হিমুর মধ্যদুপুর – হুমায়ূন আহমেদ – ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড – Free PDF Download এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এখনি। আরো নতুন নতুন বই পেতে ভিজিট করুন আমাদের বই লাইব্রেরি।
মহান আল্লাহ বলেন –
পড়ো! তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন
আল কুরআন
জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেক জমানায়, প্রত্যেক সময়ে কিছু মানুষ এমন ছিল যারা অজানাকে জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছে বিশ্বজগতের গূঢ় রহস্য, অবলোকন করেছে পরম বিস্ময়ের সাথে মহাকাশের লীলাখেলা। এই মানুষগুলোর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এবং এত সুন্দর কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সোপান বেয়ে তরতর করে। এই পথচলার মাঝেই আরেকটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ওয়েবসাইট। এখানে বাংলাভাষায় এবং অন্যান্য সকল ভাষায় পরবর্তীতে সর্বাধিক বইয়ের লাইব্রেরি করার ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। বারবার এই সাইট বন্ধ হয়েছে, অন্য নামে আবার এসেছে, আসবে। এইজন্যে আপনাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। আপনারা প্রতিনিয়ত সাইটে ভিজিট করে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদের জানাবেন কোনো সমস্যা থাকলে।
বইটি সম্পর্কেঃ
অনুবাদঃ হুমায়ূন আহমেদ
পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৯৩
হিমুর মধ্যদুপুর – বইটির এক ঝলকঃ
রানু টাকা নিয়ে এসেছে। সবটা আনতে পারেনি, এক হাজার তিনশ টাকা এনেছে। টাকার সঙ্গে প্লাস্টিকের দু’টা আইসক্রীমের বাটি। একটা বাটিতে মোরগ-পোলাও, অন্য বাটিতে ফিরনী। দু’টাই সে নিজে রান্না করেছে। আমার ধারণা ঐ দিনের খাবারটা ফেরত দিতে চাচ্ছে। মনে হচ্ছে এই মেয়ে ঋণ রেখে মরে যাওয়া টাইপ না ।
রানু বলল, ‘আপনি এই বাড়ির কে বলুনতো। আমি দারোয়ানকে বললাম, “হিমু সাহেবের ফ্ল্যাটে যাব।” দারোয়ান চেনে না।’
‘আমি এই বাড়ির চাকর। ভদ্র ভাষায় গৃহভৃত্য। “বাবু কহিলেন, বুঝেছ উপেন টাইপ।” আমাকে চেনার কথা না। চাকরের পরিচয়ে ফ্ল্যাটের পরিচয় না।’
রানু বলল, ‘আপনি কেন সব সময় আমার সঙ্গে এই ভাবে কথা বলেন ? যে বুড়ো মানুষটা ইজিচেয়ারে বসে বই পড়ছেন, তিনি আপনার কে হন ? ‘মুনিব হন। উনি মুনিব, আমি ভৃত্য ।
‘অসম্ভব। উনি আপনার বাবা। আমি চেহারা দেখেই বুঝেছি।’
কথাবার্তার এই পর্যায়ে পল্টু স্যার ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালেন। এবং চিন্তিত ভঙ্গিতে বললেন, ‘হিমু, বাবুই পাখি তালগাছ ছাড়া অন্য কোথাও বাসা বাঁধে না?’
‘জ্বি না, স্যার।
‘যদি সব তালগাছ কেটে ফেলা হয়, তখন ওরা কোথায় বাসা বাঁধবে ?” “ওরা একটা সমস্যায় তো পড়বেই। অন্য কোনো গাছে ট্রাই করবে। ‘কোন গাছ ?’
‘আমার ধারণা, সুপারি গাছে প্রথম চেষ্টা করবে।
পল্টু স্যার চিন্তিত ভঙ্গিতে বললেন, ‘জিনিসটা অদ্ভুত না? বাবুই পাখিদের তালগাছেই বাসা বাঁধতে হবে ? গভীর কোনো চিন্তার বিষয় এর মধ্যে আছে। “চিন্তার বিষয়তো আছেই।’
‘ঐ মেয়ে কে ?’
‘স্যার, আমাদের বাবুর্চি।’
পল্টু স্যার খুবই অবাক হয়ে বললেন, ‘আমাদের রাবুর্চি আছে, জানতাম নাতো! নিজেদের বাবুর্চি আছে, অথচ আমরা হোটেল থেকে খাবার এনে খাচ্ছি কেন ?”
আমি বললাম, ‘আজই এপয়েন্টমেন্ট দেয়া হয়েছে। সে তার রান্নার স্যাম্পলও নিয়ে এসেছে। দুপুরে আপনাকে খেতে দেব। মোরগ-পোলাও আর ফিরনী । খেয়ে যদি আপনার পছন্দ হয়, সঙ্গে সঙ্গে চাকরি পারমানেন্ট।’ পল্টু স্যার বললেন, ‘এক বেলার রান্না খেয়ে তার রন্ধনশৈলী বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’
আমি বললাম, ‘তাহলে এক সপ্তাহ রাঁধুক এক সপ্তাহ পরে বিবেচনা করা হবে।’
‘মেয়েটার নাম কি ?
‘স্যার, আপনিই জিজ্ঞেস করুন।’
আমি রানুর দিকে তাকালাম । সে আমাদের কথাবার্তায় পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়ে গেছে। বিভ্রান্ত হওয়াই স্বাভাবিক। অতি বুদ্ধিমতীরাও বিভ্রান্ত হবে । পল্টু স্যার হাতের বই বন্ধ করে চোখের চশমা ঠিক করলেন। চশমা ঠিক করা মানে চশমার ফাঁক দিয়ে দেখার চেষ্টা। পল্টু স্যার গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনার সময় এই কাজটা করেন।
‘নাম কি বল!’
“রানু।’
‘রান্না কোথায় শিখেছ?’ ‘মা’র কাছে শিখেছি।’
‘মনে কর তুমি কৈ মাছের ঝোল রান্না করছ। সাধারণ লবণ দিয়ে রান্না করলে যে স্বাদ হবে, বিট লবণ দিয়ে রান্না করলেও কি একই স্বাদ হবে ? “বিট লবণ দিয়ে যে মাছের ঝোল রান্না করা যায় এটাই আমি জানি না।’ ‘কোন রান্নাটা তুমি ভাল পার ।
ইলিশ মাছের ডিমের ঝোল।’
পল্টু স্যার আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘হিমু, চট করে একটা ইলিশ মাছ নিয়ে এসো। আমারো হঠাৎ করে কেন জানি ইলিশ মাছের ডিমের ঝোল খেতে ইচ্ছা করছে। বাবুর্চির চাকরি পার্মানেন্ট হবে কি-না তা ইলিশ মাছের ডিম রান্নার উপর নির্ভর করবে।’
রানুর হতভম্ব ভাব ক্রমেই বাড়ছে। এক সময় সে গা ঝাড়া দিয়ে উঠল কঠিন গলায় বলল, ‘একটা ভুল হচ্ছে। আমি বাবুর্চির কাজের জন্যে এ বাড়িতে আসি নি। আমাকে এসব কেন বলছেন ? আমাকে দেখে কি বাবুর্চির মতো লাগছে ?’
পল্টু স্যার আমার দিকে সাহায্যের জন্যে তাকালেন। রানুর কথায় তিনিও খানিকটা হকচকিয়ে গেলেন। আমি বললাম, ‘রানু শোন, আয়া বা বাবুর্চি এরা দেখতে আলাদা হয় না। এদের কোনো আলাদা পোশাকও নেই । এবং সত্যি কথা বলতে কি তোমার ভাবভঙ্গির মধ্যে কিছু বাবুর্চি ভাব অবশ্যই আছে।’
পল্টু স্যার ভরসা পেয়ে বললেন, ‘অবশ্যই অবশ্যই। খুবই সত্যি কথা । কথাবার্তা বুয়া টাইপ। ঝগড়া ঝগড়া ভাব।’
আমি বললাম, ‘তারপরেও তোমাকে বাবুর্চির চাকরি অফার করায় তোমার যদি সম্মান হানি হয়ে থাকে, তাহলে আমি এবং স্যার আমরা দু’জনই দুঃখিত।’
পল্টু স্যার বললেন, ‘হ্যাঁ দুঃখিত। তবে বাবুর্চির কাজের মধ্যে কোনো অসম্মান নেই। পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি বাবুর্চি ছিলেন যেমন এরিস্টটল, লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি।’
রানু বলল, ‘উনারা বাবুর্চি ছিলেন ?’
পল্টু স্যার বললেন, ‘অবশ্যই। নিজেরা নিজেদের খাবার রান্না করে খেতেন। এখন তুমি বল, বেতন কত চাও ?’
রানু বলল, ‘বেতন কত চাই মানে কি ?’
‘তুমি নিশ্চয়ই বেতন ছাড়া কাজ করবে না। আর আমার পক্ষেও আকাশ-পাতাল বেতন দিয়ে বাবুর্চি রাখা সম্ভব না। লকার খোলা যাচ্ছে না।
রানু বলল, ‘আমরা একই কথাবার্তায় ঘুরাফিরি করছি। হয় আপনি কনফিউজড নয়ত আমি কনফিউজড। আমি এখন চলে যাচ্ছি, কিছু মনে করবেন না। স্লামালিকুম ।
পল্টু স্যার সালামের জবাব না দিয়ে বইয়ে মন দিলেন। পাতা উল্টে বইয়ের দিকে ঝুঁকে এলেন। তাঁর চোখ চকচক করতে লাগল। রানু আমার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘আমি কি আপনার সঙ্গে আলাদা এক মিনিট কথা বলতে পারি ? আড়ালে ?
আমি বললাম, ‘আড়ালে যাবার দরকার নেই। এখানেই কথা বলতে পার। স্যার বই পড়া শুরু করেছেন, এখন কোনো কিছুই তাঁর মাথায় ঢুকবে না। তাঁকে “এই ছাগলা, বই পাগলা” বলে গালিও দিতে পার। তিনি কিছুই বুঝবেন না । রানু কঠিন গলায় বলল, ‘আপনি দয়া করে অন্য ঘরে আসুন! প্লিজ!’
আমি রানুকে নিয়ে রান্নাঘরে গেলাম। এই বাড়িতে শুধুমাত্র রান্নাঘরেই দু’টা প্লাস্টিকের টুল আছে। পিঁড়ির আধুনিক সংস্করণ। রানুকে বসতে বললাম, সে বসল না। থমথমে গলায় বলল, ‘আপনি কি সত্যিই উনার সারভেন্ট ? চাকর বলতে লজ্জা লাগছে বলে সারভেন্ট বলছি।’
আমি বললাম, ‘সরাসরি চাকর বলতে পার। লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। ভৃত্যকে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ উঁচু মর্যাদা দিয়েছেন। তাঁর বিখ্যাত লাইন আছে– “আমি তব মালঞ্চের হব মালাকার।” মালাকার ব্যাটা চাকর ছাড়া কিছু না । ‘হাই লেভেলের কথা বন্ধ করে সরল করে বলুন ঘটনা কি ? আপনি চাকর হবেন কেন ?’
‘আমি একটা জরুরি মিশন নিয়ে এখানে কাজ করছি।’
‘কি মিশন ?’
‘পল্টু স্যার বহু টাকার মালিক। বিশ কোটি টাকার বেশিতো বটেই। উনি মারা গেলেই সোহাগ নামের একজন পুরো সম্পত্তির মালিক হবে। আমার মিশন হচ্ছে উনি যাতে দ্রুত মারা যান, সেই ব্যবস্থা করা।’
“তার মানে ?”
‘ভদ্রলোকের সময় ঘনিয়েছে। দু’টা কিডনীই নষ্ট। আমাকে দেখতে হবে তিনি যেন কিডনী ট্রান্সপ্লান্টে রাজি না হন। বুঝতে পারছ ?”
‘না।’
আমি গলা নামিয়ে বললাম, ‘আমি এ বাড়িতে ঢুকেছি তাঁকে কিডনী দেব এই অজুহাতে। এখন তার ধারে-কাছে যাচ্ছি না। স্যারের শরীর দ্রুত খারাপ হচ্ছে। পরিকল্পনা মতো সব এগুচ্ছে।’
রানু বলল, ‘আপনার কথা যদি সত্যি হয় তাহলে আমাকে এই গোপন কথাগুলো কেন বলছেন ?
হব ?’
না?’
‘তোমাকে বলছি, কারণ তুমিও এই পরিকল্পনার অংশ।
রানু প্রায় চিৎকার করে বলল, ‘আমি কি করে এই পরিকল্পনার অংশ
‘মাজেদা খালা তোমাকে কিডনী দেবার জন্যে ফিট করেছে। ঠিক বলছি
রানু হতভম্ব গলায় বলল, ‘সেই কিডনী কি উনার জন্যে ?’
“অবশ্যই। তোমাকে কি করতে হবে শোন— বুড়োটাকে নানান কথায় ভুলিয়ে ভালিয়ে কিডনী ট্রান্সপ্লান্টটা দেরি করাবে। যেন দ্রুত কর্ম কাবার হয়ে যায়। সোহাগ ভাইজান বগল বাজাতে পারেন । রানু বলল, ‘আপনি অতি ভয়ংকর মানুষ। আমি আগেই ধারণা করেছিলাম। আমার উচিত সব কিছু পুলিশে জানানো।’
‘ভুলেও এই কাজ করবে না। পুলিশও আমাদের কেনা। সবচে সহজ পণ্য হল মানুষ । মানুষ কেনা কোনো সমস্যাই না। মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে সহজে কেনা যায় বুদ্ধিজীবীদের। তাঁরা খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করেন কখন বিক্রি হবেন।
‘বকবকানিটা বন্ধ করবেন ?
‘করলাম।’
‘আমি এখন চলে যাব। তবে ভাববেন না আমি সহজ মেয়ে। একটা মানুষকে খুন করবেন আর আমি সব জেনেশুনেও চুপ করে থাকব ?
“খুনতো করছি না। নেচারের উপর নির্ভর করছি। নেচার তার কোর্সে চলবে। যথা সময়ে পল্টু স্যার বই পড়তে পড়তে পটল তুলবেন। উনার জন্যেও ভাল। বই পড়তে পড়তে খুব কম মানুষই মারা যায় । শুধু একজনকে পাওয়া গেছে যিনি বই পড়া শেষ করে লাইব্রেরি থেকে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় পা পিছলে মারা গেছেন। মোঘল বাদশা হুমায়ুন।’
রানু বলল, ‘আপনার প্রতিটি কথাই অসহ্য লাগছে। আমি কি আরেক বার উনার সঙ্গে কথা বলতে পারি ?’
আমি বললাম, কি কথা বলবে ?
উনাকে জিজ্ঞেস করে জানব আপনি যা বললেন সেটা সত্যি কি-না। “কিভাবে জানবে ? সরাসরি জিজ্ঞেস করবে ? আমাকে ফাসাবে *আপনার ভয় নেই, সরাসরি কিছু জিজ্ঞেস করব না। আমি বোকা মেয়ে না ।’
রানুকে আবার পল্টু স্যারের কাছে নিয়ে গেলাম। পল্টু স্যার বই থেকে মুখ তুলে আনন্দিত গলায় বললেন, ‘তোমার বেতন কত ঠিক হয়েছে ?’ রানু বলল, ‘স্যার, আমিতো আগেই বলেছি, আমি বাবুর্চির কাজ করব না। আমি শুধু আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে এসেছি।’
পল্টু স্যার বললেন, ‘প্রশ্নের জবাব দিতে পারব না। দেখছ না বই পড়ছি ?’
স্যার ছোট্ট প্রশ্ন, হিমু নামের এই মানুষটা কি আপনাকে কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট করতে নিষেধ করছে ?”
‘হ্যাঁ করেছে। এবং তার কথা আমার কাছে অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত বলে মনে হচ্ছে। কেন আমি অন্য একজনের শরীরের অংশ নিয়ে বেঁচে থাকব ? যার
বইটি ডাউনলোড করে নিন নিচের দেয়া লিঙ্ক থেকে এবং পড়ে নিন সহজেই। লিঙ্কে ক্লিক করে ডাউনলোড করতে না পারলে আমাদের জানিয়ে দিন। ফিক্স করে দেয়া হবে। অথবা নিচে কমেন্ট করুন কেমন লাগলো বইটি!
বই পড়া অনেকের জন্য নেশা, অনেকের জন্য পরম ভালোবাসার একটি বস্তু। এই বইকে আমরা সহজলভ্য এবং সহজে পাওয়ার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছি, তাই আমাদের সাইট আমরা ডিজাইন করেছি ইউজার ফ্রেন্ডলিনেস বজায় রেখে। সাইটের কোনো ধরনের ইস্যু নিয়ে কোনো মতামত থাকলে জানাতে পারেন, এবং বই এর জন্যে রিকুয়েস্ট করতে পারেন উপরে বাটন দেয়া আছে নিচেও লিঙ্ক দেয়া আছে। সর্বোপরি সকলের সহযোগিতা কাম্য সাইট চালাতে হলে, ইনশাআল্লাহ আমরা সকলেই বই পড়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো!