মানুষ অমানুষ – কাসেম বিন আবুবাকার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

মানুষ অমানুষ – কাসেম বিন আবুবাকার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ কাসেম বিন আবুবাকার

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৮২

মানুষ অমানুষ – বইটির এক ঝলকঃ

আবসার বলল, সে দেখা যাবে, আমরা ঐ মেয়েটাকে একটু দেখে আসি। তারপর মেয়েটার বেডে গিয়ে আকাশীর কাছে শুনল পায়খানা-বমি কমলেও এখনো জ্ঞান ফিরেনি ।আরিফ আকাশীকে বলল, আমি মাঝে মাঝে এসে খোঁজ নেব। তারপর বাইরে এসে আবসারকে বলল, তুই বাসায় চলে যা, আমি তো রয়েছি। আবসার রাজি না হতে জোর করে তাকে একটা বেবীতে তুলে দিল।
পরের দিন সকালে রীমা তার দেবর সাকিলকে নিয়ে এল। রীমা সাকিলের সঙ্গে আকলিমা বেগমকে বাসায় পাঠিয়ে দিল। বেলা বারোটার সময় খায়ের সাহেবের অবস্থার উন্নতি হলে তিনি বাসায় ফেরার জন্য অস্থির হয়ে উঠলেন। আবসার ডাক্তারদের সঙ্গে পরামর্শ করে বাবাকে নিয়ে বাসায় চলে গেল।
যাবার আগে ঐ মেয়েটির কথা মনে পড়তে তাকে দেখতে গেল। গিয়ে দেখল তার জ্ঞান ফিরেছে। জিজ্ঞেস করল, এখন কেমন আছেন?
: ভাল, কিন্তু আমি তো আপনাকে চিনতে পারছি না।
ঃ আমাকে চিনবেন না। গতকাল আমার বাবাকে নিয়ে এখানে এসেছি। যে ছেলেটা আপনাকে সাহায্য করেছে আমি তারই বন্ধু। এখন বাবাকে নিয়ে চলে যাচ্ছি। তাই ভাবলাম, আপনাকে একটু দেখে যাই। আচ্ছা এবার আসি, আল্লাহ্ হাফেজ।
ঐ মেয়েটির নাম ফাল্গুনী। সকালের দিকে জ্ঞান ফিরে পেয়ে চারদিকে চেয়ে বুঝতে পারল, হাসপাতালে আছে। আকাশীকে জিজ্ঞেস করল, খালা, আমাকে এখানে কখন নিয়ে এলে?
আকাশী বলল, গতকাল বেলা দুটোর সময় তুমি যখন অজ্ঞান হয়ে গেলে তখন একটা বেবিতে করে নিয়ে আসি। তারপর কিভাবে আরিফ তাকে সাহায্য করল সে কথা বলে আরো বলল, মনে হয় ছেলেটা এখনো বাইরে বসে আছে। রাতে কয়েকবার তোমাকে দেখে গেছে। ডাক্তার ও নার্সকে তোমার দিকে লক্ষ্য রাখতে বলেছে। এই তো কিছুক্ষণ আগেও এসেছিল। আবার হয়তো আসবে।
ফাল্গুনী জিজ্ঞেস করল, আব্বাকে খবর দেওয়া হয়েছে?
আকাশী বলল, ঐ ছেলেটা আমার কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে বাসায় গিয়েছিল। ফিরে এসে বলল, রাজশাহীতে টেলিফোন করে খবর দেওয়া হয়েছে।
ফাল্গুনীর মন আরিফের প্রতি কৃতজ্ঞতায় ভরে গেল। ভাবল, যার মধ্যে এত মানবতা রয়েছে নিশ্চয় সে দেখতেও সুন্দর। আকাশীকে বলল, তাকে ডেকে নিয়ে এস । আকাশী বাইরে এসে আরিফকে পেল না। ফিরে এসে বলল, তাকে পেলাম না । আরিফ ভোরে মেয়েটিকে দেখে মসজিদে ফযরের নামাজ পড়তে গিয়েছিল। নামাজ পড়ে পাঞ্জে সূরা তেলাওয়াত করে মেয়েটির রোগমুক্তির জন্য দোওয়া করল। তারপর এসরাকের নামাজ পড়ে ফিরে আসার সময় চিন্তা করল, মেয়েটি যদি ভাল থাকে, তাহলে বাসায় গিয়ে গোসল ও খাওয়া-দাওয়া করে আসবে। হাসপাতালে ঢুকে ওয়ার্ডের কাছে গিয়ে দেখল, মেয়েটির জ্ঞান ফিরেছে। মনে মনে আল্লাহ্পাকের শোকর গোজারি করে বেডের কাছে এসে তাকে উদ্দেশ্য করে বলল, এখন কেমন বোধ করছেন? সারারাত খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম ।
আরিফের রাতজাগা মলিন চেহারা দেখে ফাল্গুনীর মন ব্যথায় টনটন করে উঠল তারপর কয়েক সেকেন্ড তার মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে ভিজে গলায় বলল, আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাবার ভাষা আমার নেই। আকাশী খালার মুখে যা শুনেছি তা অতি আপনজনও করে না ।
আরিফ বলল, কি আর এমন করেছি। আল্লাহর কাছে দোওয়া করি, তিনি যেন আপনাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেন। এখন আমি একটু বাসায় যাব, পরে আবার আসব।
ফাল্গুনী কিছু বলার আগে আকাশী বলল, হ্যাঁ বাবা তাই যান। সারারাত কষ্ট তো আর কম করেননি? বাসায় গিয়ে বিশ্রাম নিন।
আরিফ ফাল্গুনীর মুখের দিকে চেয়ে বলল, আসি কেমন? তারপর সেখান থেকে বাসায় এসে গোসল করে নাস্তা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। 1ST
দুপুরে ওমরের ডাকাডাকিতে ঘুম থেকে উঠে বলল, এত ডাকাডাকি করছ কেন ওমর চাচা?
গোফরান সাহেব আর সুফিয়া বেগম সাড়ে তিন বছরের আরিফকে যখন নিয়ে আসে তখন তাকে দেখাশুনা করার জন্য গোফরান সাহেব ওমরকে মাসিক বেতনে নিজের বাড়ীতে এনে রাখে। আরিফের সঙ্গে সবসময় থাকাটাই ওমরের কাজ। তাকে অন্য কোন কাজ করতে দেওয়া হয় না। বলাবাহুল্য, নেসার ফকিরের দোওয়ার বরকতে এই ওমরেরই লুলো পা ভাল হয়ে গিয়েছিল। যাই হোক আরিফ যতদিন গ্রামের বাড়ীতে লেখাপড়া করেছে, ততদিন ওমর তার নিত্যসঙ্গী ছিল। ঢাকায় পড়তে আসার সময় গোফরান সাহেব ও সুফিয়া বোগম তাকে আরিফের সেবাযত্ন করার জন্য আলাদা বাসা ভাড়া নিয়ে ওমরকে তার কাছে রেখেছে। মাঝে মাঝে গোফরান সাহেব ও সুফিয়া বেগম এসে বেশ কিছুদিন থেকে আবার চলে যান। তারা সময়মত ওমরের বিয়ে দিয়েছেন। বৌয়ের নাম আনোয়ারা। আনোয়ারা গরিব ঘরের মেয়ে। কিন্তু খুব কর্মঠ ও স্বামীভক্ত। ওমরকে সব সময় আরিফের কাছে থাকতে হয়। আরিফ যখন বাড়ী যায় তখন ওমরও তার সঙ্গে যায়। গোফরান সাহেব ও সুফিয়া বেগম আনোয়ারাকে নিজেদের কাছে রেখেছেন। তাদের কোন ছেলেমেয়ে হয়নি।
আরিফের কথা শুনে ওমর বলল, কাল সারাদিন ও সারারাত কোথায় ছিলেন? বন্ধুর বাসায় যাবার কথা বলে সেই যে গেলেন আর ফিরলেন না। আমি সারারাত জেগে কাটিয়েছি। সকালে এসে নাস্তা খেয়ে ঘুমিয়েছেন, এখন বেলা দুটো বাজে। ডাকাডাকি করব না তো কি করব? খাওয়া-দাওয়া ঠিকমত না করলে শরীর টিকবে কেন? সাহেব- বেগম এসে আপনার শরীর রোগা হয়ে গেছে দেখলে, আমাকে বকাবকি করবেন।
ওমর নিরেট মূর্খ। দেশে থাকাকালীন সময়ে, ওমর তাকে ছোটবেলা থেকে একরকম মানুষ করেছে বলে তুমি করেই বলত। ঢাকায় আসার পর আরিফ তাকে কিছু কিছু বাংলা-ইংরেজী শিখিয়েছে। কার সঙ্গে কিভাবে কথা বলতে হয় তাও শিখিয়েছে। প্রথম দিকে ওমর অভ্যাসমত সবাইকে তুমি করে বলত। তারপর আরিফের কথামত এখন আর সেরকম করে না। বেশ শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে পারে।
আরিফ বিছানা ছেড়ে উঠে বাথরুমে যাবার সময় বলল, তুমি যাও, আমি নামাজ পড়ে ভাত খাব।
খাওয়া-দাওয়ার পর আরিফ ওমরণে বলল, আচ্ছা ওমর চাচা, কখনো কখনো কারো দিকে তাকালে তার ভূত-ভবিষ্যৎ দেখতে পাই, তার মনের কথা বুঝতে পারি, এরকম কেন হয় বলতে পার?

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top