যাত্রা অশুভ – কাজী আনোয়ার হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download

যাত্রা অশুভ – কাজী আনোয়ার হোসেন – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।

মহান আল্লাহ বলেন –

পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন

আল কুরআন

জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।

বইটি সম্পর্কেঃ

অনুবাদঃ কাজী আনোয়ার হোসেন

পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৩৮৩

যাত্রা অশুভ – বইটির এক ঝলকঃ

‘ওগুলো প্রকাশ করা হলে যা কাগজে ছাপা হলে, তোমার দুর্নাম হবে, তাই না?’
চেহারা স্নান হয়ে গেল মারিফার “হ্যা খানিকটা তো হবেই। তবে এ-সব আমি আহা করি না। যাক একটা গর্দভ বটে, তা হলে কিভাবে সে বিশ্বাস করতে পারে যে ওগুলোর ভয়ে ওকে জানি বিয়ে করতে রাজি হবে।
‘রোসেট পরিবার কি ব্রিটিশ নয় ?’ জিজ্ঞেস করলো রানা । ‘ব্রিটিশ- রা নাৎসীদের ভক্ত হয় কি করে ?”
‘কর্নেল কাকু ব্রিটিশ, তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় রোসেট পরিবারের বিরাট স্বার্থ আছে। মার্কের মা নরওয়ের মেয়ে। মার্ক আসলে মায়ের হাত-পা ধুয়ে খেয়েছে।
‘এখন কি করবে বলে ভাবছো তুমি, কর্নেলকে মার্কের সব কথা বলে দেবে ?’
‘কর্নেল কাকুকে সত্যি আমি ভালোবাসি, স্নান সুরে বললো মারিকা। ‘আসলে ছোটোবেলা থেকে তাঁর কাছেই আমি মানু রাগের মাথায় যা-ই বলি, তাকে আঘাত দেয়ার ইচ্ছে আনার নেই। বাধ্য না হলে সব কথা তাকে আমি জানাবো না’। ‘
এরপর অনেকক্ষণ আর কোনো কথা হলো না। কারো ব্যক্তিগত সমস্যার সাথে জড়িয়ে পড়তে চায় না, তাই চুপ করেই থাকলো রানা। মেয়েটার সান্নিধ্য ওর ভালো লাগছে, ষড়ত একটা আকর্ষণও অনুভব করছে, স্পর্শ করামাত্র প্রতিবার পুলকিত হয়ে উঠছে ও, কাজেই নিজেকে কঠিন অনুশাসনে বেঁধে রাখার প্রয়োজন বোধ করলো। নারীঘটিত বা হৃদয়ঘটিত কোনো সংকটে পড়তে চাইছে না। দেয়ে তো নয়, বিপুল ঐশ্বর্য, মনে মনে জানে এড়িয়ে যেতে ন! পারলে কপালে খারাবি আছে ।
মারিকাও চুপ করে থাকলো,
রাশিদা, সম্ভবত বরফ ঢাকা
ইতোমধ্যে জাবার সে অন্য জগতের অ্যান্টার্কটিকার। হঠাৎ বাস্তবে ফিরে
এলো সে, এক চুমুকে গ্লাসটা খালি করলো, খপ করে রানার কব্জি চেপে ধরে বললো, ‘বার থেকে মিউজিকের শব্দ পাচ্ছি।’ বিপুল উত্তে- জনা নিয়ে হাড়িয়ে পড়লো যে টান দিয়ে দাড় করালো রানাকে। চলুন নাচি। বার-এ ঢুকে ওরা দেখলো নাচ শুরু হয়ে গেছে। ড্যান্স ফ্লোরের দিকে এগোলো করা।
রানার কানে কানে বললো মারিফা, ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ কব্জিতে চাপ দিলে। একটু। ‘খ্যাঙ্ক ইউ ফর বাইং মো নাইস
মেয়েটার দ্বারা কিভাবে সম্ভব হলো বলতে পারবে না রানা কৰে সময়টা উৎসবমুখর করে তুললো সে। রানা আবিষ্কার করলে, মারিকঃ শুধু যে ভালো নাচতে পারে তাই নয়, পার্টনারকে সাহায্য করার জন্যে প্রতি মুহূর্তে সদায় সে। রানার চোখে চোখ রেখে, মাথাটা পিছিয়ে নিয়ে, নিঃশজে হাসলো মারিফা। দমকা বাতাসের মতো ড্যান্স ফ্লোরে এঁড়ে বেড়ানো ভরা। ড্যান্স ফ্লোরে বেশিরভাগই ইউরোপিয়ান বা শ্বেতার দম্পতি, হাততালি দিয়ে উৎসাহ দিলে । তারা ওদেরকে। এক পর্যায়ে দ্রুত থেকে দ্রুততর হলো মিউজিক, দুটো শরীর জোড়া লেগে এক হয়ে গেল, বাধনছেঁড়া সতেজ তারুণ্যের এ যেন এক মহামিলন। রানার হাতে নিজেকে এখন নিঃ- সংকোচে সঁপে দিলো মারিকা, পুলকে আত্মহারা হয়ে পড়লে! রানা। প্রতিটি মুহূর্ত কিছু না কিছু বলছে মেয়েটা। ‘আগে কখনো এভাবে আমি নাচিনি কি যেন ঘটে গেছে আমার ভেতর… নিজেকে আমি ধরে রাখতে পারছি না আমার জীবনে… আরো আগে…তোমার মতো কেউ আসেনি কেন..[ আবেশে চোখ বুজে এলো তার। ‘কে…কে তুমি কেন দেখা হলো— [‘ ভোগ ভয়। আনন্দের স্কান্না নিয়ে নাচ শেষ করলো মারিকা, দর্শকদের তুমুল করতালির ভেতর রানার হাত ধরে ছুটে বেরিয়ে এলো বাইরে।
পরে, ট্যাক্সিতে, মাথা নিচু করে বসে থাকলো যে, সারাটা পথ শুধু একবারই মুখ খুললো, ‘আমাকে ক্ষমা করে।!’ উত্তরে কিছুই বলেনি রানা। বা ঘুরে এয়ারপোর্টের গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকলে। ট্যাক্সি, মারিকার থমথমে চেহারায় উদ্বেগ আর ক্লান্তি ফুটে উঠলো। সিটের ওপর কাত হলো সে, রানার একটা হাত নিজের হাতে নিয়ে মুখের কাছে তুললো, আলতোভাবে চুমো খেলে! আৰু লগুলোয়। ইতোমধ্যে এগারোটা বেজে গেছে, ওদের জন্যে অপেক্ষা করছে সবাই। সরাসরি প্লেনে উঠে পড়লে। ওরা দশ মিনিট পর কায়রোকে পিছনে ফেলে ছুটে চললো প্লেন। যে-যার সিটে বসে ঝিমাতে শুরু করলো।
রাত বোধহয় চারটে হবে, হাতে একটুকরো কাগজ নিয়ে কৰপিউ থেকে বেরিয়ে এলো পাইলট। রানাকে পাশ কাটিয়ে কর্নেল ওরা- কারের কাছে গিয়ে দাড়ালে। সে মূহ ফাঁকি দিয়ে তাঁর ঘুম ভাঙালো । ‘জরুরী মেসেজ, কর্নেল,’ ফিসফিস করে বললো।
নাক দিয়ে একটা আওয়াজ করলেন কর্নেল, কাগজ নাড়াচাড়ার আওয়াজ পেলো রানা। সিটের ওপর কাত হয়ে পিছন দিকে তাকালো ও কর্নেলের ফোলা ফোলা চেহারা রক্তশূন্য ফ্যাকাশে হয়ে গেছে, ঘর ঘর করে কাপছে কাগজ ধরা হাতটা। দু’বার ঢোক গিল- লেন তিনি, তারপর ফট করে তাকালেন মারিকার দিকে। গভীর ঘুমে তলিয়ে আছে মেয়েটা। *কোনো মেসেজ পাঠাতে হবে ?’ জিজ্ঞেস করলো পাইলট।
“না না, কোনো উত্তর নেই।’ বিড়বিড় করে বললেন কর্নেল, যেন তাঁর দম কুরিয়ে গেছে।
‘ভোররাতে দুঃসংবাদ, আমি দুঃখিত,’ বলে ককপিটে ফিরে গেল পাইলট ।
চোখ বুঝে ঘুমোবার চেষ্টা করলো রানা। কিন্তু ঘুম এলো না । বারবার একটা প্রশ্ন বিধছে বুকে, কি আছে মেসেজটায় ? প্রায় নিশ্চিতভাবে ধরে নিলো ও নারিকার সাথে মেসেজটার সম্পর্ক আছে। আরো ছ’বার পিছন দিকে তাকালো রানা দু’বারই . সজাগ উপস্থিতি সম্পর্কে সচেতন হতে বার্থ হলেন কর্নেল ওয়াকার । তিনি ঘুমাচ্ছেন না। পাপুরে মূর্তির মতো বসে আছেন, চোখ দুটো বিস্ফারিত, একদৃষ্টে তাকিয়ে আছেন মেসেজটার দিকে ।
নাইরোবিতে নেমে ব্রেকফাস্ট সারলো ওরা।
এয়ারপোর্ট ক্যানটিনে
সবাই একই টেনিলে বসলো। কর্নেল ওয়াকার কিছুই পেলেন না। বারবার শুধু মারিকার দিকে তাকাচ্ছেন তিনি। তাকে প্রায় সন্ত্রস্ত বলে মনে হলো রানার ।
রানার পাশ থেকে হঠাৎ ঝুঁকে পড়লো কাইসু শুকোমো, কানের কাছে মুখ তুলে ফিসফিস করে বললো, ‘কি ঘটলো বলতে পারেন ? কর্নেল অমন করছে
?
‘জানি না, বললে। রানা। ‘কাল রাতে উনি একটা মেসেজ পেয়ে-
ছেন।
ব্রেকফাস্ট শেষ হয়ে এসেছে, এই সময় ইশারা করে মারিকাকে বাইরে ডেকে নিয়ে গেলেন কর্নেল ওয়াকার। খানিক পরই ফিরে এলেন তিনি। একা হারিকা কোথায় ?’ জিজ্ঞেস করলো রানা। ‘কিছু ঘটেছে কি?’ ‘না।’ বিভবিড় করে জবাব দিলেন তিনি। কি ঘটনে।’ তাঁর বলার ভঙ্গিতেই স্পষ্ট হয়ে গেল, তিনি চাইছেন না তাদের ব্যক্তিগ
ব্যাপারে রানা না
একটা সিগারেট ধরিয়ে ক্যানটিন থেকে বেরিয়ে এলো রানা। কয়ে পা হেঁটে থাক নিতেই সাধিকাকে দেখতে পেলে। ও, এয়ার ফিল্ডে একা একা হাটছে। কয়েক সেকেও তাকিয়ে থেকে রানা বুঝতে পারলো, ঘোরের মধ্যে হাটছে মেয়েটা, এলোমেলোভাবে পা ফেলছে, কোনদিকে যাচ্ছে খেয়াল নেই। তার নাম ধরে ডাকলো রানা। কিন্তু ফিরলো না মারিকা, থামলো না. যেমন হাউছিল তেমনি হাঁটতে লাগলো। টারমাক থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে সে।
ছুটলো রানা। ‘মানিক।। এবার বোধহয় শুনতে পেয়েছে। গর্জের উৎস লক্ষ্য করে খানিকটা ঘুরলো যে, যেন ভুল শুনেছে কিনা বোঝার চেষ্টা করছে। তারপর রানার ফুটন্ত পারের আওয়াজ শুনে পুরোপুরি ঘুরলো। ‘কি ঘটেছে ? তার হাত ধরে জিজ্ঞেস করলো রানা। এখানে একা একা কি করছো তুমি
মারিকার চোখে কোনো দৃষ্টি নেই, তার গোটা অস্তিত্ব নিজের ভেতর গুটিয়ে গেছে। উত্তর দেবে কি, রানার কথা বোধহয় বুঝতেই পারেনি। সচল একটা লাশের মতো লাগলো মেয়েটাকে। তার ঠাণ্ডা হাতটা ধাকালো রানা। এদিকে, আমার দিকে তাকাও! বলো কি হয়েছে। কর্নেল একটা মেসেজ পেয়েছেন, তাই না ? কি আছে মেসেজে ?”
উত্তরে বা হাতের মুঠোটা খুললো মারিকা। মুঠোর ভেতর থেকে দোমড়ানো কাগজটা নিয়ে গিয়ে করলো রানা। তারপর পড়লো ।

বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!

বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Scroll to Top