কিলার ভাইরাস – কাজী আনোয়ার হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ কাজী আনোয়ার হোসেন
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৫৪৮
কিলার ভাইরাস – বইটির এক ঝলকঃ
এয়ারবোর্ন ভাইরাস তাকে খুন করছে না ।
‘আগেই বলেছি,’ তুষ্টি নিয়ে বলল ডক্টর ইংগিলস। ‘ফুসফুসে সরাসরি ভাইরাস গেলেও কিছুই হবে না। কোনও ইনফেকশন হবে না। এই সেরাম-হাইড্রেট ফর্মের ভ্যাকসিন প্রায় নিখুঁত। সম্পূর্ণ ঠেকিয়ে দেবে ভাইরাসকে।’ খুশি মনে মাথা দোলাল সে। “মিস্টার প্রেসিডেন্ট, আপনি দেখলেন বায়োটেকনোলজিক্যাল ওয়ারফেয়ারের অভূতপূর্ব উন্নতি। প্রথমবারের মত তৈরি করা সম্ভব হয়েছে জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ার্ড বায়োলজিক্যাল ওয়েপন। এ জিনিস পুরোপুরি সিনথেটিক এজেন্ট। কোনও প্রাকৃতিক উপাদান নেই যে এর হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করবে। আগে কখনও এমন কিছু তৈরি করা যায়নি। অন্যান্য ভাইরাস এত দ্রুত মৃত্যু হানে না। এটা সম্পূর্ণ মানবসৃষ্ট ভাইরাস। এবং কয়েক বছর খেটে তৈরি করেছে চিনারা।’
কেন যেন বুক শুকিয়ে গেল প্রেসিডেন্টের, একবার শিউরে উঠলেন।
`বলে চলেছে ডক্টর ইংগিলস, ‘এটাকে সত্যিকারের এথনিক বুলেট বলতে পারেন। এটা ব্যবহার করলে অন্য জাতি ঝাড়ে বংশে শেষ হবে। আর আমরা এখানে যে ভ্যাকসিন তৈরি করেছি, ভবিষ্যতে ওটা আরও নিখুঁত করা হবে। ভাইরাসের পরের ধাপ হবে: সাদা ত্বকের এনযাইমের পিগমেন্ট চিনবে ওটা। ভ্যাকসিন দিলে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকবে শ্বেতাঙ্গরা। … মিস্টার প্রেসিডেন্ট, চিন এবং অন্যান্য বহু দেশ এ ধরনের ভাইরাস ও ভ্যাকসিন তৈরি করতে চেয়েছে, আজও সফল হয়নি কেউ।’
গম্ভীর মুখে চুপ করে আছেন প্রেসিডেন্ট।
‘দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ সরকার এই ভাইরাসই চেয়েছিল। যাতে কুচকুচে নিগারগুলো শেষ হয়। কিন্তু আমাদের গবেষণা সফল হয়নি তখন। …কিন্তু এবার এই ভাইরাস জাদু দেখাবে। চাইলে আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গদেরকেও অনায়াসে মেরে সাফ করতে পারবেন। বা আরও ভাল হয়তো দুনিয়ায় থাকল শুধু শ্বেতাঙ্গরা। অন্যরা সবাই….’
‘আমরা এসব নিয়ে ভাবছি না, কঠোর স্বরে বললেন প্রেসিডেন্ট। ‘আপনার বোধহয় জানা নেই, আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে দেশের আপামর জনগণকে রক্ষা করা। ‘
বিন্দুমাত্র বিব্রত হলো না ইংগিলস, নিস্পৃহ স্বরে বলল, ‘মহাচিনের এই ভাইরাসের নাম: “ডুস্ ডে ভাইরাস।”
সাত
‘আপনি বোধহয় বিপদের গুরুত্ব বুঝছেন না, কর্নেল,’ গম্ভীর স্বরে বলল মাসুদ রানা ।
‘অযথা চিন্তা করছেন, মেজর,’ রানার কথা হাতের ইশরায় উড়িয়ে দিল মাথা-মোটা চাটা চাক কোসলোস্কি। ‘আজকাল বোধহয় বেশি কমিকের বই পড়ছেন?’
‘আপনার তাই মর্মে হচ্ছে? … তা হলে কোথায় গেল ওয়ারেন্ট অফিসার হ্যাঙ্ক ডিক্সন?’
‘বোধহয় টয়লেটে গেছে।’
‘প্রতিটি টয়লেট চেক করেছি,’ বলল রানা। ‘আর নাইটহক থ্রি? জবাব দিচ্ছে না কেন মেরিন পাইলট পওলস ম্যাকআর্থার?’ ভোঁতা চোখে রানার দিকে চাইল কর্নেল কোসলোস্কি। ‘খেয়াল করুন, নাইস্থ স্কোয়াড্রন সুবিধাজনক জায়গায় পজিশন নিয়েছে।’
রানা, তিশা এবং চাক কোসলোস্কি আছে হ্যাঙারের দক্ষিণ দালানে। একটু দূরে হোয়াইট হাউসের কয়েকজন কর্মকর্তা বসেছে। জানালা দিয়ে নাইস্থ স্কোয়াড্রন কমাণ্ডোদেরকে দেখল কোসলোস্কি। তারা ছড়িয়ে পড়েছে হ্যাঙারের চারপাশে।
‘ওরা প্রতিটা এন্ট্রান্স পাহারা দিচ্ছে,’ বলল কোসলোস্কি। ‘যাতে ওদিকের সিকিউরিটি এলাকায় যে-কেউ ঢুকতে না পারে।’
‘আপনি ভুল ভাবছেন,’ বলল রানা। ‘আরও মনোযোগ দিলে দেখবেন, একটা গ্রুপ উত্তরদিকের রেগুলার এলিভেটার পাহারা দিচ্ছে। মাঝের দল পাহারা দিচ্ছে এয়ারক্রাফট এলিভেটার। এই দুই দলকে দেখলে মনে হয় সব ঠিকই আছে। কিন্তু খেয়াল করুন কন্ট্রোল দালানের দলের দিকে। ওরা আছে দরজার কাছে। ‘হ্যাঁ… কিন্তু তাতে…’
‘ওরা স্টোরেজ ক্লজিট গার্ড দিচ্ছে।’
একবার রানার দিকে চেয়ে আবারও এয়ার ফোর্স কমাণ্ডোদের দিকে চাইল কোসলোস্কি। মাসুদ রানা ঠিকই বলেছে। লোকগুলো দাঁড়িয়ে আছে ‘স্টোরেজ’ লেখা এক দরজার সামনে।
‘ভেরি গুড, মেজর রানা, পরে হয়তো আপনার এই অবযার্ভেশনের কথা রিপোর্টে লিখব।’ মাছি তাড়াবার ভঙ্গি করে হাতের কাগজে মন দিল কোসলোস্কি।
‘বলুন তো, কর্নেল, কখনও যোগ দিয়েছেন যুদ্ধে?’ বলল রানা।
কাগজ থেকে মুখ তুলল কোসলোস্কি। ‘আপনার কথার সুর ভাল লাগছে না আমার, মেজর রানা। আপনি সিনিয়র অফিসারের সঙ্গে বেয়াড়াপনা করছেন।
*আপনার জানার কথা, আমি আমেরিকান মিলিটারির চাকরি করি না,’ বলল রানা। কথার জবাব দিন: কখনও যুদ্ধে গ্রেছেন?’ “এত কথা বলবেন না। আমি সৌদি আরবে ডেয়ার্ট স্টর্মে যোগ দিয়েছিলাম।’
“নিজে লড়াই করেছেন?’
“তা অবশ্য করিনি। আমি এম্বেসি স্টাফ ছিলাম।’
“এবার মন দিয়ে শুনুন, কখনও লড়লে পরিষ্কার বুঝতেন, এয়ার ফোর্সের ওই তিন কমাণ্ডো গ্রুপ ডিফেন্সিভ পজিশনে দাঁড়িয়েছে। ওটাকে আবার অফেন্সিভ পজিশনও বলা যায়। যে- কোনও সময়ে এদিকের অফিসে হামলা করবে ওরা।’
‘না-জেনে কথা বলবেন না, মেজর!’
কর্নেল কোসলোস্কির হাত থেকে প্রায় ছিনিয়ে নিল রানা একটা কাগজ। পরক্ষণে লোকটার কলম চলে এল ওর হাতে। কয়েক সেকেণ্ডে খসখস করে এঁকে ফেলল হ্যাঙারের ডায়াগ্রাম
‘আমরা এখানে,’ ডায়াগ্রামের এক জায়গায় টোকা দিল। তিন জায়গায় তিনটে বড় ফোঁটা তৈরি করেছে।
টুয়েল্ভ্ ও’ক্লক, টেন ও’ক্লক আর ফোর ও’ক্লক । কিন্তু এরা যদি এভাবে মুভ করে…’ ডায়াগ্রামে কয়েকটা তীর আঁকল রানা।
*এর মানেই, মস্ত বিপদে পড়ছি আমরা। মেরিন এবং সিক্রেট সার্ভিসের সবাই আছে উত্তরদিকের দালানে। এখন যদি হামলা শুরু হয়, হোয়াইট হাউসের লোকগুলো দক্ষিণের অফিস থেকে বেরিয়ে ছুটবে এদিকে। সোজা গিয়ে পড়বে নাইছ স্কোয়াড্রনের তৃতীয় দলের খপ্পরে।’
একমুহূর্ত রানার ডায়াগ্রাম দেখল কোসলোস্কি। তারপর বলল, ‘এমন বিদঘুটে পরিকল্পনা জীবনেও দেখিনি, মেজর। আপনি ভুলে যাচ্ছেন, ওরা আমেরিকান সার্ভিসমেন।’
‘কর্নেল, আপনার বোধহয় সবাইকে সতর্ক করা উচিত।’
“কান খাড়া করে আমার কথা শুনুন, মেজর, এবার কর্কশ
। স্বরে বলে উঠল কোসলোস্কি। ‘জানি আপনি কে। শুনেছি উইলকক্স আইস স্টেশনে ভালই করেছেন’। কিন্তু তাই বলে ভাববেন না আপনার কথায় নাচতে শুরু করব আমরা। ভাবছেন, কোথা থেকে এসে ষড়যন্ত্রের থিয়োরি দেবেন আর আমরা বলতে থাকব: আপনি সত্যি দারুণ এক হিরো! … না, তা হবে না। আমি বাইশ বছর ধরে মেরিন কর্পসে চাকরি করছি, নিজ যোগ্যতা দিয়ে উঠে এসেছি এখানে। ফকিরা এক দেশের অশিক্ষিত মেজর যা খুশি বলবে আর আমার মত একজন সুযোগ্য কর্নেল…’
‘যে কি না কলম পিষে পিষে কর্নেল হয়েছে,’ তার বক্তব্য কেড়ে নিয়ে কথা শেষ করল রানা, ‘তাকে মানবে না সবাই?’
রাগে বারকয়েক খাবি খেল চাক কোসলোস্কি। টকটকে লাল হয়ে গেল চেহারা। লাফ দিয়ে চেয়ার ছাড়ল সে, চেঁচিয়ে উঠল, “যথেষ্ট শুনেছি, মেজর! সম্ভব হলে কোর্ট মার্শাল করতাম! দূর হয়ে যান আমার চোখের সামনে থেকে!
অযোগ্য লোকটার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রেগে গেছে রানা নিজেও, গটমট করে বেরিয়ে এল ওই অফিস থেকে। বুঝে গেছে, যা করবার ওর নিজেরই করতে হবে।
“মিস্টার প্রেসিডেন্ট, চিন থেকে ডুমস্ ডে ভাইরাস নিয়ে এসেছিল এরাই,’ বলল কর্নেল ডানকান। লেভেল ফোর-এ সব ঘুরিয়ে দেখাচ্ছে সে প্রেসিডেন্টকে।
সবাই এসে থেমেছে তিরিশ ফুট দীর্ঘ বিশাল এক কোয়ারেনটাইন চেম্বারের সামনে। রিইনফোর্সড চেম্বারের এক পাশে ছোট কাঁচের জানালা। ওদিক দিয়ে প্রেসিডেন্ট দেখলেন ভিতরে চারজন লোক। নীল আলট্রাভায়োলেট আলোর ভিতর সবাই সোফায় বসে টেলিভিশন দেখছে। প্রেসিডেন্ট ধারণা করলেন, এদের পূর্ব-পুরুষ চিন থেকে এসেছে।
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!