মরু ঝরনা – হোসনে আরা শাহেদ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ হোসনে আরা শাহেদ
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৩৬
মরু ঝরনা – বইটির এক ঝলকঃ
শুধু রূপে নয়—সব বিষয়েই এ মেয়ে যেন আলাদা। একরত্তি মেয়ে ঠিক সময় ছাড়া দুধ খেতে চায় না। যখন তখন ট্যা ট্যা করে কান্না জুড়ে দেয় না।
একটু বড় হলে দেখা গেল, খাদিজা সত্যি আশ্চর্য গুণে ভরা। আর সব শিশুর মতো খেলার পাগল নয়। বড় শান্ত মেয়ে, অযথা কাউকে জ্বালায় না। খালি খালি কারো সংগে মেজাজ করে না। কথায় কথায় আবদার ধরে না। সকলের মুখে ছোট্ট খাদিজার তারিফ।
একটু একটু করে বড় হতে থাকলো খাদিজা। তার আদব লেহাজ, কথাবার্তা, আলাপ ব্যবহারে সকলেই খুশি। কী তাজ্জব। কখনও কিনা এতটুকু মিথ্যা কথা বলে না। তার মুখে কোনও দিন একটি কটু কথা শোনা যায় না! সংগীসাথী ও ছোটদের ভালোবাসে আপন ভাইবোনের মতো। কারও সাথে ঝগড়া না, কারও নামে নালিশ না, এমন মধুর স্বভাবের জন্য সবাই ওকে ভালোবাসে, ওর ভালো কামনা করে।
করে।
ঠিক এ জন্যই সবাই মুখে মুখে খাদিজাকে ‘তাহিরা’ বলতে শুরু
তাহিরা শব্দের মানে হলো ‘পবিত্র’। সত্যিই ভালোমেয়ে খাদিজা। এত আদর, এত সুনাম, এত খ্যাতি, অথচ ওর মনে এতটুকু দেমাগ নেই। বরং ও যেন আরও শরম পায়, বিনয়ে আর নম্রতায় যেন মাটির সাথে মিশে যেতে চায়।
আরও বড় হলেন খাদিজা। বুদ্ধিরও আরো খোলতাই হলো। বড়লোক বাপের আদরের মেয়ে হলে হবে কি, খাদিজা কিন্তু মোটেও স্বার্থপর না। বড় সহজ ও সরল মনের ও। আর চলেনও খুব সাদাসিধে ভাবে। ওর প্রাণটা নরম আর কোমল। পরের দুঃখ দেখলে মন কেঁদে ওঠে। অন্যের দুঃখে সাহায্য করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। পরের জন্য এতো যে মায়া ও ভাবনা, এটিই পরে খাদিজার জীবনের বড় গুণ হয়ে প্রকাশ পেতে আরম্ভ করে।
মেয়ের মধ্যে এত দুর্লভ গুণ দেখে আনন্দে লাফিয়ে উঠলো বাবা-মার মন। তাঁরা মেয়ের কোনও ইচ্ছায় বাদ সাধেন না। তাকে তার পছন্দ মত দান-খয়রাত করতে দেন। যাতে তার মুখ উজ্জ্বল হয়, হামেশা সে ব্যবস্থাই করেন।
মেয়ে বলে হেলা নেই
দেখতে দেখতে খাদিজা কৈশোর অতিক্রম করে। ধনে-মানে-জ্ঞানে শ্রেষ্ঠ বাপের নীলমণি খাদিজা তার সব কিছুর একমাত্র উত্তরাধিকারী। তাঁর অবর্তমানে তার ওপর অনেক দায়িত্ব পড়বে।
খুওয়াইলিদ তা চিন্তা করেন।
তাঁর মেয়ের কোন ভাই নেই। একজন বোনও নেই। একেবারেই একা। এতবড় বিষয় কারবার একদিন তো ওকেই দেখতে হবে।
খুওয়াইলিদ ভাবেন আর ভাবেন।
একদিন মেয়েকে কাছে ডাকলেন। পাশে বসিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে
বললেন-
ঃ শোন মা, তোমার তো আর কেউ নেই, তুমি বড়ই একা।
ঃ কেন আব্বা? একথা বলছেন কেন? আপনি আছেন, আম্মা আছেন, আল্লাহর ইচ্ছায় আমি আর কিছু চাই না।
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!