কালকূট – কাজী আনোয়ার হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ কাজী আনোয়ার হোসেন
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ২৪৪
কালকূট – বইটির এক ঝলকঃ
স্ট্যাণ্ডার্ড-এর বেঁধে দেয়া মাত্রার ভেতরই থাকছে তা।
‘কাজেই চিন্তার কিছু নেই। কাঁধ ঝাঁকালেন জেনারেল। ইউএন রিসার্চ টীমকে আমার ওপর ছেড়ে দাও।’
তবে এখানে পৌঁছে গেলে ওদেরকে না ঘাঁটানোই ভাল।’
‘মরুভূমিই ওদের ব্যবস্থা করবে।
“কিন্তু ওরা খুন হয়ে গেলে স্যাভয় এন্টারপ্রাইজকে সন্দেহ করা হবে। ওদের লীডার আর কোঅর্ডিনেটর ড. সুনারিল ও মঈন জাহাঙ্গীর কায়রোয় প্রেস কনফারেন্স ডেকে অভিযোগ করেছে তোমাদের সরকার সহযোগিতা করছে না। সন্দেহ প্রকাশ করেছে, মালিতে তাদের বিপদ হতে পারে। কাজেই সাবধান। কিন্তু ড. সিলভিয়া খুন হয়নি বলে এইমাত্র তুমি রাগ দেখালে ।
“মিশরে মারা গেলে কেউ আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপাতে পারত না ।
‘মরুভূমিতে পিকনিক করতে গিয়ে তোমার বিশ-পঁচিশজন এঞ্জিনিয়ার আর তাদের স্ত্রীরা যে নিখোজ হয়ে গেল, সেটা কি?’,
“আমাদের অপারেশনের দ্বিতীয় পর্বের জন্যে ওদের নিখোজ হওয়াটা জরুরী। ছিল, ঠাণ্ডা সুরে বললেন পাসকিল।
‘আমার প্রতি তোমার কৃতজ্ঞ থাকা উচিত, এত বড় একটা খবর প্যারিসের কোন কাগজে ছাপা হতে দিইনি। আমি কলকাঠি নেড়েছিলাম বলেই ফ্রেঞ্চ সরকার তদন্ত করার জন্যে লোক পাঠায়নি, ভুলে গেলে?
“কিছুই ভুলিনি। তোমার মেধা ছাড়া এই ব্যবসা চালানো যেত না। গাসকিল মনে মনে বললেন, তুমিও ভুলো না যে প্রতি মাসে আমার কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার ডলার পাচ্ছে।
আর জেনারেল ভিনসেন্ট ভাবছেন, আমাকে মাসে পঞ্চাশ হাজার দিয়ে নিজে তো কামাচ্ছ দৈনিক দু’লাখ। তাহলে ড. সুনারিল আর তার স্টাফকে কিভাবে সামলাতে বলো তুমি?”
‘এ-সব ব্যাপারে তুমিই এক্সপার্ট, তুমি যা ভাল বোঝো করো।
হাসলেন জেনারেল। ‘আমি এরই মধ্যে আমার পার্সোনাল ব্রিগেড পাঠিয়ে দিয়েছি। তারা ঘেরাও করবে, গুলি করবে, তারপর বালির নিচে পুঁতে ফেলবে। গাসকিল কিছু বলতে যাচ্ছেন দেখে হাত তুলে থামিয়ে দিলেন তাকে। ইউএন টীমকে নয়। যারা কনটামিনেশন সিকনেসে আক্রান্ত হয়েছে।’
‘এত লোককে মেরে ফেলবে?’,
‘মালি আমার দেশ। দেশকে আমি ভালবাসি। একজন দেশপ্রেমিকের দায়িত্ব হলো প্লেগটাকে সারা দেশে ছড়াতে না দেয়া।’ হাসছেন জেনারেল ।
“যা করার সাবধানে করো, পিয়েরো। এখানে আমরা কি করছি তা যদি ঘুণাক্ষরেও কেউ টের পায়, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইবুনাল আমাদের দু’জনকেই ফাঁসিতে ঝোলাবে।
“প্রমাণ ও সাক্ষী ছাড়া দায়ী করা সম্ভব নয়।
‘অ্যাসেলারে সাফারি গ্রুপটাকে যারা মেরে ফেলল, তাদের কি ব্যবস্থা করেছ?’ জানতে চাইলেন গাসকিল। ‘কিছুই করতে হয়নি, জবাব দিলেন জেনারেল। তারা নিজেরাই নিজেদেরকে খেয়ে ফেলে। তবে এই একই উন্মত্ততার শিকার হয়েছে আরও কয়েকটা গ্রাম।
গাসকিলের মাথায় একটা আইডিয়া খেলল। ‘কেমন হয়, ইউএন টীম যদি ওই মানুষখেকোদের সামনে পড়ে যায়?”
‘বিনা খরচে শত্রু নিপাত। হো হো করে হেসে উঠলেন জেনারেল ভিনসেন্ট। ‘দারুণ আইডিয়া!’
প্রাচীন শহর টিম্বাকটুতে প্লেন থেকে নামল সিলভিয়া। ইতিহাসটা জানা আছে তার- ঘানা, মালিংক আর সংঘাই, এই তিন সাম্রাজ্যের ক্যারাভান মার্কেট ছিল টিমবাকটু, বাস করত এক লাখ মানুষ। যীশুর জন্ম হতে তখনও এক হাজার একশো বছর বাকি, যাযাবররা তাঁবু ফেলে এই শহরের পত্তন ঘটিয়েছিল। এক সময় পশ্চিম আফ্রিকার সবচেয়ে বড় বাজারে পরিণত হয় টিমবাকটু।
অতীতের সেই গৌরব এখন আর নেই, তবে প্রাচীন তিনটে মসজিদ এখনও অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। শহরটাকে অবশ্য পরিত্যক্ত আর মৃত নগরীর মত লাগল, গলিগুলো সরু আর আঁকাবাকা, কোত্থেকে কোথায় চলে গেছে ঠাহর করা মুশকিল।
প্লেন থেকে নামতেই ইউনিফর্ম পরা এক অফিসার ড. সুনারিলের সামনে এসে স্যালুট দিল, ইংরেজিতে কথা বললেও ফরাসী টান কানে বাজল, ‘মি. সুনারিল?’
ড. সুনারিল মাথা ঝাঁকালেন।
‘আমি ক্যাপটেন ফয়সল, বলল লোকটা। ‘আমার সঙ্গে আসুন, প্লীজ।’
টার্মিনাল ভবনে ঢুকে তাকে একটা অফিসে নিয়ে এল ক্যাপটেন। ভেতরে ফার্নিচার বলতে. একটা টেবিল, খান কতক চেয়ার টেবিলের পিছনে ফয়সলের বস বসে আছেন, পরনে ইউনিফর্ম। কোন কারণ নেই, চোখ গরম করে তাকিয়ে আছেন তিনি। ‘আমি কর্নেল সাদিক জেবরিল। আপনাদের পাসপোর্ট বের করুন।’
তৈরি হয়েই এসেছেন ড. সুনারিল, পকেট থেকে ছ’টা পাসপোর্ট বের করে টেবিলে রাখলেন। সবগুলোর পাতা উল্টে দেখলেন কর্নেল, তারপর জিজ্ঞেস করলেন, ‘মালিতে আপনারা কেন এসেছেন?’
আমার ধারণা আপনি তা জানেন, সংক্ষেপে জবাব দিলেন ড. সুনারিল। ফরমালিটিজ তিনি পছন্দ করেন না।
“আপনাকে আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।’
জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ হু-র সদস্য আমরা, টক্সিক অসুস্থতায় আক্রান্ত লোকজনকে পরীক্ষা করে রিপোর্ট পাঠাব।’
‘কিন্তু এখানে তো কেউ টক্সিক অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়নি,’ কঠিন সুরে বললেন কর্নেল।
“সেক্ষেত্রে আমরা নাইজার নদীর পানির নমুনা সংগ্রহ করব, বিভিন্ন শহর থেকে বাতাস নেব,’ বললেন ড. সুনারিল।
না।’
“বিদেশীরা এসে আমাদের ওপর খবরদারি করবে, এটা আমরা পছন্দ করি
“আমরা এখানে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে এসেছি,’ ড. সুনারিল বললেন। “আমার ধারণা ছিল, জেনারেল ভিনসেন্ট ব্যাপারটা জানেন।
থতমত খেয়ে গেলেন কর্নেল সাদিক জিবরিল। তিনি আশা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট তাহিরের নাম বলা হবে। ‘জেনারেল ভিনসেন্ট আপনাদের ভিজিট অনুমোদন করেছেন?’
“আপনি বরং টেলিফোন করে সরাসরি তাঁকেই জিজ্ঞেস করুন। ধোঁকা দিচ্ছেন ড. সুনারিল, জানেন তাঁর হারাবার কিছু নেই।
চেয়ার ছেড়ে দাঁড়ালেন কর্নেল, কামরা ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন।
পিছন থেকে ড. সুনারিল বললেন, ‘জেনারেলকে বলবেন, প্রতিবেশী কয়েকটা রাষ্ট্র কনটামিনেশনের উৎস খুঁজে বের করার জন্যে জাতিসংঘকে অনুরোধ জানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তিনি যদি আমার টীমকে মালিতে কাজ করতে না দিন, সবাই তাঁর নিন্দা ও সমালোচনা করবে।
দশ মিনিট পর ফিরে এসে কোন কথা বললেন না কর্নেল, প্রতিটি পাসপোর্টে স্ট্যাম্প মেরে সই করে দিলেন। কাজ শেষ করে বললেন, ‘মনে রাখবেন, ডক্টর, মালিতে আপনারা আমাদের অতিথি। তার বেশি কিছু না। আপনারা যদি অনভিপ্রেত বিবৃতি দেন বা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্যে ক্ষতিকর কিছু করেন, বিনা নোটিশে বহিষ্কার করা হবে। ভাল কথা, আপনাদের নিরাপত্তার জন্যে বডিগার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্যাপটেন ফয়সল আর দশজন সৈনিক
“বডিগার্ড? বাহ্, খুশির কথা।
যা-ই পান, সরাসরি আমাকে রিপোর্ট করবেন আপনি।
“কিন্তু প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কিভাবে তা সম্ভব?’
“ক্যাপটেনের ইউনিটে প্রয়োজনীয় কমিউনিকেশন ইকুইপমেন্ট আছে।’ ‘একটা কার চাই আমরা, ফোর হুইল-ড্রাইভ হলে ভাল হয়। আর চাই দুটো লরি, ল্যাবরেটরি গিয়ার বহন করার জন্যে।’
কর্নেল বললেন, ‘মিলিটারি ভেহিকেলের ব্যবস্থা করা হবে।
ইন্টারভিউ শেষ হয়ে গেল, কার্গো আনলোড করার জন্যে প্লেনের কাছে ফিরে এলেন ড. সুনারিল।
“আমাকে কি করতে হবে? কর্নেলকে জিজ্ঞেস করল ক্যাপটেন ফয়সল ড. সুনারিল যদি টক্সিক অসুস্থতায় আক্রান্ত লোকজনের দেখা পেয়ে যান?’
‘অত কথা তোমাকে ভাবতে হবে না,’ বললেন কর্নেল। যেখানে যা খুশি দেখে বেড়াক ওরা, ফেরার পথে প্লেনটা মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় পড়লে কার কি করার আছে?’ মিশর থেকে নাইজেরিয়া আসার পথে নুমার এক্সিকিউটিভ জোটে ঢুলছে রানা, কফির দুটো মগ হাতে এগিয়ে এলেন রেডক্লিফ।
সিধে হয়ে বসে কফির কাপে চুমুক দিল রানা, ওর প্রশ্ন শুনে রেডক্লিফ বললেন, “ঠিক পোর্ট হার্টকোর্টে নয়, উপকূল থেকে দু’শো কিলোমিটার দূরে আমাদের একটা রিসার্চ শিপে অপেক্ষা করছেন অ্যাডমিরাল হ্যামিলটন।’
“আপনি অনেক কথাই চেপে যাচ্ছেন, পিছন থেকে অভিযোগ করল মুরল্যাণ্ড।
রানার পাশের সীটে বসে পড়লেন রেডক্লিফ। ‘অ্যাডমিরালের মনে কি আছে সত্যি আমি জানি না, তবে সন্দেহ করছি সারা দুনিয়ার কোরাল রীফ নিয়ে নুমার -মেরিন বায়োলজিস্টরা যে স্টাডি চালিয়েছে তার সঙ্গে সম্পর্ক আছে।”
“ওই স্টাডি সম্পর্কে জানি আমি,’ বলল রানা। ‘যদিও ফলাফলটা জানি না, তার আগেই ববি আর আমি মিশরে চলে আসি।’
‘সার কথা হলো, সমস্ত রীফ বিপদের মধ্যে আছে, ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে অবিশ্বাস্য গতিতে,’ বললেন রেডক্লিফ। ‘মেরিন বিজ্ঞানীদের মধ্যে এটাই এখন প্রধান আলোচ্য বিষয় ।
“ঠিক কোন কোন সাগর নিয়ে আলোচনা হচ্ছে?’
“বলুন কোন সাগর-মহাসাগর নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না। ক্যারিবিয়ানের ফ্লোরিডা কী থেকে ত্রিনিদাদ, প্যাসিফিকের হাওয়াই থেকে ইন্দোনেশিয়া, রেড সী, আফ্রিকান উপকূল, ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশ…
“ক্ষয়ের মাত্রা সবখানে সমান?’ জানতে চাইল রানা।
মাথা নাড়লেন রেডক্লিফ। ‘না, এলাকা ভেদে এক এক রকম। সবচেয়ে বেশি নষ্ট হচ্ছে পশ্চিম আফ্রিকান কোস্ট।
*কোরাল রীফ একটা নিয়ম ধরে ক্ষয়ে যায়, তারপর আবার ফিরে পায় স্বাস্থ্য, কাজেই এর মধ্যে উদ্বিগ্ন হবার কি আছে?’_
“উদ্বেগের কারণ মাত্রা। এর আগে এই হারে ক্ষয় হতে দেখা যায়নি।
“কারণ সম্পর্কে কোন ধারণা পাওয়া গেছে?’ জিজ্ঞেস করল রানা।
“দুটো কারণ। একটা হলো গরম পানি। সী কারেন্ট নিয়মিত বদলায়, সেই নিয়ম ধরে বাড়ে ওয়াটার টেমপারেচার। আর পানি গরম হলে হুদে কোরাল পলিপ অ্যালজি ছাড়ে, বা বমি করে কোরাল পলিপের খাদ্য ওটা।
পলিপ তো হলো টিউব আকৃতির খুদে শয়তান, ওগুলোর অবশিষ্ট কঙ্কাল থেকে তৈরি হয় রীফ, আমাদের ভাষায় প্রবাল-প্রাচীর।
‘ভেরি গুড. মি. রানা
“কোরাল সম্পর্কে এখানেই আমার জ্ঞানের সমাপ্তি, স্বীকার করল রানা। কোরাল পলিপের জীবনমরণ সংগ্রাম পত্রিকার হেডিং হয় না কখন
‘আ শেষ,’ বললেন রেডক্লিফ। “বিশেষ করে আমরা যখন জানি যে কোরালের পরিবর্তন থেকে পরিষ্কার আঁচ পাওয়া যায় ভবিষ্যতে সাগরের মতিগতি কি হবে, কি দাঁড়াবে আবহাওয়ার হাল-হকিকত কোরালের এই পরিবর্তনকে ব্যারোমিটার বলা যেতে পারে।
“বেশ, পলিপ অ্যালজি বা শ্যাওলা পরিত্যাগ করে তারপর?
“আাগজি যেহেতু পুষ্টি, পলিপকে খাদ্যপ্রাণ যোগায়, বিভিন্ন রঙ উপহার দেয়,’ বলে যাচ্ছেন রেডক্লিফ, ‘ওটার অভাব নিষ্প্রাণ, রঙবিহীন করে তোলে কোরালকে- এই অবস্থাকে ব্লিচিং বলা হয়।’
পানি ঠাণ্ডা থাকলে এ ঘটনা প্রায় ঘটেই না।’
রানার দিকে তাকালেন রেডক্লিফ। এ-সব কেন আপনাকে বলছি, সবই যদি জানা থাকে আপনার?”
“গুরুত্বপূর্ণ কিছু শুনতে পাবার আশায় অপেক্ষা করছি আমি,’ বলল রানা। “আপনি দ্বিতীয় একটা কারণের কথা বলেছেন।’
“নতুন একটা হুমকি দেখা দিয়েছে,’ বললেন রেডক্লিফ। ‘অকস্মাৎ বিপুল পরিমাণে সবুজ অ্যালজি আর সীউইডের আবির্ভাব ঘটেছে, রীফগুলোকে ঢেকে দিচ্ছে লাগামছাড়া প্লেগের মত।’
“এক সেকেও। আপনি বলছেন কোরাল মারা যাচ্ছে অ্যালজি ত্যাগ করায়, অথচ ওই অ্যালজিই ওটাকে গ্রাস করে ফেলছে?”
“গরম পানির আরেকটা কাজ হলো, অ্যালজি উৎপাদনে সাহায্য করা, হঠাৎ উৎপাদনের মাত্রা এত বেড়ে গেছে যে কোরালে সূর্যের আলো পৌঁছতে পারছে না। বলা যায়, চাপা দিয়ে মেরে ফেলছে।’
মাথার চুলে আঙুল চালাল রানা। ‘আশা করা যায় পানি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে আবার সব ঠিক হয়ে যাবে।
‘কিন্তু তা ঘটেনি,’ বললেন রেডক্লিফ। ‘অন্তত সাউথ হেমিসফেয়ারে ঘটেনি। তাছাড়া, জানা কথা, আগামী দশকে পানির তাপমাত্রা কমার কোন আশা নেই।’ “গ্রীন হাউসের প্রতিক্রিয়া?’ জিজ্ঞেস করল রানা।
“একটা সম্ভাবনা তো বটেই। পলিউশনও অন্যতম কারণ হতে পারে। “যদিও আপনার কাছে নিরেট কোন প্রমাণ নেই?’
‘আমার বা নুমার সমুদ্র বিজ্ঞানীদের সব প্রশ্নের উত্তর জানা নেই।’ “তবু, নিজস্ব একটা ধারণা?’
“শত শত বছর ধরে নর্দমা থেকে দূষিত পানি, আবর্জনা আর টক্সিক কেমিকেল ফেলা হয়েছে সাগরে সাগরের সূক্ষ্ম কেমিকেল ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে গেছে। সাগর উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, এবং তার চড়া মাশুল দিতে হবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে।’
এরকম গম্ভীর হতে রেডক্লিফকে আগে কখনও দেখেনি রানা। একটা খারাপ?’
‘আমার ধারণা পয়েন্ট অব নো রিটার্ন ছাড়িয়ে এসেছি আমরা।’
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!