মধ্য প্রাচ্যের ডায়রী – আবুল হাসান আলী নদভী – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৫১০
মধ্য প্রাচ্যের ডায়রী – বইটির এক ঝলকঃ
আমি তাদের সামনে সেসব নওজোয়ান মুজাহিদের আলোচনা করলাম যারা নিজেদের পুরো জীবন ও যোগ্যতাকে ব্যয় করেছে কমিউনিজমের প্রচার ও প্রসারের কাজে। ত্যাগ করেছে নিজের সকল আরাম-আয়েশ । তাদের মধ্য থেকে এক যুবকের ঘটনা বললাম। তার যেমন ছিল ধন- সম্পদ, তেমন ছিল সম্মান-মর্যাদা। কিন্তু সে ইউনিভার্সিটি ছেড়ে দেয়। তার চাকুরি থেকে ইস্তফা দেয়। তারপর সে রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কমিউনিজমের সংবাদপত্র বিলি করতে থাকে এবং লোকজনকে উচ্চস্বরে দাওয়াত দিতে থাকে। অনেক সময় তার প্রিয়জন, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়- স্বজন তার কাছ দিয়ে অতিক্রম করত, কিন্তু এতে সে বিন্দুমাত্র লজ্জাবোধ
করত না ।
আমি বললাম, জাপানি যুবকরা নিজেদের মাতৃভূমি ও মতাদর্শের ব্যাপারে কি কিছুই করেনি?
তারপর তাদের সামনে ওইসকল যুবকের কোরবানি, আত্মত্যাগ ও বাহাদুরি তুলে ধরলাম, যারা সাইয়েদ আহমদ শহিদ রহ. এর আন্দোলনে
শরিক হয়েছেন, যারা ভারতের দক্ষিণে আফগান সীমান্তেও তার সাথে ছিলেন, যারা শেষ সময় পর্যন্ত তাঁর আঁচল ধরে রেখেছেন এবং আত্মবিসর্জন দিয়েছেন। আমি তাদের মধ্য থেকে সাইয়েদ মুসার ঘটনা উল্লেখ করি। তিনি আঠারো বছর বয়সে মায়ারের যুদ্ধে আহত হন। তার মাথার রক্তে চোখ ও চেহারা রক্তিম হয়ে যায়। কিন্তু তখনও তার ঠোঁট নড়ছিল। জবানে চলছিল আল্লাহর জিকির। সাইয়েদ আবু মুহম্মদ’র ঘটনাও তাদেরকে শোনাই ।
জনাব ইউসুফ কারজাবী, মাওলানা ইয়াহয়া আলি আজিমাবাদী রহ. ও মাওলানা জাফর আহমদ থানেশ্বরী রহ. এর ঘটনা শোনার আগ্রহ প্রকাশ করলেন। আমি এই দুই বুজুর্গ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করলাম। আমি বললাম, দীন ও নৈতিক উন্নতির প্রয়োজন। প্রয়োজন সঠিক জ্ঞান- বিজ্ঞানের চর্চা ও আত্মশুদ্ধির। কেননা কোনো ইসলামি রাষ্ট্র সঠিক জ্ঞান, নৈতিক উন্নতি ও আত্মিক পরিশুদ্ধি ব্যতীত স্থায়ী হয় না। সঠিক জ্ঞান, নৈতিক উন্নতি ও আত্মিক পরিশুদ্ধির প্রভাবের পরিধি হয় ব্যাপক ও বহুদূর বিস্তৃত। প্রায় এক ঘণ্টা আলোচনা করি। উপস্থিত সুধিমণ্ডলী পাক-ভারতের দাওয়াতি আন্দোলনের পদ্ধতি বিস্তারিত জানতে চান। আমি তাদের সামনে তার আলোচনা করি এবং সেখানকার দাওয়াতের পদ্ধতির বিশ্লেষণও করি। তারা আমার আলোচনায় অত্যন্ত আনন্দিত হন। তাদের মধ্যে অনেকেই আমার বই ‘মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো অধ্যয়ন
করেছেন।
অনেকেই আমাকে এখানে রাত যাপন করতে অনুরোধ জানান। আমি ওজর পেশ করি এবং অন্য একদিন তাদের সাথে রাত্রিযাপনের প্রতিশ্রুতি দিই। কারণ আমরা সেদিন অনেক ক্লান্ত ছিলাম। বাসায় পৌঁছুতে একটু বিলম্ব হয়ে যায়।
ড. আমিন : তাসাউফ ও যোগসাধনা
১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫১
আজ সকালবেলা আমার বই “বিশ্ব ও আরব উপদ্বীপ’ গ্রন্থের ভূমিকা লেখি। তারপর ড. আহমদ আমিনের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ‘জিজা’য় যাই। ডক্টর আমিন আমাদের অপেক্ষায় ছিলেন। আলোচনার মাঝে তিনি আমাকে ‘যোগ’ ব্যায়াম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। আমি বললাম, এই বিদ্যা ভারতীয়দের মধ্যে ব্যাপক। এসব লোকের কাছে শারীরিক ব্যায়াম, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং দেহ গঠনের অনেক কৌশল আছে। তারা নিজেদেরকে কষ্ট সহ্য করার এবং নিজেদের প্রবৃত্তি দমনের অভ্যাস গড়ার মাধ্যমে অনেক অস্বাভাবিক ও অলৌকিক জিনিস প্রকাশ করে থাকে। তারা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত নিজেদের মনের চাহিদার বিপরীত কাজ করে এবং নিজেদেরকে সকল প্রকার ভোগ-বিলাসিতা থেকে বিরত রাখে। তারা এজাতীয় বহু স্বভাববিরুদ্ধ কাজ করে। কোনো সন্দেহ নেই যে, যখন কেউ এভাবে সাধনা করবে তখন তার মধ্যে অলৌকিক জিনিস প্রকাশ করার যোগ্যতা সৃষ্টি হবে। কিন্তু যোগীদের এসব কর্মকাণ্ড অলি-আউলিয়ার কারামাত ও কামালাতের সামনে ভেল্কিবাজি বৈ কিছু নয়। আউলিয়ায়ে কেরাম কেবল সুন্নতের অনুসরণ করেন। তাদের লক্ষই হল আত্মশুদ্ধি। তারপর তাসাউফ ও সুফিদের সম্পর্কে আলোচনা হতে থাকে। আলোচনা দ্বারা বোঝতে পারলাম, তাসাউফের প্রতি ডক্টর আমিনের বেশ আগ্রহ আছে। তিনি একজন নকশবন্দিয়া তরিকার শায়খের কাছে ইলমে তাসাউফ কিছুটা শিখেছিলেন। আমি বললাম, বাস্তব কথা হল, ওইসকল শায়খের ইলম ও অভিজ্ঞতার কিছু জিকির-আজকার ও মামুলাত থাকে, যার মাধ্যমে অন্তর প্রশান্তি লাভ করে ও ঈমানি শক্তি বৃদ্ধি পায় ।
হাকিম ও আরিফের পার্থক্য
ডক্টর আমিন বললেন, আমি কোনো এক গ্রন্থে পড়েছি যে, একবার ইবনে সিনা’র সঙ্গে প্রসিদ্ধ বুজুর্গ সুলতান আবু সায়িদ আবুল খায়েরের সাথে সাক্ষাত হয়। দুই বুজুর্গ একসাথে তিনদিন ছিলেন। পৃথক হওয়ার পর এক ব্যক্তি ইবনে সিনাকে শায়খ আবুল খায়েরের মর্যাদা ও মরতবা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। তখন ইবনে সিনা উত্তর দেন, তার সর্বোচ্চ মাকাম হল, আমি যা জানি তিনি তা দেখেন। অপর দিকে শায়খ আবুল খায়েরের কাছে ইবনে সিনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তরে বলেন, ইবনে সিনা যা জানে আমি তা দেখি। আমি বললাম, আল্লামা ইকবাল এ দিকে ইঙ্গিত করেই বলেছেন, ‘দীনের ভেদ সম্পর্কে আমরা যা জানি তিনি তা দেখেন। কারণ তিনি ঘরের ভিতরে আর আমরা ঘরের বাইরে।’
বহুত্ব থেকে একত্বের দিকে
আমি বললাম, গবেষণা ও ইলমের উদ্দেশ্য হল বহুত্ব থেকে একত্বের দিকে পৌছা। এটাই মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি। সবচেয়ে বড় ইলম। যখন কারো তা অর্জিত হয় তখন সে আসবাবউপকরণ ও বস্তুনিচয়ের জাল থেকে মুক্তি পায়। চিন্তার পেরেশানি তাকে স্পর্শ করতে পারে না। এই ইলম তাকে আসবাবের মাধ্যমে আসবাবের সৃষ্টিকর্তা পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেয়। তিনি বললেন, আমি আমার বন্ধুদের এক আসরে ছিলাম। সেখানে কারো
‘ ইবনে সিনা। আবু আলি হোসাইন। তাঁর পিতার নাম আবদুল্লাহ। সিনা তার পিতামহের নাম। ইবনে সিনা নামেই তিনি পৃথিবীময় বিখ্যাত। তিনি ছিলেন সর্ববিদ্যায় পারদর্শী এক বিস্ময়কর প্রতিভা। একই সাথে তিনি ছিলেন দার্শনিক, চিকিৎসক, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিদ। ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দের আগস্টে মাসে বলখে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পড়াশোনা এবং গবেষণার মধ্যে তাঁর জীবন অতিবাহিত হয়। ৪২৮ হিজরিতে তিনি ‘হামাদানে’ ইনতেকাল করেন। মধ্যে লৌকিকতা ছিল না। আমি সেই আসরে বলেছিলাম, শুধু আকলই ইলমের উৎস নয়। বরং মানুষের অন্তরও ইলমের উৎস। কিন্তু কয়েক বন্ধু এই মতে অটল ছিলেন যে, শুধু আকলই ইলমের উৎস। আমি তাদেরকে বললাম, মুজাদ্দিদে আলফেসানি শায়খ আহমদ সিরহিন্দী রহ. আকল নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বড় চমৎকার বলেছেন, আকল একেবারে নির্ভুল না। অনুরূপ মেধাশক্তিও নির্ভুল না। এ ছাড়া মানুষের কাশফ ও বুঝকে পুরোপুরি সঠিক বলা মুশকিল। মূলত আকল ও মেধাশক্তি সকলের বোধগম্য ও স্পষ্ট একটি বিষয়, যা মানুষের অভ্যাস ও প্রবৃত্তির প্রভাবে প্রভাবান্বিত হয়। অনেক সময় সত্য-মিথ্যা ও হক-বাতিল এমনভাবে একাকার হয়ে যায় যে, মানুষ তা অনুভবও করতে পারে না। যেমন, আয়নায় অনেক সময় বস্তুর বিপরীত ছবি ভেসে ওঠে।
ইলমের উৎস
আমি বললাম, ইলমের মূল উৎস অহিয়ে এলাহি এবং নবিগণের আনীত ইলম। নিঃসন্দেহে এর উপর বিশ্বাস রাখা যায়। আশ্চর্যের বিষয় হল জনৈক জার্মান দার্শনিকও এ কথার স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি তার জগদ্বিখ্যাত গ্রন্থ ‘বিবেকের পর্যালোচনা’য় শুধু আকলের অস্তিত্বকে অস্বীকার
করেছেন।
আমরা কায়রোর চিড়িয়াখানার ভিতর দিয়ে পায়চারি করছিলাম। সাথে সাথে আমাদের আলোচনাও চলছিল। আমরা হাঁটতে হাঁটতে ‘জাজিরাতুশ শায়ে’র কাছে পৌঁছে যাই। সেখানে একটি পুকুরের পারে ছাতার নিচে বসি। ডক্টর আমিন খাবার চাইলেন। পুকুরের নির্মল স্বচ্ছ পানি এবং বিভিন্ন প্রজাতির হাঁসের সাঁতার কাটার দৃশ্য আমরা উপভোগ করতে থাকি। এ দিকে ডক্টর আমিনের অভিজ্ঞতা থেকে বিভিন্ন বিষয়ের আলোচনাও শোনতে থাকি। আলোচনায় ড. আমিন এ কথা স্বীকার করেন যে, তাসাউফের মাধ্যমেই বর্তমান সভ্যতার মোকাবেলা সম্ভব।
૨
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি রহ. হচ্ছেন মুসলিম উম্মাহর একজন শীর্ষস্থানীয় সংস্কারক। এই উপমহাদেশের মুসলমানদের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় হাজার বছরের মুজাদ্দিদরূপে পরিচিত ও স্বীকৃত ।। এ কারণেই তাকে ‘মুজাদ্দিদে আলফেসানি’ বলা হয়। ১৫৬৪ খ্রিস্টাব্দে (১৪ শাওয়াল, ৯৭১ হিজরি] পূর্বপাঞ্জাবের সিরহিন্দ নামক স্থানে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। এই মহান সংস্কারক ১০ ডিসেম্বর ১৬২৪ খ্রিস্টাব্দে সিরহিন্দে ইনতেকাল করেন। আমি বললাম, সম্ভবত সাইয়েদ জামালুদ্দীন আফগানীর সাথে তাসাউফের সম্পর্ক ছিল। তিনি জিরে কলবীর আমলও করতেন। ড. আমিন বললেন, আমি জানি শায়খ মুহম্মদ আবদুহুও তাসাউফের সাথে সম্পর্ক রাখতেন। তারা উভয়ে একেবারে সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন। ইনতেকালের সময় মুহম্মদ আবদুহু তাঁর উত্তরসূরিদের জন্য কিছুই রেখে যাননি। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি শায়খ মুহম্মদ আবদুহুর নিকট পড়েছেন? তিনি বললেন, আমি তার দুটি ক্লাসে উপস্থিত হয়েছিলাম। তিনি বড় দানশীল লোক ছিলেন। অন্যকে নিজের উপর প্রাধান্য দিতে বেশি পছন্দ করতেন। তার নিকট যা কিছু হাদিয়া আসত তা তিনি নিজের সাথী- সঙ্গী ও গরিব-অসহায়দের মাঝে বণ্টন করে দিতেন। তিনি কাচা ইট দিয়ে তৈরী ঘরে বসবাস করতেন। তারপর তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, “অহদাতুল উজুদ বা সৃষ্টিকর্তা এক আল্লাহই সর্বেসর্বা’ এই দার্শনিক মতবাদ সম্পর্কে আপনার কী মন্তব্য? আমি বললাম, চিন্তা ও গবেষণার তুলনায় এই মাসয়ালার সম্পর্ক আমলের সঙ্গে বেশি। তিনিও এই মত প্রকাশ করেন। তারপর বললেন, কখনো কখনো মানুষের ভাগ্যে কিছু মূল্যবান মুহূর্ত ও বিভিন্ন রুহানি অবস্থার বিকাশ ঘটে। কিন্তু তা স্থায়ী হয় না। আমি বললাম, এটা স্থায়ী হলে মানুষ তার সংসার ত্যাগ করে নির্জনবাসী হয়ে যেত। জীবনাচারের নিয়মতান্ত্রিকতা স্থির থাকত না। জীবন নিস্তেজ ও নির্জীব হয়ে পড়ত। তিনি বললেন, আমি কিছু লোকের ব্যাপারে শুনেছি তাদের নাকি এই অবস্থা সবসময় থাকত। আমি বললাম, এটা তখনই সম্ভব যখন মানুষের পুরোপুরি এই যোগ্যতা অর্জন হয়ে যায়।
১৮৪৯ সালে মিসরে এক কৃষক পরিবারে তার জন্ম। জামালুদ্দীন আফগানী রহ. তার পথিকৃৎ ছিলেন। বৃটিশ বিরোধী মুক্তি আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা রাখার কারণে তৎকালীন সরকার তাকে তিন বছরের নির্বাসনের দণ্ড দেয়। তখন তিনি বৈরুতে অবস্থান করেন। জামালুদ্দীন আফগানীর ডাকে সাড়া দিয়ে সেখান থেকে প্যারিসে চলে যান। ক্ষমা ঘোষণার পর তিনি আবার মিসরে আসেন। ১৯০৫ সালে তিনি ইনতিকাল করেন ।
উনবিংশ শতাব্দীর বিপ্লবী সংগঠক। ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে আফগানিস্তানে তার জন্ম। সমগ্র মুসলিম জাহানকে এক খেলাফতের অধীনে এনে ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা ছিল তার প্রধান লক্ষ্য। তৎকালীন মিসর সুদানসহ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রবিপ্লবের তার প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল। ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইনতেকাল করেন।
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!