিজেদের কাছেই রাখেন। পারস্য সম্রাটের পক্ষ হতে তাকে কর্তৃত্ব দেয়া হয়নি, তিনি ছিলেন স্বঘোষিত অধিকর্তা। তিনি অন্যান্য কেল্লাপতিকেও নিজের প্রভাবে প্রভাবান্বিত রেখেছিলেন। তিনি ছিলেন অসাধারণ বিচক্ষণ। বীরত্বেও ছিলেন অদ্বিতীয়। তার সবচেয়ে বড় গুণ ছিল প্রতুৎপন্নমতিত্ব এবং উপস্থিত জবাব। তিনি বার্ধক্যে উপনীত হয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও প্রেরণা ও উদ্দীপনায় ছিলেন টগবগে যুবক ।
তিনি ন্যায়পরায়ণ নওশেরওয়ার যুগও দেখেছিলেন। এর থেকে বুঝা যায়, তার বয়স অনেক বেশিই হয়েছিল। বাকপটুত্ব এবং বিচক্ষণতার কারণে নওশেরওয়ার (কিসরা উর্দূশেরের দাদা) আব্দুল মাসীহকে খুব ভালবাসতেন ।
“নওশেরওয়া!” তিনি একবার ন্যায়পরায়ণ নওশেরওয়াকে বলেছিলেন “আমি এবং আমার কিছু সর্দার আপনার আনুগত্য মেনে নিব না। আমরা নিজ নিজ কেল্লাতেই অবস্থান করব। এতে আশা করি আপনারও কিছু ফায়দা হবে।” “আমি তোমাকে এবং তোমার কাঙ্ক্ষিত সর্দারদেরকে চার কেল্লা দিয়ে দিলাম” নওশেরওয়া বলেছিলেন “কিন্তু আমার মৃত্যুর পরে তোমাদের সঙ্গে পারসিকদের আচরণ কেমন হবে আমি তা বলতে পারি না।”
“আপনার মৃত্যুর পর পারস্য সাম্রাজ্যের অধঃপতন শুরু হবে” আব্দুল মাসীহ বলেছিলেন।
“মধুবর্ষণকারী মুখ হতে আমি এমন কথা শুনতে পারি না-ইবনে বুকায়লা!” নওশেরওয়া বলেছিলেন। “তবে কি তুমি আমাকে বদদোয়া দিচ্ছ নাকি পারস্যের অধঃপতনের কারণ তুমি নিজেই হবে?”
“কোনটিই নয়” আব্দুল মাসীহ বলেছিলেন “আপনি সৎশাসক। আপনার পর ন্যায়পরায়ণতাও মরে যাবে, শুধু রাজাগিরি রয়ে যাবে। তৃতীয় অথবা চতুর্থ প্রজন্ম আপনার নাম কলংকিত করবে। এতে করে পারস্যের সীমানা সংকুচিত হতে থাকবে এবং তদস্থলে অন্য কোনো জাতি এসে ক্ষমতা দখল করে নিবে।”
“অন্তর তোমার কথায় সায় দিতে চায় না” নওশেরওয়া বলে। “পারস্য একটি শক্তির নাম ।”
“তবে মন দিয়ে শুনুন নওশেরওয়া।” আব্দুল মাসীহ বলেছিল। “যে মাথায় একবার রাজাগিরি ঢোকে সেখান থেকে ন্যায়-ইনসাফ বেরিয়ে যায়। সিংহাসনে বসলে প্রজাদের মহব্বত অন্তর থেকে উধাও হয়ে যায়। আপনার পরে আগত শাসকেরা যদি সৈন্যদের উপর ভরসা করে প্রজাদের শাস্তি-সুখের চিন্তা না করে, তাহলে তারা তাদের পতনকে তরান্বিত করবে। তাদের দ্বারা নিষ্পিষ্ট জনগণ তাদের সঙ্গ দিবে, যারা বাইরে থেকে এসে হামলা করবে। আমার বয়সও তত বেশি নয় যে, অভিজ্ঞতার আলোকে কথা বলব, কিন্তু আমি অনুভব করছি যে, পারস্যবাসীদের জন্য আগত ভবিষ্যত মোটেও সুখকর হবে না।”
এটা ছিলো অনেক পূর্বের আলাপন। এখন আব্দুল মাসীহের বয়স এত বেশি হয়েছে যে, তার কোমর নুয়ে পড়েছে। কাঁধ বাঁকা হয়ে গেছে। কাঁপুনির রোগে তিনি এত বেশি আক্রান্ত যে, সর্বদা তার মাথা ও হাত কাঁপতে থাকে। নওশেরওয়ার দ্বিতীয় প্রজন্মের সম্রাট পরাজয়ের গ্লানি সইতে না পেরে মারা গিয়েছিল এবং বাস্তবিকই পারস্যের পতনধারা শুরু হয়েছিল। হযরত খালিদ (রা.) আজ সেই আব্দুল মাসীহ ও তার সর্দারদের কেল্লা অবরোধ করে রেখেছেন। সময়ের গতি যত বাড়ছিল, কেল্লার সৈন্যদেরও প্রেরণা তত হ্রাস পাচ্ছিল। এক সময় তাদের মধ্যে এমন কেউ ছিল না, যে হিম্মত করে পাঁচিলে উঠে মুসলমানদের অবস্থা দেখে আসবে। সম্ভবত মুসলমানদের সংখ্যা সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা ছিল না।
মুসলিম বাহিনীর সংখ্যা ছিল সর্বসাকুল্যে ১৮ হাজার। এই সৈন্যরা ভাগ হয়ে চার কেল্লা অবরোধ করে রেখেছিল। শুধু অবরোধ নয়; বীরদর্পে এগিয়ে হামলাও করছিল। আব্দুল মাসীহ তার মহলে গেলে সেখানে দু’জন পাদ্রী তার সাক্ষাতের জন্য অপেক্ষমাণ ছিল।
“গীর্জায় কী নিজেদের বিজয় এবং শত্রুদের ধ্বংসের দোয়া চলছে?” আব্দুল মাসীহ পাদ্রীদের জিজ্ঞাসা করেন।
“চলছে” প্রধান পাদ্রী জবাব দেয়।
“তবে আপনারা এখানে কেন এসেছেন?” আব্দুল মসীহ জানতে চান। “যান, গীর্জার ঘণ্টাধ্বনি যেন বন্ধ না হয়। “
“আমরা নিজেদের সৈন্য, জনসাধারণের ব্যাপক হত্যা এবং তাদের ঘর বাড়ীকে লুটতরাজ হতে বাঁচানোর জন্য এসেছি” প্রধান পাদ্রী জানায়। “আপনি কী দেখছেন না যে, আমাদের কত সৈন্য আহত এবং নিহত হয়েছে? আপনার কান পর্যন্ত দুশমনদের রণহুংকার ও নারাধ্বনি পৌঁছেনি?”
“তবে কি তোমরা আমাকে এ কথা বলতে এসেছ যে, আমরা আত্মসমর্পন করি?” আব্দুল মাসীহ জিজ্ঞাসা করে।
“আপনার স্থলে অন্য কোনো কেল্লাপতি হলে আমরা এমন পরামর্শ দিতাম না” দ্বিতীয় পাদ্রী বলে। “কিন্তু আপনি অভীজ্ঞ এবং বিচক্ষণ। যা আপনি বুঝেন তা অন্য কারো মাথায় আসে না। বাস্তবতা সামনে রাখুন। মুসলমানরা কেল্লা কব্জা করা এবং কেল্লায় ঢুকে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ, লুটতরাজ এবং নারীদের ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার পূর্বেই আপনি যদি কিছু শর্তসাপেক্ষে কেল্লা তাদের হাওলা করে দেন, তাহলে এটা বড় কল্যাণজনক হবে।”
“আমাকে চিন্তা করতে দাও” আব্দুল মাসীহ বলে।
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!