হিমুর নীল জোছনা – হুমায়ূন আহমেদ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ হুমায়ূন আহমেদ
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৭৫
হিমুর নীল জোছনা – বইটির এক ঝলকঃ
আমাকে রাতটা কমলকুটিরে কাটাতে হলো। বৃদ্ধ শুরু থেকে কঠিন মুখ করে ছিলেন, হঠাৎ তিনি কঠিন অবস্থা থেকে তরল অবস্থায় চলে গেলেন। তিনি বললেন, আমার স্ত্রী তোমাকে তার ছেলের মতো দেখছে। সেই ছেলে দুপুররাতে চলে যাবে ? তুমি ফাজলামি করছ ? গেস্টরুমে তোমার জন্যে ব্যবস্থা করেছি। আরাম করে ঘুমাও। তোমার কী সমস্যা, বাচ্চা দুটির কী সমস্যা আমি জানতে চাচ্ছি না। যাকে আমার স্ত্রী সন্তানের মতো দেখছে সে আমার কাছেও সন্তান । তোমাদের সমস্যা পরে শুনব। এখন ঘুমাও। আমি হার্টের রোগী। রাতজাগা আমার জন্যে নিষেধ। আমার স্ত্রীর জন্যেও নিষেধ। তুমি বলেছিলে বাচ্চা দুটিকে থানায় নিতে হবে। নিয়ে যাও, কিন্তু আবার ফিরে আসবে। এটা আমার অর্ডার । আমি আর্মিতে ছিলাম। ব্রিগেডিয়ার হিসেবে রিটায়ার করেছি। এই বাড়িতে সামরিক ব্যবস্থা চালু আছে। আমার অর্ডারের বাইরে কিছু হয় না। বুঝেছ ?
আমি বিকট চিৎকার দিয়ে বললাম, ইয়েস স্যার। আই আন্ডারস্ট্যান্ড স্যার। বৃদ্ধ হেসে ফেললেন। তার হাসি দেখে বাচ্চা দু’টা হাসতে শুরু করল। ভেতর থেকে বৃদ্ধা ছুটে এলেন । কিছু না জেনে তিনিও হাসতে শুরু করলেন ।
ভোরে ঘুম ভেঙেছে। আমি কেয়া-খেয়াকে নিয়ে বসেছি। তাদের বাবার খোঁজ বের করা দরকার। বৃদ্ধ-বৃদ্ধা দু’জনই ঘুমে। তারা অনেক রাত পর্যন্ত জেগে ছিলেন। বেলা পর্যন্ত ঘুমাবেন এটাই স্বাভাবিক ।
কেয়া বাবার মোবাইল নাম্বার জানে। সেই নাম্বারে টেলিফোন করলাম। একটি মেয়ে রোবটদের গলা নকল করে বলল, সংযোগ দেওয়া সম্ভব না, আপনি যদি ভয়েস মেইলে কিছু বলতে চান… ইত্যাদি। আমি বললাম, কেয়া, নাম্বারটা ভুল না তো ?
কেয়া বলল, নাম্বারটা ভুল মামা ।
খেয়া বলল, নাম্বারটা ভুল মামা। অবশ্যই ভুল। একশবার ভুল। ছোটমেয়েটার মধ্যে বড় বোনের কথা ব্যাখ্যা করার প্রবণতা আছে। বড় মেয়েটাও দেখি ছোটটার কথা ব্যাখ্যা করে। যতই সময় যাচ্ছে এদের অদ্ভুত গুণাবলি প্রকাশিত হচ্ছে। তারা বাবাকে নিয়ে মোটেই ব্যস্ত না। তাদের মা কোথায় জিজ্ঞেস করেছিলাম। বড়টা বলল, বলা যাবে না। ছোটটা বলল, বলা ঠিক হবে না। বললে বড় আপার পাপ হবে।
আমি বললাম, পাপ হলে বলার দরকার নাই। চলো ধানমণ্ডি থানায় যাই । তোমরা কোথায় আছ জানিয়ে আসি। তোমাদের বাবা দুশ্চিন্তা করবেন। খেয়া বলল, দুশ্চিন্তা করবে না।
কেয়া বলল, ও ঠিকই বলেছে। দুশ্চিন্তা করবে না। একটুও করবে না।
আমি বললাম, দুশ্চিন্তা না করলেও জানানো দরকার। তোমার বাবা ধানমণ্ডি থানাতে খোঁজ করবেন। চলো যাই। থানার ঝামেলা শেষ হোক, তোমাদের এখানে দিয়ে যাব।
ওসি সাহেব ছিলেন না। বসন্ত দাগওয়ালা আছেন। আজ তাঁর গায়ে থাকি পোশাক। শার্টের পকেটের উপর নাম লেখা। মনে হয় তার নাম আব্দুল গফুর। প্লাস্টিকের ‘র’ উঠে গেছে বলে নাম এখন আব্দুল গফু। এই থানার সবার নাম থেকে একটা করে অক্ষর উঠে যাচ্ছে কেন কে জানে! ব্যাপারটা ইচ্ছাকৃত না তো ? আমাকে দেখে গফু সাহেব আনন্দিত হলেন বলে মনে হলো। তিনি পাশের কনস্টেবলকে বললেন, এদের হাজতে ঢুকিয়ে দাও। কুইক।
আমি বললাম, কী কারণে হাজতে ঢোকাচ্ছেন জানতে পারি ?
আজকের খবরের কাগজ পড়েছ ?
জি-না স্যার।
খবরের কাগজ পড়া থাকলে বুঝতে কেন হাজতে। তোমার কপালে আছে পাকিস্তানি ডলা।
বলেই তিনি ওকিটকিতে কাকে যেন বললেন, আসামির সন্ধানে যেতে হবে না স্যার। আসামি নিজেই ধরা দিয়েছে। এই তো আমার সামনে, সঙ্গে দু’টা ট্যাবলেট। জি স্যার হাজতে পাঠিয়ে দিচ্ছি। না ট্যাবলেট দু’টা বিষয়ে কিছু জানি না। এক্ষুনি জানছি। ওভার।
গফু সাহেব ওয়াকিটকি নামিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, এরা কারা ? আমি বললাম, বড় জনের নাম কেয়া, তারপরেরটার নাম খেয়া। এদের নাম ক খ গ ঘ হিসেবে রাখা হচ্ছে। তারপরেরটার নাম হবে গেয়া। পঞ্চমটার নাম নিয়ে সমস্যা—ঙেয়া । তুমি দেখি রসে টইটুম্বুর। রসমালাই হয়ে গেছ। চিপ দিয়ে রস বের করে শুকনা খড় বানিয়ে ফেলব। তুমি বাচ্চা দুটার কে ?
কেউ না। তবে ওরা আমাকে মামা ডাকছে। কথায় আছে না “বাঁশতলায় বিয়াইছে গাই সেই সূত্রে মামা ডাকাই।’
গফু হুঙ্কার দিয়ে উঠলেন, ফাজলামি একদম বন্ধ। বাচ্চা দু’টার বাবা কোথায় ? আমি বললাম, জানি না স্যার।
কেয়া বলল, স্যার আমিও জানি না ।
খেয়া বলল, বড় আপা সত্যি জানে না। আল্লার কসম জানে না ।
বাবা করে কী ?
আমি বললাম, উনি একজন বিশিষ্ট চোর স্যার। চুরির দায়ে তিনবার উনার চাকরি গেছে। সর্বশেষ চাকরি গেছে রড চুরির কারণে। এরা দুই বোন হলো চোর কন্যা। মূর্ছনার সৌজন্যে নির্মিত ই-বুক। এই তোমরা স্যারকে সালাম দাও । দু’জনই একসঙ্গে বলল, স্লামালিকুম । স্লামালিকুম, স্লামালিকুম ।
গফু বললেন, এই ট্যাবলেট দুটাকে হাজতে ঢোকাও। এরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিতে পারে।
আমি বললাম, স্যার একটা খবরের কাগজ কি দেওয়া যাবে ? কী অপরাধে হাজতবাস সেটা কাগজ পড়ে জানতাম।
আর একটা কথা না ।
কেয়া বলল, এত জোরে ধমক দিবেন না স্যার। আমি ভয় পাই।
খেয়া বলল, বড় আপা খুব ভয় পায়। আল্লার কসম, বড় আপা ভয় পায় ।
আমার হাতে যে খবরের কাগজ তাতে সেকেন্ড লিড নিউজ হচ্ছে—
টকশোতে রবীন্দ্রনাথ মন্ত্ৰী বিভ্রান্ত (স্টাফ রিপোর্টার)
একটি টিভি চ্যানেলের লাইভ টকশোতে অবিকল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে দেখা গেছে। তিনি বন ও পরিবেশ মন্ত্রীর সঙ্গে একটি টকশোতে অংশ নেন। মন্ত্রী মহোদয় পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। তিনি বারবার অনুষ্ঠান সম্প্রচার বন্ধ করতে বলেন, তারপরেও শো বন্ধ হয় না। শেষ পর্যায়ে উনি ক্ষিপ্ত ভঙ্গিতে উঠে দাঁড়ানোর পর একটি রবীন্দ্রনাথের গানের অনুষ্ঠান শুরু করা হয় ।
যেসব দর্শক কিছুক্ষণের জন্যে হলেও প্রোগ্রামটি দেখেছেন তারাও মন্ত্রী মহোদয়ের মতোই বিভ্রান্ত
মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এটি বিরোধীদলের স্কুল যড়যন্ত্র। জনতার কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা কমাতেই এই সাজানো নাটকের আয়োজন করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, কথিত রবীন্দ্রনাথকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। অনেক রাঘববোয়াল ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে ।
এই প্রতিবেদক কথিত রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে জানেন পুলিশের কাস্টডিতে এমন কেউ নেই। ওসিকে সাময়িকভাবে ক্লোজ করা হয়েছে। পুলিশের আইজি জানিয়েছেন, পুলিশের দিক থেকে কোনো অবহেলা হয়ে থাকলে দায়ী ব্যক্তি কঠোর শাস্তি পাবে।
চ্যানেল আঁখি কর্তৃপক্ষের কেউ টেলিফোন ধরছেন না। চ্যানেল আঁখি’র মুখপাত্র হিসেবে ভাসান খান বলেছেন, ব্যাপারটা ক্ষুদ্র ভুল বুঝাবুঝি। জনৈক অভিনেতা রবীন্দ্রনাথ চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে ভুলক্রমে টকশো’র প্রোগ্রামে চলে যান। ভুল ধরা পড়া মাত্র অনুষ্ঠান সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। ভাসান খানের কাছে নাটকের নাম এবং পরিচালকের নাম জানতে চাইলে ভাসান খান আমতা আমতা করতে থাকেন।
প্রতিবেদক ব্যাপক অনুসন্ধান করেও এমন কোনো নাটকের সন্ধান পান নি।
বাংলাদেশ রবীন্দ্র গবেষণা পরিষদের প্রধান ড. হাকিমুল কবির বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ একজন বিশ্বকবি। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত তাঁর রচনা, এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। ভুল সুর এবং ভুল উচ্চারণে রবীন্দ্রনাথের গান গাওয়া বর্তমানে ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। চ্যানেল আঁখি এই ফ্যাশনের আগুনে বাতাস অতীতে দিয়েছে। এখনও দিচ্ছে। রবীন্দ্রনাথকে কেন টকশোতে আনা হলো এর পেছনের উদ্দেশ্য জাতি জানতে চায়। রবীন্দ্র গবেষণা পরিষদ পুরো ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছে।
বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে দেশের বুদ্ধিজীবীরা আগামীকাল মানব বন্ধনের কর্মসূচি দিয়েছেন। কাপজে মন্ত্রীমহোদয়ের সঙ্গে কথিত রবীন্দ্রনাথের একটি ছবি ছাপা হয়েছে। ছবিটা প্রচারিত অনুষ্ঠান থেকে নেওয়া। ছবিতে দেখা যাচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মন্ত্রী মহোদয়কে এক পুরিয়া গাঁজা নিতে সাধাসাধি করছেন। এরকম খবর ছাপা হওয়ার পর হৈচৈ পড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। আমি হাত থেকে কাগজ নামাতে নামাতে বললাম, লাগ ভেলকি লাগ ।
কেয়া বলল, মামা! আমাদের কি জেল হয়ে গেছে ?
আমি বললাম, সেরকমই মনে হচ্ছে ।
খেয়া বলল, আমরা পাপ করেছি এইজন্যে আমাদের জেল হয়েছে। পাপ করলে জেল হয়।
কেয়া বলল, পাপ করলে ফাঁসিও হয়। মামা, আমাদের ফাঁসি হবে না তো ? সম্ভাবনা কম।
খেয়া বলল, ফাঁসি হলে জিভ এরকম বের হয়ে থাকে। তাই না মামা ?
খেয়া মুখ থেকে জিভ বের করে দেখাল। কেয়া বলল, হয় নাই। এরকম। খেয়া বলল, না এরকম। আমি দেখেছি তো।
কেয়া বলল, আমিও তো দেখেছি।
আমি বললাম, মূর্ছনার সৌজন্যে নির্মিত ই-বুক। কোথায় দেখেছ ? খেয়া বলল, বলব না। বললে আল্লা পাপ দিবে।
আমি বললাম, থাক তাহলে বলার দরকার নাই ।
কেয়া-খেয়া চুপ করে আছে। চুপ না থেকে অবশ্যি উপায়ও নেই । কারণ দু’জনের জিভ মুখ থেকে বের করা। ফাঁসির পর জিভের অবস্থার প্রদর্শনী। আমি বড় ধরনের রহস্যের সন্ধান পাচ্ছি। রহস্যের জট খোলার হলে খুলবে। তাড়াহুড়া করলে আন্ধা গিট্টু লেগে যাবে। আল্লাপাক এইজন্যেই বলেন, হে মানব সন্তান তোমাদের বড়ই তাড়াহুড়া ।
আমি কাগজ পাঠে মন দিলাম। বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগ তাদের বিজয় কেতন উড়িয়ে যাচ্ছে। শিক্ষক লীগ এখনো পথে নামে নি, তবে নেমে যাবে।
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!