বিদেশী মেম – কাসেম বিন আবুবাকার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

বিদেশী মেম – কাসেম বিন আবুবাকার – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ কাসেম বিন আবুবাকার

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৩৯

বিদেশী মেম – বইটির এক ঝলকঃ

নানি বললেন অফিস কামাই হোক, তবু আমাদের সঙ্গে যেতে হবে।
রফিক আর কিছু না বলে গাড়িতে উঠল।
ড্রইং রুমে নানি ও রফিক মুখোমুখি দুটো সোফায় বসল। লিজা ড্রেস চেঞ্জ করার জন্য
ভিতরে চলে গেল।
নানি বলেন, তোমাকে যে কথা বলার জন্য নিয়ে এলাম তা বলব। তার আগে পিজার কথা একটু বলে নিই । ও খুব সরল মনের মধ্যে কোনো জটিলতা নেই। ছেলেবেলা থেকে বাইরের ছেলেমেয়ের সঙ্গে তেমন একটা মেলামেশা করে নি। সব সময় পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকত। কি করে যে সফিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল ভেবে পাই না। নিজে সৎ বলে সবাইকে তাই মনে করে। সেইজন্য বোধ হয় সফিক ওকে অত বোকা বানিয়ে কাজ হাসিল করেছে। মানুষ ঠকেই শিখে। গতকাল তুমি যখন ওকে ভদ্রভাবে কথা বলতে বললে তখন ও ভীষণ মনে কষ্ট পেয়েছে। তুমি চলে যাওয়ার পর অনেকক্ষণ কেঁদেছে। আমি কাঁদার কারণ জিজ্ঞেস করতে বলল, “রফিককে অপমান করার জন্য কিছু বলিনি, অথচ সে আমাকে ভুল বুঝল। আমার মনে হয় ও সফিকের কাছে খুব বড় আঘাত পেয়ে এবং আকমলের অমানুষিক চরিত্র দেখে মনের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিল। তাই ঐদিন সুসাইড করার সংকল্প করেছিল। তুমি যদি সেদিন ওকে মসজিদ থেকে সঙ্গে করে বাসায় না নিয়ে আসতে, তাহলে হয়তো ঐদিন কিছু একটা করে ফেলত।
তোমার কার্য্যকলাপ ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ওকে মুগ্ধ করেছে। ওর জ্ঞানের দুয়ার খুলে দিয়েছে। তাই ও অতীত জীবনের সবকিছু ভুলে গিয়ে তোমাকে ভালোবেসে ও বিশ্বাস করে ফেলেছে। অবশ্য এ ব্যাপারে লিজা আমাকে কিছু বলে নি। তোমার সম্বন্ধে তার কথাবার্তা শুনে আমার তাই মনে হয়েছে। আজ কয়েকদিন থেকে বলছে, নানি, তুমি রফিকে আমাদের সঙ্গে নিয়ে চল। ও যদি না যায়, তবে এখানে আকমলের হাতে আমার মৃত্যু হলেও আমি যাব না। তুমি জান কি না জানি না, লিজা ছাড়া আমার আর কেউ নেই। ওর মা আজ দশ বছর হল আয়ারল্যাণ্ডে একজন লোককে বিয়ে করে চলে গেছে। বেঁচে আছে কিনা আজ পর্যন্ত কোনো খোঁজ পাই নি। লিজাকে এক রকম আমিই মানুষ করছি। ওকে আমি নিজের থেকে বেশি ভালবাসি। ওর নানা মারা যাওয়ার অনেক আগের থেকে সবকিছু লিজার নামে উইল করে দিয়ে গেছে। ওর যদি কিছু হয়, আমি কাকে নিয়ে কার জন্য বাঁচব?
তুমি শিক্ষিত হয়েও এখানে ভালো চাকরি পাচ্ছ না। তাই বলছিলাম, তুমি যদি আমাদের সঙ্গে লণ্ডনে গিয়ে আমাদের ব্যবসার হাল ধর, তাহলে আমি ও লিজা তোমার ঋণ কিছুটা শোধ করতে পারতাম। তুমি যেভাবে নিজের ভালো মন্দের দিকে চিন্তা না করে আমাদের সাহায্যার্থে ছুটাছুটি করছ, সে কথা আমরা কোনোদিন ভুলতে পারব না। তোমার যাওয়ার ব্যাপারে যা কিছু দরকার, আমি সে সব ব্যবস্থা করব। তুমি হয়তো ভাবতে পার, আমার ডিভোর্স করা নাতনিকে তোমার কাঁধে চাপাবার জন্য এসব কথা বলছি। এটা যদি ভাব, তবে ভুল করবে ভাই। কারণ লিজাকে গ্রহণ করার ব্যাপারে আমি তোমাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে পারি। আমি জানি কোনো পুরুষই চায় না, প্রথম যৌবনে কোনো পরিত্যক্তা মেয়েকে বিয়ে করতে। আর বিয়ের ব্যাপারে লিজাও কোনো দিন তোমাকে মুখ ফুটে হয়তো বলবে না। তোমার কাছে আমার শুধু অনুরোধ থাকবে, তুমি লিজাকে বন্ধু মনে করে সহজভাবে তার সঙ্গে মেলামেশা করবে। তাহলে সে আগের জীবনে ফিরে যেতে পারবে। আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি, যদি লিজা অন্য কাউকে বিয়েও করে, তবে তোমার কোনো অসুবিধা যাতে না হয় সে ব্যবস্থা আমি করে দেব। আমার নিজস্ব যা কিছু আছে তা সব তোমাকে দিয়ে যাব। যাতে করে লিজা বা তার স্বামী ভবিষ্যতে তোমাকে পথে বসাতে না পারে।
রফিক হাত তুলে নানিকে থামিয়ে দিয়ে বলল, বেয়াদবি মাফ করবেন। আপনি খুব বেশি লোভ দেখাচ্ছেন। যদি ভেবে থাকেন লোভ দেখিয়ে কাজ হাসিল করবেন, তাহলে সে

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top