কিং সাইমন এর রাজত্ব – নসীম হেজাযী – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

কিং সাইমন এর রাজত্ব – নসীম হেজাযী – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ নসীম হেজাযী

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২৪৪

কিং সাইমন এর রাজত্ব – বইটির এক ঝলকঃ

শাদা উপদ্বীপের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে জাপানী সাংবাদিক মি. শানকু মানকু প্রণীত রিপোর্ট যেমন চিন্তাকর্ষক তেমনি অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়।
তিনি তার প্রতিবেদনে লেখেন, সাধারণতঃ বাদশাহর পক্ষ থেকে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী রূপে কেবিনেট গঠন করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়ে থাকে । যেহেতু শাদা উপদ্বীপে কোন রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব ছিল না, তাই দেশের মানুষ মনে করেছিল, মহামান্য বাদশাহ কিং সায়মন জাতীয় সংসদের সদস্যদের সাথে সলাপরার্শ করে কোন উপযুক্ত, বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আহ্বান জানাবেন। কিন্তু আলামপনা প্রত্যেক ব্যাপারেই নতুনের প্রতি অত্যন্ত অনুরাগী প্রমাণিত হলেন। তাই সর্বপ্রথম স্বয়ং তিনিই মন্ত্রীপরিষদ গঠন করলেন। তারপর মন্ত্রীবর্গ ও জাতীয় সংসদের মেম্বারদের এক যৌথ অধিবেশন আহ্বান করে সবাইকে তাদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করার পরামর্শ দিলেন।
মহামান্য সুলতান উপস্থিত সবাইকে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ পেশ করলেন। ভাষণে তিনি বললেন, আমি অত্যন্ত দুঃখিত যে, কিছু আহাম্মক লোক মন্ত্রীদের নিয়োগ দানের ব্যাপারে অকারণে এত বেশী সমালোচনামুখর হয়ে উঠেছে যা আমার কল্পনাতীত। অথচ আমি এদেশে মংগলগ্রহের অভিজ্ঞতার সুফল পৌঁছে দিতে চেয়েছিলাম। আফসোস, এ দেশের অধিবাসীরা এখনো লাভ লোকসান চেনার মত যোগ্যতা অর্জন করেনি। আমি এ দেশকে সুদ, ঘুষ, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা এবং অন্যান্য সকল অপরাধের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে চাই। আর ঐ সব লোক, যারা আজীবন যাবতীয় অন্যায় অশ্লীলতা থেকে দূরে ছিলেন তাদের পক্ষে এই শুদ্ধি অভিযানে অংশ গ্রহণ করা মোটেই সম্ভব নয় ।
রক্ষণশীলদের ধর্মই হচ্ছে, তারা কোন বড় রকম সংস্কার প্রক্রিয়া দেখলেই আঁতকে ওঠে। আপনারাই বলুন, স্মাগলিং সম্পর্কে যার সম্যক ধারনা নেই, কি করে তিনি চোরাচালান বন্ধ করবেন? চোরাচালানী বন্ধ করার জন্য আমাদের কি এমন একজন মন্ত্রী দরকার নয়, যিনি নিজে স্মাগলারদের যাবতীয় নীতি-পদ্ধতি সম্বন্ধে পুরোপুরি ওয়াকিফহাল? ঠিক তেমনি দাগাবাজ, প্রতারক, চোর ও ডাকাতদের সমূলে বিনাশ করার জন্য দরকার দেশের সবচে হুঁশিয়ার ঠগ, চোর কিংবা কোন অভিজ্ঞ ডাকাতের আন্তরিক খেদমত। যেমন কুকুর তেমন মুগুর না হলে সে কুকুরকে শায়েস্তা করা যায় না। কিন্তু শাদা উপদ্বীপের আহম্মক লোকেরা এ সহজ কথাগুলোও বুঝতে পারে না।
যাইহোক, দেশের মানুষ যখন আমার মন্ত্রী নিয়োগেই প্রশ্ন তুলেছে তখন আমি আর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের দায়িত্ব নিতে চাই না। আমি চাই, প্রধানমন্ত্রী আপনারাই নির্বাচন করুন। প্রয়াত বাদশাহর ইচ্ছা অনুযায়ী দেশকে আমি গণতন্ত্রের পথে অগ্রসর করতে চাই। এখানে জনগণের মতামতই প্রাধান্য পাবে। তাদের আশা আকাংখাই বাস্তবায়িত হবে। এ জন্য আপনারা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করার সময় বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখবেন, যেনো এ নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করে। আমি জোর করে এদেশের বাদশাহ হইনি, আপনারাই ভালবেসে আমাকে এ দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি এ ভালবাসার মর্যাদা রক্ষা করতে চাই। আমি রাজত্ব চাই না, চাই এ দেশের মানুষের ভালবাসা।
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর প্রধান বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত, রাজনীতির খেলায় তিনি হবেন অসম্ভব কুশলী ও চৌকস। দুর্ভাগ্যবশতঃ এখানে আজ পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল গড়ে উঠেনি। তাই যদি আপনারা প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনে বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে পারেন তাহলে আগামী দিনগুলোতে বহু জটিলতা ও সমস্যা থেকে এ দেশ বেঁচে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর জন্য এটা জরুরী যে, পার্লামেন্টে তার পার্টি হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ। পার্লামেন্ট সদস্যদের | অধিকাংশকে নিজের পক্ষে রাখার জন্য দরকার, সকল চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রকে তিনি সফলভাবে মোকাবেলা করবেন। কিন্তু যে নিজে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে অজ্ঞ তার পক্ষে তা মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। তাই চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্রে তাকে হতে হবে অসম্ভব পারদর্শী।
যদি কখনো তার সহযোগীরা অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ে সে অসন্তোষ তাকেই দূর করতে হবে। তার জন্য এটা অত্যন্ত জরুরী যে, তিনি তার সহযোগীদের সন্তুষ্ট রাখতে ও তাদের মন যুগিয়ে চলতে সদা সচেষ্ট থাকবেন। তিনি তাদের সুরে সুর মেলাবেন আর তাদের কথায় তাল দিয়ে চলবেন। তাদের কঠোর সমালোচনার জবাব দিবেন তিনি হাসি মুখে। প্রতিদ্বন্দ্বী ও বিরোধীদের সাথে সাবধানে দাবার গুটি প্রয়োগ করতে পারবেন। বিরোধীদের সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় লোভ ও টোপ গেলাতে তাকে পারদর্শী হতে হবে। এজন্য তাকে হতে হবে আবেগ ও বিবেক শূন্য । নীতি ও নৈতিকতার পরিবর্তে তিনি হবেন গদির প্রেমে পাগলপারা। গদি রক্ষার তাগিদে মানুষের গালমন্দ হজম করতে হবেন অভ্যস্ত। গদির জন্য ভাল-মন্দ, পাপ- অন্যায় সকল কাজে ইন্ধন যোগাতে হবেন পারংগম। একজন সাধারণ মন্ত্রী বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ হলে তাতে কোন অসুবিধা নেই। প্রধানমন্ত্রীর সার্থকতা এখানেই যে, তিনি প্রয়োজনে প্রথম সারির বেকুব ও নির্বোধও হতে পারবেন। এ জন্য আমি চাই, আপনারা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে পুরোপুরি দায়িত্বশীলতা, সচেতনতা ও বিচক্ষণতার প্রমাণ দেবেন ।
আপনারা যদি এমন একজন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে চান যিনি তার কেবিনেট এবং জাতীয় সংসদের প্রত্যেক সদস্যের সমস্ত ভাল-মন্দ, ইচ্ছা- আকাংখা ও কামনা-বাসনা পূরণ করতে পারেন, তাহলে তার ধৈর্য ও সহ্য শক্তির পরীক্ষা নিতে হবে আপনাদের। এ কাজের জন্য আমি আপনাদেরকে সাত দিনের সময় দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রীপরিষদের যৌথ অধিবেশন একাধারে সাত দিন ধরে চলতে থাকে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য বিভিন্ন প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করা হয়। প্রায় দেড়শ নাম কোন না কোন প্রকার দুর্বলতার কারণে বাদ দেয়া হয়েছে। ছয়জন প্রার্থী সম্পর্কে মেনে নেয়া হয়েছে যে, তারা কিং সায়মনের প্রস্তাবিত শর্তাবলীতে মোটামুটিভাবে উৎরে যান। কিন্তু এ ছয়জনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য কে সর্বাধিক উপযুক্ত তা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
জাতীয় সংসদ এবং মন্ত্রীপরিষদের সদস্যরা এ ছয়জন প্রার্থীর সমর্থনে ছয়টি শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ল। প্রত্যেক দল নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে রায় আদায়ের চেষ্টা করছিল। অবশেষে যখন কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হল না তখন তারা নেতৃস্থানীয় কয়েকজনকে মহামান্য সম্রাটের কাছে পাঠিয়ে আরো তিন দিন সময় বাড়ানোর আবেদন জানাল। কিং সায়মন এ আবেদন মঞ্জুর করলেন। আরও তিন দিন গরম গরম আলোচনা ও বাক-বিতন্ডার পর সবাই ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল যে, ছয়জন প্রার্থী একই মানের নির্বোধ, সুবিধাবাদী, সুযোগ সন্ধানী ও সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সক্ষম। এ জন্য তাদের মধ্য থেকে এমন এক ব্যক্তিকে বেছে নেয়া যেতে পারে যার ধৈর্য ও সহ্যশক্তি সবচে বেশী। তাই একজন প্রস্তাব করল, প্রার্থীদের সবাইকে দাঁড় করিয়ে রাখা হোক। যিনি সবচে বেশী সময় দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন তাকেই প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করা হবে।
অন্য একজন প্রতিবাদ জানিয়ে বলল, এটা কোন সঠিক পদ্ধতি হতে পারে না। শুধু বেশী শারীরিক কষ্ট সহ্য করতে পারলেই চলবে না, তার মানসিক সহা শক্তিরও পরীক্ষা নেয়া উচিত। আমার দৃষ্টিতে এজন্য সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে, প্রার্থীদের সকলেই পর্যায়ক্রমে আমাদের সামনে এসে দাঁড়াবে এবং বিভিন্ন গোত্রের সদস্যরা একে একে উঠে তাদের কষে গালমন্দ করবে এবং আচ্ছা রকম জুতো পেটা লাগাবে। যে প্রার্থী তারপরও চেহারায় হাসি ধরে রাখতে পারবে তাকেই প্রধানমন্ত্রীর সম্মানিত পদে নিযুক্ত করা যেতে পারে।
সবাই এ প্রস্তাবের প্রশংসা করল এবং প্রাণ খুলে তাকে ধন্যবাদ জানাল । ফলে এ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়ে গেল। কিন্তু তিনজন প্রার্থী এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করল এবং তাদের নাম প্রার্থী তালিকা থেকে তুলে নিল। এরপর শুরু হল বাকী তিনজন প্রার্থীর পরীক্ষার পালা। প্রথম জন কিছুক্ষণ নীরবে গালি শুনল কিন্তু কয়েক মিনিট পরই তার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেল। সে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদ করলে সংগে সংগেই তাকে প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হল। দ্বিতীয় প্রার্থী গালমন্দের পর্যায়টা মুচকি হাসি উপহার দিতে দিতে কোন রকমে পার করে দিলেও যখন জুতোর ঘা দেওয়া শুরু হল তখন তার সহ্যের সীমা শেষ হয়ে গেল।
শেষ প্রার্থীর নাম ছিল সুশীলং। গালিগালাজ শুরু হলে সে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল । যখন জুতোপেটা শুরু হল তখন তার চোখে মুখে মৃদু হাসির রেখা দেখা গেল। অবশেষে একজন প্রতিনিধি তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে করতে যখন জুতো নিয়ে তাকে মারতে ছুটে গেল তখন সে খুশীতে তাকে জাপটে ধরে চুমু খেল। এই দেখে সমস্ত সদস্যরা আনন্দে লাফিয়ে উঠল এবং তার গলায় ফুলের মালা দিয়ে ব্যান্ড বাজিয়ে হিজ ম্যাজেস্টি কিং সায়মন ও হিজ ম্যাজেস্টি কুইন ওয়ায়েট রোজ-এর কাছে নিয়ে চলল। বেগম ও বাদশাহ উভয়ে তার সাথে করমর্দন করে তাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার জন্য আন্তরিক মোবারকবাদ জানালেন ।
পরদিন দেশের সকল সংবাদপত্রে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সুশীলং-এর ছবি ও খবর ছাপা হল। সেই সাথে কি কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ লাভ করেছেন তার বিস্তারিত বিবরণ ছাপা হল। প্রধানমন্ত্রী সুশীলং-এর নিঃস্বার্থপরতা, প্রজ্ঞা, ধৈর্য ও সহ্য শক্তির প্রশংসায় নিবন্ধ লেখা হল। বিভিন্ন রাজনৈতিক ফোরামে আনন্দ উল্লাসের অনুষ্ঠান পালন করা হল।
এ আনন্দ উল্লাসের মধ্যে তৃতীয় দিন সংবাদপত্রে একটি চমকপ্রদ খবর প্রকাশিত হল। শহরের একজন সিগারেট ব্যবসায়ী প্রধানমন্ত্রীর এই নিয়োগের ব্যাপারে আপত্তি জানাল। সে তার আপত্তিনামায় বলল, সুশীলং আমার খুবই ঘনিষ্ঠ এবং আবাল্য বন্ধু মানুষ। সেই সুবাদে আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, আমার সহ্য শক্তি তার থেকে অনেক বেশী। আমি এ ব্যাপারে অত্যন্ত মর্মাহত যে, তার সহ্য ক্ষমতার পরীক্ষা নেয়ার জন্য যে জুতো ব্যবহার করা হয়েছে তা ছিল জাপানের তৈরী এবং সেটার ওজনও ছিল এক পাউন্ডের কম, খুব সম্ভব তার তলা ছিল রবারের। কিন্তু আমি এরচে অনেক ভারী জুতোর আঘাত খেয়েও হাসতে পারবো, যা সুশীলং পারবে না।
সুশীলং-এর মাথা চুলে পরিপূর্ণ ছিল, যে কারণে জুতোর ঘা হয়তবা সে তেমন বোধ করেনি। আমি ক্ষুর দিয়ে মাথা কামিয়ে নিতে প্রস্তুত। মহামান্য বাদশাহ সমীপে যথাযোগ্য সম্মানের সাথে আরজ এই যে, তিনি যেন আমাকে আমার সহ্য শক্তির মহড়া প্রদর্শনের সুযোগ দেন। জুতো যদি সেনাবাহিনীর স্টান্ডার্ড হয় এবং তার তলায় লোহার পেরেক লাগানো থাকে তবুও আমি অতি উৎসাহের সাথে তা বরদাস্ত করতে রাজি আছি।
বাদশাহ আলামপনা এই দাবীর কোন জবাব দেয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। তাই সুশীলং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নিজস্ব ক্ষমতায় পুলিশকে নির্দেশ দিল, এই মাথা খারাপ লোকটার গলায় জুতোর মালা পরিয়ে তাকে শহরময় ঘুরানো হোক এবং শহরের প্রত্যেক চৌরাস্তায় এক ডজন করে বুট-জুতোর ঘা লাগানো হোক।
আমি স্বচক্ষে সে মিছিল দেখেছিলাম। জুতোর আঘাত খাওয়ার সময় তার

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top